ধ্বংসচিহ্ন
পবিত্রভূমির উপর অদ্ভুত কালো মেঘ,
সহস্রাব্দ পেরিয়ে যাওয়া নগরের
উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া পখির দল
সংশয়ের বার্তা নিয়ে এসেছে,
পূতাত্মা দেবযোনিতে যে রক্তঅশ্রু,
ভাঙা তরাজু থেকে অহোরাত্র তামাদি
জন্ম দিচ্ছে, পত্রকন্টক বড়মুখ করে
তাদের আগলে রাখে, মৃত বায়েনের
চর্যা তারা জানতে পারেনা,
ক্ষীণাঙ্গী মা সন্তান বুকে নিয়ে,
ওড়না বিক্রি করে বজ্রাগ্নি কিনে আনে,
বাসস্থান খুঁজে বেড়ায়
ধুপছায়া ধ্বংসের ভিতর।।
বেলাতটে বীতলাজ
এই যে তোমার খোলা চুল,
আমার নামের উপর এসে পড়ে,
আর যে সময় ফাঁকি
তাকে মুখচোরাবালি
তাকে শামুকের আস্ফালন
তাকে তির্যকভাবে নেওয়া
বিড়ালের থাবার তলায় মেচেতা
ডটপেন উচ্চারণ ভুলেছে এখন
আতসবাজি লঘু করে মৃত্যুশ্বাস
জ্যোতির্ময়কাম মোচড়ানো কাঁচুলি
সুড়ঙ্গ সেঁটে দিয়েছে দংশনে
স্বর সব পুঁতেছি ঋতু ক্রাচে...
শাড়ি স্টপেজ এলো বুঝি
ধীরে ধীরে আমরাও নেমে যাই ।।
========================
।।রহিত ঘোষাল।।
বাঁশদ্রোণী সোনালী পার্ক কলকাতা ৭০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন