Featured Post

প্রবন্ধ ।। দলিত সাহিত্যে মিনা কান্ডাশমী ।। রণেশ রায়

Meena Kandasamy

দলিত সাহিত্যে মিনা কান্ডাশমী 

রণেশ রায় 

 

কবি মিনা কান্ডাশমী একজন কবি যিনি কবিতা রহস্য গল্প উপন্যাস লেখেন। তিনি দলিত সাধারণ মানুষের জীবন যাপন সুখ দুঃখ তাদের ওপর রাষ্ট্রের নিপীড়ন অত্যাচার নিয়ে অসংখ্য লেখা লেখেন। উনার আসল নাম লাভনিল কান্ডাশমী। মিনা বলেই সাহিত্য জগতে তাঁর বিশেষ পরিচিতি। জন্ম তাঁর ১৯৮৪ সালে।বয়স প্রায় পঞ্চাশ বছর। তিনি তামিল ভাষী । ইংরেজি ভাষায় প্রধানত তাঁর সাহিত্য চৰ্চা।


বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মিনা কবিতা লেখেন। তার মধ্যে আদিবাসী দলিত নিম্ন বর্গ মানুষের জীবন যাপন তাদের সামাজিক ও আর্থিক দুরাবস্থা নারী নির্যাতন ব্রাহ্মন্যবাদ হিন্দুত্ববাদের প্রকৃত স্বরূপের ওপর লেখাগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বিলাসী কল্পনাসর্বস্ব সাহিত্য চর্চার তিনি বিরোধী। রাষ্ট্রের চোখে তিনি রাষ্ট্র বিরোধী। সেটা তিনি নিজেও জানেন। তবে তা জেনেও ভয় পাওয়ার পাত্রী তিনি নন। প্রকাশ্যে তাঁর লেখায় বিদ্রোহের সুর। সাহিত্য চর্চায় তিনি এক সংগ্রামী বিদ্রোহী চরিত্র। তাঁর লেখাগুলোই তাঁর পরিচয়।


তাঁর ক্ষুরধার লেখনীতেই বোঝা যায় যে তিনি এই ব্যবস্থার বদল চান। এবং প্রকাশ্যেই লেখায় জানান দেন যে এই ব্যবস্থায় শান্তির মাধ্যমে পরিবর্তন আসে না। তাঁর কবিতায় তিনি গান্ধীর অহিংস নীতির স্পষ্ট বিরোধিতা করেন। গান্ধীর ওপর লেখা তাঁর কবিতার নাম  Mohandas Karamchand। দলিতদের ওপর রাষ্ট্র ও সমাজের নিপীড়নের কথা যেমন তিনি তুলে ধরেন তেমনি নিজে দলিত সম্প্রদায় ভুক্ত কবি হলেও দলিতদের মধ্যে আর্থিক ভাবে উচ্চবিত্ত রাষ্ট্রের সঙ্গে আপোষপন্থী দলিতদের চরিত্র তুলে ধরতে  সংকোচ করেন নি। নারী নিপীড়ন ও নারী আন্দোলনের ওপর তাঁর লেখাগুলো প্রণিধানযোগ্য। বর্ণ বৈষম্য লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে তিনি সোচ্চার। কিন্তু তিনি অর্থনৈতিক বৈষম্য যে সমাজে মূল সমস্যা সেটা জানাতে ভুলে যান নি।


Touch (২০০৬) এবং Militancy (২০১০) নামক তাঁর লেখা দুটি কাব্য সংকলন প্রকাশ পায়। দলিতদের নিয়ে লেখা পত্রপত্রিকার তিনি সম্পাদনা করেন।


কবি মিনা বর্ণ বৈষম্য দলিতদের দুরবস্থা ও লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে সবসময় সোচ্চার। এই প্রসঙ্গে হিন্দুত্ববাদীদের চোখ রাঙানীকে উপেক্ষা করে তিনি বলেন, ''This threat of violence shouldn't dictate what you are going to write or hinder you in any manner." অর্থাৎ রাষ্ট্রের হিংসা সাহিত্যিককে তার নির্দেশমত লিখতে বাধ্য করতে পারে না, সেটা লেখকের লেখনীর পথে বাধা হতে পারে না। তাঁর এই আপোষহীন দৃষ্টিভঙ্গির ফলে তাঁকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে রাষ্ট্রের নির্যাতন নানা ভাবে ভোগ করতে হচ্ছে। একই ব্যাপার আমরা অরুন্ধতি রায়ের ব্যাপারেও দেখি।


মিনা একজন প্ৰখ্যাত অনুবাদক। তামিল ভাষায় লেখা বিভিন্ন গদ্য ও কাব্য সাহিত্যের তিনি ইংরেজি অনুবাদ করেন। সাহিত্য ও অনুবাদ সাহিত্য নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট।সাহিত্য তাঁর মতে সমাজ প্রগতির হাতিয়ার। সুতরাং সাহিত্যিককে স্পষ্ট ভাষায় নিজের মত প্রকাশ করতে হয়। কল্পনার ব্যুহ জালে তাকে আটকে রাখলে চলে না। তার মানে সাহিত্যে কল্পনার ভূমিকা নেই তা নয়। বস্তু জগতকে সঠিক ভাবনায় অবলোকন করে তাকে আদর্শের ভিত্তিতে মনোজগতে প্রতিষ্ঠা করে তার ভবিষ্যৎ মুখটা কী হবে তা নিয়ে সাহিত্যিক ভবিষ্যতের ছবি আঁকেন। সেখানে তাঁর কল্পনা প্রবন মন কাজ করলেও সমাজের ঘাত প্রতিঘাত পীড়ন নিপীড়নকে উপেক্ষা করে সাহিত্য হয় না। অনুবাদ কবিতা কোন পথ ধরে এগোবে তা স্বার্থগোষ্ঠীর নিয়ম নীতির দাসত্ব করবে কী না তা জানান দেন কবি যখন তিনি লেখেন,


''I know that there is no limit, no boundary, no specific style guide to poetry—that you are free to experiment, that you are free to find your own voice, that you are free to flounder and also free to fail once in a while because all this happens all the time when you translate."  অর্থাৎ সাহিত্যিকের লেখায় কোন বাধা নিষেধ থাকতে পারে না, তাকে নিদ্দৃষ্ট সীমায় বেধে দেওয়া যায় না। তার কোন নিদ্দৃষ্ট করে দেওয়া ঢঙ থাকতে  পারে না। সাহিত্যিকের কণ্ঠস্বর হতে হয় উন্মুক্ত যা কোন নিয়ম নীতি বাধা মানে না। যা কাউকে খুশি করতে চায় না। আমাদেরও মতে বসন্তের সন্ধ্যায় ফুল খেলবার জন্য সাহিত্য নয়। মনোরঞ্জন তার একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে না। মানুষের জীবন জীবন সংগ্রাম মিনার সাহিত্যের মূল বিষয়।


সমসাময়িক ভারতের সাহিত্য জগতে মিনা কুন্দাশমী এক স্বনামধন্য সাহিত্যিক। সমাজের দলিত নিপিড়িত মানুষের সংগ্রামের সঙ্গে তিনি তাঁর সাহিত্য কর্মে নিজেকে একাত্ম করেছেন। এর জন্য তাঁর সাহিত্যে তিনি শোষণ নিপীড়নের চেহারাটাকে উন্মোচন করেন । আর্থিক ও সামাজিক নিপীড়নের কথা তুলে ধরেন। এই পুরুষ প্রধান সমাজে নারী নির্যাতনের বীভৎস রূপটা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর সাহিত্য চর্চায়। উচ্চ বর্ণের মানুষ রাষ্ট্র ও তাঁর পদলেহী মানুষজনের চেহারাটা তুলে ধরা হয়েছে। ধর্মেও তাঁর রীতি নীতি কীভাবে এই নিপীড়ন ও অত্যাচারের সাথে যুক্ত তা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর সাহিত্য চর্চায়।


মিনা তাঁর লেখা The Orders Were to Rape You: Tigresses in the Tamil Eelam Struggle  নামক বইতে শ্রীলঙ্কায় অধিকারের দাবিতে Liberation Tiger of Tamil Elan সংগঠনের লড়াইয়ে লড়াকু সৈনিকদের ওপর সেখানকার রাষ্ট্রের দমননীতি হত্যাকাণ্ডের ওপর লেখেন । বিশেষ করে যুদ্ধরত নারী বাহিনীর ওপর রাষ্ট্র শক্তির যৌণ নির্যাতনের বিস্তৃত বিবরণ পাওয়া যায় তাঁর লেখায়। প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎকারে সেখান থেকে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়া মেয়েদের কথা তাঁর লেখায় বিস্তারিত জায়গা পায়।কোন একজন নারী LTT সদস্যকে বিবাহ করার অপরাধে তার ওপর যে নির্যাতন নামে তা তিনি তুলে ধরেন।এই একই ধরনের নির্যাতন দেখি আমরা সব দেশে যখন সেখানকার মানুষ অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হন রাষ্ট্রের নির্যাতন অস্বীকার করে।


মিনা কান্ডশামি ভারতের সাহিত্য জগতে একজন প্রতিবাদী লেখিকা। প্রান্তিক মানুষের প্রতিবাদের ভাষা তাঁর সাহিত্য চর্চায়।তিনি দেখান রাষ্ট্র ও উচ্চবর্ণের মানুষের লোভ লালসার স্বীকার যেমন ভারতের নারী সমাজ বিশেষত আদিবাসী দলিত পিছিয়ে থাকা গরীব নারী সমাজ তেমনি তারা স্বগৃহে নিজের আপন পুরুষের হাতে আক্রান্ত নিপীড়িত।গরীব নিপীড়িত মানুষরা ধর্মের নামে মনুষ্য সমাজে অচ্যুত বলে বিবেচিত।তাদের ঘরে উচ্চবর্ণিদের  প্রবেশ নিষেধ।তাঁর লেখনীতে সুতীব্র ঘৃণার ভাষায় উচ্চারিত হয়:


Marramia 


We understand,

Why upper caste Gods

and their' good-girls' much-married, father-fucked,

virgin, vegetarian oh-so- pure Goddesses

borne in their golden chariots

don't come to our streets,

(অংশবিশেষ).


আমরা নিচে তাঁর Narration কবিতাটা bতুলে ধরলাম যেখানে কবি জমিদার পুরোহিত এমন কী নিজের ঘরের মানুষকেও রেওয়াত করেন নি, তাঁদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।আরো বলেছেন নিজের ঘরের লোক সম্বন্ধে কী করে আর বলি সে যে আপন লোক।তাই গরীব নিম্নবর্গের মানুষকে নীরবতার আশ্রয় নিতে হয়, নীরবতার মুখোশের আড়ালে অন্তর্হিত হতে হয়। শ্লেষ ঘৃণায় মেশানো তাঁর প্রতিবাদের ভাষা। তিনি বলেন কোন দলিত মহিলা যদি আত্মসমর্পণ করে জমিদার পুরোহিত এমন কি নিজের পুরুষের কাছে নিজেকে বিলিয়ে দেয় প্রতিবাদ না করে তবে সে আর অচ্যুত থাকে না।নিচের কবিতায় বিষয়টা কবির কলমে তুলে ধরা হয়েছে:


Narration

 

I'll weep to you about

My landlord, and with

My mature gestures—

You will understand:

The torn sari, disheveled hair

Stifled cries and meek submission.

I was not an untouchable then.

I'll curse the skies,

And shout: scream to you

Words that incite wrath and

You will definitely know:

The priest, his lecherous eyes,

Glances that disrobed, defiled.

I was not polluting at four feet.

How can I say

Anything, anything

Against my own man?

How?

So I take shelter in silence

Wear it like a mask.

When alone, I stumble

Into a flood of incoherencies. . .

(First published in Kritya)

Meena Kandasamy



নিগ্রহ নিপিড়নের মুখে গরীব দলিত মানুষ চুপ করে থাকেন। মৌনতাই তাদের আশ্রয়। কিন্তু সেটা যখন মাত্রা ছাড়া হয়  আর সহ্য করা যায় না। তখন যে বিষ্ফোরণ ঘটে সেটা তিনি তুলে ধরেন Aggression নামক কবিতায়।আসুন সেটাএই প্রসঙ্গে পড়ে নেওয়া যাক::


Aggression

-Meena Kandasamy

Ours is a silence
that waits. Endlessly waits.

And then, unable to bear it
any further, it breaks into wails.

But not all suppressed reactions
end in our bemoaning the tragedy.

Sometimes,
the outward signals
of inward struggles takes colossal forms
And the revolution happens because our dreams explode.

Most of the time:

Aggression is the best kind of trouble-shooting.


পুঁজিবাদী সমাজে রাষ্ট্রের সাহায্যে পুঁজিপতিরা কিভাবে জল জমি জঙ্গল খনি আকাশ বাতাস লুঠ করে তার যেন চলমান ছবি আমরা দেখি কবির Inheritance নামক কবিতায়:



Inheritance


Helplessly, silent;

we watched it being seized away, all our lands.

The Government—a fulltime bewitching whore

had promised Jobs. Industrialization. Power, Electric.

Everything went, Nothing came.

Now, landless, uprooted,

unsettled in a resettlement colony

we feast our souls on lucent memories—Of an earlier life.

When memory charts

familiar horizons

I often recollect that

long ago rainy Sunday

in our crowded church,

Fr. Jose reading crisply

"Blessed are the meek

for they shall inherit the earth."

(First published in Sweet Magazine, South Africa)

Meena Kandasamy


শহীদের ওপর মিনার লেখাটা আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায় যখন আমরা পড়ি:


 Martyr

A militant, whom my lines

cannot hold whom my lips

cannot kiss whom my eyes

cannot hide whom my memory

cannot mark with a date

of birth or even death.

No knowledge of her village

laid waste, then displaced and

no mention of her songs

seeking to seize a state and

no sigh of a red star where

she had stashed her dreams.

In this book of martyrs

only that blood-drenched

story in three bold words:

'One Woman Comrade'

to say she died fighting

for the people.

Meena Kandasamy



পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় সাহিত্য কিভাবে পণ্য হয়ে যায়, কবিতা হয়ে দাঁড়ায় দেহ ব্যবসায়ী যেখানে মানুষের চিন্তা ভাবনা প্রেম প্রীতির বিকিকিনি চলে সেটা কবি তির্যক ভাষায় তুলে ধরেন। আসুন কবির লেখা  নিচের কবিতাটা পড়ি :


How They Prostitute A Poem 


It is uniquely easy

For some to sell

Ideals because

Business of absent

Goods is essentially

A sacrosanct but mostly

A flimsy transaction.

Some learn, early on,

To prostitute their verse.

So, in all the waking hours

They scavenge for a simple simile

That matches requirements, fulfills needs.

They barter reality

And every romance

To a blurred triplicate

Carbon-copy World of Hard

Cash and Price Tags and Brand Names.

In this brothel

Of stilled hope and

Stagnated stories, poems

Are born virgin and endowed

With voluptuous figures of firm,

Full breasts and wide hips where men

Prefer to plant their pastime dreams,

Or conceive their seed,

Or merely spite themselves,

Or dabble at domination.

But, the poem, with this

Bogus existence becomes

An adept, untiring prostitute.


আমাদের সমাজে শুধু যে মনুষ্য সমাজকে বিভাজিত করে রাখা হয় তা নয়। ভগবানকে তার ধর্মকেও উচ্চ ও নিম্ন দুটি বর্গে ভাগ করে রাখা হয়। নিম্ন বর্গের মানুষদের উচ্চবর্গের দেবদেবীকে পুজো করার অধিকার দেওয়া হয় না।যদিও প্রচার করা হয় ধর্ম সব মানুষকে সমানভাবে মুক্তির পথ দেখায়।দেবরাজ ইন্দ্র দেবতাদের মধ্যে বিভাজন বজায় রেখে দেবতাদের রাজত্বে নিজের প্রাধান্য বজায় রাখেন। ইন্দ্র নিজে তমগুনের একজন বাহক ও ধারক। এ নিয়ে কবির তীব্র কটাক্ষ নিচের কবিতায় :


Massacre Of The Innocents

 

indra, chief vedic deity and

inspirational hate-monger.

indra, who went to work

inside diti's womb, afraid

she would mother the other,

the demons...

 indra who butchered

her fetus into forty-nine bits,

so that, as the legend goes, they

were reborn as wailing winds.

indra. indra. narindra.

the hindu god of war.

herod merely chopped up male kids

in bethlehem, hitler only gassed

jewish infants in germany, and

the peacekeepers just dipped

tamil babies in boiling tar

in eelam...

 but indra indra narendra alone

perfected this science of slaughter,

killing children of the other

before they were even

born.

indra. indra. narendra.

the genocidal god of gods.


উচ্চবর্গীয়দের দেবী হলেন সরস্বতী। তাঁর মহিমা গরিমা ফুটিয়ে তোলা হয়  তাঁকে সোনার রথে সাজিয়ে। গরিবদের বস্তিতে তাদের চালা ঘরে সরস্বতী মা ঢোকেন না তাঁরা নিম্ন বর্গ বলে। মারিয়াম্মা হলেন নিম্ন বর্গের মানুষের দেবী। তাঁকে পুজো করা হয় পশু বলি দিয়ে যাতে তাঁর আগুন রাগ দমিত থাকে, দেবী তুষ্ট হন। তাঁকে বৃষ্টির দেবী বলে পুজো করা হয় যা ক্ষেতে ফসল ফলতে সাহায্য করে দেবীর অনুগ্রহে। মনে করা হয় যে দেবী অসন্তুষ্ট হলে রাগে এমন বিষ ছড়ান যাতে জল বসন্তের মত ভয়ঙ্কর রোগের উদ্ভব ঘটে। দেবীকে তুষ্ট রাখার ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও তিনি নিম্ন বর্গের ঘরে আসা বন্ধ করেন। লেখিকা নিম্নবর্গের দেবীর এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেন। সেটা তুলে ধরেন Marammia কবিতায় :


when you are still getting

those roosters and goats,

why have you stopped coming to our doors? 


এর উত্তর কবি পান না।কবি শ্লেষের সঙ্গে জানান দেবী মারিমেয়া বিশ্বাসঘাতকতা করে দেব রাজের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। শত্রু শিবিরে যোগ দেন । আর নিম্ন বর্গের ঘরে আসেন না। কবি জানান উচ্চ বর্গের দেবকুল এই বিভাজন নীতি প্রয়োগ করে গরিব নিম্ন বর্গের ওপর শাসন নিপীড়ন চালান।


রাষ্ট্র নির্দেশ দেয় প্রকৃত শিক্ষা নিও না।যা কিছু সত্যি যুক্তিগ্রাহী পরিত্যাগ কর। শুধু রাষ্ট্র আর পুরোহিত এর উপদেশ মেনে চল। প্রশ্ন কর না কারণ জ্ঞানের মতই জ্ঞানের মাধ্যম বই হল প্রতারক বিশ্বাস ঘাতক। সেই শিক্ষাতেই শিক্ষিত হও যা রাষ্ট্র পুরোহিত তোমায় শেখাবে। তাতে যদি সূর্য পৃথবীর চারিদিকে ঘোরে ঘুরুক তাতে যদি গরীব নিপিড়ন তোমার মস্তিষ্কে বৈধতা পায় পাক। তোমার স্মৃতির দরজা বন্ধ করে দাও। অতীতের সব স্মৃতি হারিয়ে যাক, বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাক। কবি তীক্ষ্ম কঠিন ভাষায় লেখেন:


Meeting The Prophetess

 

Leave your books behind.

Since memory,

Like knowledge, is a traitor,

Erase every hoarding of your horrible past.

At last, when you enter her world

Of fraying edges and falling angels

Don't barter words where touch will do and be the truth.

For once allow her silence to sear, strip your life-layers

Because she who knows the truth will not know the tale.

(First published in Thane Online)




Mohandas Karamchand


 "Generations to come will scarcely

believe that such a one as this walked

the earth in flesh and blood."

 —Albert Einstein


Who? Who? Who?

Mahatma. Sorry no.

Truth. Non-violence

Stop it. Enough taboo.

That trash is long overdue.

You need a thorough review.

Your tax-free salt stimulated our wounds

We gonna sue you, the Congress shoe.

Gone half-cuckoo, you called us names,

You dubbed us pariahs—"Harijans"

goody-goody guys of a bigot god

Ram Ram Hey Ram—boo.

Don't ever act like a holy saint.

we can see through you, impure you.

Remember, how you dealt with your poor wife.

But, they wrote your books, they made your life.

They stuffed you up, the imposter true.

And sew you up—filled you with virtue

and gave you all that glossy deeds

enough reason we still lick you.

You knew, you bloody well knew,

Caste won't go, they wouldn't let it go.

It haunts us now, the way you do

with a spooky stick, a eerie laugh or two.

But they killed you, the naked you,

your blood with mud was gooey goo.

Sadist fool, you killed your body

many times before this too.


Bapu, bapu, you big fraud, we hate you.

(First published in The Little Magazine)

Meena Kandasamy




উপরোক্ত আলোচনায় দলিত বর্গের সাহিত্যিক তামিল কবি মিনা খান্ডাশমির কিছু ইংরেজী কবিতার সাহায্যে ক্ষুদ্র পরিসরে তাঁর কবি প্রতিভা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। দুচারদিন হলো তাঁর কিছু লেখা পড়ে তাঁকে যেভাবে চিনেছি সেভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আমার মনে হয় আমি তাঁকে এই অল্পসময়ে  যেটুকু জেনেছি তার থেকে তিনি অনেকটাই বড় মাপের ব্যক্তিত্ব। আরও কিছু অধ্যয়নের পর হয়তো সেটা জানব। ইচ্ছে আছে তাঁর কবিতাগুলোর বাংলা করে  পাঠক সমাজে তুলে ধরার।এখানে অল্প সময়ে সেটা সম্ভব হলো না। আজকের ভারতের আর্থ সামাজিক অবস্থায় উনার মত একজন সাহিত্যিকের বিশেষ দরকার বলে আমি মনে করি।


 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী