পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। বসন্তের রঙ ।। অমিত পাল

ছবি
বসন্তের রঙ     অমিত পাল আজ আকাশে খুশির হাওয়ার নাচ রঙ ছড়িয়ে দিল হঠাৎ কে যে! শিমূল পলাশ ভরিয়েছে সব গাছ চারপাশ আজ উঠল কেন সেজে! রঙ কি শুধু গাছের পাতায় পাতায় সেই রঙে কি হয়নি রঙিন মন? ঢুকছে না তো কিছুই আমার মাথায় গুনগুনে গান গাইছি সারাক্ষণ! এ কোন খেলা চলছে চারিদিকে ককিল ডাকে কুহু কুহু সুর অন্যরকম লাগছে পৃথিবীকে রঙ ছড়িয়ে দিচ্ছে যে রোদ্দুর। আর কিছু নয় ফাগুন সারা বেলা বসন্ত তার ডালি উজাড় ক'রে খেলছে বসে রঙিন করার খেলা আমরাও তাই নিলাম হৃদয় ভরে। ____________________________________________________ পরিচিতিঃ নামঃ অমিত পাল পেশাঃ শিক্ষকতা ঠিকানাঃ C/o ANIL KUMAR PAL (NEAR GAYALAL BOYS SCHOOL) P.O: DEBINAGAR, RAIGANJ DIST : UTTAR DINAJPUR WEST BENGAL, INDIA PIN : 733123          মোবাইল নংঃ 0919475105375 / 0917001086182          ইমেলঃ amitpal0809@gmail.com ____________________________________________________ লেখা প্রকাশিত হয়েছেঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, বর্তমান, উত্তরবঙ্গ সংবাদ, আজকাল, শারদীয়া তথ্যকেন্দ্র, এখন ডুয়ার্স, প্রমা, ভবিষ্য

কবিতা ।। ভোট কড়চা ।। অচিন্ত্য কুমার ধাড়া

ছবি
          ভোট কড়চা  অচিন্ত্য কুমার ধাড়া ছোঁয়াচে এক রোগ  লেগেছে                          রাজনৈতিক দলে , ভোটের দোরেই এ দল ও দল                        কতই না কৌশলে।  বঙ্গ  ভূমে রঙ্গ চলছে                 দল বদলের পালা,  কত ব্যঙ্গ দেখাবে আর                ভোটার দের জ্বালা।   দেশ প্রেমের হুড়োহুড়ি                  ছোট বড় নেতার , বানিয়ে দেবে স্বর্গ রাজ্য                   টিকিট পেলে এবার।  যখন নেতা পেয়ারা ডালে                    খুশি ছিল অপার,  ভাঙার আগেই বলা শুরু                      গাছটি ছিল অসার । তেঁতুল ডালে বসল গিয়ে                      বুকে আশা নিয়ে,  ফলগুলি কী টক !                     নিলাম মুখ ফিরিয়ে।  দেশ সেবা করার লাগি                      প্রাণ করে আঁই ডাঁই,  অন্য কাজে বৃথা সময়                       এমন মজা নাই।  এ দলে নেতা, বি দলে ও সেই                        চলছে আজ কাল, জনগনের কপালে ভাঁজ                        ভাবনা চির কাল।  ভোট ভিক্ষা বড় ভিক্ষা                        শিরোপা পায় তাই , পেটের জ্বালায় দু:খির ভিক্ষা য়                       লাজের কিছু নাই।  ভোটের দাম চড়ে গেল       

কবিতা ।। রঙের খেলা ।। সুমিত মোদক

ছবি
  মানুষ রেঙে উঠবে সুমিত মোদক একটা নয় , দুটো নয় , সাত সাতটা রঙ নিয়ে খেলা করে ঈশ্বর ; সাত সাতটা রঙ … আর , তারই সৃষ্টি মানুষ , এক একটা রঙ নিয়ে করে ফেলছে রক্তারক্তি ; বসন্ত এলে শ্রীকৃষ্ণ আবির রাঙিয়ে দিতে পারে শ্রীরাধিকার গালে ; সখিরাও রেঙে ওঠে ; রেঙে ওঠে পুরুষ ও প্রকৃতি ; বসন্ত আসে … অথচ , মানুষের মনে বসন্ত-রঙ বিবর্ণ হয়ে গেছে ; চারিদিকে কেবল মৌনতা বিরাজ করে ; পুরুষ প্রকৃতি হতে ভুলে গেছে , প্রকৃতি পুরুষ হতে … পড়ে আছে একটা শূন্যতা নিয়ে পূর্বপুরুষের নাটমন্দির ; খসেখসে পড়ে পলেস্তরা ; ঠিক যেনো মানব সভ্যতার  মতো ; গঙ্গা পাড়ে এখন অন্ধকার ; যমুনা পাড়ে , পদ্মা পাড়েও … তবুও তো নদীতে নৌকা ভাসে ,  ভাসে মাঝি-মল্লারের গান ; জ্বলে লণ্ঠনের আলো ; শ্রীরাধিকা যমুনায় ভাসিয়ে দিতে পারে শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি ; তা বলে আবির রাঙা হবে না হয় ! যে মানুষের কানে ভেসে আসে মাঝি-মল্লারের গান , যে মানুষের চোখে ভাসে নদীর বুকের আলো , সে মানুষ যে , রেঙে উঠবে আবিরে আবিরে , বসন্ত রঙে ; আর ঈশ্বর মাখে বসন্তের সাত সাতটা রঙ ।

কবিতা ।। রঙ ।। অসীম মালিক

ছবি
  রঙ অসীম মালিক ধুয়ে গেছে সব রঙ মুছে গেছে জলের শরীরে। জলহীন নদীমন ফিকে দ্যাখো বুক চিড়ে। মর্মে না লাগলে রঙ রাঙে কি মন? জালিকথা সময়ের ডাক রঙিন পলাশবন। যতখুশি রঙ দাও পাহাড়ের মুখে। ফুটবে না পলাশ শিমুল মাটিহীন বুকে। নদীও কিশোরী হয় বৃষ্টি ও মেঘের ডাকে। চেয়ারের যত রঙ তুলে দিও মাকে। কোন রঙের কি মানে জানে কেবল মা। রাস্তায় মানুষ কই ! সব দেখি জামা। -------------------------------------   Asim Malik Village -Sitalpur,PO.-Arandi, P.S.-Arambagh,Dist-Hooghly, Pin Code No.-712413, West Bengal, India, Mo.-9593504996

কবিতা।। রঙের খেলা ।। নীলমাধব প্রামাণিক

ছবি
   রঙের খেলা        নীলমাধব প্রামাণিক  চারদিকে তে রঙের খেলায়  বদলে গেছে ভোল,  রঙ ফোটালো শিমুল পলাশ  রঙিন হলো দোল  । বর্ষ শেষের মন মাতানো  এমন ফাগুন কালে,  কে যেন এই প্রকৃতিতে  অজস্র রঙ ঢালে  । রঙ ছড়ানো চারিদিকে  নানান ফুলে ফুলে,  রঙের ছোঁয়ায় হৃদয় ও মন সত্যি ওঠে দুলে । মনে মনে রঙ ধরানোর  এ কারসাজি কার,  জানিনা ঠিক তাই এখানে  নিচ্ছি মেনে হার  ।   =============              ঠিকানা  নাম -নীলমাধব প্রামাণিক, মাধবনগর ডাক -পূর্ব চাঁদপুর, মন্দির বাজার  দক্ষিণ 24 পরগনা  পিন কোড -743336  পশ্চিমবঙ্গ,    ভারত 

কবিতা ।। সম্পর্কের নাম শেষের কবিতা ।। সঞ্জীব সেন

ছবি
সম্পর্কের নাম শেষের কবিতা   সঞ্জীব সেন   এক উইক এন্ডে বেড়াতে এসেছি অযোধ্যা পাহাড় হোটেল হিল ইন এর ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দেখছি পাশে পলাশের বন বীথিকা নেক লাইন দিয়ে ঢুকে পরেছে কালো মেঘ চৈত্রের প্রথম কালবৈশাখী লালধুলো চোখে মুখে একাকার তখনই দেখলাম মেয়েকে সামলাছে একহাতে ত্রস্ত আঁচল অন্যহাতে মেয়ে যুবতী বেলার বিকেল তবু যেন বাইশের যুবতী এস্ট্রনট ঠিক বলেছে চাঁদ ভুল করে এসে পড়েছে পৃথিবীর জীবনে আমিও তাই তবু যেকটা দিন ছিল,রঙেরঙে রাঙিয়ে দিয়ে গিয়েছিল জীবন দোলের দিন  রঙ মাখাতে গিয়ে বলেছিল "কিছু সম্পর্কের নাম জন্মদাগ আর কিছু সম্পর্কের নাম দিতে নেই, ইথার তরঙ্গে বেঁচে থাকে বৃষ্টি শুরু হল হোটেলের ব্যালকনি দিয়ে দেখলাম চলে যেতে আমি এই সম্পর্কের নাম দিয়েছিলাম "শেষের কবিতা" যদি কোন দিন দেখা হয় একান্তে সেদিন বলব, ভুল দিয়েছি নামটা। দুই সামনে যতই বলি ভাঙিনি ভিতরে তো পাশাপাশি কান্না আর তুমি যেমন ব্যাথার গায়ে কবিতা ভেঙে তো পড়তামই,  ভরসা দিলেন তিনি যাঁর জীবন জুড়ে প্রেম অসম্ভবের ক্রাচে ভর দিয়েই আসে সম্ভবনা তাই তো আজ সাহস করে বলতে পারি   "রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার যা

কবিতা ।। রঙের খেলায় জীবন ।। পলাশ পোড়েল

ছবি
  রঙের খেলায় জীবন পলাশ পোড়েল   রঙের দাগ পড়ে ভাসছে ক্যানভাসে মেয়ে সেই চোখে জলছবি     বাতায়ন খিদে নিয়ে। ঢেউ ভেঙে ছিপ ফেলে শরীর জ্যোৎস্নার আলোয় সঙ্গমের মুগ্ধ নেশায় নিত্যদিন নিজেকে বিকায়। স্বপ্ন নদী হতে গিয়ে ভুলভুলাইয়া... জড়িয়েছিল কাকে?  হাত ফেরি হয় রাতপরী। রঙ আর টানে না তাকে। কড়ি কাঠে ঘুণ ধরে    সাদামাটা জীবনের রঙ আয় আয় আশমানী কবুতর... রঙ মেখে সাজি সঙ।    ----------  পলাশ পোড়েল   কুলডাঙা,  হাওড়া-৭১১৩০২

কবিতা ।। বসন্ত এলে ।। মানস চক্রবর্ত্তী

ছবি
বসন্ত এলে  মানস চক্রবর্ত্তী  বসন্ত এলে মনে পড়ে  জঙ্গলের দিনরাত্রি ,  মনে পড়ে আমিও প্রেমিক ছিলাম  স্পর্শের অনুভূতি তোমাকে দিয়েছিলাম |  বসন্ত এলে মনে পড়ে  হলুদ বিকেলে গোধূলি স্নান  পলাশের ডালে লিখে রাখা তোমার নাম |   বসন্ত এলে মনে পড়ে  ফাগুনের মাস একদিন ছিল বারোমাস  একদিন ছিল কবিতার চাষবাস  রাত্রিবেলায় ছিল পাশাপাশি বসবাস |  এখন ফাগুনের মাসে শুধু মনে আসে  মানুষের দেশে , মানুষের বেশে  আমি কি ফিরব অবশেষে ?  -------------------------------------       মানস চক্রবর্ত্তী  সাহাপুর , নিকুঞ্জপুর , বাঁকুড়া  মোবাইল : ৯০৬৪৪৬৮৫৭০

কবিতা ।। বসন্তের গান ।। অঞ্জনা দেব রায়

ছবি
বসন্তের গান  অঞ্জনা দেব রায় যে গাছটিতে বহুদিন ধরে পাতা আসেনি শুধু একবার তার নিচে এসে কিছুক্ষণ বসো তাকে সোনালী আলোয় সবুজের কথা শোনাও। মনে করে দেখো গাছটি একদিন সবুজে সবুজে আলপনা দিয়েছিল শাখা-প্রশাখায় সুরে সুরে ডেকেছিল পাখিরা চাঁদের আলোয় ঝলমল করে উঠেছিল মাঠের ফসল  চরকা কাটা বুড়ির সুতোর টানে  বেজে উঠেছিলো জীবনের জয়গান । রুক্ষ শুষ্ক বাতাসে ক্ষীণ হতে হতে   কি করে যে মিলিয়ে গেছে তা জানি না , গাছটির কাছে এসে যদি পারো  শুনিয়ে যাও বসন্তের গান আশা জাগাও ওর রুক্ষ-শুস্ক প্রাণে  বসন্ত এলে সেও হয়ে যাবে প্রাণোচ্ছল , বহুদিন তার ডালে সবুজের উৎসব হয়নি । ------------    অঞ্জনা দেব রায়   ৫৫৩, পি মজুমদার রোড, কলকাতা - ৭৮    

ছড়া ।। দোল ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

ছবি
   দোল  রঞ্জন কুমার মণ্ডল বসন্তে মন হয় উচাটন                শীত গিয়েছে সরে দোদুল দোলা,রঙের খেলা                দোল এসেছে দ্বারে। কৃষ্ণচূড়া,পলাশ হাসে                হরেক রঙের হাসি রঙের ছটা, দোলের ঘটা                    মন বসন্তে খুশি। বসন্তদূত, বড়ো অদ্ভূত                     মিষ্টি কুহু তানে রঙ বসন্তে কোন অজান্তে         'দোল' ছোয়াঁ দেয় প্রাণে। অশোক ফুল,হাসে শিমুল                মনে জাগে হিল্লোল হৃদয়ে দোলা,আবির খেলা            দোলা দিয়ে যায় 'দোল'। পিচকারি রঙ,সবাই তো সঙ                 মনেতে ফাগুন মাস গোকুলেশ্বরী বাজায় বাঁশরি                   বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। বসন্তে দোল,জাগে হিন্দোল                    বছর ঘুরেই আসে পুলক জাগে,হৃদয় বাগে                   মন খুশিতেই ভাসে।                     ---------------   সারাঙ্গাবাদ,মহেশতলা দক্ষিণ ২৪  পরগণা। পঃবঃ কোলকাতা- 700137 

ছড়া ।। চোখের জল ।। রঞ্জিত বিশ্বাস

ছবি
চোখের জল রঞ্জিত বিশ্বাস জিততে ভোট করছে জোট নেতারা মিলেজুলে, সকল কাজ হবে শীঘ্র রবে না আর ঝুলে। ভোটের টানে যাচ্ছে ডানে কেউবা আসে বামে, ভোটে দাঁড়াতে কেউ আবার অনেক নীচে নামে। ভোটের মুখে নেতার বুকে জমছে বহু আশা, জিতলে ভোটে পাঁচ বছর কামায় হবে খাশা। অনেক ভেবে ভাষণ দেবে নেতা গরম কিছু, স্বর্গ যেন গড়বে তারা সবার ঘরের পিছু। ভোটের নেশা কারোর পেশা অনেক করে ছল, হতাশ হয়ে জনতা শুধু ফেলে চোখের জল। --------------     রঞ্জিত বিশ্বাস  চাঁদপুর, নদীয়া ফোন নং 7908074219

কবিতা ।। খেলা হবে ।। রীতা রায়

ছবি
খেলা হবে রীতা রায় তখনও খেলা হতো.. রঙ খেলা পিচকারি হাতে ছোটরা মেতে উঠতো রঙ খেলায় লাল নীল সবুজ হলুদে জামা কাপড় সাতরঙা ! বেলুনে রঙ ভরে ছুঁড়ে দিতো এর ওর বাড়ির ছাদে অথবা ছাদ থেকে রাস্তার পথ চলতি লোকের গায়ে সূর্যছটার মতো ছড়িয়ে পড়তো উঠোনে, রাস্তায়.. দেওয়ালের গায়ে রঙের আঁকিবুকি চিহ্ন.. প্রমান দিতো খেলা হয়েছিল.. রঙ খেলা..  | পাড়ার ছেলেরা প্রাচীর টপকে বাড়িতে ঢুকে রাঙা হাতে রাঙিয়ে দিত পাড়াতুতো বৌদিদের, কেউ বা দৌড়ে ঘরের দরজায় তুলে দিতো শিকলি | যদিও রেহাই মিলতো না নাছোড় কৌশলীদের থেকে কালিমাখা মুখে হাতে সোনালী-রূপোলী ঝিলিক.. রঙের বিনিময়ে মালপোয়া কচুরি ডালপুরীর আস্বাদের পরিতৃপ্তিতা মাখানো খুশির সমারোহ | বিকেলের বাতাসে সুগন্ধিত গোলাপী আভা আবীরে আবীরে রাঙা গুরুজনদের পায়ের চিহ্ন শিশুর উচ্ছ্বল মুখ, মেয়েদের সিঁথি-বিনুনী ! রাঙা ভূতের দল.. পথে কোলাহল.. হাস্য কলরোল  বিহারী কুলিদের নগর কীর্তনের ঝঙ্কারে মাতোয়ারা ভোজপুরি হোলির গানের বোল জাগিয়ে রাখতো রাতের সুষুপ্ত অন্ধকারকে ! পরদিন.. তার পরদিন ..পরের পরদিন বাড়ি বাড়ি আত্মীয়সুখে জমে উঠতো রঙের খেলা সবাই বলতো .. দোল আসছে ..খেলা হবে হোলি খেলা, আত্মীয়তার রঙে রেঙে ওঠার

কবিতা ।। বসন্ত রাগ ।। লাবণী পাল

ছবি
             বসন্ত রাগ                  লাবণী পাল ভিনদেশী ঝড়, অগোছালো ঘর, সাজি ভরে ফুল তুলছে। রঙের দোয়াত, আলো মাখা হাত, হলুদের ঘ্রাণে মাতছে।           এলোচুল মেয়ে লাজে রাঙা হয়            চুপি চুপি ডাকে নূপুরের লয় মহুয়ার বনে, কে যে এককোণে, বাঁশি নিয়ে ঠোঁটে ডাকছে। পলাশের দিন, আগুনের বীণ সুরে সুরে ঐ বাজছে। একলা বাতাস থমকেছে আজ, কান পেতে গান শুনছে।             অশোক, শিমুল হেসে গলে যায়             চেনা বৌকথা গান গেয়ে যায় আকুলি বিকুলি, হৃদয়ের গলি চোরা পথে কাছে আসছে।   ঠিকানা- ধুপগুড়ি, জলপাইগুড়ি

কবিতা ।। রঙের নেশা ।। তপতী মন্ডল,

ছবি
রঙের নেশা তপতী মন্ডল পলাশের পাগল টান শিমুলের আগুন রঙ অশোক বলে মুচকি হেসে-- সুবাস আমার নাও গো এসে।  ব্যাকুল বসন্তে আকুল করে কুহুতান, হোলির রঙে মুখর আকাশ সুরভিত চারিপাশ।  বাতায়নে দাঁড়িয়ে দেখি উদ্দামতায় উদাস সাজ,  হঠাৎ আমার ভোরের স্বপন বাড়িয়ে দিল আপন হাত।  চেনা সুরের অচেনা তান হৃদয়মাঝে ঝড়তুফান,  বাঁধন ছিঁড়ে বিরহবাঁধ পরশপাথর মেটায় আশ। খুশির নেশায় মাতাল হাওয়া সোহাগ ছুঁলো  আজ,  আবির রঙে রাঙা হল ভরা পূর্ণিমার চাঁদ।।    ===============   তপতী মণ্ডল।   বন্দিপুর গোলদারপাড়া হিন্দ পার্ক, রহড়া, কোলকাতা--700118

কবিতা ।। জীবনের রঙ ।। সুজিত কুমার মালিক

ছবি
  বদলে যাচ্ছে জীবনের সংজ্ঞা, হারিয়ে যাচ্ছে রঙের সৌন্দর্য্য! ওহে রং-বিশারদগন, তোমাদের ইস্তাহারে ভাত-কাপড়ের কি রং! হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকা অসহায় রুগী কোন রঙের রক্তে প্রাণ বাঁচাবে? ফাইল বন্দী শিক্ষার মাপকাঠি! টেবিলের নীচের কালো রং সাদা করার উপায় আছে ইস্তাহারে? আবেগ মেশানো নীল রং সাদার প্রলেপে ফিকে হয়ে আসছে। যোগী গেরুয়া আচ্ছন্ন সাম্প্রদায়িক বিষে, সংগ্রামী লাল বহুবাদিতায় অস্তিত্বের সংকটে বিশ্বজুড়ে। শুধু একটা হলুদ ফুল সজ্জিত খোঁপার বাঁধনে লাজুক তারার দুস্টুমিতে বেঁচে থাকে সবুজ স্বপ্ন।   =============     সুজিত কুমার মালিক মইখন্ড, হেলান, আরামবাগ, হুগলী পিন:৭১২৪১২ মো:৯৬৩৫৪২৪৬৯২

কবিতা ।। রঙ মহল।। সুনন্দ মন্ডল

ছবি
       রঙ মহল            সুনন্দ মন্ডল রঙের ছোঁয়ায় জুড়ায় প্রাণ তপ্ত বুকের ঘরে। তোমার নুপূর বাজলে পায়ে মনটা নেচে মরে। দুঃখগুলো দূর হটে যায় তোমার হাসির রেখায়। তোমার হাতে রঙ উঠলে গালটা ভরে হোলির আভায়। তোমার আকাশ সরে গেছে কবেই তুমি হলে তারা। রংমহলটা শূন্য আজি নিঃস্ব, চারিপাশে বেড়া। যা হলো তা, ভোলা যায় না শুধুই ভাসে চোখে জল। মনটা ভেঙে কোথায় গেলে মানে না যে কোনোই ছল।           ---------$---------   সুনন্দ মন্ডল কাঠিয়া, পাইকর, বীরভূম 8637064029

কবিতা ।। চিরবসন্ত ।। বিকাশ আদক

ছবি
চিরবসন্ত বিকাশ আদক  ত্রিশটা বছর পার হলাম। শুভময়ের কথা বড্ড মনে পড়ে এসময়। শালডাঙার স্কুল মাঠের পরে রোজ বিকেলে আমার জন্য আনতো একরাশ পলাশ। খোঁপা ভরে পরিয়ে দিত খুব যত্ন করে, খুব খুশি হতাম, তাই বাধা দিতাম না কখনো। ওর দু'চোখে তখন ফাগুনের আঁচ, আমার বসন্ত বানভাসি।  আঙুল ছুঁয়ে কখন যে বনবীথি শেষ হত  জীবনানন্দের শূন্যতায়... শুভময় কখন যে মন ছুঁয়ে গেছে---! গীতবিতানের প্রতিটি পাতা জুড়ে ছুঁয়ে দেখি ওর সবকিছুকে আজ।  সপ্তসুরে মন কথা বলে, কথা বলে জীবন। কালবৈশাখীর এক অশান্ত দিনে, চারিধার ঘন আঁধার বহুদূরে গেলে চলে... বৃষ্টিস্নাত শান্ত সকালে যখন তোমায় পাব বলে  সব খুশিকে পেছনে রেখে পা বাড়ালাম, আমার সমস্ত পথ জুড়ে পড়ে আছে ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত পলাশ। এক একটা কুড়াতে কুড়াতে এগিয়ে চলেছি আজও বনবীথি ধরে... বসন্তের সব রঙ মেখে, তোমার পলাশে- আজ আমার প্রতিটা দিন তোমার রঙে রাঙিয়ে দেওয়া দোল,  শুভময়, তুমি আর বসন্ত এখন আমার অনন্য খুশি।   ____________________

কবিতা ।। ভোট ফেরি ।। সাইফুল ইসলাম

ছবি
  ভোট ফেরি সাইফুল ইসলাম ভোট এলো,দোর খোলো             ভোটারগণ জাগোরে, দরজা খুলে দেখো চেয়ে            নেতা করজোড়ে।  মায়ের কোলে ল্যাংটা শিশু            কাঁদছে ক্ষিধের জ্বালায়, নেতা তারে করছে আদর            ভোট বড় বালাই।  ডুমুরের ফুল নেতা আমার             আজকে মহান যীশু, মায়ের থেকে নিচ্ছে কেড়ে               নাক ঝড়া এক শিশু। আজকে দেখে হচ্ছে মনে               ইনিই মাসি-পিসি, ভাবটা যেন,মায়ের চেয়ে               মাসির দরদ বেশী।  জন্ম থেকেই রোগা পাতলা               আমিরুদ্দিন খুড়ো, তিরিশ বছর বয়স হলেও                আদ্যিকালের বুড়ো। নেতা গিয়ে সাথীরে কয়                 খোল ডাইরির পাতা, ভোটটা গেলেই দেবই দেব                 খুড়োর বার্ধ্যক্য ভাতা। কেহ পাবে বসত বাড়ি                  কেহ বা কলের জল, ভোটের পরে ফুড়ুৎ হলেও                  হারিয়ো না মনোবল। আবার নেতা আসবে ফিরে                  পাঁচটা বছর বাদে, তখন তোমায় সপরিবারে                   নিয়ে যাবে চাঁদে। তোমাদের নেই ছলচাতুরী                   এটা ওদের জানা, ভুরি ভুরি মিথ্যা শিখে                    দিচ্ছে দরজায় হানা।     ======================>

কবিতা ।। অন্য বসন্ত ।। সেখ মেহেবুব রহমান

ছবি
অন্য বসন্ত সেখ মেহেবুব রহমান  ভোট রাজনীতির উত্তপ্ত আবহে  এক অচেনা অজানা বসন্তের ছবি আঁকি। না, রঙ তুলি নিয়ে বড়ো কোনো ক্যানভাসে নয় বসন্তের অপরূপ স্নিগ্ধতা খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে পরা কোনো এক হতভাগ্যের হৃদয়ে। কতটাই না মূর্খ সে- গণতান্ত্রিক উৎসবে মেতে ওঠা বাঙালির জীবনে আজ কি বসন্তের প্রীতি পাওয়া যায়? যায় না, কখনই যায় না। আজ যে তারা আমরা ওরার খেলায় মেতেছে ছড়িয়েছে বিষ বাষ্প সৃষ্টি করেছে অন্য বসন্ত। শুনেছি, ঊষা কলে সে হতভাগা নাকি কান উঁচিয়ে কিছু শুনতে ব্যাকুল থাকে, মনে পড়ছে না, আমিও শুনতাম, আপনিও শুনেছেন- একটু ভাবি, হ্যাঁ মনে পড়েছে- কোকিলের কুহু কলতান, ভুলতেই বসেছি সেই মধুরতা। এতে আমাদেরই বা দোষ কোথায় আজ যে আর কুহু ডাকে বসন্তের ভোর আসে না। ঘুম ভাঙে- মাইকে দিক ফাটা আওয়াজে নেতা নেত্রীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর পারস্পরিক আক্রমনের কদর্য শব্দমালা কানে নিয়ে। গান প্রেমী বাঙালি এসবের প্রতিবাদ ভুলে গেছে মিথ্যায় নিজেকে মুড়ে আজ সেও অন্য বসন্তের শরিক হয়েছে। দুদিন আগে দেখেছি, সে হতভাগা রামধনু রঙে নিজেকে রাঙিয়ে রাস্তায় নেমেছে ছড়িয়ে দিয়েছে বাহারী আবির দিগন্ত রাঙাতে। কিন্তু হায়! সকল

কাল্পনিক সংলাপ ।। রঙের খেলা।। পারিজাত ব্যানার্জী

ছবি
  দোলের আবির ... হোলির রং   পারিজাত ব্যানার্জী আবির : চল , আজ দোল খেলে আসি গিয়ে রঙিন !  রঙিন : ভর দুপুরবেলা ! যা রোদ চারদিকে ! পুড়ে ঝামা হয়ে যাবো তো রে আবির !  আবির : তুই বড় বেশি রংহীন ! কি ভেবে যে তোর নাম ' রঙিন ' রেখেছিল কাকু কাকিমা , বুঝিনা একদম !  রঙিন : আমার নাম মোটেই আমার মা বাবা রাখেনি ! রেখেছিল ঠাকুরদা ! তাও , কারণটা ছিল বড্ড অদ্ভুত ! ঠাকুরদা তখন বাড়ির রং করাচ্ছিলেন . নাতি আসবে এই আশায় ; জন্মে গেলাম আমি ! সবাই যখন ওনাকে বলল ; " অরে বাহ্ , আপনার বাড়িতে রং করলেন , দেখুন , লক্ষ্মী এলো !" উনি বিমর্ষচিত্তে বলেছিলেন , " ভারী তো রঙিন এলি , আমার সব স্বপ্ন ভাসিয়ে দিলি !" ব্যাস , সেই থেকে ' রঙিন '! আবির : তোকে এটা কে বলল ? তোর খারাপ লাগেনি ?  রঙিন : হ্যাঁ , লেগেছিল তো ! তবে কথাটার জন্য নয় ! বাবাও যে মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ফেলত , সেটা জেনে ! আর গল্পটা কত রসিয়ে রসিয়ে বাড়ির বড়রা বলত , সেটা ভেবে .  আবির : ছেলে হয়ে কি পাকা ধানে মই দিলাম আমি ! সেই তো বেকার , ফ্যা ফ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪