পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

সন্দীপ পালের কবিতা

আমি এক কৃষকের সন্তান একা বিস্তীর্ণ শূন্য ধানখেত পড়ে আছে শিরদাঁড়া উঁচু করে; আজ না হয় পাকা ধান নিয়ে চলে গেছে পড়ে আছে খর্বকায় ধানশিষ গোড়া মরুভুমির মতো- কিছুটা পুড়িয়ে দিয়েছে; কালো পাঁশ পড়ে আছে, কিছু দূরে দূরে ঢিপ ঢিপ পালি দেওয়া খড় ধান, বছরের সারা মাস খালি পড়ে থাকে ; বর্ষার একবার চাষ। আমরা আধুনিক শহরের বাসিন্দা, তবু দুবেলা খিদের জ্বালায় ভাত বা রুটি মুখে তো পুরতেই হয়। তবু বড়মানুষের লাল চোখ কখনো সাদা হয় না, বলে তোমরা নীচ; ছোটলোকের জাত। যে যতটা পারে পিষে নিগড়ে নেয়- কৃষকরা নিজেদের গতর মাটি করে , নাম মাত্র দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় । এতো এক রকমের সমাজ সেবা - সব ব্যবসায় ব্যবসায়ীরা নিজেদের লাভ রেখে তার জিনিস বিক্রি করে , তবে কৃষক নয় কেন ? আমি মনে মনে নিজের পিঠে হাত চাপড়ে বলি আমি গর্বিত বাবা আমি তোমার সন্তান - আমি এক দলিত নিপীড়িত শোষিত কৃষকের সন্তান। --------------

অমিত পালের কবিতা

           শুভ নববর্ষ                             চারিদিকে খুঁশির আমেজ আর অম্লান হাসি৷ পুরোনো সব গ্লানি এই দিনটিতে মুছে যায়, মুছে যায় জড়া ব্যাধি৷ অগ্নিস্নানে সূচিত হয় এই সমগ্র ধরা৷ নতুন গানের ছন্দে-তালে ফিরে ফিরে আসে নতুন বছরের নতুন দিনের আনন্দ৷ নতুন বাতাসে ভেসে বেড়াই সেই গানের সুর আর ছড়িয়ে পরে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আনাচে কানাচে৷ সবার মন যেন এক মাতোয়ারা সুরের তালে আনন্দিত হয়ে নেচে ওঠে৷ কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে নতুন রঙের আভা, যে রঙ লেগে যায় সকলের হৃদয়ে, আর সকলেই নিজের মনকে রাঙিয়ে তোলে শুভ নববর্ষের ছোঁয়ায়৷ __________________________________        নতুন বছরে                       একটুখানি খুশি রেখো নিজের মধ্যে নতুন বছরের আগে, যা পারো ভাগ করতে সকলের মধ্যে  নতুন বছর এলে৷ দুঃখ গুলি একটু একটু করে যেয়ো ভুলে নতুন বছরের আগে, ভেবো না যেন কারা তোমায় দুঃখ দিল নতুন বছর এলে৷ সবাইকে দিও তুমি ক্ষমা করে নতুন বছরের আগে, কেউ কি জানে আবার সুযোগ পাবে কিনা নতুন বছর এলে৷ মনের মধ্যে রেখো না  আর ব্যথা পুষে নতুন বছরের আগে, সবাইকে জানিও প্রীতি ও শুভে

দীপঙ্কর নস্করের কবিতা

            বিদায় বিদায় স্মৃতি মোদের ভাষা দিনের অতীত ফেলে আসা , সুখ - দুঃখ যমজ ভাই এমন সহোদর ভুবনে ঠাঁই।। মানুষ হাসে যখন খুশি দুঃখে নামে কান্না মাসি , ফুল ফুটেছে সূর্যালোকে বধূ হাঁটে কলসি কাঁকে।। পল্লী গৃহে বছর শেষে ধান্য ওঠে উঠান ঘেঁষে , আনন্দ অশ্রু চাষির চোখে বছর বিদায় প্রাপ্তি রেখে।। বিদায় তন্ত্রীতে আগমনী সুর হর্ষধ্বনি উল্লাসে রজনী মধুর। ফিরবে না সে কোনদিন হৃদ আনন্দে ব্যাপ্তি চিরদিন।। তবু আশা - নিরাশায় বাঁচি উত্তরোত্তর ভুবনের মাঝে সূচি , বিদ্বজনের নির্বাণ প্রাপ্তি সমাজ সংসারে বিদায় আকুতি।। দিন আসে দিন যায় শুভেচ্ছা ভালোবাসায় বিদায় , তবু খুঁজে ফেরে তাঁকে অশ্রু বিয়গান্ত জরাজীর্ণ বাঁকে।। --------------------------------------- DIPANKAR NASKAR ASSISTANT PROFESSOR DEPARTMENT OF HISTORY BIDHAN CHANDRA COLLEGE ASANSOL_04 WEST BENGAL INDIA

শুভাশিস দাশের কবিতা

ছবি
তবু প্রত্যয় আছে -------------------- গেলো যে বছর যায়নি ভালো মিশিয়ে ভালমন্দ নোতুন বছর হয়তো দেবে ভালোর কিছু গন্ধ ! দুঃখ ব্যাথা অনেক কথা রইলো স্মৃতি হয়ে নোতুন বছর আনবে শুভ বার্তা কিছু বয়ে ! তবু প্রত্যয় আছে এই বুকে আসবে সুখের দিন শোধ হয়ে যাবে বিগত দিনের যাবতীয় জমা ঋণ ! ------------------------- শুভাশিস দাশ দিনহাটা

অমৃতা বিশ্বাস সরকারের কবিতা

 নতুন খামে পুরোনো চিঠি মুহুর্তের ব্যবধানে বছরের পার্থক্য । সঞ্চিত উল্লাসে নতুনত্বের উদযাপন । জরাগ্রস্ত কলেবর ছেড়ে এসেছে  কতো পুরোনো খোলস  । পরশ্রীকাতরতায় আপন করে  নিয়েছে কতো উদ্বাস্তু  পার্বণ । উপলব্ধিতে পুরোনো সব গ্লানি আবারো  সামনে এসে পড়ে । প্রায়শ্চিত্তের প্রলোভনে চলে আমিত্বকে এড়িয়ে যাওয়ার  একরোখা প্রয়াস । কতো কিছুই না হারিয়ে গেছে , কতো সময় ,কতো মানুষ । কতো কিছুই না পেরিয়ে গেছে । তবে ফুরিয়ে যায় নি সবটা । বুদ্ধির কাছে শেষে হার মেনে যায়  বিবেকের সৎ পরামর্শ । অস্তিত্বের কাছে ম্লান হয়ে আসে ভাবমূর্তি । আবারো পুরোনো সব অভ্যাস জাঁকিয়ে বসে । নতুন নতুন গন্ধটা আস্তে আস্তে উবে যাচ্ছে যে । এর মধ্যেই হঠাৎ আবিষ্কার - দরজার কাছে পড়ে  একটা পুরোনো চিঠি , সযত্নে নতুন খামে ভরা আছে । ===============================            -অমৃতা বিশ্বাস সরকার             বাঁকুড়া ,ভাদুল    

তরুণ কুমার মাঝির কবিতা

নতুন প্রত‍্যয়ের সূচনা কেটে গেল একটি বছর,                                       রয়ে গেল অনেক                     হারিয়েছি অনেক, পেয়েছি অনেক-   হারানো প্রাপ্তির হিসাব নিয়েই তো,              নতুন প্রত‍্যয়ের সূচনা।।                                                                                          হারিয়েছি সময়, হারিয়েছি অনেক  আত্মজন ও প্রিয় গুনী মানুষকে।                 যারা ছিল সমাজ ও সভ্যতার কারিগর।                                                    হারিয়েছি বন্যায়, দূর্যোগে ও দূর্ঘটনায়        যারা দেশের  সমস্ত স্থরের মানুষ!                                                                             হারিয়েছি   দেশ  বিদেশের অনেক-         কবি ,সাহিত‍্যিক, শিল্পী ও সৃজনশীল মানুষকে!                                                                  তবুও পেয়েছি তো অনেক -         বন্ধুত্ব, ভালো বাসা, স্নেহ..............."         পেয়েছি নতুন শিক্ষা, প্রতিবাদে র ভাষা ও   জীবনীশক্তি।                                          আর চাওয়া পাওয়া  সুখ দু্্খ - 

রবিউল ইসলাম মন্ডলের কবিতা

ছবি
"হারানো বিজ্ঞপ্তি" ----------::---------- একটা বিজ্ঞপ্তি দেব ভাবছি  হারানো সংক্রান্ত- কিন্তু মনে সংশয় ! ফিরে কি পাব ? বেদনায় ভারাক্রান্ত হৃদয়, থরথর কম্পমান তনু।  পোষ্ট কার্ড কোথায় আছো ? ধুঁঁকছে নিউ ইয়ারের গ্ৰিটিংস কার্ড ! পড়ছে না আর চোখে - পায়ে পায়ে নাচানো ধান ভানার ঢেঁঁকি।  লুপ্তপ্রায় ডোডো পাখির ন‍্যায় গরুর নাঙল। আর দেখি না ডাং কলির খেলার মজলিস। ধানের ‍ক্ষেতে হাঁড়ি চাচা ? কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকাল -গুলো শিশুর হৃদয় থেকে দূরে আরো দূরে-- কালবেশাখীর  বিকালে অপু দূর্গার মতো আর পড়ে না আম কুঁড়ানোর ধুম । বসন্ত এলো কি গেল বোঝা দায় - নেই আর কোকিলের কাকলি।  "চুলোচুলি হয় না মোড়লে মোড়লে" মনে পড়ে সেই বিখ‍্যাত লাইনটি।  হারনো বিজ্ঞপ্তি  একটা হারানো বিজ্ঞপ্তি যদি ফিরে পাই সোনালী সে দিন। । ।       -----সমাপ্ত-----

তন্ময় সিংহ রায়ের অণুগল্প

ছবি
'লি' 'সা' সৌরজগতের কেন্দ্রের খুব কাছে অবস্থিত হাইড্রোজেন (প্রধানত) ও হিলিয়ামপূর্ণ একটা তারা স্বভাবমতই সেদিন বেশি বর্ণনা করছিলো তার রশ্মির। বিভিন্ন যানবাহনের ভাষা, রাস্তায় দুপাশে ব্যস্ত দোকানপাট, বাজার, কোলাহলপূর্ণ লোকজন... কারুর কারুর হাতে ছাতা, কারুর মাথায় টুপি, কেউবা পুষ্টি-অপুষ্টির সংমিশ্রণে কোল্ড ড্রিংক্স ও ডাবের জলে নিবারণ করছে তাদের অতৃপ্ত তৃষ্ণা। পরিবেশের স্বাভাবিকত্ব লঙ্ঘন করে হঠাৎ-ই কে যেন তার জ্বলন্ত পাকস্থলী নিয়ে রক্তবর্ণ চোখে, বাজপাখির মতন ছোঁ মেরে একটা বছর আট-নয়ের মেয়ের হাত থেকে খাবার কেড়ে নিয়েই একটা নিষ্ক্রিয়প্রায় পা'কে টেনে হিঁচড়ে যথাসম্ভব দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগোতে লাগলো। হতচকিত মেয়েটা  চিৎকার করে কেঁদে উঠলো ভয়ে। "এই এই কি হচ্ছে...! " চিৎকার করে উঠলো তার মা-ও। নোংরা, ছেঁড়া জামাকাপড়, মাথায় ও চিবুকে চুলের সাম্রাজ্য... ততক্ষণে লোকটা একচিলতে নিশ্চিন্ত আশ্রয় খুঁজছে খাবারটা খাবে বলে। হেই হেই!.... মার মার! পাগলটাকে মার! বলে....ছুটে যেতেই  নিজেকে রক্ষার তাগিদে পাগলটা হাত উঁচু করতেই শীরা-ধমনী ভেদ করে শুষ্ক মলিন ত্বকে জেগে উঠলো দুটো ব

টুম্পা মিত্র সরকারের কবিতা

পূণ্য আলোয়... আদিম অকৃত্রিম সবুজ অরণ্যের ওপর থেকে কুয়াশার ঢাকনা গেছে সরে ৷ সূর্যের আলো ঠিকরে এসেছে রজনী গন্ধার ঝারে ৷ মুঠো মুঠো রোদ পড়েছে ঝিমিয়ে পড়া বনসাই গুলিতে ৷ কৃষ্ণচূড়া রোদে ঘাস ফুলেদের বেড়েছে জৌলুস ৷ আর এ সবই মাটির বুকে এঁকে রাখে একটি নিটোল ছবি— ভালোবাসা ! এভাবে শান্তির পূণ্য আলোকে সজীব করে তুলেছে পুনঃ প্রকৃতির ভিত ৷ —————————————————————— টুম্পা মিত্র সরকার c/o তাপস সরকার গ্রাম+পোঃ-দেয়াড়া থানা-কালনা জেলা-পূর্ব বর্ধমান পিন-৭১৩৪০৯

সুনন্দ মন্ডলের কবিতা

বলাকা              উড়ন্ত রোদ্দুর, মায়াময় উঠোন ঝুম ধরে বসে আছে ও-বাড়ির মুরগিটা          পিঠে সেঁক দিচ্ছে বসন্তের মাসে। গাছের ফাঁক বেয়ে সূর্যটা                         প্রতিশ্রুতি বদ্ধ           'আমি' একাকীত্বে খুঁজি স্বপ্ন। রোদেলা ভাষায় পশ্চিমে উড়ে যায় বলাকা       ভেসে আসে অজানার সান্ধ্যকালীন মুখরা       ‎আবিষ্ট চোখের কোণে রেটিনার শোক। লগ্ন বয়ে যায় মেয়েটির কাজলে      রাত নেমে আসে যুদ্ধের শেষে      ‎        বিচ্ছিন্ন অন্ধকারে শয্যায় নির্বাসন      ‎      ‎     ফের ফিরে আসে বলাকা      ‎     একদিবসীয় অপেক্ষার অন্তিমকালে।      ‎            ---------------- সুনন্দ মন্ডল কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম

শ্যামাপদ মালাকার কবিতা

চোখ """"""" নদী, অরণ্য, রাতের ফালি চাঁদ- সবেই তো আমার...স্বর্ণপিঁড়িটাও!। সেদিন, শুকতারাটার গা' মাপতে গিয়ে মনে হল, --ওরা আমার চেয়েও সুখী? দেখিনা একবার গাইতি-শাবল চালিয়ে... চালালাম। জল-মাটি ভেজা একটা 'চোখ' কুড়িয়ে ফিরলাম! সেই চোখদিয়ে দেখি-- শেষ বিকেলের নিরন্ন আঁচে ঝলসানো বুকে নীড়ে ফিরছে ধূলিমাখা কত কাল পা, কি শান্তি - কি তৃষ্ণা! পাতাক্ষোয়া কোদালেরর মাথায় ঝরেপড়া ললাটের ঘামে, কারা যেন জীবন শাণ দেয়! রুক্ষঠোঁটের আবরণে এক সময় নেমে আসে শিশিরস্নাত কালনিশি-- মাঝের ব্যবধান মুছে দেয় প্রতিশ্রুতির ভীড়- - পূর্বজনমের নিদর্শনচুম্বন শেষে হেরে যায় কার মমতাজ-- ম্লান হয়ে যায় কত পিঁড়ি! ... ম্লান হয়ে যায় কত পিঁড়ি! ... ম্লা...

সায়ন মোহন্তর কবিতা

প্রত্যয় সন্ধ্যা হচ্ছে দাবদাহে বিধ্বস্ত গাছ ঝড়েছে পাতা আকাশ মিশেছে পাহাড়ে রামধনু বুঝি হারিয়ে মরু প্রান্তরে পালক খসিয়ে বাসায় ফিরছে পাখি, ধূসর আঁখি । ঐ উঠেছে চাঁদ গাছের মনে সূর্য দেখার সাধ প্রজাপতি বেড়াবে উড়ে গাইবে পাখি গান মধুর সুরে উঠলো যখন চাঁদ দিন আসা থাকে কি আর বাদ গাছেরা উহ্য স্বরে করছে গল্প সাথে আগামী দিনের পরিকল্প ।  পলকে পলক ফেলে সময় গড়ায় হেসে খেলে চোখ মেলছে রবি রক্তিম আভায় ভাসছে সব-ই গাছের পাতা করছে নৃত্য প্রজাপতি ক্রমে হচ্ছে যুক্ত মধুর সুরে গাইছে পাখি গান ঘাসেরা বুঝি পেলো প্রাণ ।  =================== সায়ন মোহন্ত চাষা পাড়া ,  কৃষ্ণনগর , নদিয়া - ৭৪১১০১

দুলাল সুরের কবিতা

ছবি
  বিরহ ব্যথা    প্রভাতের প্রস্ফুটিত ফুল অনাদরে ঝরে যায় বিকালে, ভালবেসে হারানোর ব্যথা জ্বালা ধরায় এ পাষাণ বুকে। বাতাস ভারি হয়ে ওঠে হৃদয় ক্রন্দনের আবেশে, তরুলতা বুঝি থরথর কাঁপে সহমর্মিতার অক্ষমতা প্রকাশে।   ফাগুনে বিরাজিত দখিনা হাওয়া বিদায় লয়েছে হায় মোর প্রানপ্রিয় সখা, দুয়ার খুলে রাখি আমি তারি প্রতীক্ষায় ভুল করে যদি কখনও বা আসে আমার আঙিনায়। প্রিয়া বিয়োগ ব্যথা প্রাণে না সয় বেহাগ বাজে শূন্য হিয়ার মাঝে, প্রেমের মায়াজালে জড়ায়ে সে আমায় ত্যাগি সুখে জীবন কাটায় পরপুরুষের সাথে। ********************************************** 

রমেশ দাসের কবিতা

  হিংস্রতা                                 সে আমার কাছে অপ্রিয়। তাকে চাই না তবু সে চলে আসে বারংবার। আমার কাছে আসে তার স্বর্থের প্রতিকূলে, প্রাণে আঘাত দিয়ে, বন্ধ করে নিঃশ্বাস দার। আমার ব্যক্তিগত আত্মবোধ খেয়ে, আমার বিলাসী জীবন করে দিয়েছে ছারখার। থমকে দারায় মাঝ পথে যখন সে আসে; সন্তোষ থাকি যখন সে থাকে অন্যের কাছে। পরের দুঃখ আমার কাছে উপভোগ্য, অন্যের বিপত্তি ঝঞ্ঝাটে আমি খুশিতে খুশি, আমি নিচুক অন্যের সুখে জ্বলে পুড়ে মরি। আর অন্যের হিংসায় আনন্দ উপভোগ করি।

গ্রন্থ আলোচনা: শর্মিষ্ঠা দেবনাথ

ছবি
প্রতিবাদ যখন অগ্নিবাণী বাংলাদেশে নারীমুক্তি ও নারী আন্দোলনের পুরোধা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১৯৯তম জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদিত হল " আসিফা এবং.." কাব্য সংকলনটির মধ্যদিয়ে।সংকলনটির বিশেষত্ব হল,এটি উৎসর্গ করা হয়েছে নারীর সম্মান রক্ষার আন্দোলনের যোগ্যতম ব্যক্তি শহীদ শিক্ষক বরুন বিশ্বাসকে। সংকলক প্রকাশক সন্দীপ সাহু নিজে এবং বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিকদের দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছেন এমন কিছু কবিতা, যা শুধুমাত্র শব্দ ও ছন্দের অনুবন্ধ নয়, এক একটি অগ্নিবাণী।আসলে জীবনকে দেখার স্বাতন্ত্র‍্যে কবিরা সব সময়ই অগ্রগণ্য এবং অনন্য।যুগ ও জীবন দ্বন্দ্বের কণ্ঠস্বরকে আশ্রয় করে,একদিকে মনের প্রবল দাহ ও অন্যদিকে  নির্যাতিতা শিশুকন্যা ও নারীর প্রতি মনের গভীর আকুলতা থেকে প্রকাশ পেয়েছে "আসিফা এবং" এর  কবিতাগুলি।এক অন্ধকার সময়ের মুখোমুখি আমরা,সেই অন্ধকার আমাদের নিয়ে এসেছে সামাজিক অবক্ষয়ের শেষধাপে যেখানে নৈতিকতা,পাপবোধ,গ্লানিকে সরিয়ে রেখে, সমাজের বানানো নিয়মকে তোয়াক্কা না করে,অনায়াস দক্ষতায় ও ক্ষিপ্রতায় নিজেরই ধর্মচেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে কিছু মানুষ তার পশুত্বের পরিচয় দিয়েছে ধর্ষণ ও ন

গ্রন্থ আলোচনাঃ মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন

ছবি
  একটি মনোমুগ্ধকর স্মারকগ্রন্থ                     বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চ ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র এর যৌথ আয়োজনে এর আন্তর্জাতিক ইতিহাস ও সাহিত্য সম্মেলন ২০১৮ এর উপলক্ষে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র এর সভাপতি  ইতিহাস-ঐতিহ্য সংগ্রাহক এবং  লেখক ও গবেষক সোহেল মো. ফখরুদ-দীন'র সম্পাদিত বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল কবি সাহিত্যিকদের কবিতা ও প্রবন্ধ সংকলন  "অথৈ" স্মারকগ্রন্থটি মনোমুগ্ধকর একটি গ্রন্থ। এই গ্রন্থটিতে শীত, আশাবাদী, দেশত্ববোধক, মাতৃভাষা বাংলা, বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গকৃত, প্রিয়জন মায়ের শাসন ও ভালোবাসা নিয়ে কবিতা সহ আরো কবিতা স্থান পেয়েছে। যা কবিতা প্রেমী এবং লেখক ও গবেষকদের জন্য ভালো লাগার মত সত্যি অসাধারণ গ্রন্থ। তাছাড়া এই বইটিতে প্রাচীন চট্টগ্রাম সম্পর্কে এবং গুণী ব্যক্তিত্বদের জীবনকর্ম সহ অসংখ্য প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। শুভেচ্ছা মূল্য: ২২০ টাকা মাত্র। শুরুতে লেখক তার "প্রাচীন চট্টগ্রাম ও কিরাত বাংলা প্রসঙ্গ" প্রবন্ধে প্রাচীন চট্টগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন। বিশ্বের সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে চট্টগ্রামের ইতিহাস জানা ও সচেতনতার ব

ব্লগ-নবপ্রভাত মাঘ ১৪২৫ (জানুয়ারি ২০১৯) সংখ্যার জন্য লেখা আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

ছবি
আসন্ন সংখ্যার প্রচ্ছদ বিষয়ঃ                  "হারানো-প্রাপ্তি-প্রত্যয়"     # ফেলে আসা বছরটাতে আমরা হারিয়েছি বহু কিছু; আবার প্রাপ্তির ভাণ্ডারও শূন্য নয়। আর এই হারানো-প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে এক প্রত্যয়দীপ্ত স্বপ্নময় আলোকপথে আমাদের জীবনের অভিযাত্রা। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে চলুক আপনার কলম। লিখুন হারানোর বেদনাময় স্মৃতিকথা অথবা প্রাপ্তির উচ্ছ্বাসপূর্ণ শব্দবন্ধ বা প্রত্যয়ী জীবনকথা।    # পাঠাতে পারেন ২০১৮তে প্রয়াত শ্রদ্ধেয় রমানাথ চৌধুরী, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মৃণাল সেন প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিজ্ঞাপক লেখা। বা প্রবন্ধ।  # আপনার ব্যক্তিজীবনের হারানো-প্রাপ্তি-প্রত্যয়ের ভাষ্যরূপও পাঠাতে পারেন।   নিম্নোক্ত নিয়মগুলো পড়ে সেই মতো লেখা দিতে অনুরোধ জানাই।     ১। নির্ধারিত বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ , মুক্তকথা , অণুগল্প , কবিতা , ছড়া ইত্যাদি পাঠান। (অন্য বিষয়ের লেখাও পাঠানো যাবে।) ২। তবে নির্ধারিত বিষয়ভিত্তিক লেখা অগ্রাধিকার পাবে। ৩। একমাসে একজন লেখক একটি মেল পাঠান। একাধিক লেখা দিলে একই মেলে দিন। ৪। লেখা মেলবডিতে লিখে বা পেস্ট করে পাঠান। সঙ্গে ঠিকানা ও

১০ম সংখ্যাঃ সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র

ছবি
ব্লগ-নবপ্রভাত ১০ম   সংখ্যা পৌষ ১৪২৫ # ডিসেম্বর ২০১৮ ********** : সম্পাদকীয় : ব্লগ-নবপ্রভাত ১০ম সংখ্যা প্রকাশিত হল।  আপনাদের মতামত পরামর্শ সমালোচনা পেলে আগামীর পথ নির্ধারণ সহজ হবে। সবাইকে ইংরেজি বছর শেষের ঐকান্তিক শ্রদ্ধা ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই। ভাল থাকুন। সৃজনে থাকুন। নিরাশাহরণ নস্কর ১লা পৌষ ১৪২৫  সূচি পত্র    প্রবন্ধ:  রণেশ রায় গল্প/অণুগল্প: পারিজাত  মৌমিতা ঘোষাল   সন্তু চ্যাটার্জি    দীনমহাম্মদ সেখ  অভিজিৎ মণ্ডল  সোমনাথ বেনিয়া  স্বরূপা রায় মুক্তগদ্য: সুমন কল্যাণ   বিদিশা দাস  কবিতা/ছড়া: অরবিন্দ পুরকাইত   জগবন্ধু হালদার   অমৃতা বিশ্বাস সরকার   কৌশিক বড়াল   সায়ন মোহন্ত   কান্তিলাল দাস   তাপসী লাহা   লিপি ঘোষ হালদার   অ-নিরুদ্ধ সুব্রত   রণবীর বন্দ্যোপাধ্যায়   নিসর্গ নির্যাস মাহাতো    আরিয়ান প্রিয়স পাল   চৌধুরী নাজির হোসেন   দিবাকর মণ্ডল   সবিতা বিশ্বাস   জীবন কৃষ্ণ দে   রমেশ দাস    প্রণব কুমার চক্রবর্তী   প্রসুন কুমার মন্ডল   সুবীর হালদার   শংকর হালদার   সুদীপ্ত বিশ্বাস   বলাই দাস   সজল কুমার টিকাদার   স্বরূপ মুখার্জ্জী

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪