পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

নিবন্ধ ।। ভাষার মৃত্যু এবং বাংলাভাষা ।। অনিন্দ্য পাল

ছবি
  ভাষা মানুষের সর্বোত্তম সৃষ্টি, একথা বললে খুব একটা অত্যুক্তি করা হবে না। বৈজ্ঞানিক সমস্ত আবিষ্কারের কথা মনে রেখেও মানুষকৃত সম্পূর্ণ নিজস্ব বৌদ্ধিক উন্নয়নের অন্যতম স্বাক্ষর হিসাবে ভাষার উল্লেখ বোধহয় অযৌক্তিক নয়।  SIL international , 2009 এর সমীক্ষা অনুযায়ী পৃথিবীতে ৬৯০৯ টা ভাষায় মানুষ কথা বলে। পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা মাত্র ২৩টি ভাষায় কথা বলে।   বিশ্বের ১৪৬ টিরও বেশি দেশে মানুষ ইংরেজি ভাষায় কথা বলে। ভাষার দিক দিয়ে ইংরাজি বর্তমানে পৃথিবী তে ১ম স্থানে রয়েছে। পৃথিবীর ১০৬ টি দেশের প্রায় ৩৮ কোটি মানুষ আছে যারা তাদের প্রধান ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যাবহার করে থাকে। তবে সারা পৃথিবীতে ১১৩ কোটির বেশি মানুষ বর্তমানে ইংরেজি ভাষাতে কথা বলে থাকে।          পৃথিবীতে কথা বলার জন্য ২য় সবচেয়ে বেশি যে ভাষা ব্যাবহার করা হয় তা হল-মান্দারিন বা ম্যান্ডারিন। এ ভাষায় কথা বলে চীনের প্রায় ১১১ কোটিরও বেশি মানুষ। পৃথিবীর মোট ২৯ টি দেশে এ ভাষায় মানুষ কথা বলে থাকে। চিনের মোট জনসংখ্যার ৯০% (১২৮ কোটি) এর বেশি মানুষ শুধুমাত্র উ-চাইনিজ ও মান্দারিন ভাষাতে কথা বলে থাকে।        পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম ভাষা হল হিন্দি। পৃথিবীর

একুশের গান ।। তুহিন কুমার চন্দ

ছবি
একুশ আমার জানলা দিয়ে আগুন ছড়ায় রোজ, একুশ আমার ফাগুন দেখায় পলাশ বনের খোঁজ একুশ আমার বুকের ভেতর রক্তক্ষরণ গানে, বাংলা ভাষা সেই কবেকার কন্ঠে প্রনাম আনে। ফুটপাতে রোজ সালাম রফিক ভিক্ষাপাত্র হাতে বাংলা ভাষায় গান গেয়ে যায় গভীর নিঝুম রাতে। বাংলা ভাষার কলার ভেলায় বাংলার গানে গানে রক্ত মাখানো বাংলার পথ জেগেছিলো মহারণে। বাদাম গাছের সবুজ ডালে বাংলার পদাবলী,  করুন কন্ঠে পাখির ভাষায় দুয়ার দিয়েছে খুলি।  একুশের রাত ডেকে গেছে কাল রক্তের ইতিহাসে  বাউলের সুরে আকাশে বাতাশে বাংলারই সুর ভাসে। ইতিহাস যত কাঙ্ক্ষিত কথা বলে গেছে ইতিহাসে একুশের মাটি রক্ত মেখেছে বাংলার প্রতিভাসে।  রাষ্ট্র ভাষা বাংলাকে চাই দাবী ছিলো ঘরে ঘরে   বুক পেতে তাই রফিক সালাম ইতিহাস গেছে গড়ে। একুশ আমার জানলা দিয়ে আগুন ছড়ায় রোজ, একুশ আমার ফাগুন দেখায় পলাশ বনের খোঁজ একুশ আমার বুকের ভেতর রক্তক্ষরণ গানে, বাংলা ভাষা সেই কবেকার কন্ঠে প্রণাম আনে। ============================= ঠিকানাঃ তুহিন কুমার চন্দ সুদর্শনপুর,রায়গঞ্জ-৭৩৩১৩৪ উত্তর দিনাজপুর (প.ব.) ভারত। মোঃ ৮৬১৭৮২৯১৩৩ tuhinchanda030@gmail.com

কবিতা ।। অ্যালবাম ।। সিদ্ধার্থ বসু

ছবি
শীতঘুমে চলে যাওয়া স্বপ্নের এপিটাফ,  মজে যাওয়া শোকতাপ, নিঃশব্দে ঘুমিয়ে পড়া ভালোবাসার অ্যালবাম, রোদ্দুরে চুঁইয়ে ঝরে টুপ করে হৃদ্ মাঝারে। বোধের দেউড়িতে কড়া নেড়ে যায়, সদর্থক দায়বদ্ধতা............. প্রত্যাশার ফানুস চুপসে যায়, আতিশয্যের বাহারে।  যন্ত্রনার সাতকাহন........  অবিচ্ছিন্ন প্রবাহের ফুরিয়ে যাওয়া আগ্রহে, চোরাবালি আর তমসার বিনির্মাণ, রক্তাক্ত অক্ষরমালার নিটোল বুনটে, ষোলকলায় পূর্ণ হয় ছন্দসংবেদ দর্পণ। দহনক্লান্ত মননে আশ্লেষ,  ২১ শে ভাষা বিপ্লব দিবস, শব্দবোধের সংবেদ ও এক অসংজ্ঞেয় স্বজ্ঞা, কৃষ্টি ও সৃষ্টির মেল বন্ধনের প্রজ্ঞা।।

ভাষাদিবসের কবিতা ।। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

ছবি
সা। সারারাতই নীরব ছিল পাড়া ভোরের বেলা উঠলো জেগে কারা ছোটো এবং বড়ো সবাই মিলে শামিল দেখি কীসের সে মিছিলে কানে কানে বাতাস এসে বলে মাতৃভাষার জন্য ওরা চলে। রে। রে রে করে উর্দুভাষী সেনা মিটিয়েছিল হিংস্রতার দেনা। রক্তে রাঙা মায়ের বুকের জমি লুটিয়ে পড়ে মা বলে শেষ নমি। গা। গাইলো ওরা কাঁদলে তুমি মা বুকে তোমার পুত্রশোকের ঘা কোন রাগেতে জ্বলেছিল ফাগ বেহাগ দীপক অথবা বৈরাগ? মা। মাতৃভাষায় অমৃতময় সুখ আনতে গেলে রক্ত দিতে হয়! জলে ডোবা শিশুর মতো মুখ তবু কেবল বলতে হবে জয়! পা। পায়নি বিজয় অত্যাচারীর দল বলিদানের গর্বে পাওয়া বল মাতৃভাষা মায়েরই এক নাম চোখের মতোই মহামূল্যবান। ধা। ধারের কথায় কদিন বাঁচা যায় দেশে থেকেও পরাধীনের ভাব ঘুচিয়ে গেল বীর শহিদের দল তাদের স্মৃতি নিত্য জেগে থাক। নি। নিষেধ ভাঙা মাটির উপর বাস বিস্মরণের কালো করে গ্রাস অস্ত্রহীনের মুখর প্রতিবাদে শাসকবুকে প্রবল তুফান জাগে। সা। সারাবেলা পাতা ঝরেই চলে সেই যে গাছের শহিদপুজোর ফুল আমরা আনি আনন্দটা তুলে মালির কথা সারাজীবন ভুল। ============================= গোপেশ্বরপল্লি, বিষ্ণুপুর,বাঁকুড়া - ৭২২১২২ কথা

কবিতা ।। বাংলা ভাষা ।। সুমন নস্কর

ছবি
বাংলা আমার মায়ের ভাষা পাড়া কিম্বা গাঁয়ের ভাষা প্রাণের ভাষা গানের ভাষা গ্রহণ এবং দানের ভাষা বাংলা ভাষা চলার ভাষা মনের কথা বলার ভাষা বড়োই ভালো মিষ্টি ভাষা কাব্য ছড়ার সৃষ্টি ভাষা মনের বেদন বোঝার ভাষা আপন জনের খোঁজার ভাষা বাংলা ভাষা মায়ের ভাষা শহর কিম্বা গাঁয়ের ভাষা গানের ভাষা মানের ভাষা ছন্দ লয় ও তানের ভাষা ছোট্ট শিশুর মুখের ভাষা সুখের ভাষা দুখের ভাষা কান্না এবং হাসির ভাষা শিক্ষিত ও চাষির ভাষা সুরের ভাষা স্বরের ভাষা একান্ত এ ঘরের ভাষা বাংলা ভাষা মধুর ভাষা গাঁয়ের যতো বধুর ভাষা মাঝি কিম্বা জেলের ভাষা দুষ্টু সকল ছেলের ভাষা লেখা এবং পড়ার ভাষা মজার মজার ছড়ার ভাষা "মোদের গরব মোদের আশা" আ মরি সেই বাংলা ভাষা।। =================== সুমন নস্কর।।বনসুন্দরিয়া।।দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

কবিতা ।। আট-ই ফাগুন ।। উৎপলকুমার ধারা

ছবি
আট-ই ফাগুন উথলে ওঠা পদ্মানদীর জল কিংবা একুশ ফেব্রুয়ারির ফুলফোটা রোদ্দুর ওই দিন-ই তো বাংলা মায়ের দামাল ছেলের দল গাইলো সবাই মাতৃভাষার বাঁধন ছেঁড়ার সুর ! জুটলো সবাই ছুটলো মিছিল কাঁপলো রে রাজপথ খানসেনাদের সঙ্গে লড়াই বাধলো ভীষণ জোর সবার জন‍্যে আনতে জানি আলোর ভবিষ্যৎ  বীর শহিদের রক্ত-রঙে ফুটলো নতুন ভোর ! যাদের জন‍্যে পেরিয়ে নিকশ অন্ধকারের বাঁধ যাদের জন‍্যে এগিয়ে চলার অগাধ সাহস পাওয়া আজ পেয়েছি মায়ের ভাষার অমল সুখের স্বাদ যাদের জন‍্যে পেলাম সবাই রোদ বিছানো দাওয়া ! তাদের শহিদ বেদীর পরে আলপনা আজ আঁকি রফিক সালাম জব্বার-ভাই এবং আবুল কালাম যাদের জন‍্যে আমরা সবাই মুক্ত ডানার পাখি সেই ভায়েদের জানাই হাজার-হাজার কোটি সালাম !! --------------------------------------------------------   From :- Utpal Kumar Dhara, Purba Nischintapur, Budge Budge, Kolkata - 700138, mob. no. 7980252249, w/a. no. 8017479045,

কবিতা ।। মাতৃভাষা বাংলাভাষা ।। মাথুর দাস

ছবি
জন্ম থেকেই  যে ভাষাতে  সহজ কথা বলা, ভাব-বিনিময় আদান-প্রদান এবং হাঁটা চলা ; শ্বাসবায়ুতে  মিশে থাকে  জীবনের যে ভাষা, সেই তো আমার মাতৃভাষা, আমার বাংলাভাষা । যে ভাষাতে মনের আকাশ থাকেই নীলে নীল, উড়তে থাকে  উদাস ডানায়  কল্পনা-গাংচিল ; মিষ্টি মধুর যে ভাষাতে  গানের কথা কলি, কাব্য গাথা কথকতা  সেই ভাষাতেই বলি । শিখতে পারি  অন্য ভাষাও  শখ-প্রয়োজন-কার্যে, মাতৃভাষার মতো সাবলীল হতে কি পারি আর যে ! শরীর-মনে রক্তসমান যে ভাষাটি সারা জীবন বয় সেই বাংলাভাষার মর্যাদা থাক যে কোনও বিনিময় । *******************************       মাথুর দাস, দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান   *******************************

কবিতা ।। অমর একুশ আমার একুশ ।। রমলা মুখার্জী

ছবি
অমর একুশ আমার একুশ, একুশ সবার গান- খুনে রাঙা দিন স্বপ্ন রঙিন শহীদের বলীদান। বিশ্বসভার উদার আকাশে একুশ ধ্রুবতারা - বাংলা পরম বাংলা ধরম বাংলা ঝর্ণা-ধারা। একুশের বাণ বাংলার মান একুশ স্নেহের টান.... ভোরের আকাশে একুশ বাজায় ভালোবাসার তান। রফিক, আব্দুল, বরকত, সালাম, সেলাম ভাইজান- বাংলার দুখে বুলেটের মুখে বাংলাতে শেষ ঘ্রাণ। ঢাকের বাদ্যি ঈদের আজান একুশে সবার দান- মিলেমিশে হাসি ভেদাভেদ নাশি হিন্দু-মুসলমান। প্রথম ফাগুনে একুশ পালনে একসাথে ধরি তান- বাংলাভাষার দৈনদশা ভেঙে করি খান খান। কাছাড়ে আসামে বাংলার নামে দিয়েছে এগারো প্রাণ- তাদের স্মরণে আজ শুভদিনে গাই বাংলার গান। একসাথে আসি বাংলা-ভাষী বাংলাতে হাঁটি পথ- বাংলা ভাষার গরবে সরবে ওড়াবো জয়ের রথ।    ===========================   ডঃ রমলা মুখার্জী, বৈঁচী, বিবেকানন্দপল্লী, জেলা হুগলী, পিন 712134, মোঃ 7003550595 হোয়াটস এপ 9474462590

কবিতা ।। ভাষাবাড়ি ।। বনশ্রী রায় দাস

ছবি
                কোথায় আমার বাড়িঘর , প্রায়ই একথা বলতে । যেখানে যখন থাকি সেটা আমার ঘর জবাবে বলেছি আমি তোমাকে । বিরক্তি ভাবে তুমি বলেছিলে  এবার তোমার নিজের ঘর বানাও । মৌন হাওয়া তরঙ্গ ঢেউয়ের পায়ে নূপুর হলো চোখের কোণে ঝিলিক দিল অনন্ত সুরের  ঘর বাঁধার স্বপ্ন ,শৈল্পিক আঙুলের মুদ্রায় বানাই আমার ঘর জন্ম থেকে জন্মান্তরে । গর্ভগৃহে রাখলাম স্বরবর্ণ ব্যঞ্জন বর্ণ, আর জানালার গরাদে চন্দ্রবিন্দু,দালান থেকে  দরজা বরাবর সূর্যমুখী হাওয়া ,চিলেকোঠায় কুলুপ এঁটে বসে জিজ্ঞাসা চিহ্ন । দেওয়ালের গায়ে শ্বেতপাথর হয়ে  লুটিয়ে পড়ে টগরের হাসি পলাশ-ব্যকরণ বারান্দায় ধ্যানস্থ বিসর্গ' এর বেড়া ছুঁয়ে  বেজে যায় চাঁপাতলার হারমোনিয়াম  ঘরের ছাদে খেলা করে সময়ের শুকতারা , নদীর সন্ধ্যা শোনে আঁচলের পূর্ণচ্ছেদ । নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে সে ঘর আমার থাকে না  সেখানে বসত করেন আমার ভাষাজননি , ইতিহাস , ভূগোল আর প্রেমের ঝুমঝুমি । হৃদয়ে ঢেউ তুলে ধ্বনিময় স্রোত  সিংদরজায় হয়তো বা ফুটে উঠতে পারে  ভিমবেটকার কারুশিল্প অথবা আলতামিরার বিখ্যাত সেই গুহাকারু।         --------0------

কবিতা ।। মা, খোকা ও বর্ণমালা ।। মোয়াল্লেম নাইয়া

ছবি
      পলাশ রাঙা আকাশ জুড়ে ফেব্রুয়ারি এলো মায়ের চোখে শিশিরের ভোর, কি সুখ তাহা বলো! খোকা গেছে অনেক দূরে আনতে কথার ঝুড়ি রক্তনদী পার হয়ে সে ফিরবে তবে বাড়ি ৷ বিন্নি ধানের খই ভাজে মা প্রিয় খোকার তরে ডালের বড়ি শুকায় রোদে সারা উঠোন জুড়ে ৷ দুখিনী মা সাজায় কুঁড়ে সজনে ডাঁটার ফুলে আসবে খোকা প্রতীক্ষা তার স্বপ্ন রাখে তুলে ৷ এসেই খোকা বলবে মাকে কী আছে দাও খাই খাওয়ার পরে মায়ের আদর চাই যে তাহার চাই ৷ এমনি ছিল খোকার সাথে মায়ের আলাপন চন্দ্র-সূর্য ওঠার মত সত্য চিরন্তন। যাওয়ার আগে খোকা নাকি শুনিয়ে ছিল মাকে মুখের ভাষা হারিয়ে গেলে কিইবা পড়ে থাকে! মনে পড়ে তোমার কাছে গল্প শোনার রাত? কাড়তে ওরা চাইছে মাগো, তাইতো প্রতিবাদ৷ লক্ষ্মীটি মা রাগ কোরোনা ফিরব তাড়াতাড়ি সঙ্গে নিয়ে আসবো তোমার লক্ষ কথার ঝুড়ি ৷ আবার তুমি ঘুম পাড়াবে বাংলা ভাষার সুরে কি এসে যায় আমার থাকা কিংবা যাওয়া দূরে? ফিরল খোকা অনেক রাতে পলাশ রাঙা দেহে সঙ্গে এলো কথার ঝুড়ি রক্ত নদী বেয়ে ৷ ঝাপসা চোখে তাকিয়ে দেখে বাংলা ভাষার মা শবের পাশে ফুল নয় তো,.. যেন হাজার বর্ণ জমা! ভাষার শরীর শান্ত হলো, মিঠলো ঠোঁটের জ্বালা উঠোন জুড়ে খেলছে

কবিতা ।। মাতৃভাষা ।। তরুণ মান্না

ছবি
     এপারে বাংলা,ওপারে বাংলা    মধ্যে কাঁটাতার ,    দেশ কখনো ভাগ হয় না    একই ভাষা যার।    এপারে দাদা,ওপারে ভাই         মধ্যিখানে দেওয়াল,    দুজনার হৃদয়ে প্রবাহিত     রক্তের রঙ লাল।    এপারে অ-আ,ওপারে অ-আ    তবুও ভেদাভেদ,    মাকে কেটে ভাগ করেছি    জীবন জুড়ে ক্লেদ।    যার কোলে জন্ম নিলাম    সে তো মাতৃভূমি-মা,    আর যে মুখে ভাষা দিল    সেও কি নয় মা ?    শোক-দুঃখ সকল আবেগ    যে ভাষাতে ফোটে,    সে-ই তো মাতৃভাষা     জননী হয়ে ওঠে।            -------------------------------      Tarun Manna.    Vill : Khandalia.    P.O. : Kalatalahat.    Dist : South 24parganas.    PIN : 743504.     M.NO : 9732035536                 9851648323.    Email : mina.tarun.manna@gmail.com

কবিতা ।। বর্ণপরিচয় ।। হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
      ১ রোদের কাছে কিছুটা রঙ পাওয়ার পর আমাদের ক্যানভাসের শ্যাওলায়  আগুন আগুন ক্ষীণ একটা নদী দেখা যায় অনেকদিন পর ধানের জমিতে গোছ এলে তাকে বর্ণপরিচয় বলে । ২ বেদনার শরীরে বাঁকের মুখে যে তালগাছ দাঁড়িয়ে আছে ঝড়ের লিপি তার যে মেরুদণ্ড এঁকে দেয় তাকে বর্ণপরিচয় বলে । ৩ মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পর অনেক রাতে চাঁদ ওঠে রান্নাঘরে খুব একচোট হৈ চৈ হওয়ার পর জানলা দিয়ে দু'একজন হাসি মুখ বাড়িয়ে দিলে তাকে বর্ণপরিচয় বলে । ৪ ভাতের যন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে লাইন ধরে হেঁটে চলে অগণন পা বুকে পেটে কাঁধে ছানাদের চোখ চেনা গেলে তাকে বর্ণপরিচয় বলে । *************************   হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ময়নাডাঙা ( আশ্রয় অ্যাপার্টমেন্ট ) পোঃ --- চুঁচুড়া. আর. এস. জেলা --- হুগলী পিন --- ৭১২১০২ পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষ ফোন --- ৯৪৩৩৩১২৯৬২

কবিতা ।। বর্ণমালা ।। সুদীপ চৌধুরী

ছবি
  আমি তাকে দেখেছিলাম  মৃত ভাষার ভাগাড় থেকে খুঁজছিল বর্ণমালা ভাষাহীন নীরবতায় মৃত নক্ষত্রের মতো…   পরিযায়ী পাখিসব নখরে চিরে ফেলে   অক্ষর ছিন্ন হয় আমাদের ভাষা পরিচয়। ভাষাভষ্ম হতে যদি, আহা! ফিনিক্স  জীবন হয় তবে 'মা' বলে আবার ডাকব তোমায়। বর্ণমালা, আমার সাধের উচ্চারণ।    ======================      সুদীপ চৌধুরী শিলিগুড়ি  ৮০০১৩৯১৬৮২

কবিতা ।। বাংলা মায়ের প্রাণের ভাষা ।। সুব্রত চৌধুরী

ছবি
বাংলা   সবার   প্রাণের   ভাষা   বাংলা   সবার   বুকে বাংলা   সবার   মাথার  ' পরে   সবার   সুখে   দু ' খে। বাংলা   খোকার  ' মা ' ' মা '  ডাকে ,  হাসি - খুশি   কান্নায়   বাংলা   খোকার   হাতে   খড়ির   হীরে  - মোতি  - পান্নায়। বাংলা   নদীর   কুলকুল   রবে   ছোটে   সাগর   পানে বাংলা   পাখির   কুজনে   আর   ছিন্ন   বীণার   তানে। বাংলা   বাউলের   একতারাতে     সুরে   সুরে   বাজে বর্ণমালার   মালা   পরে   শহীদ   মিনার   সাজে। বাংলা   মুক্তির   মাথার  ' পরে   বাংলা   মুক্তির   বুকে বাংলা   মায়ের   ডাকে   মুক্তি   শত্রু   সেনা   রুখে। বাংলা   সবার   প্রানের   ভাষা   রবি   সেরার   সেরা দুখু   আমার   বিদ্রোহী   বীর   ভাঙ্গে   বাধার   বেড়া। সাতই   মার্চে     বঙ্গবন্ধু   মায়ের   ভাষায়   হাঁকে নতুন   দেশের   ছবি   মুক্তি     মানসপটে   আঁকে। বাংলা   মায়ের   প্রানের   ভাষায়   বিজয়   আসে   দেশে ' আমার   সোনার   বাংলা '  গানে   ফেরে   জয়ীর   বেশে। ——————————————————                 সুব্রত চৌধুরী, ৫৪৮ নর্থ এলবরন এভিনিউ    আটলান্টিক সিটি, নিউ জারসি-০৮৪০১    যুক্তরাষট্র

একুশের কবিতাগুচ্ছ ।। বিচিত্র কুমার

ছবি
একুশের গান একুশ এলেই মনে পড়ে বর্ণমালার গান, ভাষার প্রতি শহীদ ভাইদের কী নিদারুণ টান। ভাষার দাবিতে রাজ পথে দিলো যারা তাজা প্রাণ, তাদের রক্তে লেখা হলো বাংলা অভিধান। মায়ের মুখের মাতৃভাষা পেলো স্বাধীনতা, একুশ এলেই পুষ্প শয্যায় জানাই কৃতজ্ঞতা। জীবন দিয়ে রেখে গেল যারা মাতৃভাষার মান, সেই শোকেতে গাই আমরা একুশের গান। বাংলা ভাষার উপাখ্যান মায়ের মুখে শুনেছি আমাদের বাংলা ভাষার উপাখ্যান, ঊনিশ'শ বাহান্নর আগে ছিলো না এই মাতৃভাষার এত সম্মান। শুনছিলাম ভিনদেশিদের ভাষাই বলে বলতে হবে আমাদের কথা, এই খবরে পর্ব বাংলার ছেলেদের ভীষণ মাথা ব্যথা। ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেরা সব গেল রাজ পথে, স্লোগান মিছিল চলে দিকেদিকে "রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই"এই শপথে। ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ মিছিল মিটিং সব নিষিদ্ধ, রফিক শফিক বরকত জব্বার সহ হলো আরো অনেকে গুলিবিদ্ধ। প্রতিবাদের ঝড় উঠে সমগ্র বাংলা জুড়ে, স্বীকৃতি পায় বাংলাভাষা আমাদের ঘরে ঘরে।   একুশের চেতনা একুশ আমাদের জাগ্রত চেতনা এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা, একুশ মায়ের দুঃখ বেদনা একটি জাতির উদ্দীপনা।

কবিতা ।। আমার মাতৃভাষা বাংলা ।। সুবীর ঘোষ

ছবি
আমার মাতৃভাষা বাংলা           সুবীর ঘোষ     প্রথম যখন ভাষা উঠল আমার দুটি নরম ঠোঁটে সেই থেকে তার সঙ্গে আমার শহীদ জীবন বৃন্তে ফোটে ।   ঘর সংসার শিশুর কান্না অসাবধানী প্রেম মহরৎ আমার ভাষা শেখায় যত্নে শালীনতার সব সহবৎ ।   কারখানাতে যন্ত্র ঘোরে একঘেয়েমি ছন্দে তালে তার মধ্যেও আমি জড়াই আমার ভাষার মুক্তিজালে ।   নদীর বুকে নৌকো যখন উড়তে থাকে হাওয়ায় হাওয়ায় আমি আমার মাতৃভাষার স্পর্শ দেখি সেই সে যাওয়ায় ।         সুবীর ঘোষ ৩০১ আশ্রয় এ্যাপার্টমেন্ট গ্রুপ হাউসিং , বিধাননগর দুর্গাপুর—৭১৩২১২ চলভাষ—৯৯৩২৬৪০৯৪৯  

কবিতা ।। বাংলা ভাষা ।। শুভাশিস দাশ

ছবি
কৃষ্ণচূড়া পলাশ রাঙা ফাগুনে দিন এলে বাংলা ভাষার বর্ণমালা বিশ্বে মাথা তোলে।   এই ভাষারই জন্য কত প্রাণ গিয়েছে চলে বুক ফেটে যায় বাংলা মায়ের তাইতো একুশ এলে ।   গর্ব তবু বাংলা ভাষার গর্ব বাংলা মায়ের বুকের রক্ত যায়নি বৃথা আমার শহীদ ভায়ের।   ==============    শুভাশিস দাশ দিনহাটা মো 9932966949

কবিতা ।। বাংলাভাষা তোমাকে ।। সুমনা ভট্টাচার্য্য

ছবি
  স্মৃতির হাতে বেঁধেছো যে রুমাল শব্দে গাঁথো দিনশেষের সে শোক টেবিলজুড়ে মন কেমনের যে জাল মুখরতা সে তোমার নামে হোক   শেকড়ের টান চিনিয়ে দাও তুমি - ছাতিম গন্ধে অস্থিরতার চাবুক  অক্ষরে মন বাড়ায় সালতামা মি তোমায় ছুঁয়ে আনমনা যে চিবুক ।   তোমার ক্ষত চিনেছিলো যারা তাদের বুকে শহীদ সংক্রমণ - আমদের পথ আজও দিশেহারা তাদের থেকে কিনছি সে দিনযাপন...   নোটপ্যাড চেনে বিষাদের দরবারি অকুণ্ঠতা ও আয়নার শিরোনাম - যে মোহনায় সে ঢেউয়ের ঘরবাড়ি- তার ঢেউ জলে নেভায় কেউ যন্ত্রণা ...   গেরস্থালী শস্যগন্ধে আবাদ যে নদীচর উর্বরতা রই চাষ তারই কাছে নতজানু বারবার তার কাছে হাত বাড়িয়ে নিই আশ্বাস...                 --------------------    সুমনা ভট্টাচার্য্য,বারাসাত

কবিতা ।। একুশে ফেব্রুয়ারি ।। জীবনকুমার সরকার

ছবি
এক একটা একুশ আসে, আর  আমরা তখনই গা ঝাড়া দিয়ে উঠি  চারপাশে হুল্লোড়  মঞ্চে ওঠার হুড়োহুড়ি  যে আগে বক্তৃতা রাখি  আসলে একুশের চেয়ে আমরা ওটাই ভালো জানি।  এসব দেখে দেখে চোখে নামে অবসাদ ছেলেমেয়ে সব ইংলিশ মিডিয়াম, অথচ  আমরা সবাই একদিনের একুশে ফেব্রুয়ারি।  কত দিন, কত দিন, কত দিন এভাবে  একুশ বাঁচিয়ে রাখা যায়?  তবুও একুশ ফিরে ফিরে আসে আর আমাদের কিছু ঋণ মনে করায় । আমরা তো বাংলাভাষী  তাই আমরা এখন জীবন্ত লাশ  বাঙালির একুশ থাকলেও  ঘরে ঘরে মৃত্যুর উৎসব।  ================= জীবনকুমার সরকার পরশপাথর অ্যাপার্টমেন্ট, ৩ নং গভঃ কলোনী ইংরেজ বাজার, মালদা-- ৭৩২১০১। ই-মেল : shabdabhaash@gmai.com  

কবিতা ।। লড়াই থাকবে জারি ।। নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত

ছবি
যে রাজপথ কান্নায় আর রক্তে লাল ভোলেনি তো সে ফেব্রুয়ারির একটি দিন ক্ষোভে বিক্ষোভে চিহ্নিত ক্লিন্ন গাল। বুকের আগুনে পতাকায় লাগে রক্ত ছোপ রক্তের ঘ্রাণে আজো ভরপুর শিক্ষালয় বলছে : হে শাসক, ধর্মের দিও না টোপ। আপন মায়ের মুখের ভাষা যেমনি হোক তার চেয়ে মধুর নেই কিছু বিশ্বময় সে ভাষাই হোক রাষ্ট্রভাষা চেয়েছে লোক। রক্ত পতাকা। আঁকা হয় তাতে মৌনমুখ শুনছ না তাতে বিশ্বাসের কণ্ঠস্বর?  এখনো কি দ্বিধা? কোথায় পাবে স্বর্গসুখ?  যারা ঢাকার রাজপথে বা বরাকে আসামে মাতৃভাষার সংগত  ন্যায্য দাবিতে  প্রাণ দিল একুশে ফেব্রুয়ারি ঊনিশে মে তাদের আমরা ভুলব কি? টানব কি দাঁড়ি  লড়াই আন্দোলনে?না, না। ভাষার দাবিতে   চিরকাল আমাদের লড়াই থাকবে জারি।    ****************************** Nripendranath Mahanta  Vill.& Post-HEMTABAD District :-Uttar Dinajpur PIN-733130  Mobile No. -8918861003

কবিতা ।। প্রাণের ভাষা ।। সাইফুল ইসলাম

ছবি
বাংলা ভাষার মধূর সুরে                 যাচ্ছে বাউল পথে, মন মেতেছে সুরের ভেলায়                 একতারাটি হাতে।  ঢেউয়ের তালে নৌকা দুলে                 যায় যে মাঝি দূর, কন্ঠে তাহার বাংলা ভাষার                  ভাটিয়ালি সুর।  বাংলা আমার প্রাণের ভাষা                  বাংলা আমার মা, পল্লীগীতি-লোকগীতি                  কিংবা টুসু গা।  কোথায় আছে এমন ভাষায়                   প্রাণ জুড়ানো গান,  গরমকালে শীতল সমীর                   যেমন জুড়ায় প্রাণ।  সেলাম তোমায় অমর শহীদ                   বাংলা ভাষার লাগি, রফিক,সালাম,জব্বার,বরকত                    উঠেছিলেন জাগি।    -------------------------------------       সাইফুল ইসলাম গ্রাম-বর্দ্ধন পাড়া ডাকঘর-পঞ্চহর জেলা-বীরভূম ফোন-৯৬৪১৭৭০০১৯

কবিতা ।। একুশে ফেব্রুয়ারি ।। তপন তরফদার

ছবি
  একুশে ফ্রেবুয়ারি সার্থক না হলে,  মানুষ ভুলে যেত বাংলার কথকতা-- পৃথিবীর আলোয় প্রচার হতো না রবি কাব্যের প্রয়োজনীয়তাও মাধুর্যতা। একুশে ফ্রেবয়ারি সার্থক না হলে  যুদ্ধ হতোই পড়শী ভায়ে ভায়ে প্রাদেশিকতার ঘোর  নির্মম আঘাতে এতদিনে অবশ্যই লুপ্ত হত বাংলা বর্ণমালা--- একুশে ফেব্রুয়ারি সফল না হলে ইয়াঙ্কী কালচারে মগজ যেত ভরে আমদানি করতো অশ্রাব্য সৃষ্টি  হারিয়ে যেত, বাংলার লোকসংস্কৃতি একুশে ফেব্রুয়ারি সফল না হলে     বিদেশি ভাষায় দেশ যেত ভেসে  চারিধারে ঝুলতো  নগ্ন নায়িকার ছবি      বাংলা হয়ে যেত  মহেঞ্জাদারোর জুড়ি ।  একুশে ফেব্রুয়ারি সফল না হলে, থাকতো না কোনো মনের ভাষা ধরণী র ধূলায় লুন্ঠিত হতো আরো  অনেক অনেক মধুর মিষ্টি মাতৃভাষা।   =========================   তপন তরফদার, প্রেমবাজার (আই আই টি) খড়্গপুর।                 ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ 9434077490

কবিতা ।। বাংলা ভাষার অফুরান শর ।। কান্তিলাল দাস

ছবি
আর নয় বাঁচা প্রাণভয় নিয়ে সেদিন শেখালে সখা রক্তলিখনে রয়েছে সাক্ষী বরাক উপত্যকা। ভাষা এক অধিকার-- উদ্গত ধ্বনি দীপ্র প্রকাশে জেগে ওঠে বারবার ! ভাষা এক আশা শেখায় মনন, ঝড় তোলা প্রতিবাদ যদিও শত্রু গূঢ় অভিপ্রায়ে পেতেছে, পাতবে ফাঁদ! # বন্ধু জেনো এ বন্ধুর পথে বিপদের বীজ বোনা বাংলা ভাষার অসীম শক্তি , অমিত সম্ভাবনা-- যদি রাখি চেপে, বরাক শহীদ সেদিন হারাবে মান লেখনীতে ধার দিয়েছ বন্ধু ? লেখা হোক খরশান ! সমুখে অনেক পথ আছে বাকি, ভাষা হোক সেতু, খেয়া নিবিড় নিকট করে দিক ভাষা, আরো হোক দেয়া-নেয়া । # জ্ঞান যদি আলো, ভাষা তো জ্বালানি, কবে যে বুঝবো ভাই দারুন শৈত্যে জরজর যারা তাদের তো তাপ চাই ! বাহুবল দিয়ে দমাতে চাইবে জানবেই কিছু লোক অমৃতপাত্র বিষে ভরা বলে পাকাবে রক্ত-চোখ। যে বিষে তাদের ঘনাবে মরণ সে-বিষ তাদের দাও বরাক-শহীদ দিলো অধিকার, ঋজু হাঁটো, সোজা যাও । # বঙ্কিম ভুরু হিংস্র চোখ মানুষেরা রাখো শুনে বাংলা ভাষার অফুরান শর রয়েছে এখনো তূণে ! ............ কান্তিলাল দাস কিস্মৎ অপূর্বপুর ডাক - সিঙ্গুর জেলা- হুগলি ডাক সূচক : ৭১২ ৪০৯ দূরভাষ : ৮৭৭৭৬৩৯৭৭০

কবিতা ।। বাংলা ভাষা ।। মানস চক্রবর্তী

ছবি
   ভাষার জন্য রক্ত ঝরলো একুশে ফেব্রুয়ারি তোমরাই বলো সেই সব কথা কেউ কি ভুলতে পারি! রবি- নজরুল বাংলার  ফুল সদাই আছে  তাজা বাংলা ভাষা এই জগতের সকল ভাষার রাজা । বাংলা ভাষা মিষ্টি খাসা বাংলা সুবোধ -জয় সৈনিক আমি বাংলা ভাষার কাউকে করি না ভয়। -----------------     মানস চক্রবর্তী সম্পাদক- প্রেরণা উত্তর বাওয়ালী, নোদাখালী, কলকাতা -137 মোবাইল নম্বর -9433662200

কবিতা ।। "অমর একুশ" কে মনে রেখে ।। সঞ্জীব সেন

ছবি
  সজনে গাছের ফাঁক দিয়ে রোদ এসে পরেছে দূর হতে ভেসে আসছে প্রভাতফেরীর গাওয়া  সেই গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো  একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলতে পারি ওরা আজ  শহীদের বেদিতে সম্মান জানাবে সারাদিন বিষাদপ্রাঙ্গন বিষাদগানে ভরে উঠবে ওই তো সালামার ভাই রফিকের মেয়ে, ওরা কি জানে  ১৯৫২ সাল,২১ফেব্রুয়ারি  ঢাকার রাজপথে শহীদের রক্ত মিশেছিল পলাশের রঙে প্রভাতফেরী আমাকেও সঙ্গে নিও প্রাণের ভাষা বাঙলা  ভাষা আমিও বেদিতে রাখবো রক্তিম পলাশফুল । বাঙ্গলা ভাষা আমারও প্রাণের ভাষা । =============== সঞ্জীব সেন পানিহাটি গৌরাঙ্গ ঘাট রোড পোস্ট পানিহাটি কলকাতা114 7980188285

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪