Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৬তম সংখ্যা ।। আষাঢ় ১৪৩১ জুন ২০২৪

ছবি
  সূচিপত্র  প্রবন্ধ-নিবন্ধ-মুক্তগদ্য-ভ্রমণকথা মেল্লক গ্রামের মদনগোপাল জীউর মন্দির ।। সায়ন মণ্ডল কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক সমরেশ মজুমদার ... হেমন্ত মুখোপাধ্যায় : জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি ।। উজান... আমার রবীন্দ্রনাথ ।। সত্যেন্দ্রনাথ পাইন বৈকালিক বৈশাখ ।। ছন্দা দাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকার ।। পাভ... মে দিবস : অধিকারহরণ ।। শ্যামল হুদাতী শরীর ও মনের সুস্থতা ।। রতন বসাক মানুষ কী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের নিকট ভৃত্যমাত্র? ।।... আমাদের পরিবেশ ভাবনা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত বিশ্বপ্রেম ।। আরতি মিত্র টান ।। মনোরঞ্জন ঘোষাল স্রষ্টার নিষ্ঠা ।। শংকর ব্রহ্ম বেগুনিয়া : বাংলার মন্দির স্থাপত্য ।। সু... ।। গল্প ।। বিকেল বাঁচাও আন্দোলন ।। সুবীর ঘোষ রাখে হরি তো মারে কে ।। সমীর কুমার দত্ত বিভ্রান্ত ।। রানা জামান সম্পর্ক ।। মাখনলাল প্রধান  ধারা মাস ঝরা মাস ।। প্রদীপ কুমার দে গল্পের মত অবিশ্বাস্য সত্য ।। বন্দনা সেনগুপ্ত ধর্মরাজ, লাখাই আর ডমরু সর্দারের গল্প... ভূতের বাচ্চা ।। নবী হোসেন নবীন গোধূলিবেলায় ।। সুচন্দ্রা বসু বিয়ে ।। রেজাউল করিম রোমেল ঘোড়ার ডিমের গল্প ।। প্রবোধ কুমার মৃধা নাত জামাই ।। সুদামক

গল্পের মত অবিশ্বাস্য সত্য ।। বন্দনা সেনগুপ্ত


গল্পের মত অবিশ্বাস্য সত্য

বন্দনা সেনগুপ্ত 



ডক্টর ওয়েস পিছনে হাত দিয়ে পায়চারি করে চলেছেন। স্ত্রী এসে বললেন 


"আর কতক্ষন এভাবে চলবে? এবার তো একটু বিশ্রাম নাও।" 


"কি করে বিশ্রাম নিই বলত! ছেলেটাকে কিছুতেই স্বাভাবিক করতে পারছি না"।


হয়ত সবাই জানেন না, ডক্টর ব্রায়ান ওয়েস একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী হয়েও আজ এক জন লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাইকোথেরাপিস্ট। শুধু তাই নয়, তাঁর গবেষণা দ্বারা তিনি পুনর্জন্মবাদকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অনেক মানসিক রোগী, যাদের রোগের উৎস কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তাদের তিনি ভাল করেছেন। কারও রোগের  উৎস ছিল হয়ত খুব ছোটবেলায় বাবার দ্বারা যৌন নির্যাতন তো আর কারুর ভয়ের কারণ ছিল ভুলে যাওয়া দুর্ঘটনা। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ তাঁর রোগীদের বিগত জীবনের সম্বন্ধে জানতে সাহায্য করার জন্য। যখন ক্যাথেরিন, প্রথম বার তার নিজের গত জন্মের কথা বর্ণনা করতে শুরু করেছিল, তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। একজন খ্রিস্টান হয়ে তিনি পুনর্জন্মবাদ সম্বন্ধে কিছুই জানতেন না, বিশ্বাসও করতেন না। ক্যাথেরিন তাঁর জন্য এক আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ ছিল। তবে সে অনেক দিন আগের কথা। এখন তিনি তাঁর রোগীদের সহজেই পিছনের দিকে নিয়ে যেতে পারেন, তাদের মনে করাতে পারেন তাদের জীবনের দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার কথা। যে অভিজ্ঞতা সে ভুলে গেছে, কিন্তু তার প্রভাব এখনো তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। যখন সে সেগুলি মনে করতে পারে, বুঝতে পারে যে সে এগুলিকে পিছনে ফেলে এসেছে, তখন সে ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যায়। যেমন ক্যাথেরিনের এখনকার প্রেমিক জনের সঙ্গে টক মিষ্টি ঝাল সম্পর্কের মধ্যে মিষ্টির ভাগ খুবই কম। সে একে ছাড়তে পারছে না, কিন্তু ধরে রাখা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে তার ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক ব্যবহারের জন্য। রিগ্রেশনে সে জানতে পারে, বহু পূর্বে এক সময় সে তাকে চিনত। তার গোষ্ঠীর সাথে জনের গোষ্ঠীর শত্রুতা ছিল অথচ সে জনকে বিশ্বাস করেছিল, ভালবেসেছিল। কিন্তু, যখন লড়াই চলছিল, নিজ গোষ্ঠীর জয়ের জন্য জন পেছন থেকে এসে ওর গলায় ছুরি বসিয়ে দিতে দ্বিধা করে নি। আজও কিন্তু জনকে বিশ্বাস করা যায় না, তার কথায় আর কাজে যে মিল থাকবেই এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। এখন ক্যাথেরিন জনের থেকে মুক্ত, নিজের স্বাধীন আনন্দময় জীবন যাপন করছে।  


কিন্তু ইভান্সের কথা আলাদা। রিগ্রেশনে সে জেনেছে যে সে এই পৃথিবীর লোক নয়। সে এসেছিল নিজের গ্রহের জ্ঞান এই গ্রহে এনে লুকিয়ে রাখতে যাতে যখন মানুষ উপযুক্ত হবে, তখন যাতে এই জ্ঞান নিজের চেষ্টায় অর্জন ও ব্যবহার করতে পারে। তারপর এই সুন্দর গ্রহ তার এত ভাল লেগে যায় যে সে এখানেই থেকে যায়। কিন্তু, এখন এই জন্মে তার কিছুই ভাল লাগে না। তার কোন বন্ধু নেই। গার্লফ্রেন্ড নেই। সে কি নিয়ে পড়াশুনা করবে বুঝতে পারে না। তার ইচ্ছা এস্ট্রোফিজিক্স বা এমন কোন বিষয় যেখানে গ্রহ নক্ষত্র সম্বন্ধে জানা যায়, তাই নিয়ে পড়ে। কিন্তু তার নিজের উপরে বিশ্বাস নেই। বার বার রিগ্রেশন করেও আর বেশি কিছু জানা যাচ্ছে না। ছেলেটি ও ডাক্তার দুজনেই হতাশ হয়ে পড়ছেন।


এক দিন ডক্টর ওয়েস চিন্তা করেন যে রিগ্রেশনে যখন কিছু হচ্ছে না, তখন এক বার প্রোগ্রেশন করে দেখা যাক। অবশ্য উনি প্রোগ্রেশন খুব একটা এখনও করেন না। তবু, দেখা যাক। ইভান্সকে বলেন সে কথা। ও রাজি হয়ে যায়। দেখাই যাক না, যদি কিছু উপকার হয়। 


প্রোগ্রেশনে ইভান্স নিজেকে দেখে এক নামকরা য়ুনিভার্সিটিতে  ছাত্ররূপে। কিন্তু তার হীনমন্যতা আর বিশ্বাসের অভাব থেকেই যায়। ডক্টর রিস্ক নিয়েই আরো কয়েকবার প্রোগ্রেশন করেন।


এবার উপকার হয়। ইভান্স পৌঁছে যায় এ ডি ৪০২৪ তে। এই পৃথিবী। কিন্তু পরিচিত নয়। খুব সুন্দর। সবুজে ঢাকা এক গ্রহ। খুব কম লোকজন। সুন্দর রাস্তা ঘাট, বাড়ি ঘর। পরিষ্কার বায়ুমণ্ডল। নীল জলাশয়গুলি মনোমুগ্ধ্কর। তার মধ্যেই এক বিশাল বাড়ি। সাদা রঙের। দেখলেই মন ভাল হয়ে যায়, এমন সুন্দর। সেখানে একটা ঘরে ইভান্স বসে আছে। সামনে বিশাল টেলিস্কোপ। আরো অনেক যন্ত্রপাতি যা ও চিনতে পারেনা। ও দেখে ও নিজে একজন বিজ্ঞানী যে অন্য এক মিল্কিওয়েতে প্রাণের সন্ধান করছে। সেই গ্রহের সন্ধান করছে যেখান থেকে ও এসেছে! আর, সাথে সহকারী ওর স্ত্রী। ইভান্সের আনন্দ যেন আর ধরে না। মাত্র দু হাজার বছর! তার পরেই ও বাড়ি ফিরবে। কি আনন্দ!


তার পর বেশ কিছুদিন আর ইভান্সের খোঁজ নেই। ডক্টর একটু চিন্তিত। কেন আসছে না? কেমন আছে কে জানে?


প্রায় ছমাস পরের কথা। ডক্টর চেম্বার বন্ধ করছেন, এবার উঠবেন। কে জানি এল। সন্ধ্যার আলো আঁধারিতে চিনতে সময় লাগে। ইভান্স। সঙ্গে একটি মেয়ে। ও নিজের পছন্দের য়ুনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে। তাও আবার এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খুব ভালো ফল করে বিবেচিত হয়েছে। নিজের পছন্দের সাবজেক্ট নিয়ে পড়ছে। সেখানেই আলাপ হয়েছে এই মেয়েটির সাথে। আজ এসেছে ডক্টরকে কৃতজ্ঞতা জানাতে।


================


(কৃতজ্ঞতা স্বীকার: 

Many Lives Many Masters: Doctor Brian Weiss

Messages from the Masters: Doctor Brian Weiss

Same Soul, Many Bodies:Doctor Brian Weiss) 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৬৭তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৬তম সংখ্যা ।। আষাঢ় ১৪৩১ জুন ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৫তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ মে ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৬৬তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩০ আগস্ট ২০২৩

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত