Featured Post
বই আলোচনা ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় (বইঃ 'ভালবাসা মৃত্যুর মতো সুন্দর' । কবিঃ রাজাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়)
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
বাস্তবতা, পরাবাস্তবতার মিশেলে এক অদ্ভুত শৈল্পিক সৃজন
জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
বর্তমানে শিল্পের আবর্জনার স্তূপ থেকে নিজেকে দূরে রেখে অন্ধকারের পথে দ্রিমিত কবি রাজাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নতুন কাব্যগ্রন্থ 'ভালবাসা মৃত্যুর মত সুন্দর।'
এর আগে তাঁর অপর দুটি লেখা কাব্যগ্রন্থ ' আমি বাড়ি ফিরিনি ' আর 'দীর্ঘশ্বাসের মত একা 'তে তাঁর কাব্য লেখনী প্রতিভার পরিচয় পেয়েছি । সাফল্যও দেখেছি সেই দুটির কাব্যের। এবারও যে তার ব্যতিক্রম হবে না পড়েই বুঝেছি ।
বাস্তবতা, পরাবাস্তবতার মিশেলে এক অদ্ভুত শৈল্পিক ভাবনা প্রচেষ্টা তাঁর লেখার ঘরানায় ফুটে ওঠে বার বার । আমরা যারা রোজ ক্ষত বিক্ষত হয়ে ... রোজ কয়েকবার নিজেদের আত্মা কে হত্যা করি,হতাশা, গ্লানি অভিমান অপমান ব্যর্থতা গুলো ট্রিগার টিপে তাক করে এগিয়ে আসে আমাদের দিকে, পৌঁছাবার আগেই আমরা নিজেরাই ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালিয়ে দিই কোনো সকাল কি বিকাল দুপুর কি মাঝরাতে... সেই তাদের জন্য এই কবিতা গুলো বোধায় থমকে জিজ্ঞাসা করে আমায় বুঝেছো তুমি?
হাসপাতালের কেবিন থেকে তীব্র আর্তচিৎকারে এর সময় মৃত্যুকে কাছে পাবার জন্য আকুল হয় মন, সুন্দর লাগে তখন মৃত্যুকে যেমন, হয়তো ভালোবাসাও ঠিক এমনই ! তার মৃত্যুর মতোই ছায়াপথ ঘেরা চির সুন্দর মুখ, শান্তি, স্বস্তি সাজানো তাতে !
একটু ভালোবাসা বদলে দেয় অনেক কিছু ! একটু ভালোবাসা জন্ম দেয় অনেক কিছুর,একটু ভালোবাসলেই এই পৃথিবীর ভিতর আরেক পৃথিবী গড়ে ওঠে , ভালবাসা পরের জন্মের জন্যও অপেক্ষা করায়।
ভালোবাসা পাওয়া দুর্লভ আজকের এই পাপের পৃথিবীতে ...। তাই ভালোবাসার একটা অনন্ত চাহিদা থেকেই যায় ,থেকেই যাবে !
তাই কবির আক্ষেপ ...
" তুমি নিজের কথা বললেই
শীতল হাত বন্দুক ঠেকিয়ে রাখে তোমার কন্ঠনালিতে
কবে যে শেষ পৃথিবীতে সূর্য উঠেছিল
রক্তাক্ত ক্লান্তি জানে উচ্চ রক্ত চাপ নয় ,
আরেকটু বেশি ভালোবাসা পেতেই পারতাম আমরা"
ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতায় নাভিশ্বাস উঠতে থাকা
মানুষ দের দেখে কবির মনে ভাবনা ...
"সকাল বিকেল নিভছে জ্বলছে ,
শহর টার মতন
কতগুলো বছর হলো এই ভিড়ের মধ্যে ?
পাখির মতন ছুট্টে উড়ে বেরিয়ে পড়তে পারলেই হত,
সেটাই কি স্বাধীনতা ? "
"স্ক্যাম কবিতা প্রেম অপ্রেমের মাঝে চিত্র গ্রাহক বললেন স্মাইল প্লিজ । "
হাসি না থাকলে ছবি ভালো হয়না । ছবি কে সুন্দর করতে হয় হাসি দিয়ে যাতে ভিতরের অপ্রকাশিত কষ্ট গুলো না বোঝা যায় ।
কিন্তু কারো কারো হাসি আসে না । ছবি ভালো ওঠে না ।
মৃত্যুর খুব কাছে তারা যখন পৌঁছে যায় অনাবিল সুখে হাসি আসে ভীষণ তাদের সেদিন কিন্তু ছবি দারুন ওঠে ।( শুভ মৃত্যুদিন প্রিয়তমা )
গণ তন্ত্র কে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে ছুঁড়ে দেওয়া কথা গুলো ...
" গণতন্ত্রের আকাশে চাঁদের মত ঝুলে আছে
হাজার হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার
তবুও শ্বাস নিতে পারছিনা
স্বাস নিতে পারেননি জর্জ ফ্লয়েড!"
( জর্জ ফ্লয়েড বলে কেউ ছিলেন না)
" বৃষ্টি নামলে বুঝতে পারি
পৃথিবীর জন্ম হয়েছে
রাত একা অপেক্ষা করে আমার জন্যে
পৃথিবীর ছায়া প্রবেশ করে আমার ভেতর "( অবোধ চোখ )
রাত ভর বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সত্যি তো পৃথিবী আবার জন্ম নেই । সুন্দর স্নিগ্ধ ...সবুজ শান্ত
আর সেই জন্ম তো মনেতেই হয় ,দেখার দৃষ্টিতে ...
কি সুন্দর কথা গুলো ....
তাই রাত অপেক্ষা করে একা সেই পৃথিবীর ছায়া নিয়ে ...
" পুরো পৃথিবী টা একটা আস্ত রেজিস্টার খাতা
আমার নাম নেই ,
বিনয় মজুমদারের না "( ব্যারিকেড)
উপেক্ষিত মানুষ ,কবি লেখক শিল্পী .সত্যি কি ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে পারবে বা কেউ ভেঙে দেবে ওনাদের জন্য ! কে জানে ! হয়তো ! হয়তো বা না !
দূরত্ব বলতে বুঝি . "একটা ফাঁকা ক্যানভাস
একটা ফাঁকা সাদা দেওয়াল .."(পোস্ট ম্যানের ডেইলি সোপ) এক অসীম শুন্যতা যেন সে দূরত্বে। দূরত্বের রং কি সাদা ? হয়তো তাই! দূরত্ব মুছে গেলেই আবার সব রঙিন হয়ে ওঠে । দূরত্বে সব ঢেকে শুধুই সাদা... ! যেমন করে মৃত দের গায়ে সাদা চাদর ঢাকা থাকে। পৌঁছনো যায়না সে দূরত্বে।
সু সাইড টুরিস্ট এ বলেছেন
" সোনার চামচ মুখে দিয়ে না জন্মালেও হবে
মুখে সোনার কুলুপ বাধ্যতা মূলক
মুখোশের মতন।" ..
কথাটা আজকের অস্থির যুগে ভীষণ সত্য ।
আজ পর্যন্ত কত গুলো ছুরি আমাদের আঘাত করেছে আমরা মাঝে মাঝে দেখি তাদের কোনো গোপন ড্রয়ার খুলে , গুনি,সাজাই গুছিয়ে রাখি আবার ...কিন্তু পারিনা সেগুলো দিয়ে পাল্টা আঘাত করতে
"ছুরি গুলি নড়ে চড়ে বসে
কারো গায়ে লেখা বেইমানি ০৩.৪১
কারো গায়ে লেখা ভালোবাসা রাত ০৯.১৯
বন্ধুত্ব ,হেমন্ত কাল ,সকাল ০৮.২৬
ছুরি গুলি নড়ে চড়ে বসলে
সযত্নে ওদের কে সাজিয়ে রাখি "
( ছুরি দের দিন রাত্রি )
"পাখিটা আর ও উঁচুতে উড়তে চেয়েছিল
বুঝতে পারেনি আকাশ টা এক বিচ্ছিন্ন কারাগার।( প্যানচেটের আলো। )
যে কারাগার আকাশ থেকে আর ফেরা যায়না তাদের কে কি প্ল্যানচেটের আলোয় ধরা যায় ? জানা যায় কি কেনো ফিরতে পারছে না তারা?
পিতা সাহিত্যিক দেবাশিস ব্যানার্জি কে উৎসর্গ করে ধ্বংসের প্রতিযোগিতা তে লিখছেন ...
"কলকাতা মধ্যমেধায় ডুবে গিয়ে শুকনো ফুলের মালা গলায় পরে বসে আছে ।
ভুলে যেয়ো না খাঁচা ভর্তি পাখিদের আকাশে উড়িয়ে দিতে হবে তোমাকে।"
সস্তা জিনিসেই ভিড় বেশি ...এখন । মেধা হীন চটুল শিল্পী দের নিয়ে নাচানাচি চলে ! প্রতিভা এখানে উপেক্ষিত।
"মা কে বলতে ইচ্ছা করে
আমাকে এখান থেকে দূরে কোথাও নিয়ে চলো ।"
(মা, তুমি শান্ত স্বস্তির নিশ্বাস)
মা চিরকাল শান্তির জায়গা।
রুক্ষ শুষ্ক জমি দেখলেই
শুকিয়ে যাওয়া জলের রেখা খুঁজি আমি
ঠিক যেভাবে ভালোবাসা খুঁজি তোমার চোখে "
( গুল মোহর বাই লেন থেকে )
ভালোবাসা যখন প্রচণ্ড প্রয়োজন কারো সে বোধহয় এইভাবেই খুঁজে চলে ...!
কিংবা শহর পোকা তে ...
"এত নেশা করলে সমবৃতা
তবু তোমার নেশা হতে পারলাম কই ? "
মন দেখে ভালো বাসেনি যারা তাদের নেশা হয়তো কেটে যায় এক সময় !
"আমরা একে অপরকে কিছু না কিছু দিয়ে যাবই
ভালোবাসা ,ঘৃনা , সেপিয়া জীবন
অথবা সম্পর্কের রাজনীতি."..
( পার্সোনা নন গ্রাটা মোশন পিকচার )
যা চাই তা ভুল করে চাই যা পাই তা চাইনা ..
যোনি থেকে যোনি
রাস্তা থেকে ধূ ধূ রাস্তায়
পুরুষের কবিতায় ভুল ট্রেনের ছায়া এসে পড়ে
সূর্যের ছায়ার মতন!
কিসের টানে পুরুষ এত ভুল ট্রেনে চাপে? স্মৃতি হারাতে চায় পুরুষ ? হয়তো !
ঘুম এক বিশ্বস্ত ডায়েরি ...
অচেতন ঘুমের মধ্যে ভিতরে কি লেখা কাটাকুটি চলে তা খুব বিশ্বস্ত।কেউ জানতে পারে না । ....
বন্ধ চোখে যা আপণ
খোলা চোখে তাই স্বপন...
চোখ বন্ধের ওপাড়ে ভয় নেই কেউ ছিনিয়ে নেবে না নিশ্চিতে নির্মাণ হয় কত কিছু নিজের ।
সুশীল জীবনে কবি লিখছেন ...
"অন্তত একবার তুমি সুখী হবার স্পর্ধা দেখিও
ভুলে যেও তোমার চোখের নিচে
অন্ধকার গোটা একটা যুদ্ধের কথা "।
সুখী হবার মিথ্যা দেখানো যায় কিন্তু স্পর্ধা দেখানোর জন্য কত হিম্মত জোটাতে হয় কত দিন লাগে কে জানে !
নাথিং অফিসিয়াল। পিরিয়ড এ...
" রক্তক্ষরণ হয় আমারও
আমিও না গ্রাম না শহর না দেশ, মহাদেশ ছেড়ে দিয়ে দূরে থাকি কোথাও মনে মনে ..
আমি রমলা নই
হতে পারবো ও না
আজও আকাশে তারা ফুটেছে
দূরে কোনো ছায়াপথে কোনো গাঁওকোর জন্মায় নি,
কাপড়ের ভাঁজে নারীত্ব ঢাকার চেষ্টা করেনি ওরা ।"
সত্যি যদি মনের রক্ত ক্ষরণ এ কোনো ছায়া পথে চলে যাওয়া যেত ! কিন্তু নিঃশব্দে সে রক্ত ক্ষরণ বয়ে চলে । হাসতে হয় উঠতে হয় কাজ করতে হয় ।
" পুরুষ মানুষের জীবন সম্পূর্ণ হতে অনেক কিছু লাগে
যেমন ঝাপসা তারিখ
বিষণ্ণ চুম্বন
রং চটা লেটার বক্সে অপঠিত চিঠি
বর্ষা দুপুরে শান্তি নিকেতনের নির্জন রাস্তায় বাগান বাড়ি
সাদা কালো জীবন ,সাদা কালো টিভি
গোলাপি অ্যালজোলামের সঙ্গে নিটোল আড্ডা
সেপিয়া রঙের দু তিনটে ছবি ,ফটোফ্রেম
কুয়াশা মাখা হল্ট স্টেশন
অমিতাভ ও মৌসুমীর বৃষ্টিতে ভিজে রিমঝিম গিরে শাওন গান
অলস আলোছায়া দিনের পাহাড় ! ( পুরোনো হাতের লেখা )
বেশ সুন্দর ছিমছাম চাওয়া গুলোর সুন্দর ছবিটি মানস পটে চিত্রিত।
"শরীর জুড়ে থাকে জেদি ইনসমনিয়া।ইনসমনিয়ার পাশে শান্ত হয়ে বসে থাকে তরুণ ক্ষত।
এখানে ভালোবাসা মৃত্যুর মতো সুন্দর।"
"চলমান গল্পের ভেতরের অবয়ব হীন দেহ
ইওর অনার স্মৃতি হীন হতে চাই !"
( আমাকে ঘেন্না করো)
ঘেন্না করো আমায় এতটা যে, যেনো আসতে না পারি আর ফিরে ..
মুছে যাক সব স্মৃতি যেমন করে ঢেউ এসে মুখে বালু কণায় লেখা নাম আঁকা মুখ ! স্মৃতি যতদিন থাকবে শুধু কষ্ট ই মিলবে ! তাই স্মৃতি হীন হোক মন ।
এমন ই কত কত চাওয়া পাওয়া দেওয়া নেওয়া হিংসা হতাশা ভালোবাসা মন্দবাসা অপমান অভিমান এর গল্প গুলোকে কথা দিয়ে সাজিয়ে এনেছেন কবি ।আমরা সেখানে নিজের নিজের জিনিস গুলো কেউ পাচ্ছি কেউ না পেলেও অনুভব করছি অন্যের টা!
কি বলবো সিনেমার কবিতা না কবিতার সিনেমা ?
জানতে হলে পড়ুন ।
উনি বহু দিকে প্রতিভাধর ।আমরা ইতিমধ্যেই পরিচয় পেয়েছি অনেক কিছুর। তাই সেগুলো নিয়ে এখন বলছিনা । কবিতা ভালবাসেন?.ভালো কবিতা পড়তে আগ্রহী ? কাঁদতে চান খুব গোপনে. ভাবতে চান যদি ..পড়ুন এই বইটি ।
ধূসর বিকালে যে পাখি ডেকে আনে বৃষ্টি হয়তো সে রকম বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে যাবে অনেক কিছু ..
ভিতরের রক্তের নদীটিতেও বৃষ্টি এসে পড়বে টুপ টাপ... ভালবাসা কে তখন মৃত্যুর মত অপূর্ব সুন্দর লাগবে ।
কিংবা গহীন নির্জন অরণ্যে নীরবতার পিয়ানো যেমন সুর তোলে তেমনি বই টি পড়ার পর সেই অচেনা পিয়ানোর সুরের মতো একটা রেশ থেকে যায় ! ফুরোয় না ...!
বর্তমান সময়ের আমার প্রিয় কবি ও আমার প্রিয় বন্ধু কে জানাই অযুত শুভেছা ও অজস্র শুভকামনা । আগের প্রকাশিত বই গুলোর মতোই এই বইটিও সাদরে গৃহীত হোক পাঠক দের কাছে।
==============
বই- 'ভালবাসা মৃত্যুর মতো সুন্দর'
কবি - রাজাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
ধানসিড়ি প্রকাশনী
মূল্য ১৬০ টাকা ।
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন