Featured Post
প্রবন্ধ ।। নিন্দা সহ্য করতে হয়েছিল বিশ্বকবিকেও ।। অনিন্দ্য পাল
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
নিন্দা সহ্য করতে হয়েছিল বিশ্বকবিকেও
অনিন্দ্য পাল
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বকবি আখ্যা পেয়েছিলেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হয়ে বিশ্ববাসীর হৃদয় জয় করেছিলেন কিন্তু বাঙালির কাঁটার খোঁচায় বিদ্ধও হয়েছিলেন বহুবার। সমসাময়িক পত্রপত্রিকা এবং আলোচনা থেকে বোঝা যায়, একটা সময় বাঙলাদেশে রবীন্দ্রানুরাগীর তুলনায় রবীন্দ্রবিদ্বেষীদের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল।
১৮৯৬ সালের মে মাসে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বিখ্যাত 'দাসী' পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের সদ্য প্রকাশিত কাব্যসংকলন "চিত্রা"র একটা সমালোচনা প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধের লেখক একজন অল্পবয়সী, মাত্র বছর তেইশের যুবক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। পরবর্তী সময়ে যাঁকে আমরা বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্প ও উপন্যাস লেখক হিসেবে অত্যন্ত মুন্সিয়ানার পরিচয় দিতে দেখব। দেখবো বাঙালি তাঁকে বাংলা সাহিত্যের "রত্নদীপ" আখ্যা দিয়ে মাথায় করে রেখেছে।
তিনি লিখলেন, " যাঁহারা বাংলা সাহিত্যের সংবাদ রাখেন, তাঁহাদের মধ্যে এখন দুইটি দল। একদল রবীন্দ্রনাথের সপক্ষে একদল বিপক্ষে। প্রথম দলের অধিকাংশই সুশিক্ষিত মার্জিতরুচি নব্যযুবক - ইঁহারা সকলেই একপ্রকারের লোক। দ্বিতীয় দলে অনেক প্রকারের লোক - মনুষ্যের চিড়িয়াখানা।
(ক) বৃদ্ধ - তাঁহাদের কানে দাশু রায়ের অনুপ্রাস ভারতচন্দ্রের শব্দ পারিপাট্য এমনই লাগিয়া আছে, যে অপর কিছু একেবারে তুচ্ছ বলিয়া বোধ হয়… তাহা ছাড়া তাঁহাদের কাছে রবীন্দ্রনাথ এক মহাদোষে দোষী - তিনি অল্পবয়স্ক যাহাকে এখন উলঙ্গাবস্থায় পথে খেলা করিতে দেখিতেছি, আমি বৃদ্ধ হইলে এবং সে যুবক হইলে যদি কেহ আসিয়া আমাকে বলে- দেখুন অমুক এমন হইয়াছে; হয়ত আমি বলিব - কে অমুক? আরে না না, ওসব বাজে কথা, বৃদ্ধের কাছে যাহা পুরাতন তাহাই প্রাণপ্রিয় মনে হয়, নূতন (তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী ভিন্ন) কিছুই ভালো লাগে না। সুতারাং নব্যকবির রচনা কেমন করিয়া ভাল লাগিবে?
(খ) প্রৌঢ় - ইঁহারা রবীন্দ্রনাথের কাব্যকে ছেলেমানুষী বলিয়া উড়াইয়া দেন, তাহার কারণ হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র ইঁহাদের হৃদয়বীণার যে তন্ত্রীগুলিতে আঘাত করিয়া টুং টাং শব্দ বাহির করিয়াছিলেন, সেই তন্ত্রীগুলিই এখন এমন ঢিলা হইয়া পড়িয়াছে যে, রবীন্দ্রনাথের আঘাতে ছড়ছড় শব্দমাত্র করিয়া থামিয়া যায়।
(গ) যুবক - যুবকের মধ্যে যাঁহারা রবীন্দ্রনাথের বিপক্ষে, তাঁহার কেহ কেহ ব্যর্থকাম কবি। ইঁহারা যাহা হইতে চেষ্টা করিয়াছিলেন, তাহা হইতে না পারিয়া যে হইয়াছে তাহার প্রতি নিন্দা করিয়া সান্ত্বনা ও আত্মপ্রসাদ লাভ করিয়া থাকেন। মানুষ যখন প্রতিযোগিতায় হারিয়া যায়, তখন যে জিতিয়া যায় তাহার প্রতি তাহার বিজাতীয় বিদ্বেষ হইয়া থাকে- এটা নিতান্ত স্বাভাবিক। আমাদের কলেজের কতগুলি যুবক অকালে নিতান্ত জ্যাঠা হইয়া পড়িয়াছে, তাহারা রবীন্দ্রনাথের নিন্দা করে। এই সকল যুবককে চিনিবার কতকগুলি লক্ষণ এখানে নির্দেশ করিতেছি। (১) তাহারা অশ্লীল কথা কহিয়া মনে করে ভারি রসিকতা করিলাম। (২) পথেঘাটে ভদ্রলোকের মেয়েছেলে দেখিলে কুৎসিত হাসি তামাশা করে। (৩) কোনও নূতন ভাল বিষয়ে কাহারও চেষ্টা দেখিলে তাহাকে বিদ্রূপ করে। … এটা আমি বিশেষ লক্ষ্য করিয়া দেখিয়াছি, যাহারা রবীন্দ্রনাথের ভক্ত, তাহারা ভারি গোঁড়া। কেহ যদি রবীন্দ্রনাথের বিপক্ষে একটি কথা বলিল, অমনি রণংদেহি রণংদেহি বলিয়া তাহারা গর্জন করিয়া উঠে। বোধহয় এই কারণেই যাহারা বিপক্ষে তাহারাও ঘোরতর বিপক্ষে। অনেক ছাত্রাবাসে রবীন্দ্রনাথের কবিতা সম্বন্ধে আলোচনা আরম্ভ হইয়া শেষকালে শত্রুপক্ষ মিত্রপক্ষে হাতাহাতি হইয়াছে শুনিয়াছি। অনেকে রবীন্দ্রনাথের পক্ষে যুদ্ধ করিতে এতই প্রস্তুত, যে সহসা মনে হয় লোকটা ম্যানিয়াগ্রস্ত। ইহার কারণ কি? বঙ্গের আর কোনও লেখকের ত এরূপ দৃঢ়বিভক্ত শত্রুপক্ষ-মিত্রপক্ষ নাই।
রবীন্দ্রনাথের কবিতা সমুদ্রের মত বাহিরে দাঁড়াইয়া অপেক্ষা করিতেছে। যদি কাহারও হৃদয়বাঁধে একটু ছিদ্র থাকে, সেই পথ দিয়া অল্প অল্প জল প্রবেশ করিতে আরম্ভ করে। ক্রমে ছিদ্র আরও বড়, আরও বড়, আরও বড় হইয়া পড়ে, তখন হৃদয়টা জলপ্লাবিত হইয়া যায়। আর যাহার হৃদয়বাঁধে ছিদ্রই নাই, তাহার কোনও ল্যাঠাই নাই। তাহার ভিতর এক ফোঁটা জলও প্রবেশ করিতে পারে না। এমন লোক তর্ক করিয়া সেই সমুদ্রের অস্তিত্ব লোপ করিবার চেষ্টা তো করিবেই!!"
১৮৯৭ সালে প্রকাশিত হল রবীন্দ্রনাথের 'চৈতালি' কাব্যগ্রন্থ। এটাও পড়লো বিপুল সমালোচনার মুখে। এক তরুণ সাংবাদিক হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে চৈতালি কাব্যের এমন সমালোচনা করে বক্তৃতা করলেন যেটাকে সমালোচনা না বলে নিন্দা বলাই ভাল। এরপর 'দাসী' পত্রিকাতেও হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ চৈতালি কাব্যের ধারালো সমালোচনা লিখলেন। সেটা ছিল অত্যন্ত নিম্নস্তরের প্রবন্ধ - বিদ্বেষ ছাড়া যেটাতে আর কিছুই ছিল না। এ প্রবন্ধ রবীন্দ্রনাথকেও কষ্ট দিয়েছিল।
হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষের এই উৎকট সমালোচনা পড়ে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় অত্যন্ত রেগে গেলেন। তিনি সেই সময়কার বিখ্যাত মাসিক "প্রদীপ" পত্রিকার (বাংলা ১৩০৬ সনের আষাঢ় সংখ্যায়) লিখলেন একটা কবিতা। কবিতাটার নাম ছিল "একটি কুক্কুরের প্রতি" । এই কবিতাটা একটু অদ্ভুতভাবে পত্রিকার শেষ পাতার সঙ্গে জোড়া ছিল। একটা চৌকো কাগজে লেখা কবিতাটার উপরে একটা পাতলা সেলোফেন জাতীয় কাগজের আচ্ছাদন ছিল। এই কবিতাটা রবীন্দ্রনাথের ভক্ত এবং রবীন্দ্রনাথ বিদ্বেষী উভয়ের মধ্যেই একটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে পেরেছিল। কবিতাটা এই রকম:
একটি কুক্কুরের প্রতি
চিরদিন পৃথিবীতে আছিল এক প্রবাদ
কুকুর চিৎকার করে চন্দ্রোদয় দেখি
আজি এ কলির শেষে অপরূপ একি
কুক্কুরের মতিভ্রম বিষম প্রমাদ।
চিরদিন চন্দ্রপানে চাহিয়া চাহিয়া
এতদিনে কুক্কুর কি হইল পাগল?
ভাসিছে নবীন রবি নভঃ উজলিয়া
তাহে কেন কুক্কুরের পরান বিকল?
নাড়িয়া লাঙ্গুলখানি ঊর্ধ্ব পানে চাহি
ঘেউ ঘেউ ভেউ ভেউ মরে ফুকারিয়া।
তবু তো রবির আলো ম্লান হোল নাহি,
নাহি হোল অন্ধকার জগতের হিয়া।
হে কুক্কুর ঘোষ কেন আক্রোশ নিষ্ফল
অতি ঊর্ধ্বে পৌঁছে কি কণ্ঠ ক্ষীণবল?
এই কবিতা পড়ে রবীন্দ্র বিদ্বেষীদের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী মুখপত্র "সাহিত্য"র সম্পাদক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি একটা চমৎকার মন্তব্য করলেন, " … কবিতাটির "রবি" ও "ঘোষ" এই দুইটি শব্দে বেশ বুঝা যায়, শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমালোচক কোনও ঘোষ ( শ্রীযুক্ত হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ?) ইহার লক্ষ্য। পবিত্র সাহিত্য ক্ষেত্রে এইরূপ মোসাহেবি ও মেছুনির ভাষার যুগপৎ আবির্ভাব দেখিয়া শঙ্কা হয়, আবার কি কবির গান ও খেউড় বাংলা সাহিত্যের আসরে অবতীর্ন হইবে? ভগবান রবিবাবুকে এই "অন্ধভক্তের" হস্ত হইতে রক্ষা করুন।
রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির বিপক্ষে কোন কথা বলা যাবে না, এরকম কথা কোন উন্মাদও বলবেন না একথা নিশ্চিত। তবে সেই সময়ের পত্র-পত্রিকা পড়ে যতটা বোঝা যায়, রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে যারা কলম ধরেছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই জ্ঞানী-গুণী মানুষ ছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকের রচনা বা সৃষ্টি আজও মানুষের কাছে সমাদৃত হয়। অথচ রবীন্দ্রবিদ্বেষীদের এই বিরূদ্ধতা তা কিন্তু নিদারুণ ভাবেই ব্যর্থ হয়েছিল। আসলে সেই সব সমালোচকদের বেশিরভাগ সমালোচনাই ছিল অত্যন্ত নিম্নস্তরের, উদ্ভট, উৎকট, কষ্টকল্পনা, অপ্রাসঙ্গিক, বিদ্বেষে পরিপূর্ণ এবং কখনো কখনো ন্যুনতম সাহিত্যিক সততার পরিপন্থী।
"বঙ্গদর্শন" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ দায়িত্ব নিলেন, ১৩০৮ বঙ্গাব্দে। বছর চল্লিশের রবীন্দ্রনাথের হাত ধরেই নবপর্যায়ের বঙ্গদর্শন প্রকাশিত হতে থাকে। বঙ্গদর্শন পত্রিকার ১৩০৮ বঙ্গাব্দের বৈশাখ থেকে ১৩০৯ কার্তিক পর্যন্ত "চোখের বালি" উপন্যাসটা ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। আর এই উপন্যাসের কয়েকটা ধারাবাহিক অংশ পড়েই সেই যুগের বিখ্যাত একজন সাহিত্যিক-সমালোচক এবং "সাহিত্য" পত্রিকার সম্পাদক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি রবীন্দ্রনাথের উপর একেবারে খড়্গ হস্ত হয়ে উঠলেন। "চোখের বালির" বিরুদ্ধে সাহিত্য পত্রিকার একটা সংখ্যায় বিরাট একটা সমালোচনা লিখলেন। তাতে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন, রবীন্দ্রনাথের হাতে বাংলাভাষাটারই বারোটা বেজে যাচ্ছে। উপন্যাসের সম্পর্কে বললেন, সেটা দারুণ অশ্লীল, লেখকের কল্পনাশক্তি বলে কিছু নেই। আরও অভিযোগ করলেন, এই লেখাটা আদৌ রবীন্দ্রনাথের নয়, অন্যের লেখা বেমালুম চুরি করে রবীন্দ্রনাথ নিজের বলে চালিয়েছেন।
লিখলেন, " আপতত মোটের উপর এই বক্তব্য, ভীরুতা, রুচিভ্রংশ, সত্যের অপলাপ, এবং সর্বপ্রকার সাহিত্য নীতির শৈথিল্য ষড়যন্ত্রে একজোট হইয়া রবীন্দ্রনাথের এই অতি কুৎসিত আখ্যানকে পূর্ণগ্রাস করিয়াছে। ইহার প্লট এবং নায়িকার নাম ও চরিত্রটি অপরের লিখিত ও পূর্বে প্রকাশিত একটি গল্পের নায়ক নায়িকা চরিত্রের অবিকল অনুকৃতি...। রবিবাবুর এই বই অতঃপর বঙ্গদর্শনে বাহির হওয়া বন্ধ হইলেই বোধ হয় ভাল হয়। তাঁহার এই চোখের বালি বঙ্গদর্শনের মুখে চুনকালী মাখাইয়া দিতেছে ।" এতেও ক্ষান্ত হননি তিনি, এরপরও তিনি জানালেন যে রবীন্দ্রনাথের এই 'চুরি' তিনি 'অক্ষরে অক্ষরে' ধরে দিতে পারেন। কিন্তু কেন সুরেশ সমাজপতি এই অভিযোগ করলেন? ব্যাপারটা ছিল এই রকম, "রবীন্দ্রনাথের চোখের বালি" উপন্যাসটা প্রকাশিত হবার বছর খানেক আগে শ্রী পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের "উমা" নামে একটা উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল। এই দুই উপন্যাসের অক্ষরে অক্ষরে সাদৃশ্য হল উমার নায়িকাও বিধবা, চোখের বালির নায়িকাও বিধবা! আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তাই রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে সুরেশ সমাজপতির প্লেজিয়ারিজমের অভিযোগ যে একেবারেই হাস্যকর তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু এই সমস্ত সমালোচনার মুখে রবীন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? এর উত্তর পাওয়া যায় ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ২০শে বৈশাখ আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয়ের কাছে লেখা রবীন্দ্রনাথের একটা চিঠি থেকে। সেখানে তিনি লিখেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তিনি তো পড়েনই না, এমনকি আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদেরও ওই লেখা গুলো তাঁর সামনে আনতে বা ওগুলো সম্পর্কে আলোচনা করতে বারণ করেন। কারণ এতে তাঁর মানসিক স্থৈর্য বিচলিত হবার সম্ভাবনা থাকে।
===================
অনিন্দ্য পাল, চাম্পাহাটি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন