তীর্থের ঘুড়ি
রহিত ঘোষাল
শরীরতলায় যে ঠাণ্ডা চিৎকার
হাড় কাটা রাত্রে মিলিয়ে যায়,
সেখানে পদার্থের গর্জন-
উদ্ভিদের লাফালাফি,
রাস্তার হলুদ আলো মেশানো জল,
জনপ্রাণীর উপরে ঘুমের ধস,
গাছপালার ডানায় স্ফুলিঙ্গের অনুমতি,
শিস দিচ্ছে অতীতের মানুষ,
হিরে-জহরত-গ্রহরত্ন,
শহরের পথে পথে জীবনব্যাপী উড়ছে,
তাদেরকে ধরে পাখির খাঁচায় রাখি,
অতিথি বেশ্যার চোখ সেই দিকে
বহুক্ষণ তাকিয়ে থাকে,
আমি বাঁশঝাড়ের কাছে
অন্ধকারের ভাষা শিখে নিই,
অদৃষ্ট রেখে এসেছি শরৎ গুপ্ত রোড,
ধঁধুল লতা পাতা কাদা মাটি মাখা,
রথের চাকার তলায় তেপান্তর,
ঘাসফুলকন্যাদের ঠোঁটে বৃষ্টিগুঁড়ো,
কোঁচবক হয়ে তোমাদের
শ্যাওলা পুকুর পাড়ে
দাঁড়াব একদিন,
সেদিন তোমার কণ্ঠের
অধিষ্ঠাতা দেবতার গল্প
আমাকে জিভখসা বিচ্ছিরি
ধরা গলায় বলে যেও।।
==============
রহিত ঘোষাল
বাঁশদ্রোণী সোনালী পার্ক কলকাতা ৭০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন