আমাদের পরিবেশ ভাবনা
মানস কুমার সেনগুপ্ত
বিশ্বব্যাপী মানুষের নিরন্তর খামখেয়ালী আচরনের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের ব্যাপক ফলশ্রুতিতে। বিশ্বজুড়ে অতিমারির ব্যাপক প্রভাবে মানুষের সার্বিক নানা দায়বদ্ধতায় বা বাঁচার তাগিদে বিশ্ব প্রকৃতির ধ্বংস লীলা আমরা অনুভব করতে পারিনি। কিন্তু অতিমারির প্রভাব কাটতেই, আমরা বুঝতে পারছি আমাদের পারিপার্শ্বিক জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন। ঋতু বৈচিত্র্য কবেই উধাও। উষ্ণতার পারদ গতবছর বিশ্বের অনেক শীতপ্রধান দেশেও প্রভাব ফেলেছিল। বিগত বছরেই আমাদের হিমালয়ের রানী দার্জিলিং এর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ছাড়িয়েছিল। এবছর উষ্ণতার পারদ সমতলে পাল্লা দিচ্ছে মরুভূমির উষ্ণতার সঙ্গে। উন্নয়নের দাপটে জলস্তর নামছে। গাছপালা কেটে চলছে ভারসাম্য বিহীন নগরায়ন। বনভূমি,সবুজ মাঠ, জলাশয় উধাও তো হচ্ছেই। আবার জলাশয়কে কংক্রীটের বাঁধনে বেঁধে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে। জঙ্গলে পশুরা এবং সার্বিকভাবে পাখিদের নানা প্রজাতি আজ বিপন্ন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলো লাগিয়ে কার্বন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের এক প্রান্তে মনুষ্যঘাতী মারণ যুদ্ধ চলছেই। তারও প্রভাব পড়ছে বিশ্ব পরিবেশে। ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয় নানা আনুষ্ঠানিকতায়। পরের দিনই সেদিনের সব ভাষন, শপথ ভুলে যাই আমরা। আমাদের তথাকথিত ভোগবাদী সভ্যতায় নানা অবিমৃষ্যকারী আচরণ প্রকৃতিকে নানাভাবে ধ্বংস করেছে।এই পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্বের সংকট কিন্তু ঘনীভূত হচ্ছে। তবু আশাবাদী মন বলে , এই সুন্দর পৃথিবীকে আমাদের রক্ষা করতেই হবে। আমাদের চেতনায় সদা জাগ্রত থাকুক এই শপথ।
#চিত্রঃসংগৃহীত।
==============
মানস কুমার সেনগুপ্ত, ১৭/৮, আনন্দ মোহন বসু রোড, দমদম, কলকাতা ৭০০০৭৪.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন