পোস্টগুলি

১২শ # মাতৃভাষা দিবস সংখ্যাঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ফাল্গুন ১৪২৫ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

অমিত পাটোয়ারীর কবিতা

ছবি
জিভ হ্যাঁ , আমি বাংলা ঘ্যাম – ওইটুকুই ভাষা তো সহবাসে শিথিল নয় হ্যাঁ , আমি মুক্ত তাই জলের দেশ সহজে কেউ খুব ঘাঁটায় না। আসলে জিভের কোনো ভাষাই নেই দুজন মিলিত হলে পশুই প্রায় জড়িয়ে ধরে— যেন তরুলতা একলা হলে তবে শব্দকোষ পাতার পর পাতা দিনযাপন কেউ কি খেয়েছেন উপন্যাস ? ছোঁয়ালে পুড়ে যেত স্বাদকোরক সকল জিভ পেত মান্যতা।

নির্মল করণের কিশোর কবিতা

প্রাণের ভাষা বাংলা মানে মধুর ভাষা প্রথম ভালোবাসা বাংলা মানে মায়ের কোলে দুঃখ দরদ আশা।   বাংলা মানে মুর্শিদি আর তর্জা বাউল গান বাংলা মানে ভাটিয়ালি বৈঠাতে জোর টান। বাংলা মানে অ-আ ক-খ শিশুর বর্ণমালা বাংলা মানে শিবের গাজন গাঁয়ের যাত্রাপালা।          বাংলা মানে জীবনানন্দ সুকান্ত-নজরুল বাংলা মানে সহজপাঠে শিশুর দোদুল দুল। বাংলা মানে রূপকথাতে মুগ্ধ সবুজ প্রাণ বাংলা মানে বোশেখ পঁচিশ রবিঠাকুরের গান। বাংলা মানে প্রাণের ভাষা স্বপ্ন অফুরান বাংলা মানে ভাষার জন্য জীবন-বলিদান।          —       নির্মল করণ  এন 20- শ্রীনগর        পোঃ  পঞ্চসায়র  কোলকাতা-700094.                      

পবিত্র রায়চৌধুরীর কবিতা

স্বাধীনতার ভাষা  -------------------------------- যদি মনে করো আমরা তোমার  দাঁড়ে পুষে রাখা ময়না  তবে জেনে রাখো খুব ভুল হয়ে গেছে । যদি মনে করো তোমার শেখানো  বুলি আওড়াবো আমরা  জেনে রাখো তবে সেটাও তোমার ভুল। তুমি কী ভেবেছ? আমরা সবাই  তোমার সুতোয় বন্দী? বেঁধে রাখা বুঝি এতই সহজ ভাবলে? কী করে ভাবলে? সেটা হয় নাকি - কী ভীষণ বোকা স্পর্ধা ! রুখে দাঁড়াবোই প্রতিরোধে বিক্ষোভে। আমার স্বদেশে জন্মেছি আমি বুকের গভীরে বিশ্বাস  অস্থি মজ্জা রক্তের মতো গাঢ় - আমি কথা বলি নিজের ভাষায়  সে আমার স্থির প্রত্যয় স্বপ্নে আবেগে প্রিয় থেকে প্রিয়তম । নিপীড়িত আর শোষিতের হয়ে  প্রতিবাদে হই দৃপ্ত স্তব্ধ করবে - কার ঘাড়ে কটা মাথা? প্রেমিকার হাতে হাত রেখে বলি ভালোবেসে আমি রিক্ত  দুই হাত পেতে আজ আমি নতজানু । আমি নাস্তিক ঠাকুর মানি না  মানতে চাই না ঈশ্বর  তবু সারাক্ষণ ঠাকুরের গান গাই, ঠাকুর মানে তো রবীন্দ্রনাথ  আমাদের শ্বাস প্রশ্বাস যাঁর চোখে সারা বিশ্ব দেখেছি আমরা । তুমি কে বলতো,  জানিনা তোমাকে  মানি না তোমার ফতোয়া  এতই কি সোজা কেড়ে নেবে স্বাধীনতা?

জয়শ্রী করের কবিতা

একুশে ফেব্রুয়ারি ফেব্রুয়ারির একুশ যেন ব্যথার অশ্রু নীর মাতৃভাষা সব বাঙালির উচ্চে রাখে শির। পরম স্নেহ মায়ের কোলে স্নিগ্ধ সুশীতল মাতৃভাষার মোহিনী সুর রুমুর ঝুমুর মল। পলাশ শিমুল করলো রঙিন একুশের ভুবন রক্তে ভেজা সবুজ ঘাসে ভাষার বিশ্বায়ন। সালাম বরকত রফিক জব্বার নীলিমায় উজ্জ্বল চিরস্মরণীয় ওরা চিত্তে জোগায় বল। জগৎসভার স্বীকৃতিতে স্বস্তি সবার বুকে বিষাদভরা একুশ এলে স্মরণসভা দুখে। ভিন্ন ভাষা যত শিখি বাংলা আমার প্রাণ বাংলা আমার জন্মভূমি রাখবো অটুট মান। ************************

রবীন বসুর কবিতা

ছবি
আ মরি বাংলা ভাষা ———————————— সে আমার মুখের ভাষা সে আমার মায়ের ভাষা সে আমার জীবন দেয়া ভাইয়ের ভাষা, আ মরি বাংলা ভাষা l সে আমার গাঁয়ের ভাষা সে আমার খুনের ভাষা সে আমার লজ্জা দেয়া মাতৃভাষা, আ মরি বাংলা ভাষা l সে আমার বইয়ের ভাষা সে আমার গরবের ভাষা সে আমায় বর্ণ চেনাবার আকর ভাষা, আ মরি বাংলা ভাষা l সে তো আজ বিশ্বজনীন সে তো আজ দিবস মুখীন সে তো আজ সত্যজিতের চিরকালীন, আ মরি বাংলা ভাষা l ============================= রবীন বসু ১৮৯/৯, কসবা রোড, কলকাতা-৭০০ ০৪২ ফোন : ৯৪৩৩৫৫২৪২১

অমৃতা বিশ্বাস সরকারের প্রবন্ধ

ছবি
বাংলা আমার মন -প্রাণ, বাংলা আমার নাড়ির টান  বাংলা শব্দটা শুনলেই কেমন যেন একটা আপন আপন ভাব ফুটে ওঠে যার সাথে নিজেকে একাত্ম করে তোলাতেই নিজ অস্তিত্বের পরিপূর্নতা খুঁজে পাই ।বাংলা অনেকটা যেন রক্তে মিশে আছে ,মিশে আছে ঘ্রাণে ,মিশে আছে প্রতিটি বাঙালির মনে -প্রাণে ।                     কিছু কিছু বঙ্গ সন্তান অন্যদের সম্মুখে নিজেকে ''পরিমার্জিত ''প্রতিপন্ন করার জন্য  যতোই খটমটে বিদেশী শব্দ বলুক না কেন ,আচমকা ব্যথা লাগলে সহজাতভাবে তাদেরই  মুখ দিয়ে বেরিয়ে পড়ে -''ও মা গো /ও বাবা গো ''।এখানেই লুকিয়ে মাতৃভাষার টান ।এখনও বিদেশ -বিভুঁইয়ে হঠাৎ কোনো বাঙালির সাথে দেখা হলেই মনে হয় যেন মেলায় হারিয়ে যাওয়া ভাই /বোনকে ফিরে পেয়েছি ।                 আমাদের এই সাধের  বাংলা ভাষা একটি ইন্দো -আর্য ভাষা ।মাতৃভাষীর সংখ্যায় বাংলা ইন্দো -আর্য ভাষা পরিবারে দ্বিতীয় এবং ইন্দো -ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের চতুর্থ ও বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা ।বাংলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ,ত্রিপুরা ও আসামের বরাক উপত্যকার সরকারী ভাষা এবং আমাদের অন্যতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় ও রাষ্ট্র

নিসর্গ নির্যাস মাহাতোর কবিতা

নো ম্যানস ল্যান্ড দুটো পড়শী দেশ কাঁটা জালে ছিন্ন দাবি-দাওয়া হীন-আরশি গণ্ডি আঁকে বছরভর- সে দেশে নেই বেড়া টপকানো অনুভূতি জানে নো ম্যানস। ভাষা একে, দুই দেশ দিন দিন গুলি ছুঁয়ে- একদিনে মিলে হাসে কাঁটা ভরা দেশহীন, এক দেশ সাজানো নো ম্যানস। =================== নাম- নিসর্গ নির্যাস মাহাতো ঠিকানা- বি ৮, কেরানীটোলা, মেদিনীপুর,             পশ্চিম মেদিনীপুর।              ডাক- ৭২১১০১

খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছড়াক্কা

একুশ  একুশ মানে ফেব্রুয়ারি শীতের শেষে বসন্ত একুশ মানে মায়ের হাসি দুঃখে ও সুখে বাংলাভাষী একুশ মানে শিমূল পলাশ গুলিবিদ্ধ ভায়েদের লাশ একুশ মানে নতুন সূর্য আলোয় রাঙা দিগন্ত।

ফিরোজ আখতারের কবিতা

বাংলামায়ের আদর খুঁজি ...................................... রক্তের দাগগুলো লেগে আছে এখনো মায়েদের বুকে , আর গুলিগুলো পাঁজরে পাঁজরে ৷ সেই দাগগুলো নিয়েই পথচলা বাংলাভাষার আমার মায়ের ভাষার, কান্না-আর্তি'তে সিক্ত মনের চরে ৷ আজও কেঁদে চলে মুণ্ডুহীন দেহগুলি আমার ভাইদের রক্তে রেঙে বেয়োনেটের ধাতু ভেঙে ভেঙে ৷ বাংলামায়ের বুকে তবুও ব্যথা বাজে ভিনদেশী ভাষার বেয়োনেটে আজ এফোঁড় ওফোঁড় হয় তার আচঁলের লাজ ৷ বাংলা আজ হয়েছে বাংরেজি ইংরেজির মাঝে আজ বাংলামায়ের আদর খুঁজি । ...................... নাম - ফিরোজ আখতার ঠিকানা - ১৮ই জায়গীর ঘাট রোড, ঠাকুরপুকুর, কোলকাতা - ৭০০০৬৩

তুষার আচার্য্যের কবিতা

মায়ের ভাষা  আমার ভাষা, আমার রক্ত, আমার সম্মান, আমার অভিমান ও গৌরব। ভারত, বাংলাদেশ, সুদূর সিয়েনা লিওন দেশেও মেলে আমার ভাষার সৌরভ।  আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালামদের যুব রক্ত বিপ্লব। বুঝিয়ে দিল, দেখিয়ে দিল মায়ের ভাষা, বাঙলা ভাষাই সব।  যে প্রান্তেই যাও না কেন, সপ্ত সাগর, সপ্ত নদী পাড়, বাঙলা ভাষার সকল মানুষ খুলেছে সেথায় বাঙালী পসার। দিন বদলের ডাকে, আমরা ভুলছি মায়ের কদর। নিজের ভাষা ছেড়ে মোরা হচ্ছি মিশ্র ভিনদেশী বাঁদর। চলতে গেলে, এগিয়ে গেলে, বিশ্বমানের দরবারে, রঙ মাখছি, কেক কাটচ্ছি, বিশ্বায়নের জন্মদিনে। রক্তে যতই থাকুক বাঙলা ভাষা, মুখের শব্দে নাই, ইংরেজি আর ভাঙা হিন্দি নিয়েছে মায়ের ভাষায় ঠাই। নিজের সাথেই নিজের লড়াই, নিজের শব্দেই নিজের লাজ আসবে কবে আবার সেই আগুন, পুড়বে কবে এই বাঁদর সাজ?  পড়বে কবে আবার সেই বিদ্যুৎ বাজ?  ফিরে পাবই মোরা ১৯৫২-এর সেই তাজ।  আন্তর্জাতিক এই দিবসের প্রাক্কালে এটাই হোক মোদের আশা,   শুদ্ধ হোক মাতৃ ভাষা, আ মরি বাঙলা ভাষা,  স্বতন্ত্র ও সুন্দর হোক আমার মায়ের ভাষা।

অজিত কুমার করের কবিতা

রক্তক্ষয়ী উনিশে মে উনিশ আসে উনিশ যায়         বরাক দিয়ে জল গড়ায়       বাংলাভাষা আন্দোলনে এগারো জন প্রাণ হারায়। ঘরে কি আর রয় কমলা         সেদিন ছিল খুব উতলা       স্বীকৃতি চাই বাংলাভাষার বলেছিল উঁচিয়ে গলা। সত্যাগ্রহ আন্দোলন             বাংলাভাষী মানুষজন     মুখের ভাষার মর্যাদা চাই টগবগিয়ে উঠল মন। চন্ডীচরণ সূত্রধর                  বীরেন্দ্রও ছাড়ল ঘর   সামিল হ'ল সবার সাথে শহিদ হ'য়ে আজ অমর। হিতেশ বিশ্বাস টানল রাশ       ফেলছে তখন দীর্ঘশ্বাস কেন এমন একগুঁয়ে ভাব কোথাও কোনও নেই আশ্বাস। শচীন্দ্র পাল দেয় সামাল       হাওয়া লেগে ফুলছে পাল   'হটবো নাকো আমরা পিছু হোকনা মাটি রক্তে লাল।' সত্যেন্দ্র পাল সুশীল আর       কানাইলাল আজ দুর্নিবার     বুক চিতিয়ে এগোয় তারা জানে না যে মানতে হার। মিষ্টি মধুর মাতৃভাষা              হৃদয় জুড়ায় বাংলাভাষা     ওই ভাষাতেই পড়ি লিখি সারাজীবন জোগায় আশা। কুমুদ কানাই ও তরণি         বড়ই ব্যাকুল স্থির ধরণি    ওদের কথা ভুলেই গেছে হ'ল না কোনও সরণি। আন্দোলনের অগ্নিশিখা     আঁকল ভালে বিজয়টিকা     মানতে হ'ল ওদের দাবি চূ

জয়শ্রী রায় মৈত্রর কবিতা

আমার জননী আমার বাংলা ভাষা সে যে আমার জননী আমার বাংলা ভাষা, শুভ্র বসনে স্নেহশীলা হয়ে প্রথম শেখালে কথা    আধফোঁটা বোলে ছন্দ তুলে নদী কলতানে সুললিত গাঁথা,   আকাশ বাতাস ঝরনার রাগে জুড়ালে সব ব্যাকুলতা তালে তালে হাত ধরে সাথে সাথে মধুর বেড়ে ওঠা, কোকিল পিউকাঁহা শালিক সর্বত্র দেখালে কপোতের ভালবাসা চড়ুইয়ের ছুটোছুটি বনবিতানে নূপুরের নিক্কনে ময়ুর পেখম খাসা,   পরম সুখে বক্ষমাঝারে আশ্রয় দিলে নিশ্চিন্তে পারবে না কেউ কেড়ে নিতে পারবে না ফোটাতে কাঁটা বৃন্তে, সে যে আমার জননী আমার বাংলা ভাষা ।।

রণেশ রায়ের প্রবন্ধ

কবির উপলব্ধির প্রেক্ষাপটে ভারতের জাতীয় সংকট বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ কবি মধুসূদন দত্ত ইংরেজী ভাষার প্রতি মোহগ্রস্ত হয়ে বিদেশি ভাষায় লিখে কবি হিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জনের লোভে পাড়ি দেন পশ্চিমে। অল্পদিনের মধ্যে উপলব্ধি করেন মাতৃভাষায় সাহিত্যচর্চাই  কারও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারে। বিদেশী ভাষা এর উপযুক্ত ক্ষেত্র হতে পারে না। তিনি মাতৃভাষায় সাহিত্যচর্চা কখন-ও ছাড়েন নি। তাঁর উপলব্ধি তাঁকে ফিরিয়ে আনে দেশে। মাতৃভাষায় কাব্যচর্চা তাঁর প্রতিভার স্ফুরণ ঘটায়। তাঁর অমিতাক্ষর ছন্দ, বাংলায় লেখা মহাকাব্য, সনেট বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে, অলংকৃত করেছে, বিশ্ব সাহিত্যের দরবারে তাকে মহিমান্বিত করেছে। আজ ইংরেজিতে মোহগ্রস্ত বাঙ্গালী সমাজের কাছে এই সত্যটা আবার নতুন করে তুলে ধরা দরকার। আমাদের  কাছে কবির উপলব্ধির বিষয়টা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা যে শুধু সাহিত্য চর্চার জগতে একটা ভাষাকে টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন তা নয়, নিজেদের সত্তা বাঁচিয়ে রাখা একই সঙ্গে দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করার প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত। নিজেদের স্বাধীন শক্তপোক্ত অর্থনীতি গড়ে তোলার স্বার্থেও এটা দরকার।           বলে

রমলা মুখার্জীর কবিতা

সবাই মিলে শপথ নিলে  ফাগুনের শুরু হতেই শুকনো পাতা ঝরে....  রফিক, সালাম, বরকতদের বড্ড মনে পড়ে । বাংলা ভাষার সম্মানে সব শহীদ দিল প্রাণ..  একুশ শোনায় বীরপুত্রের রক্ত ঝরানো গান । বাংলা ভাষা, মাতৃভাষা, মধুর মাতৃদুগ্ধ,  নকল তানে অপমানে মাতৃ- হৃদয় দগ্ধ । ওরে হ্যাংলা শুদ্ধ বাংলা বলতে মাথা হেঁট,  বিদেশি বুলি বলার বেলায় একদম পারফেক্ট । খিচুড়ি ছেড়ে মিষ্টি সুরে বাংলায় কথা কই,  বাঙালির মুখে ফোটে যেন সুখে  বাংলা বোলের খই । সব ভাষাকে করবো কদর তবু বাংলা আমার আদর...  বাংলার ব্যবহার হোক অফিস, কাছারি, সদর । গরমে পরমে রবি ইসলামে বাদলে বাংলা মাদল....  শরতে - শীতে বাংলার গীতে ফোটাক হৃদয়ে শতদল । নতুন ধান্যে শুভ নবান্নে হেমন্তিকার নৃত্য....  বাংলার বোলে অঙ্গ যে দোলে বাংলায় ভরি চিত্ত । বাংলার বেদী শত শহীদের রক্ত-ধারায় স্নান....  সবাই মিলে শপথ নিলে বাংলা চির অম্লান । ...............................................  ডঃ রমলা মুখার্জী বৈঁচী, বিবেকানন্দ পল্লী, হুগলি ৭১২১৩৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪