বেশই তো ছিলাম, ঝলমলে দিন-মানে,
অকপট নিনাদ শুনি বজ্রের আহ্বানে।
নীল আকাশে কালো মেঘ জমে ওঠে,
সূর্য সহসা নিভলো অনন্ত দিগন্ত হতে।
গুমোট এই আশায় বৃষ্টির এক ফোঁটা,
মেঘের গর্জনে উঠলো হাওয়ার ছোটা।
পথে-ঘাটে আগমনী ভেজে দূর-প্রান্তর,
লীন সুখেতে কারোর বা পোড়া অন্তর।
যত্রতত্র নিপুণ করে কাঁচের গায়ে সাধে,
উষ্ণ ছোঁয়া নেভাতে নিঃস্ব রাস্তা কাঁদে।
সবুজী সব গাছে পাতায় ডালে-ডালে,
টুপ-টুপ করে ঝরে পরে টিনের চালে।
চাতক আকুল, কুকুরেরা আশ্রয় খুঁজে,
একলা পথিক চলে ছাতায় ঘাড় গুঁজে।
ব্যাঘাত দিয়ে ধরি তাদের হাত বাড়িয়ে,
ওকি মাটি থাকে বিদ্রুপ মুখ ফিরিয়ে।
বৃষ্টির ফোঁটা যে মাটি-কে ভালোবাসে,
অকারণে তাই এত নীচে নেমে আসে।
জানালায় কোন একদিন এমনই দেখি,
মনুষ্য হয়েও কেন এমন প্রেম না শিখি।
-------------------------------------
©সৌমেন কর্মকার
ব্যারাকপুর, উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা - ১২১
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন