পোস্টগুলি

ছড়া লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

ছড়া ।। কষ্ট ছাড়া ।। সুজন দাশ

ছবি
    কষ্ট ছাড়া   সুজন দাশ     কষ্ট ছাড়া জীবন কভু   ঋদ্ধ কারো হয় না জানি, দুঃখ জাগায় ঢেউটি বোধের দূর করে দেয় মনের গ্লানি!   না পুড়িলে স্বর্ণ কভু কোনদিনও হয় না খাঁটি,   কষ্ট চেনায় আসল নকল সাজায় জীবন পরিপাটি!      আঁধার ছাড়া যায় না চেনা   সত্যিকারের কোথায় আলো, না ঠকলে কী যায় চেনা ভাই   মন্দ কারা কেই বা ভালো?     দুখের সাথে যুঝলে তবে সুখটা মানুষ বুঝতে পারে,   দুঃখ ছাড়া সুখটি এসে   দুলিয়েছে কখন কারে?   মহৎপথে থাকলে লেগে   কেউ হারে না কোনদিনও,   কষ্ট দিয়ে জীবন সাজাও   মূল্য দিয়েই জগত চিনো।   মুদ্রিত সংখ্যার প্রচ্ছদ মুদ্রিত সংখ্যা সংগ্রহ বিষয়ক জরুরি কথা নবপ্রভাত ব্লগজিনের ৬৮তম সংখ্যা (কার্তিক ১৪৩০ অক্টোবর ২০২৩) প্রকাশিত হল। কথামতো এই সংখ্যাটি বই (মুদ্রিত পত্রিকা) আকারে একটি প্রকাশনী থেকেও প্রকাশিত হল। ফন্ট একটু ছোট রেখে সাড়ে আট ফর্মার পত্রিকা হয়েছে। মুল্য ১৭৫ টাকা। তবে আমরা একটা কোড দিচ্ছি ( কোড: NABAPRAVAT30 ) । এটা অর্ডার ফাইনাল করার সময় ব্যবহার করলে ১৪৯ টাকায় বইটি পাওয়া যাবে। অর্ডার করলে বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন।  (একটি

ছড়া ।। ঠোকাঠুকি ।। সমর আচার্য্য

ছবি
ঠোকাঠুকি সমর আচার্য্য শাশুড়ি বৌমার ঠোকাঠুকি চলছে কালে কালে কার দখলে থাকবে সংসার থাকে সেই তালে  শাশুড়ি দেয় বৌমার দোষ বৌমা রেগে করে ফোঁস চিন্তা ভাবনায় ভাঁজ পড়ে পুত্র ব্যাটার ভালে। হাঁড়ি কলসির ঠোকাঠুকি নতুন কিছু নয় এক ঘরে থাকলে পরে এমন হতেই রয় বুঝে সুঝে চলে যারা দিনের দেখা পায় তারা ঠুনকো দেহ ভেঙে গেলে ডেকে কথা কয়। বউ আর মায়ে মিলে করে কাড়াকাড়ি কে আগে করবে আদর  কত তাড়াতাড়ি আদরের ঠ্যালায় হয়ে নাকাল ঘোলা জলে ধরে পাকাল কান্ডখানা করে যা ওরা বড্ড বাড়াবাড়ি। এমন করেই চলছে দিন কাল থেকে কালে চলছে মানুষ চলছে কেমন তাল মিলিয়ে তালে যতই হোক ঝগড়া ঝাঁটি যতই করুক কান্নাকাটি বাঁচবে তারা বাঁচবে আবার চুমু দিয়ে গালে।

কবিতা ।। দীঘি ।। প্রদীপ্ত সামন্ত

ছবি
দীঘি প্রদীপ্ত সামন্ত দীঘির পাড়ে ক্ষইছে  লাল বেলে মাটির স্তর আঁকা বাঁকা গাছের ছায়া উল্টো করে ঘর। শান্ত জলে হালকা চুমো বাতাস দিয়ে যায় তির তিরিয়ে ঢেউগুলো সব লাগছে গায় গায়। তাল তমালের সারির সাথে ঘাস ঝোপ বন লতা গল্পে মাতে পরস্পরে কইছে কত কথা! সাপ নেউলের যুদ্ধ বাঁধে দেখবার সে লড়াই দূরের মাঠে উঠছে বেড়ে মুগ খেসারির কড়াই। শ্যাপলা ঝাঁঝি লাল শালুকে বড়ই মনোহর দীঘির মাঝে ছোট্ট ভূমি ভুবন ডাঙ্গার চর ।                    ***************  প্রদীপ্ত সামন্ত ফ্ল্যাট নং 207, দুর্গেশ এপার্টমেন্ট পাকুড়তলা, আন্দুল রোড পোস্ট- দুইল্যা, হাওড়া 711302

ছড়া ।। সেদিন দেখি হাটে ।। দিলীপ কুমার মধু

ছবি
সেদিন দেখি হাটে দিলীপ কুমার মধু   সেদিন দেখি হাটে অশীতিপর এক বৃদ্ধা কুমড়োর ফালি কাটে, দেখে থমকে দাঁড়াই এক ফালি সেই কুমড়ো নিতে ডান হাতটা বাড়াই। কতো প্রশ্ন মনে উত্তর খুঁজে পাই না মোটে লোকের আগমনে, দীর্ঘশ্বাস ফেলি বৃদ্ধার দিকে তাকিয়ে একবার ধীরে যে পা ফেলি। ঘন্টা খানেক ধরে বাজার করি, কী যে করি ! মাথায় ভাবনা ঘোরে, ঘরের দিকে পা আমার মা আর বাজারের মা- একই তো সে মা। পৃথিবীটা ঘোরে হঠাৎ দেখি পৃথিবীটা আমার ঘরের দোরে, পৃথিবীকে নমি পৃথিবীকে আশ্রয় করে আমরা মিথ্যে ভ্রমি।   ---------- দিলীপ কুমার মধু, মেমারি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

কবিতা ।। সেদিন আমরা ।। বদ্রীনাথ পাল

ছবি
সেদিন আমরা বদ্রীনাথ পাল এই স্বাধীনতা চাইনি আমরা রক্তের বিনিময়ে- যেখানে মানুষ রবে চিরকাল অন্ধ ও বোবা হয়ে। স্বার্থান্বেষী মানুষজনেরা শুধু গরীবের বুকে- লাথি মেরে যাবে দিবস রাত্রি স্বার্থসিদ্ধি সুখে। অন্নের মুখ দ্যাখে নাকো যারা অন্ন যোগায় পেটে- স্কুল ছেড়ে কেন সন্তান তার ইটভাটা যায় হেঁটে ? রক্তের হোলি কেন খেলা হয় ধর্ম জিগীর তুলে- বেকার যুবক পড়ে মার খায় সেও বলো কার ভুলে ? যেদিন মানুষ ভরা পেটে রবে-বসন জুটবে গায়ে, দিনের শেষে ফিরে যাবে ঘরে হাসিমুখে পায়ে পায়ে- খুশির প্রদীপ জ্বলবে যখন কারো কারো ভাঙা ঘরে- সেদিন আমরা স্বাধীনতা- গান গাইবো হৃদয় ভরে। ---------------------------------  বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোস্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া

ছড়া ।। আসল স্বাধীন হবো ।। জগদীশ মন্ডল

আসল স্বাধীন হবো  জগদীশ মন্ডল মুক্তির জন্য জান দিয়েছে আমার দেশের ভাই, স্বাধীন হয়ে স্বাধীন দিনে তাদেরই গান গাই। স্মরণ করি বীর যোদ্ধাদের যাদের অবদানে, ইংরেজ শৃংখল মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা আনে। উড়িয়ে দিই বিজয় কেতন দেশের ভবিষ্যৎ, ত্রিবর্ণ রঙ পতাকাটি এগিয়ে চলার পথ। এগিয়ে গেছি কিন্তু কী কেটেছে অন্ধকার, অশিক্ষার কালি দূর হলো হলো কার উপকার ? আসল স্বাধীন হবো তখন সব হাতে কাজ পাবে, দু-বেলা, দু-মুঠো খাবার সবাই মিলে খাবে। ******************************** ঠিকানা::জগদীশ মন্ডল।।নতুন পুকুর রোড।।চড়কডাঙা।।পোস্ট::বারাসাত।। কলকাতা::700124

ছড়া ।। আয়রে করি পণ ।। ইলিয়াস পাটোয়ারী

ছবি
আয়রে করি পণ  ইলিয়াস পাটোয়ারী  আয়রে খোকা আয়রে খুকি  দেখবি যদি আয় নানান রকম ফুল ফুটেছে  ফুলের বাগিচায়। একেক ফুলের একেক বর্ণ একেক সুবাস, নাম ফুলগুলো সব সুবাস ছড়ায়  নিত্য অবিরাম।  ফুলের কাছে সবাই সমান  এটাই কথা- মূল  ধর্ম-গোত্র দেখে সুবাস  ছড়ায় নাতো ফুল।  ফুলের মত গড়বো জীবন  আয়রে করি পণ তবেই হবে সার্থক জনম এবং এ জীবন।  ------------------------------------------------- ইলিয়াস পাটোয়ারী, বাসা নং এ২, মো. আলী বিল্ডিং, এয়ার আলী মসজিদ বাই লেন, কমার্স কলেজ রোড, মতিয়ার পুল, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। 

ছড়া ।। কিশোর বেলার বৃষ্টি ।। চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু

ছবি
কিশোর বেলার বৃষ্টি চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু বৃষ্টি এলে কিশোরবেলার হাজার স্মৃতি ভাসে, ভিজে ভিজে কাটতো সময় সবুজ ঘাসে ঘাসে।  নদীর জলে ভাসিয়ে ভেলায় যেতাম অনেক দুরে, জল পড়তো আস্তে জোরে                                           যেন গানের সুরে। এমন দিনে সুর মেলাতাম আয়রে বৃষ্টি আয়, খেলাধুলায় বন্ধুরা সব বড্ড মজা পায়। চোখের পাতায় সে সব স্মৃতি আজও আছে ঘিরে, কিশোরবেলার দিনগুলি ফের পেতাম যদি ফিরে।  +++++++++++++++++++++ চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, বড় বাজার, চুয়াডাঙ্গা                              

ছড়া ।। যায় আর আসে ।। বদরুল বোরহান

ছবি
যায় আর আসে  বদরুল বোরহান  যুগের পরে যুগ চলে যায় পেরোয় শতাব্দী,  মহাকালের কাছে আমি  ক্যামনে জবাব দি? আর এলো না তুর্কী কামাল গুয়েবারা চে', পেলাম না তো ভাসানী ও শেখ মুজিবুর হে। গান্ধী, সুভাষ, ম্যান্ডেলা আর মার্টিন লুথার কিং,  নিদেনপক্ষে বক্সার আলী  ফাঁকা যখন রিং। সূর্য ওঠে, সূর্য ডোবে কালের আবর্তন,  যায় আর আসে, আমার মতো গণেশ, গোবর্ধন।           ----------------- বদরুল বোরহান  ফ্ল্যাট নং-৬০২, বিল্ডিং নং-১  জাপান গার্ডেন সিটি  আদাবর, মোহাম্মদপুর। ঢাকা-১২০৭

ছড়া ।। যখন থাকি একা ।। মানস চক্রবর্তী

ছবি
যখন থাকি একা মানস চক্রবর্তী একদিন এক ভূতব্যাটাকে  ধরে চুলের মুঠি টেনে চাপড় মেরেছিলাম কানের গোড়ায় দুটি। আমার পায়ে ধরে সে ভূত বললো 'আঁমায় ছাঁড়ো- খঁতি আঁমি কঁরবো নাঁ আঁর- আঁজকে থেঁকে কাঁরো।' তার কথাতে মায়া হলো দিলাম তাকে ছেড়ে এ তল্লাটে আসবে না সে বললো মাথা নেড়ে। সেদিন থেকে এই পাড়াতে যায় না তাকে দেখা তবু কেন ভয় লাগে খুব যখন থাকি একা !   ----------------------------------------   মানস চক্রবর্তী উত্তর বাওয়ালী, নোদাখালি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পিন--৭০০১৩৭

ছড়া।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

ছবি
খুশি রঞ্জন কুমার মণ্ডল কচি ঘাস তরতাজা            সদা চনমনে ধূ ধূ মাঠ নীলাকাশ       ছবি ভাসে মনে। পাখি গায়  খুশি মনে        মেলে তার ডানা ওড়ে অলি ধরে তান        সুর তানা না না। খুশি কত আলো দিয়ে          চাঁদমামা হাসে বাসে'র ফুল রাতে ফোটে           চরাচরে ভাসে। খুশি মনে সবকিছু             সহজেই হয় খুশি বড়  দামী যেন          ধরে রাখা দায়।                       ===============   সারাঙ্গাবাদ, মহেশতলা, কোলকাতা।

ছড়া ।। ভার ।। তূয়া নূর

ছবি
  ভার  তূয়া নূর চুরি এখন বড়ো বিদ্যা লজ্জা পায় না  তাতে, ভয় লাগে না কলকাঠি সব এখন নিজের হাতে। কেটে কুটে ইচ্ছে মতো দিন-দুপুরে চুরি, ঘুষ খায় সে আটকে ফাইল, দালান উঁচু ভুঁড়ি। বস্তা ভরা ধান আসে না বস্তা ভরা টাকা, দেশ বিদেশে জমি বাড়ি ঠিক দেবে গা ঢাকা। কোথায় খরচ করবে বলো এতো টাকা যার? বুঝবে কবে অনেক টাকার অনেক বেশী ভার।  ===========

ছড়া ।। ধরায় আন সুখ ।। সুনন্দ মন্ডল

ছবি
  ধরায় আন সুখ         সুনন্দ মন্ডল এই তো আষাঢ় নামল ধরায় বৃষ্টি তবুও নাই! মানুষ পাখি ঘামছে খরায় তীব্র দহন ঘায়। ফলগুলো সব গাছেই পাকে মাটি ছুঁলেই পচে। কীই বা করি বাজার ঘুরে ভেজালে থাকি মজে। ফুলগুলো সব শুকিয়ে গেল বৃষ্টিহীনতায়। বাঁচবে কীভাবে পাতারা গাছের দারুন এ খরায়? চাতকগুলো কোথায় এখন? নাই কি প্রয়োজন! তারাও কি সব ঘুমিয়ে আছে ক্লান্ত প্রিয়জন। তোমরা যদি না ডাক তবে বৃষ্টি ফেরায় মুখ। আমরা ডাকি পথের পথিক ধরায় আন সুখ। ==============   কাঠিয়া, পাইকর, বীরভূম    

ছড়া ।। ভোট এলে ।। আনন্দ বক্সী

ছবি
  ভোট এলে  আনন্দ বক্সী ভোট এলে হানাহানি-মারামারি-দ্বন্দ্ব  অন্য দলের হলে কথা বলা বন্ধ।  রক্ত গরম করা উত্তাপ ভাষণে  একটাই দাবি থাকে বসাও না আসনে। জীবন লড়িয়ে দেবো তোমাদের জন্য  উন্নতি ছাড়া কিছু ভাববো না অন্য।  হুঙ্কার-গর্জনে জনসভা জমান  নিজেদের ভাবে তারা সিংহের সমান।  খালি হলে কারো কোল মুছে গেলে সিঁদুর  কিবা আসে যায় বলো যদু-মধু-বিধুর।  এটা দেবো ওটা দেবো বুকে নেবো জড়িয়ে  আমাকে ভোটটা দিও দুটো হাত ভরিয়ে। প্রচারের কৌশলে দিতে চায় টেক্কা  গরু-গাড়ি চড়ে কেউ, কেউ চড়ে এক্কা। হেলিকপ্টারে চেপে কেউ নামে আসরে  বিজয়-মালাটা যেন জোটে ভোট বাসরে।  মসনদ চায় ওরা যেনতেন প্রকারে  সেই বার্তাই দেয় ইঙ্গিত আকারে। গরিবের গৃহকোণে সেরে নিয়ে আহার  নিতে চায় এরা খালি মাইলেজ তাহার।  ভোটের বাজারে এক বিরল সে চিত্র  দলীয় পতাকা ওড়ে হয়ে দেখি মিত্র।  জনসেবা করাটাই হয় যদি কর্ম  বিভাজন কেন তবে তুলে জাত-ধর্ম? মানুষকে ভাবো নাকি হাতের ঐ খেলনা জেনে রেখো ভালো করে ওরা নয় ফেলনা। বলিয়ান তোমরা যে ওদের সে বলেতে  ভুলে যাও নাকি সেটা সবকটা দলেতে? কাছে টেনে নাও যদি ভালোবাসা বিলিয়ে  তোমাদের হিসেবটা দেবে ওরা মিলিয়ে।  মন

ছড়া ।। ভোরের পাখি ।। মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

ছবি
ভোরের পাখি  মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান রোজ সকালে গাছের ডালে পাখপাখালির ডাকে,  খোকা খুকুর ঘুম ভেঙে যায় খোঁজে তারা মা'কে।  দোয়েল কোয়েল ময়না শালিক  হরেক রকম পাখি,  গানে গানে প্রভাত আনে  সুরুজ খোলে আঁখি।  কোকিল ডাকে আপন তালে  কুহু কুহু সুরে,  বউ-কথা-কও ডাকে পাখি  অল্প কিছু দুরে ।  চড়ুই পাখির কিচির-মিচির  বাংলা ঘরের চালে,  টুনটুনি তাই  মনের সুখে  নাছে ডালে ডালে ।  **************     মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান  দশানী, বাগেরহাট 

ছড়া ।। মেসোর মন্ত্র ।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
    মেসোর মন্ত্র গোবিন্দ মোদক সকালে মেসোকে ডেকে  বললো সেজো মাসি  এ বছরে যাবোই যাবো  যাবোই গয়া কাশি!  কাশি গিয়ে মাসির হলো  ভীষণ রকম জ্বর  তাড়াতাড়ি মাসি তখন  ফিরল নিজের ঘর!  বললো-  তোমাদের কাণ্ড-কীর্তি  খুব হয়েছে দেখা,  এবার থেকে সকালবেলায়  হাঁটতে যাবো একা!  এই না শুনেই মেসোমশাই  মন্ত্র পড়ে জোরে — হাঁটতে যাওয়ার আগে তুমি  নিও হিসাব করে!! ___________________________ স্বরচিত মৌলিক অপ্রকাশিত ছড়া।  প্রেরক: গোবিন্দ মোদক।  সম্পাদক: কথা কোলাজ সাহিত্য পত্রিকা।  রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ, ডাকসূচক - 741103

ছড়া ।। রবীন্দ্র- নজরুল ।। খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
  রবীন্দ্র- নজরুল খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায় বৈশাখ মাসে রবীন্দ্রনাথ জষ্ঠিতে নজরুল, স্মরণ করেই বাঙালি তাঁদের সৃষ্টিতে মশগুল । সঞ্চয়িতার পাতায় পাতায় ব্যথায় অশ্রু ভরে, সঞ্চিতারই প্রতিটি ছত্রে বিদ্রোহী সুর ঝরে । গীতবিতানের অমর গীতিতে আমরা যে সুখ খুঁজি, বিষেরবাঁশি ও অগ্নিবীণাই বাঙালি তোমার পুঁজি । গীতাঞ্জলির নোবেল জয়ে যে গর্বে ভরালো বুক , দোলনচাঁপার গন্ধে তখন সুরভিত দেশমুখ । একই বৃন্তে দু'জন কবি তো বাগিচায় ফোটা ফুল, বাঙালির তথা জাতির গর্ব রবীন্দ্র নজরুল । =================== মালঞ্চ ,কবরডাঙ্গা,বাঁকুড়া,৭২২১০১

ছড়া ।। ঘেন্টুবাবু রেডিও শোনে ।। দিলীপ কুমার মধু

ছবি
  ঘেন্টুবাবু রেডিও শোনে দিলীপ কুমার মধু, ঘেন্টু বাবু পা ছড়িয়ে মাদুরে আছে বসে রেডিও হাতে,খবর শুনবেন ঠিক আট টা দশে। চাকা ঘুরিয়ে শেষে তিনি খবরে দেন কান কোথায় ঝড়-ঝঞ্জা হলো কোথায় হলো বান। মন ভরেনি এ খবরে চাকা ঘুরিয়ে শেষে অধীর আগ্রহে, নিশ্চুপ মনে রইলেন খানিক বসে। শ্বশুরবাড়ির খবর তো নেই বুঝতে পারলেন যেই-- সব রাগ গেল রেডিওতে আছড়ে ভাঙলেন সেই। =================== দিলীপ কুমার মধু,মেমারি, পূর্ব বর্ধমান,পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। 

ছড়া ।। নদীর কাছে ।। আসগার আলি মণ্ডল

ছবি
  নদীর কাছে আসগার আলি মণ্ডল  মন বলছে সত‍্যি এটাই  নয় তো মোটেই  মেকি শান্তি-প্রীতি-ভালোবাসা নদীর কাছেই শিখি। আপন মনে বয়ে চলে দুঃখ-ব‍্যথা ভুলে দুই কূলেতে ছলাৎ-ছলাৎ সুর-ছন্দ তোলে। সত‍্য-মিথ‍্যা,ভালো-মন্দ বক্ষে ধারণ করে সহনশীলতা দেয় ছড়িয়ে তোমার আমার তরে। ...................   আসগার আলি মণ্ডল  খাসখামার,রামেশ্বর নগর বাউড়িয়া,হাওড়া-৭১১৩১০

ছড়া ।। স্বাধীন ওরা ।। অশোক দাশ

ছবি
   স্বাধীন ওরা অশোক দাশ নাম না জানা  কত  পাখি আসে আমার উঠানে, কিচির মিচির নানান সুরে ভরায় মন গানে গানে। রং-বেরঙের প্রজাপতি ফুলের  বুকে মেলে হলুদ ডানা, মৌমাছিরা ইচ্ছেমতো ফুলের মধু লোটে কেউ   করে   না   মানা। মাছেরা সব কাটছে সাঁতার জলে   দিন-   রাত, একটু   যদি   জলে    নামি সতর্ক    বার -  বার। স্বাধীন   ওরা   মুক্ত   মনা নেইকো   বেড়ির  বাঁধন, কেহ করে না নিষেধ ওদের হয়না    কড়া    শাসন। কবে   আমি   হবো   বড় ইচ্ছে ডানা মেলবো! আকাশ নীলে উড়বো মেঘের মতো বৃষ্টি    হয়ে   ঝরবো!! ================ অশোক দাশ ভোজান, রসপুর, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ ,ভারত।

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪