Featured Post
ভ্রমণকাহিনি ।। ব্যান্ডেল লাহিড়ী বাবা আশ্রম ।। সুজয় সাহা
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
ব্যান্ডেল লাহিড়ী বাবা আশ্রম
সুজয় সাহা
ভ্রমণ হল অজানা কে জানা এবং অচেনা কে চেনার মাধ্যম। জীবনে তো আমি অনেক স্থানেই ভ্রমণ করেছি কিন্তু এই প্রথম ব্যান্ডেলেরথ এই সুপ্রসিদ্ধ ধর্মস্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা খুবই অভূতপূর্ব ছিল। আজ সেই ধর্মস্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথাই এখানে বর্ননা করছি । গত ১২.২.২০২৩ তারিখ নাগাদ আমি আমার সপরিবারে রওনা দিলাম ব্যান্ডেলের এই সুপ্রসিদ্ধ লাহিড়ী বাবা আশ্রমের উদ্দেশ্যে। দুপুর ৩ টে বেজে পাঁচ মিনিটে আমরা রিষড়া স্টেশনে পৌছে হাওড়া– ব্যান্ডেলগামী ট্রেনে চড়ে পৌছোলাম ব্যান্ডেল জংশনে। ওভারব্রিজ থেকে
নেমে লাহিড়ী বাবা আশ্রম যাবার অটোতে চেপে একেবারে চলে এলাম মন্দিরের তোরনে। তোরণ দিয়ে ধীরে ধীরে ঢুকে পৌছে গেলাম মন্দিরের একদম স্ব নিকটে। সত্যি কথায় বলতে হয়ত এই মন্দিরের সৌন্দর্যতা আমাকে খুবই অভিভূত করল। জীবনে হয়তো কোনোদিন এই ভ্রমণের স্মৃতি ভুলতে পারা প্রায় অসম্ভব। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে মন্দিরের ছবি দেখে অতটা মজা আসেনা যতটা আসে চাক্ষুষ দর্শনে। যেন চোখের সামনে স্বর্গ নেমে এসেছে। মন্দির প্রাঙ্গনটি এককথায় বর্ননা করতে গেলে খুবই সুন্দর। অথৈ জলের উপর মন্দিরটি অবস্থিত। অনেকে এই মন্দিরটিকে জল মন্দির বলে থাকেন। নানারকম ভক্তিমূলক গানে মুখরিত মন্দিরটি অপরূপ সৌন্দর্যের মেলবন্ধন। মূল মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করার আগে মন্দিরের সামনের বার রাশিতে পা ধুয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়। একটা এতো বড়ো মন্দিরের ভেতরে যে এতরকম দেব দেবীর মূর্তি থাকতে পারে তা ছিল কল্পনার অতীত। মন্দিরটিতে একটু ঘুরে ফিরে বেড়িয়ে পড়লাম আরেকটি মন্দির লাহিড়ী বাবা আশ্রম এর থেকে একটু দূরে গায়ত্রী আশ্রমের উদ্দেশ্যে। সেখানে শ্রীরামকৃষ্ণ ও নটরাজের মূর্তি দর্শন করে আমরা বৈকাল ৫ টা নাগাদ বেড়িয়ে পড়লাম গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে। সত্যি কথায় বলতে গেলে এই লাহিড়ী বাবা আশ্রম এর মতো এত সুন্দর ও সুপ্রসিদ্ধ মন্দির দর্শন ও ভ্রমণ করে আমার খুব ভালো ও মনোমুগ্ধকর লেগেছে।
=============
সুজয় সাহা
নতুনগ্ৰাম রিষড়া হুগলী
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন