পোস্টগুলি

৫৯তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪২৯ জানুয়ারি ২০২৩ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

গল্প ।। নগতা মেয়ের জীবনসঙ্গী ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল

ছবি
নগতা মেয়ের জীবনসঙ্গী সুদামকৃষ্ণ মন্ডল            আগামীকাল ভোরে নৌকা যাত্রা-- ব্যবসার সামগ্রী দু'দিন  আগে থেকেই কুলাইয়া এবং নাইয়ারা নৌকা ট্রলারে তুলছে । লোকজন প্রায়ই এসে গেছে। দু' চারজন লোক আসেনি। প্রত্যেক বছরই এরকম কিছু লোক থাকে।  ওরা সারাজীবন  ওই প্রকৃতির।  কেউ জুয়াড়ি- বাচাল- চিটিংবাজ -মদখোর মাতাল - লোফার ইত্যাদি হয়ই। দাদন টাকা নিয়ে সময় মত আসে না। তাদের খুঁজে খুঁজে ধরে আনতে হয়।  আবার কেউ কেউ ধরা ছোঁয়ার বাইরেও থাকে।  তেমনই আলোচনা হচ্ছে মালিক অর্থাৎ বহর্দার এবং সব মাঝি ও ম্যানেজারের সঙ্গে। কালনাগিনী নদীর চর। মালপত্র বলতে জাল- বাঁশ -দড়ি -কাছি - লোহার তার- হোগলা - চাল খাদ্যসামগ্রী  জল ও তেলের প্লাস্টিক  ড্রাম আরও অনেক কিছু চরে কাঁড়ি করা ছিল ।  মালপত্র যেহেতু তোলার কাজ শেষ ,  নির্ধারিত  দাদনী লোকজন ঠিক আছে কিনা মহাজনের সাথে আলোচনা হচ্ছে।  মহাজন সতীশ দাস বলল, মাঝি  --  কুলাইয়া বেগ্গিন আইস্যে নে ?   ম্যানেজার বলল ,  --- নঅ।  দু' চার জন নঅ আইয়ে ফানলা। ---- ইতারারে লই আয়ন পরিব ত। -----  হইঅ । ------ ফুন নাম্বার আচে ন্যা? ফুন করি চুঅ ত?       ম্যানেজার সাড়ে চার মাসের চ্

কবিতা ।। ভাঙ্গাপলাশ ।। রাজাদিত্য

ছবি
ভাঙ্গাপলাশ রাজাদিত্য   যদিও আবার পথে হল দেখা তবু মাঝখানে এক সুবর্ণ নদী,  বয়ে গেছে জল, বহুদিন হয়নি কথা, আজও নীরব চোখে এক সমুদ্র নিস্তব্ধতা । পথের ধারে পড়ে আছে ডাল ভাঙ্গা পলাশ,  নীরব সাক্ষী বিবর্ণ ইতিহাসের,  হয়তো আবার কোনদিন,  এভাবেই হবো মুখোমুখি ।  তখনও জানি মাঝখানে বয়ে যাবে পথ,  নিয়ন আলোয় মোড়া নীলাভ তিতাস নদী ...    রাজাদিত্য

ছড়া ।। পদ্যওয়ালা ।। ক্ষুদিরাম নস্কর

ছবি
পদ্যওয়ালা ক্ষুদিরাম নস্কর সদ্য কটা পদ্য শিখে নন্দলালের নাতি,  ভাবছে যেন কেউকেটা সে সবাই আতি পাতি।  মঞ্চে উঠে মানুষ দেখে ভাবল এ নয় সোজা,  ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি নামিয়ে দে বোঝা। শুকনোমুখে মাইক ধরে কাঁপছে দেখে উরু,  বুঝতে কিছু পারছে না সে করবে কোথায় শুরু!  শুরু যদি করলো বা কি মধ্যে গেছে ভুলে,  মুখস্ত সব পণ্ড শ্রম দাঁত যাবে আজ খুলে। বিপদকালে বুদ্ধি নষ্ট শাস্ত্রে আছে লেখা, বইটি যদি একটুখানি এখন যেত দেখা--- সে গুড়েও বালি এখন অগাধ আস্থা থেকে, পেশাদারী পদ্যওয়ালা বলবে কি বই দেখে? সভায় পাবে সম্বর্ধনা, জুটবে মেডেলও তো। তুলবে ছবি দেখাবে নাম মিডিয়ায় যে যত।  কিন্তু হঠাৎ কি যে হলো বিগড়ে গেল বিধি,  উত্তেজিত জনতাকে বোঝাবে কোন দিদি। দর্শকেরা চিল্লে বলে নামিয়ে দাও ওকে, পদ্যওয়ালা মঞ্চ ছেড়ে কাঁদতে থাকে শোকে।   =============== সোনারপুর  দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। 

ছড়া ।। ঘাম ঝরে দামে ।। সুব্রত চৌধুরী

ছবি
ঘাম   ঝরে   দামে সুব্রত   চৌধুরী   গিন্নী   হাতে   দেন   যে   তুলে সওদাপাতির     লিষ্টি , পুরু   লেন্সের   চশমা   চোখে ঝাপসে   আসে   দিস্টি। কলম   ঘষে   হিসাব   কষে     নষ্ট   কয়েক   ফর্মা , ক্ষোভে ,  দুঃখে   চুলটি   ছিঁড়েন রেগে     অগ্নিশর্মা। বাজার   গিয়ে   ফেল   মারে   তার অর্থনীতির   পাঠে , মাসের   শেষে   মলিন   বেশে পকেট   গড়ের   মাঠে। বাজার   এখন   চড়া     ভীষন   আগুনমুখি   দামে ,  কর্তাবাবুর     প্রেসার     বাড়ে সারা   শরীর   ঘামে।   ——————————-       সুব্রত চৌধুরী আটলান্টিক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র  

কবিতা ।। জীবন যে রকম ।। বিজয়কৃষ্ণ রায়

ছবি
জীবন যে রকম বিজয়কৃষ্ণ রায় কেউ শোনে না আমার কথা কেউ বোঝে না হায় আমার দিকে একটি বারও কেউ ফিরে না চায় ৷ খিদের জ্বালায় কেঁদে কেঁদেই যখন মাথা কুটি দেয় না তো কেউ কাছে এসে একটি পোড়া রুটি ৷ রুক্ষ কেশে মলিন বেশে থাকি পথের পাশে জানিনে হায় সবাই কেন আমায় দেখে হাসে ৷ বিশ্ব যখন ঘুমিয়ে পড়ে ঘন আঁধার রাতে একলা তখন জেগে থাকি শুয়েই ফুটপাতে ৷ জীবন বীণার সা-রে-গা-মা করুণ সুরে বাজে সুখের প্রদীপ জ্বলবে কবে আপন হিয়ার মাঝে ? ______________________     বিজয়কৃষ্ণ রায় গ্রাম  -  নতুনপল্লী, ডাক -  মছলন্দপুর, জেলা- উত্তর ২৪ পরগনা সূচক - ৭৪৩২৮৯

গল্প ।। অখণ্ড অবসর ।। কুহেলী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
    Kuhali Bandyopadhyay A-14, Lalkuthipara Govt.Housing. Po + Ps - Suri Dist - Birbhum Pin - 731101

রম্যরচনা ।। অন্য তিন্নির গল্প ।। সোমা চক্রবর্তী

ছবি
অন্য তিন্নির গল্প সোমা চক্রবর্তী বেড়াল আমার একদম পছন্দ নয়। ছোটবেলা থেকে আমি অনেকবার কুকুর নিয়ে অনেক আদিখ্যেতা করেছি। প্রত্যেক বছর পাড়ার যেখানে যত নেড়ি কুকুরের বাচ্চা হতো, আমি তার থেকে একখানা বাচ্চা কোলে নিয়ে বাড়ি চলে আসতাম। তারপর আর কি? বাবা মায়ের খানিক বকাঝকা মুখ চুন করে সয়ে নিলেই তো নতুন সদস্যের বাড়িতে জায়গা পাকা। তবে দুঃখের বিষয় ছিল, একটু বড় হলেই, মানে যাকে ঠিক লায়েক হওয়া বলে, সেটা হলেই তারা আমাদের বাড়ি ছেড়ে হাওয়া হয়ে যেত। তখন আর কি? আবার একদিন নতুন করে আর একটা নাদুসনুদুস কুকুরের ছানা বুকে জড়িয়ে নিয়ে এক হাঁটু ধুলো মাখা, মাথা ভর্তি উস্কোখুস্কো চুল আর বেচারা মুখের মেয়েটা বাড়ি ফিরত। কিন্তু বেড়াল? নৈব নৈব চ।                আমি আর আমার পাড়ার দুই বন্ধু মিলে একবার আমাদের বাগানে এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা ইটগুলো কুড়িয়ে একটার ওপর একটা সাজিয়ে একটা খেলাঘর বানিয়েছিলাম। সেই ঘর একটাই ছোট ছিল যে, আমাদের মত ছোট ছোট মেয়েদেরও হামাগুড়ি দিয়ে তার ভেতরে যেতে হতো। স্কুলের গরমের ছুটি পড়লে সেখানে সারাদিন ধরে রান্নবাটি খেলা চলত। বড় বড় গাছের ছায়ায় ছোট্ট একটা অদ্

গল্প ।। বহুরূপী ।। মিনাক্ষী মন্ডল

ছবি
 বহুরূপী   মিনাক্ষী মন্ডল সাঁই সাঁই করে ছুটে চলেছে পাবলিক বাস 'যোগমায়া'। পেছনের বাসকে টেক্কা দিতে এই ঊর্ধ্বশ্বাসে ছোটা। এসব দেখে শিবেন রোজই অভ্যস্ত, সমস্যা হচ্ছে আজকের আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন। মনে হচ্ছে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস। বন্ধ জানালার ফাঁকফোকর দিয়ে হাওয়া ঢুকে শিবেনের শরীরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিল। সামনেই 'কলাইবাড়িতে' স্টপেজ সেখানে পাঁচ-দশ মিনিট প্রায় সব বাস থামে।শিবেন ভাবল সেখানে এক কাপ চা খাবে। কিন্তু 'কলাইবাড়ি' ঢুকতেই দেখে, দশ থেকে পনেরো বছরের বেশ কয়েকটি বাচ্চা বহুরূপী সেজে বাসে উঠছে...সাথে বাচ্চাদের দায়িত্বে আরও জনা চারেক লোক।  চা আর কি খাবে! শিবেন যেন নিজের ছেলেবেলা ফিরে পেলো। চোখের সামনে ভেসে উঠলো ...  তাদের গ্রামের সুরকি পাড়ার মাঠে 'চৈত্র সংক্রান্তি' উপলক্ষে যে মেলা হত সেই দিনগুলো। মেলায় শিবের গাজন হতো আর এই গাজনের প্রধান ছিলেন শিবেনের বাবা হরিহর মহন্ত।  তিনি গাঁয়ের বাচ্চা ছেলে-মেয়েদের বহুরূপী সাজিয়ে শহরে নিয়ে যেতেন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে নানা মনোরঞ্জন করে দান সংগ্রহ করে আনতো বহুরূপী বাচ্চারা। কেউ শিব-দুর্গা, কেউ রাধা-কৃষ্ণ কেউ আবার নন্দী-ভৃঙ্গি স

ছড়া ।। আমার বসন্তপুর ।। রিয়াদ হায়দার

ছবি
আমার বসন্তপুর রিয়াদ হায়দার প্রাণের চেয়ে অতি প্রিয় সেতো  আমার গ্ৰাম, ভালোবাসার হৃদয় জুড়ে বসন্তপুর নাম। ছায়া ঘেরা গাছের সারি পুকুর থেকে মাঠ, একটু দূরেই প্রধান সড়ক চাঁদ নগরের হাট। গ্ৰামে এলেই দেখতে পাবেন হরেক রকম ফুল, এই গ্ৰামেরই সোনার ছেলে কবি রফিক উল। পাশাপাশি আমরা থাকি হিন্দু- মুসলমান, একসঙ্গে থাকা খাওয়া এক সে নাড়ির টান। সকালবেলা নীল আকাশে সূর্য যখন ভাসে, প্রকৃতির ঐ রূপের শোভায় গ্ৰামটি তখন হাসে। গ্ৰামের মাঝে শিক্ষালয়ে কচিকাঁচার দল, প্রজাপতির মত তারা করছে কোলাহল। আমার গ্ৰামের ভালোবাসায় সম্প্রীতির-ই সুর, সময় পেলে আজই আসুন এই বসন্তপুর।   ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, রিয়াদ হায়দার গ্ৰাম - বসন্তপুর পোস্ট - চাঁদনগর থানা - ডায়মন্ড হারবার জেলা - দঃ২৪ পরগনা

ছড়া ।। ছড়ার যাদু ।। বিশ্বনাথ পাল

ছবি
  ছড়ার যাদু   বিশ্বনাথ পাল   ছড়ার কি যাদু বুঝবে কি দাদু ছড়ার বই তো পড়নি।  ছড়ার গড়ন কিসের ধরন আন্দাজে মন ভরোনি।  মনের কোণে আপন মনে ইচ্ছে নামের পোকা রঙবাহারি ডিজাইনে  রূপোর ঝালর দেয় বুনে সঠিক কিম্বা ধোকা!    ছড়া শুধু দেখার নয় মন দিয়ে ঠিক শুনতে হয় তবেই ছন্দ আসে কানে।  অনেক ক্লান্তি, অনেক ঘুম ছড়ায় জোড়ে ছড়ার ধুম পরে  বুঝি তার মানে।  ঠিক মতো সেই ছড়াটাই  বাজতে থাকে কানে। ছড়ার মজা লেখা আছে মনের অভিধানে।। 

কবিতা ।। রাগ দীপক ।। সুমিত মোদক

ছবি
রাগ দীপক সুমিত মোদক আগুনের উত্তাপ নিতে নিতে আগুন হয়ে গেল নাবালক ছেলেটি; সঙ্গে সঙ্গে নিজের নামটিও বদলে নিলো; নিজেই নিজের নাম রাখলো – মহাকাল; যে মেয়েটি বহু দিন আগে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল , সেও ফিরে এসেছে নিজভূমে; জন্ম দিয়েছে একটি সকাল … ভেঙে পড়া সভ্যতা থেকে একটু একটু করে পলেস্তারা খসে পড়লে বেরিয়ে আসে  এক করুণ ইতিহাস; নাবালক ছেলেটি কড়া নাড়ে ঐতিহাসিকের দরজায়; ফিরে আসা মেয়েটাও সেই পথে .… যদিও পথটি সহজ সরল নয়; একের পর এক সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে; নাবিক জাহাজের উপর থেকে দেখা পায়  বহু দূরে আগুন, গনগনে আগুন … পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ফুটে উঠেছে কালো গোলাপ; একটা রোমান্টিক ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে  ভেসে আসা মেঘেদের আদরে; সেখান থেকেও দেখা যায় গনগনে আগুন; আগুনের সূত্রপাত … সেই ছেলেটি , সেই মেয়েটি এখন দীপক রাগে ।

অণুগল্প ।। ভিজে বিড়াল ।। পীযূষ কান্তি সরকার

ছবি
ভিজে বিড়াল পীযূষ কান্তি সরকার       করোনার প্রকোপ কমতেই প্রায় বছর তিনেক পর ব্রাইট বয়েজ হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হল প্রাক্তন ছাত্র সম্মেলন। সেদিন শীতের রবিবারের সকালে ছাত্রদের ঢল নেমেছে। টিফিন খেয়ে গদাই লস্করি চালে সবাই ঢুকল হলঘরে। সভাপতির উপস্থিতিতে বিদায়ী কমিটির ভাষণ আর হিসেবপত্র পেশ হল। এ-পর্যন্ত কোনো সমস্যাই হয় নি কিন্তু নতুন কমিটির নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হল ঝামেলা। যাঁরা কমিটিতে এলেন সকলেই উপস্থিত নেই কেন ? কিসের ভিত্তিতে তাঁরা নির্বাচিত হলেন -- এই সব হাজার প্রশ্ন তুলে শুরু হল গণ্ডগোল। সভাপতি সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করলেও গুঞ্জন চলতেই থাকলো। তখন সামনের সারিতে বসা প্রাক্তন ছাত্র তথা প্রাক্তন শিক্ষক বিশ্বনাথ খাঁড়া উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, " আপনারা শান্ত হন। যাঁরা কমিটিতে আসতে চাইছেন তাঁরা নিজেদের নাম পেশ করুন। নতুন কমিটি নিশ্চয়ই তাঁদের দু-একজনের কথা বিবেচনা করবেন।"    এতক্ষণ যাঁরা সমস্যা তৈরি করছিলেন কোনো এক যাদুমন্ত্রবলে চুপ করে গেলেন। শান্ত হল সভা।       দু'দিন দিন পর কমিটির অন্যতম সদস্য দেবরাজ -এর সঙ্গে বাজারে দেখা। বললাম, " বেশ শীত পড়েছে দেবরাজ! তবে রিটায়ার

গল্প ।। হিসাবে গরমিল ।। মেঘা চ্যাটার্জ্জী

ছবি
    হিসাবে গরমিল মেঘা চ্যাটার্জ্জী             রাত পোহালেই বড়দিন। ২৫-শে ডিসেম্বর। সমগ্ৰ বিশ্বব্যাপী চ'লছে শুভ বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতি। এই আনন্দমুখর দিনে একমাত্র মেয়ে মিঠির শারীরিক অসুস্থতার খবর পেয়ে বাবা বীরেন্দ্রবাবু মালিকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে, শীঘ্রই বাড়ি ফিরে এলেন। বাবাকে দেখে শয্যাশায়ী মিঠি বলে উঠল.... --- বাবা, আগামীকাল আমার জন্যে কেক আনবে তো? আমি যে কেক খেতে বড্ড ভালোবাসি।              সজল নয়নে বীরেন্দ্রবাবু জবাব দিলেন... --- তা আনবো বৈকি, তোর জন্যে সবচেয়ে ভালো কেকটা আনবো রে মা!              অসুস্থ মিঠির শুষ্ক ঠোঁটের কোণে দেখা গেল এক টুকরো হাসি।             পরদিন সকালবেলায় যথাসময়ে দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বীরেন্দ্রবাবু। দোকানে ঢুকতে যাবেন ঠিক এমন সময়ে এক রূঢ় কণ্ঠস্বর শুনে পিছনে ফিরে তাকালেন। দোকানের মালিক রবীনবাবু চিৎকার করে বললেন.... --- দাঁড়াও! আর এক পা এগোবে না তুমি। বিশ্বাসঘাতক! বেরিয়ে যাও এখান থেকে।           ‌‌ দোকানের হিসাবরক্ষক বীরেন্দ্রবাবু এরূপ অপবাদের কারণ জিজ্ঞাসা করায় মালিক বললেন.... --- তুমি গতকাল দোকান থেকে পাঁচশ টাকা চুরি করে, শীঘ্রই বাড়ি

পুস্তক আলোচনা ।। বিতস্তার (ঘোষালের) পাঁচটি উপন্যাস  ।। আলোচক: অনিন্দ্য পাল

ছবি
বিতস্তার উপন্যাসগুলি একটি সামাজিক ধারাভাষ্য   অনিন্দ্য পাল  আদ্যোপান্ত সামাজিক পটভূমিতে লেখা বাস্তবকথন। উপন্যাসের তথাকথিত বা প্রচলিত রীতি থেকে ধাঁচাটা একটু পাল্টে নিয়ে গভীর উপলব্ধিটুকু পাঠকের মনের মধ্যে চারিয়ে দেওয়ার অনন্য এক গতিময়তা পাওয়া যাবে এই সংকলনে। "ছাতিম ফুলের গন্ধ" সংকলেনর প্রথম উপন্যাস, সেখানে সম্পর্কের টানাপোড়েন যদিও মূল জ্বালানি তবুও গল্পের অভিকর্ষ হিয়ার লড়াই। হিয়া ছোটবেলা থেকেই এক রকম ডানপিটে, সেই সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত সারল্য তাকে করেছে খানিকটা ভঙ্গুর। এই ভঙ্গুরতা তার হৃদয়ে লালিত হলেও বাইরের জগতে হিয়া একজন দায়িত্বশীল মা, একজন "সং কে সার" বানানো গৃহবধূ যে অভিজ্ঞতার বহু ক্রোশ পথ অতিক্রম করেও এখনও অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রোজ পীড়িত হতে থাকে। রিক তার চরম বাস্তব আর মহুল অবচেতনে খেলা করে বেড়ানো সুররিয়্যালিস্টিক কবিতা, যেটা কোথাও কোন গভীর হৃদয়দেশে জন্ম নিলেও কখনও অক্ষরদেহ নিয়ে প্রকাশিত হয় না। তবে চরিত্র গুলো আরও একটু খোলসা করলে ভালো হত। বিশেষত "রিক"এর চরিত্রের আরও একটু গভীরে ঢোকার দাবী করে গল্পের বুনন।  অন্যদিকে, একটা পুরনো মোবাইলের হাত ধরে গল্পের মধ্যেই

কবিতা ।। রক্ত-ঘামের নতুন দিন ।। সুব্রত কুণ্ডু 

ছবি
রক্ত-ঘামের নতুন দিন সুব্রত কুণ্ডু  বদলে গেছে সমাজ এবং দেশ,  চতুর্দিকে হিংসা ও বিদ্বেষ।  সত্যসূর্য ঢাকা,  পাপের ঘড়া ভরো-ভরো,    যৎসামান্য ফাঁকা।  কষ্টে-গড়া চাষির প্রাণের ধন,  লুট করে নেয় দালাল, মহাজন।  শ্রমিকের শ্রম চুরি   নেয় করে নেয় কলের মালিক-–  নজির ভুরিভুরি।  না খেয়ে আজ মরছে যারা খেটে,  ভিসুভিয়াস--সুপ্ত তাদের পেটে।  হলে নিদ্রাহারা    লাভাস্রোতে পুড়বে লোভী— লুট করে খায় যারা।  ওঠ্‌ রে জেগে যত শ্রমিক-কিসান,   এই তো সময়, বাজা রণ-বিষাণ।  সামনে লড়াই জোর,    দিনবদলে আনবে অরুণ  লাল-ফাগুনের ভোর। =================== সুব্রত কুণ্ডু নবগ্রাম, রহিমপুর, হুগলী  পশ্চিমবঙ্গ, ভারত 

কবিতা ।। হাতবদল ।। বলরাম বিশ্বাস

ছবি
হাতবদল বলরাম বিশ্বাস মা হল সংসার। বাবা হল সংসার। ঘটনা অঘটনের বেড়াতে খেয়ে নিলে সংসারে ভাঙন। চৌদ্দপুরুষের কাছে যেন এ এক হাসির খোরাক। সবার হবে। জীবনের নিয়ম। তুমি কতটা চেন ভিটে গাছ। অলৌকিকের আওতায় এসো হাতবদল হচ্ছে...... সংসার।।।

ছড়া ।। ডাকনামে পাখি ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

ছবি
 ডাকনামে পাখি  রঞ্জন কুমার মণ্ডল রোজই দেখি শালিক পাখি  ব‍্যস্ত যে ঝকড়ায় বুলি বলা এই পাখিটাকে 'ঝকড়াটে পাখি' কয়। নোংরা পচা সাফ করে কাক জঞ্জাল মুক্ত রাখে 'ঝাড়ুদার পাখি' হয়েই কাক কর্কশ স্বরে ডাকে। খাসা বাসা তালগাছেতে উল্টো কুঁজোর মতো  শিল্পী বাবুই 'দর্জি পাখি' কাজ করে সতত। পুকুর ডোবা বিলের জলে আহার করতে দেখি নৌকার মতো ভেসে বেড়ায়  হাঁস 'সাঁতারু পাখি'।   ===================   রঞ্জন কুমার মণ্ডল সারাঙ্গাবাদ, মহেশতলা ভায়া-বজবজ, জেলা : ২৪পরগণা (দঃ) পিন-৭০০১৩৭

অণুগল্প ।। ট্যাবু ।। চন্দন মিত্র

ছবি
ট্যাবু চন্দন মিত্র গাড়ি তখন ছুটছে পশুপতি মার্কেট থেকে মিরিকের দিকে। গাড়িতে ড্রাইভার ছাড়া আছে দুই দম্পতি, মৃণাল-রমা ও মনীশ-নীলিমা। মৃণাল আর রমার বিয়ে হয়েছে মাস ছয়েকের মতো। মনীশ ও নীলিমার প্রায় বছরখানেক হবে। তাদের বেড়ানোর আজ শেষ দিন; সন্ধ্যায় তারা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেন ধরবে। সকালসকাল পশুপতি মার্কেট ঘুরে এক নেপালি রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া করে এখন তারা চলেছে মিরিকের দিকে। গাড়ির মধ্যে নানা ধরনের গল্পগুজব চলছিল, চারজনেই বেশ হাসিখুশি। হঠাৎ মনখারাপের মেঘ ডেকে আনে মনীশ। গল্পগুজবের মাঝখানে সে হঠাৎ দুম করে বলে বসে, 'যাই বলিস মৃণাল, যে মেয়েটা মোমো সার্ভ করছিল, একেবারে মোমের মতো। মনে হচ্ছিল চাকরি-বাকরি ছেড়ে ওর সঙ্গেই থেকে যাই।' মনীশের শুক্লবর্ণা স্ত্রী নীলিমা নির্লিপ্তির সঙ্গে বলে, 'কেন যে ছেলেটা ক্যাশে বসেছিল, তাকে দেখেছ ! ওরকম একটা ছেলে পেলে জীবন ধন্য হয়ে যেত !' মেঘবর্ণ মনীশের মুখ ম্লান হয়ে যায়। বাইরে বৃষ্টি শুরু হয়।     ====================== চন্দন মিত্র ভগবানপুর (হরিণডাঙা) ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সূচক- ৭৪৩৩৩১

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪