পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

ভ্রমণকাহিনি ।। চাপড়ামারির জঙ্গলে ।। শংকর লাল সরকার

ছবি
চাপড়ামারির জঙ্গলে শংকর লাল সরকার   ঘন জঙ্গল , চা বাগান , নদী আর দূর দিগন্তে নীল পাহাড়ের উদ্ভাস-- সমগ্র ডুয়ার্স প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকের স্বর্গরাজ্য। অরণ্য আর চা বাগানের আনাচে কানাচে অথবা কোন নদীর ধারে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়লেই মনে হবে এটা কোন অপরূপ ট্যুরিস্ট স্পট। কটাদিন কাটানো যায় সবুজ প্রকৃতি , জানা অজানা অসংখ্য পাখি আর বন্যজন্তুদের সাহচর্যে ।               সুযোগ পেয়েছিলাম চাপড়ামারির জঙ্গলে একদিন থাকার। ১৯১৭ সালে সাহেবদের নির্মিত চাপড়ামারি জঙ্গলের ভিতরের বনবাংলোটি সংস্কার করে ২০০৫ সাল থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ঈগল নামে একটা  নজর মিনারও তৈরী করা হয়েছে বন্যজন্তু দেখার সুবিধার জন্য। তবে বনবাংলোয় বুকিং পাওয়া প্রায় লটারি পাওয়ার মতো শক্ত। সবসময়েই ভিভিআইপিদের ভিড় লেগে থাকে। দুতলা বনবাংলোর একতলায় বসার ঘর , রান্নাঘর। দুতলার ছোট ডাইনিংহলের দুপাশে দুটো ডবল বেডরুম। মোট চারজন রাতকাটাতে পারেন এই অপূর্ব সুন্দর বনবাংলোয়। দুটো ঘর বসন্তবৌরি আর বড়দিঘর , সামনে চওড়া বারান্দা। বাংলোর সামনে ছোট্ট একটা লনের ওপাশেই শুরু হয়েছে চাপড়ামারির ঘন অরণ্য। টলটলে জলের একটা সরোবরকে ঘিরে ঘন অ

গল্প ।। শিক্ষক ।। চন্দন মিত্র

ছবি
বরুণ থমকে যায়। ব্রেক কষে সাইকেল থেকে নেমে পড়ে। সাঁকোর কাছে কয়েকটি ছেলে যেন কাউকে জোর করে ধরে রেখেছে। আসন্ন সন্ধ্যার আবছা অন্ধকারে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। রাস্তার এই জায়গায় দুতিনটি ল্যাম্পপোস্টের বাল্ব কারা যেন সবসময় ভেঙে রাখে। বরুণ টর্চ বের করে আলোকপাত করতেই ছেলেগুলো থতমত খেয়ে যায়। সেই ফাঁকে একটি পনেরো-ষোলো বছরের মেয়ে তাদের হাত ছাড়িয়ে বরুণের কাছে ছুটে আসে। মেয়েটির মুখে টেপ সাঁটানো। মুখ থেকে টেপের বাঁধন খুলে সে কাঁদতে কাঁদতে বলে —  কাকু আমাকে বাঁচান। আমি টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিলাম। এরা আমাকে এখানে আটকে  সাইকেল আর বইয়ের ব্যাগ খালে ফেলে দিয়েছে। আমার মুখে টেপ সাঁটিয়ে টানতে টানতে সাঁকোর ওপারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আপনি এসে পড়ায় পারেনি।        ততক্ষণে ছেলেগুলো এসে বরুণও মেয়েটিকে ঘিরে ফেলেছে। সংখ্যায় তারা সাতজন, কারও মুখে রুমাল বাঁধা , কারও মুখে গামছা জড়ানো। তবে চেহারার আদল দেখে বোঝা যায় সকলেই কমবয়সী, ষোলো থেকে কুড়ির আশেপাশেই হবে। সব থেকে লম্বাচওড়া রুমালমুখো ছেলেটি  বরুণের সাইকেলের বেল বাজিয়ে বলে —  কাকু বাড়ি যান বুঝলেন ! জানেন তো দিনকাল খারাপ !  একজন ফস করে মেয়েটির মুখের সামনে দেশলাই জ্বালিয়ে স

অ্যান ওড টু দ্য সিটি অব জয় ।। শান্তনু চ্যাটার্জি

ছবি
   অ্যান ওড টু দ্য সিটি অব জয়  শান্তনু চ্যাটার্জি   প্রিয়তমা,        তোমায় নিয়ে একটি কবিতা লিখেছি। ওরা বলেছে ভালো লাগলে "মেটাক্যাফ হল" এর দেওয়ালে বড়ো করে বাঁধিয়ে রাখবে। দেখা হলে শোনাবো তোমায়। তুমি কেমন আছো? কেমন আছে তোমার নিউ মার্কেট, হাওড়া ব্রিজ, ভিক্টোরিয়া, ট্রাম লাইন গুলো? শুনেছি তোমার ভারি বিপদ!! অনেক মানুষ নাকি ছেড়ে গেছে তোমায়... আরো অনেকে যাবে। অনেক ঝড় নাকি তুমি বুক পেতে নিয়েছো, কিন্তু মাথা নোয়াওনি। আমি জানি তোমার দৃঢ় প্রত্যয়, অসম্ভব জেদ, তুমি হেরে যেতে পারো না। আমি এও জানি,  তোমার ভীষণ একা লাগে ইদানিং। চপল ষোড়শীকে কি আর গৃহবন্দি করে বেশি দিন রাখা যায়!! আমাদের আবার দেখা হবে তোমার পাঁচমাথার মোড়ে, কিংবা ধরো কচি ঘাসের উপর ময়দানে, আমরা সেদিন পায় পায় বল খেলবো, সট করবো সোজা পরীর দিকে। কি বলো? খেলবে তো। এই! এই! আমি কিন্তু আবার তোমার প্রেমে পড়বো নতুন করে, মুগ্ধ চোখে দেখবো অনাবৃত সেই পুরোনো তুমিকে। সময় করে বেড়িয়ে পড়বো তোমার সাথে, দরাদরি করে কানের দুল কিনবো বিধান সরণীতে, ভালো হ্যান্ডলুম কিনবো বাসন্তীদেবীকে পিছনে ফেলে। বেথুন থেকে একটু এগিয়ে হেদুয়ার ক্রসিংটায় লাল মুখ নিয়ে আবারো ফ্য

গল্প ।। অনিন্দ্য পাল

ছবি
এক.  বাজারের থলেটা হাত থেকে নামিয়ে রেখে ধপ করে বসে পড়লো বন্দনা। সকাল নটার সময়েই প্রচন্ড রোদে পুড়ে যাচ্ছে সব, আর সেই আগুনের মধ্যেই তাকে সমস্ত বাজার ঘুরে কেনা কাটা করতে হয়েছে। সবজি, মাছ, মাংস, ফল-মূল থেকে শুরু করে দুই নন্দাই এর লুঙ্গি পর্যন্ত সবটাই  ভরে নিয়ে এসেছে হাতের তিনটে ব্যাগের মধ্যে। এবার রান্নাঘরে ঢুকতে হবে। তার আগে শাশুড়িকে ছাতুর ঘোলটা খাইয়ে দিতে হবে। প্রায় এক বছর ধরে তিনি  বিছানায় পড়ে আছেন, স্ট্রোক আর তারপর প্যারালাইজড।  -- মা, এটা খেয়ে নাও। এদিকে ফেরাও মুখটা।  এক হাতে শাশুড়ির শরীরটা বিছানা থেকে তুলে ধরে অন্য হাতে ছাতুর গ্লাসটা মুখে ধরলো বন্দনা।  -- আজ তো জামাই ষষ্ঠী, তোমরা যাবে না? ষষ্ঠী বাড়ি আসবে না?  অনেক কষ্ট করে, ভেঙে ভেঙে কথাগুলো উচ্চারণ করলেন উমা।  -- নাহ্, ও আসতে পারবে না আজ। ছুটি পায় নি।  তরলটা গিলে নিয়ে আবার বিছানা নিলেন উমা। তোয়ালে দিয়ে মুখটা মুছিয়ে দিয়ে উঠে পড়লো বন্দনা। এবার ননদ, নন্দাইদের টিফিনের ব্যবস্থা করতে হবে। এখুনি এসে পড়বে হয়ত সবাই। মেয়েকে খাইয়েই গেছিল বাজারে। ওকে ও এখুনি নিতে আসবে সন্তু, বন্দনার ভাই। ওরা যেতে না পারলেও মেয়েটা একটু মামার বাড়ি থেকে ঘুরে আস

গল্প ।। পাখিপাহাড়ে ।। অরূপ কুমার গোপ মন্ডল

ছবি
পাখিপাহাড়ে অরূপ কুমার গোপ মন্ডল অফিসের সামনে পার্কিংয়ে গাড়িটা রেখেই রজতের চোখ চলে গেল মোবাইলে।  সাতটা মিস কল  ।  না  পরিচিত কেউ নয়, এইটাই যা বাঁচোয়া । ঠিক দুটো বেজে পাঁচে আবার ফোন। সেই নাম্বার থেকেই। জ্বালাতন করে মারলে। ভাবতে থাকে রজত। ফোনটা কানে নিয়ে ক্যান্টিনের দিকে পা বাড়ায়। -"হ্যালো কে বলছেন ?" -"রজতদা আমি ঝিমলি। ঝিমলি বলছি দাদা।" আকাশ থেকে পড়ে রজত। না ঝিমলি নামে তো কাউকে চেনে না। ওপার থেকে ভেসে আসে  হাসির শব্দ। শীতের সকালে মিষ্টি রোদের চেয়েও মিষ্টি মনে হয় রজতের। -"কি চিনলে  নাতো ? চিনবেই বা কি করে ? ভুল করেও তো একবার অরুণ কাকুর বাড়ি আসতে নেই ! কাকুকে ফোন করেছিলাম। তুললেন না। আচ্ছা কাকু কাকিমা ভাল আছেন তো ? কাকুর তো বাইপাস সার্জারি  , সাবধানে থাকতে বলবে। আর  কাকিমা নুনটা যেন একটু কম খান। আর শোনো কাকু বলেছিলেন পিজিতে আমি ফার্স্ট হবো। কালই রেজাল্ট বেরিয়েছে। ফার্স্ট হয়েছি । উনাদের আমার প্রণাম জানিও। বলবে ঝিমলি ফোন করেছিল। রাত্রের দিকে একবার ফোন করি ?" গড়গড় করে কথাগুলো বলার শেষে সংক্ষেপে হ্যাঁ বলেছিল রজত।  ঝিমলি ?  হয়তো বাবা-মা জানে। বাড়ি

তিনটি অণুগল্প ।। জয়তী ব্যানার্জি মুখার্জি

ছবি
তৃতীয়          একচিলতে মাটির দাওয়ায় নরম রোদে পিঠ দিয়ে বসেছিল দুর্গা । সামনে তেল মাখিয়ে শুইয়ে রাখা ছোট্ট মেয়েটা ঘুমোচ্ছে । একটানা কপালকে দুষে যাওয়া শাশুড়ির বিলাপের মাঝে একটা নাম ভাবছিলো দুর্গা,  মেয়েটার জন্য ।  প্রথম দুই কন্যা  লক্ষ্মী  সরস্বতীর পর এবার কার্তিকেরই অপেক্ষা ছিলো । আশাভঙ্গ হওয়ায় কেউই আর নাম দিতে এগিয়ে আসে নি- না পাড়া প্রতিবেশী,  না আত্মীয় কুটুম । তবু ওরা ঠিক এসেছিলো । ডুগডুগ ঢোল বাজিয়ে,  হাতে হাতে তালি দিয়ে ওরা এসেছিল । কচি মেয়েটাকে নাচালো এমন যত্ন করে , যেন রাজকুমারী ।           প্রথম আদরের ছোঁয়ায়,  প্রথম বার মেয়ের ঠোঁটে আলতো হাসি দেখে কান্না চেপে দুর্গা যখন বললো- " কী আর দেবো তোমাদের ? তিন নম্বর,  তাও আবার  মেয়ে!" তখন গাঢ় কাজল পরা ঈষৎ বাদামি দুটো চোখ এক ঝলক  দপ্ করে জ্বলে উঠলো যেন ।  তারপর  কর্কশ একটা মৃদু কণ্ঠ কেটে কেটে উত্তর দিলো -  " দিদি রে! যদি মেয়েও হতাম!!"                                আকাঙ্ক্ষা                  বাড়িতে পা দিয়েই বাসন্তী বোঝে আজও বাড়ির পরিবেশটা বেশ থমথমে । নিশ্চয়ই সকাল সকাল শাশুড়ি- বৌয়ে একচোট হয়ে গেছে । রোজ এদের ঝগড়া-ঝামেলা লেগে

গল্প ।। বসন্ত জাগ্রত দ্বারে ।। স্তুতি সরকার

ছবি
  বসন্ত জাগ্রত দ্বারে   স্তুতি সরকার কোকিলের কুহু কুহু সুরের মূর্ছনায় জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে পড়লো। শীত যাই যাই করে এবার বেশ কিছুদিন টানলো। এখন না ঠাণ্ডা না গরম। ঘরে হাল্কা ফ্যান চলছে কখনও কখনও দুপুরে একটু এসির টাচে সুখ দিবানিদ্রা। রাখির বিয়ের দিন দেখতে দেখতে এসে পড়লো। রাখি আর অজয় অনেক ভাবনা চিন্তার পর ঠিক করেছিল বসন্ত কালেই বিয়ে করবে ওরা। শীতে রাখির বড় যবুথবু লাগে তো গরমে অজয়ের হাঁসফাঁস অবস্থা। আর বর্ষাকালকেতো বিশ্বাসই করা যায়না। কখন যে ভাসাবে! ২রা মার্চ , ১৮ই ফাল্গুন বিয়ে। মোটামুটি যতোটা কমের মধ্যে দিয়ে হতেপারে বিয়েটা সেই চেষ্টাই ওরা করছে। দু'জনেরই মাথার ওপর কেউ নেই। সানাই এর মুর্ছনা সমস্ত পাড়া মাতিয়ে তুলেছে। সকলের মনের মধ্যেই বেশ একটা খুশির আমেজ। সন্ধ্যালগ্নে বিয়ে। মায়ের বিয়ের লাল শাড়ী, সালমা চুমকীবসানো লাল চেলি, মাএর জড়োয়ার গহনায়, মোটা চন্দনে আর গোড়ের মালায় শোভিতা রাখিকে রাজেন্দ্রাণীর মতো দেখাচ্ছে। সাজেতে অজয়ও কম কিছু যায়না। গরদের জোড়, গরদের পাঞ্জাবি, লাল ধুতি, হাল্কা চন্দনে আর গোড়ের মালাতে অজয়কে চেনা যাচ্ছে না। অতিথিঅভ্যাগততে

একলাইনের পাঁচটি কবিতা ।। সুকন্যা ভট্টাচার্য্য

ছবি
পাঁচ এক্কে পাঁচ ...................... ১ রোদেলা যেখানে রোদ থেমে থাকে সেখানেই হুল্লোড়। ২ স্বপ্ন একডুবে পেরিয়ে যাব সেই  কালিদহ!! ৩ আউল সহজ হতে বেজায় হ্যাপা, হরিনামে মাতে খ্যাপা।    ৪ বাড়ন্ত অসহায় মানুষ চাইছে ভাত, অন্নদানে মানব হাত।     ৫ আসা-যাওয়া  মেঘের ঘর উড়ে গেলে, রোদ্দুর ঝুঁকে পড়ে।   ============================   সুকন্যা ভট্টাচার্য্য  কলকাতা - ৬

ছড়া ।। বাঁচার আশা ।। রিয়াদ হায়দার

ছবি
    বাঁচার আশা রিয়াদ হায়দার ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,   পুকুর পাড়ে একফালি রোদ আলোর ঝিকিমিকি, সূর্যি মামা ছড়ায় আলো খুশি চতুর্দিকই ! গাছগাছালি পাখপাখালি ঝলমলিয়ে ওঠে, সবুজ মাঠে কচি কাঁচা আনন্দেতে ছোটৈ ! এসব ছবি আর দেখি না থাকছি ঘরের কোণে, নতুন সকাল আসবে কবে ভাবছি মনে মনে ! ভুবন জুড়ে মহামারি হারিয়ে গেছে ভাষা, মৃত্যু মিছিল দেখেও তবু একটু বাঁচার আশা..!   ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, রিয়াদ হায়দার সরিষা আশ্রম মোড় পোস্ট - সরিষা থানা - ডায়মন্ড হারবার জেলা - দঃ২৪ পরগনা পশ্চিমবঙ্গ,ভারত ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর- 9609618020 rasel.hayder786@gmail.com

কবিতা ।। আমার ভারত সোনার ভারত ।। সেকেন্দার আলি সেখ

ছবি
  আমার ভারত   সোনার ভারত বিশ্বের সেরা দেশ আমার ভারত   জ্ঞান-গরিমায় ঘোচায় মনের দ্বেষ আমার ভারত   ত্যাগের পথে দেখায় নতুন দিশা আমার ভারত   হিংসা ভুলে ছড়ায় ভালোবাসা l আমার ভারত   মহান ভারত স্থলে-জলে মহাকাশে আমার ভারত   জ্ঞানে-বিজ্ঞানে বিজয়ীর মতো হাসে আমার ভারত   ক্লান্তি জানেনা, দিনরাত থাকে জেগে আমার ভারত   হুঙ্কার দিলে শত্রুরা যায় ভেগে l আমার ভারত   শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে বিজয় রথে আমার ভারত   রকেট পাঠায় নীলিম আকাশ পথে আমার ভারত   নদীর তলাতে ফলায় সবজি তাজা আমার ভারত   বিশ্বের সেরা খুশিতে ঢোলক বাজা l আমার ভারত   এনে দিলো জয়,ছড়িয়ে মহান শিক্ষা  আমার ভারত   ধর্মে -জাতিতে শেখায় সহন -দীক্ষা আমার ভারত   সাগরে পাহাড়ে খুলেছে জয়ের দোর আমার ভারত   আঁধার ঠেলে এনেছে আলোর দোর। ********************* ড.সেকেন্দার আলি সেখ অধ্যক্ষ : সুন্দরবন বি এড কলেজ গোবিন্দপুর, পো - ভাত হেড়িয়া, থানা - ফলতা, জেলা - দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পিন 743 503 ফোন +হোয়াটস্যাপ - 7872675842

বৃষ্টি দিনের ছড়া ।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
বৃষ্টি-দিনের ছড়া  গোবিন্দ মোদক   মাঠের শেষে মেঘের বাড়ি ধূসর রঙে আঁকা,  বর্ষা এলেই মেঘ-ময়ূরে মেলে পেখম পাখা !  সূর্যটাকে আড়াল করে -- যেই না মেঘ হাসে,  পশ্চিমে ওই রামধনু রং সাজতে ভালোবাসে !  মেঘের মেয়ে মাদল বাজায় গুরু গুরু গুরু,  তাইনা শুনে দামাল হাওয়ার পেখম মেলা শুরু !  টাপুর টুপুর বৃষ্টি তখন --- নৃত্যাঙ্গনে আসে,  আকাশ জুড়ে বাদল হাওয়া ঝমঝমিয়ে ভাসে।  চড়-বড়া-বড় বৃষ্টি-দানা নাচে টিনের চালে,  রাখাল ফেরে তাড়াতাড়ি নিয়ে গরুর পালে।  মজা পেয়ে ব্যাঙ-ব্যাঙানী ডোবার ধারে ডাকে,  ডানা মুড়ে পাখিরা সব বাসার ভিতর থাকে।  ছোট্ট খোকা নৌকা গড়ে ভাসায় ঘোলা জলে,  বৃষ্টির ছাঁট মেখে নৌকা --- হেলে-দুলে চলে !  ঘরের ভিতর খুকি তখন পড়ছে রবির আষাঢ়,  মাঠ-ঘাট সব নিচ্ছে মজা নবীন জলে ভাসার ! ভিজছে নদী, ভিজছে পুকুর, ভিজছে সারা পাড়া, ছোট্ট মেয়ের আবৃত্তিতে ---- বৃষ্টি-দিনের ছড়া !! =======================        গোবিন্দ মোদক।  সম্পাদক: কথা কোলাজ সাহিত্য পত্রিকা।  রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, ডাকসূচক - 741103 WhatsApp/ফোন: 8653395807

কবিতা ।। মানুষ ।। মহাজিস মণ্ডল

ছবি
শুধু দেখছি,চারদিকে মৃত্যুর মিছিল। এর শেষ কোথায় কে জানে! যদিও জানার চেষ্টায় ডুবে আছে কেউ কেউ। কান্নার থেকে অধিক যে ভাষা, সে ভাষায় কথা বলছে এই সময়। পৃথিবীর এই ঘোরতর দুর্দিনে- কে দাঁড়াবে পাশে আর্তজনের  মানুষ নেই, চারপাশে মানুষের কঙ্কাল ভাসে...                          -০- ঠিকানা:- সবুজলেন, নবপল্লী(১২ ফুট), ২২ বিঘা রোড, জোকা, কলকাতা-৭০০১০৪ মোঃ-8583957919 তারিখ-০৯/০৬/২০২১.                        -০-

কবিতা ।। উটের পিঠে উঠেছে দেশ ।। জীবনকুমার সরকার

ছবি
উটের পিঠে উঠেছে দেশ  জীবনকুমার সরকার  অনির্বাণ চিতায় জ্বলছে দেশ শ্মশান আর কবরে অপেক্ষায়  বসে আছে আপাতত নতুন ভারত।  থোকা থোকা মানুষের লাশ ভাসে গঙ্গায় দিল্লি বিবৃতিতেই ফোঁটাচ্ছে স্বদেশপ্রেম  উটের পিঠে উঠেছে দেশ------- বাতাসে অতিমারি  হাসপাতালে মারামারি  বাইরে খুন  মৃত্যু সহযাত্রী  মানুষ দাঁড়াবে কোথায়?  এই কি আমার দেশ  এই কি সেই ভারত  লাশের পর লাশ------  আর মৃত্যুর গন্ধ মেখে  বসে আছে উন্নয়নের বাঁশি।  -------------------------------------------- জীবনকুমার সরকার ৩ নং গভ. কলোনী  ইংরেজ বাজার  মালদা  ৭৩২১০১ মো: 9434818523

কবিতা ।। অতিমারীয় ।। কার্তিক চন্দ্র পাল

ছবি
                        দল জোনাকি ফিরছে ঘরের ভিতর চাঁদ রয়েছে একলাটি চুপ করে, গলুই ধরে ঝুলছি তোমার সাথে ডিঙ্গিয়ে যাবার নৌকোখানি চড়ে। পথ সহসা থমকে আছে যেন ফুরিয়ে গেলে পায়ের তলার মাটি, মিথ্যে সকল যখের আগল বাঁধা মৃত্যু তখন এক্কেবারে খাঁটি। আকাশ বেয়ে বঁড়শি নিয়ে এসে তুলছে গেঁথে বাছাই করা শব, গল্পগাছা হিরোশিমার মতো অণুজীবের লুকানো বৈভব। তুমি তখন নিবিড় মগ্ন মনে দূরভাষেতে ভয়াল কথকতা, আমি খুঁজি নীরব সঙ্গোপনে জীবনবোধের অল্প মদিরতা --- ঢেউগুলো সব ভাঙ্গন- ব্যতিচারে  দূর রেখেছি আগুন বৃত্তগুলো, সূচ ফোটালো অমৃতেরা বিষে চেতনা বিন্দুতে যারা সিন্ধু ছুঁলো।   =====000=====

অণুগল্প ৷। গোলাপের কাঁটা ।। মোয়াল্লেম নাইয়া

ছবি
গোলাপের কাঁটা  মোয়াল্লেম নাইয়া      ------০০----- ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির ফেসবুকেই আলাপ ৷ তারা একে অপরকে ফলো করতো ৷ এমনকি পরস্পরের লেখায় মন্তব্যও করতো৷ছেলেটি মাঝে মাঝে তার ডিপিতে নানান ফুল দিয়ে সাজাত ৷ কখনোবা দু'হাত ভর্তি ফুল নিয়ে বাগানে দাঁড়িয়ে থাকা তার ছবি পাঠাতো৷ মেয়েটি ভাবতো ছেলেটি কতইনা সুন্দর! যে ফুলকে এত ভালোবাসে না জানি তার মনটা কতটা নরম!একদিন ছেলেটি মেয়েটিকে বলল,.. আমাদের কথাও দেখা করলে হয়না?...মেয়েটি রাজি হলো ৷        যথারীতি তাদের দেখাও হল ৷সেদিন ছেলেটি সঙ্গে এনেছিল...ইরানি গোলাপ,আর এক বাক্স ডার্ক চকলেট ৷ মেয়েটি ভীষণ খুশি হলো ৷এভাবে তারা প্রায়ই দেখা করতো আর ছেলেটি নিত্যনতুন হরেক রকমের ফুল নিয়ে মেয়েটিকে উপহার দিত ৷মেয়েটি তার এই ফুলেল ভালোবাসায় দিনকে দিন আত্মহারা হয়ে উঠলো ৷...দিন- মাস-বছর- পার হয়ে যায় ৷ একদিন তারা সিদ্ধান্ত নিলো...এই ফুলেল ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসবে ৷ সেই মতো কোনো এক শুভলগ্নে তাদের বিয়ে হয়ে গেল ৷ মেয়েটি এসে দেখল তার বাসরে সেই প্রিয় ফুলগুলো আর নেই, নেই ইরানি গোলাপের পাপড়ির সমারোহ! পরিবর্তে গুটিকয় রজনীগন্ধা আর গা

কবিতা ।। মৃত্যু ।। তন্ময় পালধী

ছবি
                          সে এল। অদ্ভুত এক প্রশান্তি নিয়ে পৃথিবীর সব প্রান্ত ছুঁয়ে অনিবার্য ভাবেই এসে পড়ল। মুহূর্তের সন্ধিক্ষণ মাত্র। স্মৃতিপটে টুকরো ছবির অসংখ্য কোলাজ। একে একে সব ছুঁতে ছুঁতে  যেন অগস্ত্য যাত্রায় সামিল। আর তখন অভিমান রাগ হিংসার আপেক্ষিক ছেলেমানুষি তে বিস্মিত হই। নিজস্ব বলে কিছু রইল না। এখন শেষমুহূর্তের হিসাব বাকি। সরল অঙ্ককে জটিল করে সম্পর্কগুলোয় ফাঁক খোঁজা সারা হলে মিথ্যা রাঙিয়ে বিভেদের প্রাচীর তোলা হল চাওয়ার বৃত্ত বড় হতে হতে আকাশ ছুঁলে অদৃশ্য নিয়মে শ্রেণিবিন্যাসের তত্ত্ব খাড়া হয়। অথচ শরীর একই। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর হেরফের হলে সোনার চামচ কোদাল গাঁইতিতে বদলে যেত বিস্ময়ের ঘোর মিটে গেলে -- অকথিত কথা,কিছু অক্ষমতা,আর ছেলেমানুষিকে তার হাতে সঁপে দিলে শরীর জুড়ে শিহরণ, এত ভালোলাগা কখনো আসেনি তো গ্রন্থিহীন মুক্তির আনন্দে শরীর স্নাত হতে থাকে। _______________________________________   তন্ময় পালধী। শংকরপুর, ঠাকুরানীচক, হুগলি চলভাষ 9734789877

কবিতা ।। দেখা নয় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

ছবি
                        চোখ তুলে তাকালেই কিন্তু                      দেখা হয় না। তাকানো আর দেখার মাঝে অবজ্ঞা নামক এক ফাঁক থাকে যা দিয়ে গলে যেতে পারে- আশা, আস্থা অনেক কিছুই দূরে দাঁড়িয়ে শ্বাস চলতে পারে                    কিন্তু বিশ্বাস নয় দাঁড়ি-কমার গন্ডি পেরিয়ে-        এক পূর্ণ বিরতি থাকে         অনেকটা দীর্ঘশ্বাসের মতোই যদিও দীর্ঘ থেকে হ্রস্ব হতে বিশেষ সময় লাগে না কারোরই।   =====০০০=====

দুটি কবিতা ।। নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত

ছবি
লক আউট ইস্কুলে সেই যে একদা এপ্রিলে  দুই পাখি মেরে এক ঢিলে বন্ধ ইস্কুল এক পাখি ডানা ঝাপটায়  এক পাখি বসে খাবি খায় কে জানে কার ভুল! এটা তো ছুটির মাস জুন তোমাদের কেন মুখ চুন ছুটি কোথায় গেল? ছোটদের নেই হুটোপুটি  ইস্কুল খোলা আর ছুটি কি করোনাই খেল? চলে না তো ইস্কুলবাস ইস্কুলে করোনা আবাস কোয়ারান্টাইন  আমাদের কাটেনা সময় পড়া নেই, খেলা নেই, ভয় কোভিড-আইন। লক ডাউন অবসান হয় লক আউট দীর্ঘ সময় ক্লাসরুমে তালা ভোট হয়,জনসভা হয় মেলাতেও আপত্তি নয়, ইস্কুলেই জ্বালা!     আমরা ছাত্ররা আমরা তো পড়ুয়া কেবল কেউই দেশের নাগরিক নই আমরা শুধু ভবিষ্যৎ আমাদের তো ভোটাধিকার নেই।  আমাদের ইস্কুল নেই  আমাদের পরীক্ষাও বাতিল আমাদের ভ্যাক্সিন নেই  আমাদের কান নিয়ে গেছে  চিল। আমাদের মোবাইল নেই আমাদের অনলাইন ক্লাস  আমাদের লাইনে ট্রেন  মাল বয়, নয় মানুষের দাস। পড়াশুনা খেলাধূলা নয় এসো, ঘরে বসে আঙুল চুষি আমরা সুস্থ থাকলেই  সব মাতাপিতা সরকার খুশি।    **************************     Nripendranath Mahanta  Vill. & Post-HEMTABAD  District -Uttar Dinajpur PIN-733130  Mobile /WhatsApp No.-8918861003

কবিতা ।। কিছু অশ্রুত কিছু গুঞ্জন: ।। সঞ্জীব সেন

ছবি
                      কিছুই পাইনি জীবনে তবুও যা পেয়েছি তাই দিয়েই আঁকি সব পেয়েছি, নামেই পেরিয়েছি হাঁটু জল ডুবে যায় স্মৃতি আর রোদ্দুর এসো নীপবনে হারাই একবার যেখানে বাতিল স্মৃতির ভিড় পাশাপাশি বসে থাকি আমি আর ঢেউ কিছু অশ্রুত কিছু গুঞ্জন তরণী হাওয়ার মত বিকেলগুলো শুধুই হলুদ মলিন ।   =====================  সঞ্জীব সেন পানিহাটী গৌরাঙ্গ ঘাট রোড পোস্ট পানিহাটী কলকাতা114 7980188285

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪