Featured Post
গল্প ।। ভৌতিক গল্পের আড়ালে ।। সমীর কুমার দত্ত
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
সমীর কুমার দত্ত
স্টেশনের নাম বেলমুড়ি। হুগলী জেলার কর্ড লাইনে অবস্থিত একটি স্টেশন। এমন একটি নাম, যার উচ্চারণ উচ্চৈঃস্বরে কেউ কখনো করে না। কারণ কুসংস্কার বশতঃ জনশ্রুতি আছে —রাতের বেলায় ট্রেনে - কাটা পড়া ভূত ও শয়তান এই অঞ্চলে ঘোরাফেরা করে। কেউ তাই স্টেশনটির নাম উচ্চৈঃস্বরে উচ্চারণ করে না, করলে দুর্ভাগ্যের আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়ায়। হাওড়া থেকে কমবেশি ৪৬ কিমির মতো হবে।এই স্টেশনের নাম বলার প্রয়োজন পড়লে কেউ মধ্যবর্তী কোন নামের প্রক্সি দেয়।
এই স্টেশনের পূর্ব নাম ছিল —
'কৃষ্ণরামবাটি '। সুন্দর নাম নিশ্চয়ই। কালক্রমে ট্রেনে কাটা পড়ার সংখ্যা এতো বেশি হয় যে জায়গাটি ভৌতিক স্থানে পরিনত হয়।নামও পরিবর্তিত হয়ে বেলমুড়ি হয়ে যায়।এই স্টেশনে নেমে বাহাদুর পুর ও জৌ গ্রামের মাঝামাঝি গ্রামে বাসুদেব মেটে নামের এক ব্যক্তি কলকাতার বড় বাজারের এক কর্মস্থলে ডেলি প্যাসেঞ্জারী করে। বাড়ি থেকে স্টেশনে সাইকেল রেখে ট্রেনে করে হাওড়া। হাওড়া থেকে পদব্রজে কর্মস্থল। ফেরার সময় ওই একই ভাবে বাড়ি ফেরে। সকলে যে সময়ে ফেরে বাসুদেব সে সময়ে ফেরে না।ওভার টাইম করে লাস্ট ট্রেনে ফেরে। স্বভাবতই রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়।
অমাবস্যার রাত।হিমেল হাওয়া ছাড়তে শুরু করেছে।চতুর্দিক অন্ধকার হলেও ট্রেন চলাচলে ঠিকরে আসা আলো আর অদূরে উঁচু বাতিস্তম্ভ থেকে ক্ষীণ আলো এসে পড়ে রাস্তার বাম দিকের ঝিলের জলে । আর রাস্তার ডানদিকে কিছুটা দূরে আছে শ্মশান। কখনো সখনো দু একটা চিতা জ্বলতে দেখা যায়। এখনই স্টেশন চত্বর খাঁ খাঁ করছে। রাস্তাঘাট জনমানবশূন্য।
সেদিন বাসুদেব ট্রেন থেকে নেমে সাইকেলে চড়ে বাড়ির দিকে অগ্রসর হলো । কিছু দূর যাওয়ার পর ওর চলার রাস্তার সামনে দিয়ে একটা কালো বিড়াল,যার চোখ যেন জ্বলছে,রাস্তা কেটে দ্রুত বেরিয়ে গেল।কোন রকম ভ্রুক্ষেপ না করে বাসুদেব সাইকেল নিয়ে এগিয়ে চললো। কিছুদূর যাওয়ার পর বাঁ দিকের ঝিলের জলে সে যেন স্পষ্ট দেখতে পেল একটি বাচ্চা ছেলে জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। একবার ভাবলো— কি না কি দেখেছে ।
এখন দেখতে গেলে দেরি হয়ে যাবে। এমনিতেই ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে।রাতও অনেক হলো।তা
প্রায় ১২ টা হবে। এইসব ভেবে সে এগিয়ে যাচ্ছিল। কি মনে হলো —"যদি সত্যিই বাচ্চা ছেলে হয় ।আহা রে!"বলে আবার ফিরে এলো। তার মনে হলো, এ তো বাচ্চা ছেলে । যা ভাবা, সেই কাজ।ওর সঙ্গে একটা গামছা থাকতো। জামা কাপড় খুলে, সাইকেলটা গাছের গায়ে ঠেস দিয়ে রেখে তার ওপর জামা কাপড় রাখলো। সাইকেলে চাবি দিলো না। রাতভিতে কেউ তো নেই ধারে কাছে। গামছা পরে সোজা নেমে গেল ঠান্ডা জলে। এমনিতেই কর্ম ঘর্মক্লান্ত ,বেশ আরাম লাগছিল। প্রথমে ওর মনে হয়ে ছিল
এই তো কাছে আছে ছেলেটি তারপর যতো সে এগিয়ে যায় ছেলেটিও এগোতে থাকে। এইভাবে অনেক সময় কেটে যায়।তারপর দেখে কেউ নেই। কোথায় গেলো ছেলেটা?
তার মনে হলো —এ কোন ভৌতিক ব্যাপার নয় তো ? ও কোন ভূত প্রেতের পাল্লায় পড়ে নি তো? কিছুটা ভয় পেয়ে ও জল থেকে উঠে এলো। উঠে দেখে আর এক বিস্ময়কর ব্যাপার।
সাইকেলে,মোবাইল ফোন,টাকার ব্যাগ কিছুই নেই।থাকার মধ্যে আছে জামা কাপড়। তো রীতিমতো অবাক হয়ে গেলো।কার পাল্লায় পড়লো রে বাবা।
বাসুদেবের গায়ের রোম খাড়া হয়ে গেল এই ভেবে যে সবকিছু খুইয়ে এতোটা পথ পায়ে হেঁটে যেতে হবে।তার ওপর আবার এই ভৌতিক উপদ্রব। রাস্তা জনমানবশূন্য কি আর করে জামা কাপড় ছেড়ে বাড়ির দিকে হাঁটা দেয়। এবার ওর শীত শীত করতে থাকে।যাবার আগে পিছন ফিরে একবার দেখতে চেষ্টা করে। দেখে সেই কালো বিড়ালটি আবার ওর পিছনের রাস্তা কেটে চলে যায় শ্মশানের দিকে ।এবার সে পা চালিয়ে হাঁটতে থাকে। শ্মশানে তখন কোন চিতা জ্বলছিলো না। শ্মশান যেন কোন মৃতদেহের জন্য অপেক্ষা করছিলো।
এদিকে বাসুদেবের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা উদ্বিগ্ন হয়ে সদর দরজার বাইরে এসে দাঁড়িয়ে আছে আর নানারকম দুশ্চিন্তা করছে। ইতিমধ্যে স্টেশন সম্পর্কে রোমহর্ষক কাহিনীর সঙ্গে পাঠক পরিচিত হয়ে গেছেন। সুতরাং বাড়ির লোকের মনের অবস্থা কি হতে পারে তা পাঠক মাত্রই অনুভব করতে পারছেন। কিন্তু সাইকেল নিয়ে এগিয়ে দেখার মানসিক জোর না আছে ছেলের মধ্যে, না আছে বাড়ির আর কারোর মধ্যে। আতঙ্ক যেন তাদের তাড়িয়ে বেড়াতে লাগলো । বিপদজনক কিছু হলো না তো! বেশ কিছুক্ষণ পর একটা আবছা দেহ দূর থেকে এগিয়ে আসতে দেখা গেলো। ক্রমশঃ যতো কাছে আসতে লাগলো তত চেহারাটা স্পষ্ট হয়ে এলো। স্ত্রী বলে উঠলো, "ওই তো তোর বাবা। কিন্তু সাইকেল কই?কিছু কি হয়েছে?"
বড়ো ছেলে বললো," হ্যাঁ,বাবাই তো।"
বাবা কাছে আসতে সকলে সমস্বরে জিজ্ঞাসা করলো, " এতো দেরি? সাইকেল কোথায়?"
বাসুদেব কোন কথা না বলে সোজা ঘরে ঢুকে গেলো আর সকলে বাসুদেবকে অনুসরণ করলো। ভিতরে ঢুকে সদর দরজা বন্ধ করে দিলো। ঘরে গিয়ে বাসুদেব সকল বৃত্তান্ত খুলে বললো। সব শুনে বাসুর বৌ বললো," তোমাকে কতোবার বলেছি, ওগো, অতো ওভার টাইম করো না। তা আমার কথা শুনলে তো।
—আমি সাধ করে ওভার টাইম করি? ওভার টাইম করি বলেই দুটো পয়সার মুখ দেখতে পাও ।
—তা জানি।কিন্তু এই রাতবিরেতে ভুত প্রেতের উপদ্রব, সেটাও তো দেখতে হবে। নাও নাও,রাত অনেক হয়েছে। আমি খাবার বাড়ছি বসে যাও।আবার তো সকালে বেরুতে হবে।
এখন হয়েছে কি, লাইনের ওপারে কেউ হয়তো এই পথ দিয়ে ফিরছিলো । সে ওই স্থানে সাইকেল,জামা কাপড় দেখে এবং আর কাউকে ধারে কাছে দেখতে না পেয়ে লোভ সামলাতে পারে নি। সাইকেল, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ নিয়ে সোজা স্টেশনের দিকে চলে যাচ্ছিলো। হঠাৎ এক ছায়ামূর্তি লোকটির পথ রোধ করে দাঁড়ালো। ছায়ামূর্তি বললো, "যার জিনিস তুই চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছিস, সে এতো রাতে, ঠান্ডায় নিজের প্রানের ঝুঁকি নিয়ে একটা বাচ্চা ছেলেকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপালো। যা ফিরিয়ে দিয়ে আয়।যেখানের জিনিস সেখানে রেখে আয়।তোর এই পাপের কাজের জন্য বাড়ি গিয়ে দেখবি তোর ছেলে আর বেঁচে নেই।" বলে সেই ছায়ামূর্তি অন্ধকারে মিলিয়ে গেলো ।
লোকটি সাইকেল, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ যা যা নিয়ে ছিল সব সেখানে যেমন ছিল তেমনি ভাবেই রেখে ভয়ে ভয়ে তার বাড়ির দিকে পা বাড়ালো ।
লোকটি আসলে চোর। চৌর্যবৃত্তি ওর পেশা। ভৌতিক উপদ্রবের মাঝেও রাতভিতে লোকের বাড়ি চৌর্যবৃত্তি করে বেড়ায়।লোকটি ভাবলো , ছায়ামূর্তি কি বলে গেল? ভাবতে ভাবতে সে বাড়ির দিকে দ্রুতপদে এগিয়ে যেতে লাগলো। ঘরে পৌঁছে দেখে তার অসুস্থ ছেলে তাদের ছেড়ে চলে গেছে। সে কান্নায় ভেঙে পড়লো।
শুতে দেরি হওয়ায় কারণে সকলেই প্রায় ঘুমে অচৈতন্য।কেবল বাসুদেব চোখ বুজে পড়ে ছিলো । সাইকেল,মোবাইল ফোন,টাকা পয়সা চুরি যাওয়ার কারণে সে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলো । ঠিক সেই সময় ছায়ামূর্তি বাসুদেবের সামনে এসে দাঁড়ালো। অন্ধকার ঘরের মধ্যে জাগ্রত বাসুদেব স্পষ্ট দেখলো ছায়ামূর্তি তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বাসুদেবের মুখ দিয়ে কোন কথা সরলো না। স্ত্রীকে ডেকে তুলবে তাও পারলো না।
ছায়ামূর্তি আস্তে আস্তে বলতে শুরু করলো, " ভোর হতে না হতে ঝিলের ধারে চলে যাবি।তোর সমস্ত ফেলে আসা জিনিস তোর জন্য অপেক্ষা করে আছে। আলো ফোটার আগে চলে যাবি, নইলে চোরের ওপর বাটপাড়ি হয়ে যাবে। তুই একটা বাচ্চা ছেলেকে ওই রাতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচাতে জলে নেমে গেলি।
আর পেলি না, কেন জানিস ,ও হলো ,যে তোর জিনিস চুরি করেছিলো তার ছেলে। তার ছেলে তখন মারা গেছে। তাই তুই ওকে আর খুঁজে পাসনি। তবে তোর এই দুর্ভোগ কেন হলো, কারণ, কালো বিড়ালটি তোর রাস্তা কাটলো তোকে আটকাবার জন্য। আর তুই কিনা অবজ্ঞা করে চলে গেলি। তুই ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাবার পর পিছন ফিরে দেখেছিলি শ্মশানের দিকে রাস্তা কেটে বেরিয়ে যাওয়া সেই বিড়ালটাকে।ওই বিড়ালটাই হলো ওই শিশুটির প্রতিমূর্তি। শ্মশানের দিকে চলে যাওয়ার অর্থই হলো মৃত্যু সূচিত করা। আর যে তোর জিনিস চুরি করেছিলো, সে তার ছেলেকে বাঁচাবার চেষ্টা করেনি। তাই এইভাবে সে শাস্তি পেলো। আমি মৃত বা জীবিত সত্ত্বা নই। আমি হলাম বিবেক, যা সবার মধ্যে আছে, শুধু কাজে লাগায় না। বিবেককে জাগ্রত করার জন্যই শরীরী আত্মার ছায়ামূর্তির ভেখ ধরে আমার আর্বিভাব। মানুষ ভয় পেলে তবেই কারোর কথা শোনে। যতক্ষণ ভয় থাকে ততক্ষণ সে কারোর ক্ষতি করে না বরং উপকারই করে। কিন্তু আবার এই ভীতির সুযোগ নিয়ে কেউ যদি কারোর ক্ষতি করার চেষ্টা করে ,তার মধ্যেও ভীতির সঞ্চার করে তাকে তার কুকাজ থেকে বিরত করতে হয় এই ভেখ ধরে এসে। অনেক মহাণ মানুষ বলেছেন ভয়শূণ্য হতে।
কিন্তু কোন কিছুই শূণ্য হলে চলে না। ধর ,যদি ছেলেমেয়েরা তাদের পিতামাতাকে ভয় না করে, তবে তারা অবাধ্য হবে না কি? অথচ যাদের চরিত্র সুগঠিত তারা কখনও অবাধ্য হয় না। সুতরাং আগে চারিত্রিক গঠন, পরে ভয়শূণ্যতা। চরিত্র গঠনের সময় ভয়শূন্য হলে বিপথে চালিত হতে পারে।ভয় আর কিছুই নয়,ভয় হলো মান্যতা। " কথাগুলো বলে ছায়ামূর্তি অন্তর্হিত হলো।
ভোর হওয়ার পূর্বে কেউ জেগে ওঠার আগেই বাসুদেব ও তার বড়ো ছেলে সাইকেলে চড়ে
"বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর " প্রবাদে বিশ্বাস রেখে বেরিয়ে পড়লো। ঝিলপাড়ে গিয়ে তারা দেখলো তাদের জিনিস যথাস্থানেই আছে , যেমন ছিলো তেমন অবস্থায়। তারা উৎসাহিত হয়ে বলল, "অশুভ আত্মা যেমন আছে,শুভ আত্মাও তেমন আছে, যা মানুষকে সাহায্য করে।এদিকে সেই সন্তানহারা পিতা চলেছে মৃত সন্তানকে নিয়ে শ্মশানের পথে "বলো হরি, হরি বোল " ধ্বনিতে।
================
Samir Kumar Dutta
23/1/A, Mohanlal Bahalwala Road
P.O. Bally, Dist. Howrah 711201
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন