Featured Post
বাংলা সাহিত্যে প্রবন্ধের উৎপত্তি ও ব্যাপ্তি ।। শ্যামল হুদাতী
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
বাংলা সাহিত্যে প্রবন্ধের উৎপত্তি ও ব্যাপ্তি
শ্যামল হুদাতী
প্রত্যেক প্রবন্ধে কোন কিছু প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে। প্রবন্ধ সাহিত্যের মধ্যে দিয়ে দর্শন, ইতিহাস, জ্ঞান বিজ্ঞান, সমাজ রীতিনীতি, সাহিত্য শিল্পকলা প্রভৃতি বিষয় চিন্তা মূলক গদ্য প্রবন্ধে ফুটে ওঠে। বাংলা সাহিত্যে প্রবন্ধের অবদান অপরিসীম। সাহিত্য সৃষ্টিতে যুক্তির সাহায্যে কোন বক্তব্য প্রকাশ করে এবং সাহিত্য রসে সঞ্চার করে। এখানে লেখকের ব্যক্তিগত খেয়াল খুশির প্রকাশের কোন সুযোগ নেই। যথেষ্ট তথ্য প্রমাণের সমাবেশ, ভাবে, ভাষায় চিন্তায় প্রয়োগের সেই প্রতিপাদ্য বিষয়কে রূপদান করাই প্রবন্ধের লক্ষ্য।
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে প্রবন্ধযুগ শুরু হয় নাথ ধর্ম এবং নাথ সাহিত্যের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। এই ধর্মকে কেন্দ্র করে রাজা মানিকচন্দ্র, তাঁর স্ত্রী ময়নামতি ও পুত্র গোপিচাঁদ অনেক প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। তবে অধিকাংশ মৌখিক আকারে ছিল পরে লিখিত রূপে আমরা পাই। সেই সময়কার অনেক লেখা বিশ্বভারতী থেকে পঞ্চানন মন্ডল "গোরক্ষবিজয়" নামে প্রকাশ করেন। অধিকাংশই ৩০০ বছরের অধিক পুরানো নয়।
মুদ্রণের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল গদ্য প্রবন্ধ সাহিত্য সৃষ্টি। গদ্য সাহিত্যের রচনার পেছনে কেরী সাহেবের অনুপ্রেরণা ছিল যথেষ্ট। এই সময় রাজা রামমোহন তাঁর বেদান্ত ও উপনিষদের অনুবাদ ও সহমরণ-নিবর্তন সম্পর্কিত পুস্তকগুলি প্রবন্ধ আকারে রচনা করেছিলেন। তা ছাড়াও তিনি গৌড়ীয় ব্যাকরণ ও লিখেছেন। সেই সময় উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের 'রাজাবলি' ,হরপ্রসাদ রায়ের 'পুরুষ পরীক্ষা', উইলিয়াম কেরীর 'ইংল্যান্ড দেশের বিবরণ', মিল সাহেবের 'ভারতবর্ষীয় ইতিহাস' ,কালাচাঁদ বসুর 'সহমরণ' ,ভারতচন্দ্রের 'বিদ্যাসুন্দর' ও 'অন্নামঙ্গল' রামমোহন রায়ের অনেক গ্রন্থ।
১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে লং সাহেব তার সংগৃহীত প্রবন্ধ গ্রন্থাবলীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলেন তাতে মোট ৯১৭ খানা প্রবন্ধ ছিল। সেই সময় মুদ্রিত পুস্তকই শিক্ষা বিস্তারে বড় সহায়ক হয়েছিল।
বাঙালি সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সাহিত্য ও প্রবন্ধের অগ্রগতিকাল আমরা উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগকেই ধরি। এই সময় মদনমোহন তর্কালঙ্কার ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অসামান্য অবদান চিরকাল মনে রাখবে সবাই। সমাজ সংস্কারক প্রবন্ধ লিখে রাম নারায়ন তর্করত্ন ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এক বৈপ্লবিক প্রভাব সৃষ্টি করেছিল। ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে রামনারায়ণ তাঁর 'কুলীনকুলসর্বস্ব' প্রবন্ধ লিখে সনাতনী সমাজের ওপর এক প্রচন্ড আঘাত হলেন। এই লেখার দ্বারা তিনি প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করলেন যে জন্মের সঙ্গে কৌলিন্যের কোন সম্পর্ক নেই।
১৮৫৮ থেকে ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে মধুসূদন, রঙ্গলাল, বঙ্কিমচন্দ্র, দীনবন্ধু, গিরিন্দ্র মোহিনী, বিহারীলাল, হেমচন্দ্র, কেশব চন্দ্র, শিবনাথ ও ভূদেবের লেখা অলংকৃত করেছিল।
১৮৮৫ থেকে ১৯০৪ পর্যন্ত সময়কালে নবীনচন্দ্র, গিরিশচন্দ্র, রাজকৃষ্ণ, কামিনী রায় লেখকদের প্রবন্ধ রচনার মধ্যে আমরা মুক্ত চিন্তাধারার প্রভাব লক্ষ্য করি। এই যুগে বাংলা চিন্তা ধারাকে নতুন দিগন্তের দিকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন- তাঁর মধ্যে ছিলেন বিবেকানন্দ, দীনেশচন্দ্র, রমেশচন্দ্র, অক্ষয়কুমার সরকার প্রমুখ প্রবন্ধকার। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত হয়েছিল বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ।
১৯০৫ থেকে ১৯১৯ পর্যন্ত সময়কালে আমরা বাংলা সাহিত্যের নায়ক হিসাবে দেখি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ক্ষীরোদপ্রসাদ, প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়, অনরূপা দেবী, বিপিনচন্দ্র পাল, রমেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, অরবিন্দ, প্রমথ চৌধুরী, হীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে। এই সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল উদ্বোধন পত্রিকা, প্রবাসী, ভারতবর্ষ, সবুজপত্র, প্রভৃতি পত্রিকা সমূহ। এই যুগেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পেয়েছিলেন নোবেল পুরস্কার।
১৯১৪ থেকে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে অধ্যাপক বিনয় কুমার সরকার তার পাঁচ হাজার পৃষ্ঠা ব্যাপী 'বর্তমান জগৎ' প্রবন্ধ লিখে বাঙালি পাঠককে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমাজ সংস্কৃতি, শিক্ষা, ইতিহাস, শিল্প ও রাজনীতির সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন। এই যুগে শিশু সাহিত্য রচনা করেন দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার, যোগীন্দ্র সরকার, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও সুকুমার রায়। ১৯১৪ সালে প্রমথ চৌধুরী মহাশয় তার সবুজপত্র চলতি ভাষায় প্রবন্ধ রচনা করে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করেন। এই সময় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নারীর মূল্য, পল্লীসমাজ,চরিত্রহীন ও শ্রীকান্ত প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়েছিল।
১৯১৯ থেকে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শ্রীকান্তের দ্বিতীয়,তৃতীয় ও চতুর্থ পর্ব, বামুনের মেয়ে, পথের দাবী প্রভৃতি বিখ্যাত উপন্যাস প্রকাশিত হয়। এই সময় প্রবন্ধকারের মধ্যে উল্লেখনীয় নিরুপমা দেবী, রাজশেখর বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম,কালিদাস রায়, রজনীকান্ত দাস, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, সতীন্দ্রনাথ ভাদুরি, নরেন্দ্র দেব, মোহিতলাল মজুমদার, অন্নদাশঙ্কর রায় ,বুদ্ধদেব বসু, জসীমউদ্দীন, যোগেশ রায়, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, সৌমেন্দ্র নাথ ঠাকুর, যোগেশ চন্দ্র রায় প্রমুখ। এই যুগে পুরুষদের মধ্যে জনপ্রিয় লেখক ছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সৌরীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় এবং মহিলাদের মধ্যে প্রভাবতী দেবী সরস্বতী ও রাধারানী দেবী। এ যুগের শেষের দিকে আবির্ভূত হয়েছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবোধ সান্যাল, বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, সতীন্দ্রনাথ মজুমদার, প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার, সুভাষচন্দ্র বসু, দিলীপ রায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত, সুনীতি চট্টরাজ, সুকুমার সেন প্রমুখ। এই যুগের লেখার বৈশিষ্ট্য ছিল বিদ্রোহী মনোভাবের প্রকাশ।
সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় সাহিত্য ক্ষেত্রে প্রতিফলন ঘটিয়েছেন 'বেদান্ত গ্রন্থ' 'গোস্বামীর সহিত বিচার', 'প্রবর্তক ও নিবর্তকের সংবাদ' প্রভৃতি গ্রন্থে চিন্তার বলিষ্ঠতা সুস্পষ্ট বিদ্যমান।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমাজসংস্কারমূলক প্রবন্ধাবলী এবং বেনামীতে রচিত গ্রন্থসমূহ বিদ্যাসাগরের বিশিষ্ট ভাষারীতির পরিচায়ক। তাঁর প্রবন্ধে কোন কোনটিতে যেমন যুক্তি তর্ক বিচার বিশ্লেষণের পরিচয় আছে তেমনি কতগুলোতে হাস্যপরিহাসময় মনোভাবেরও বিকাশ ঘটেছে।
সুচিন্তিত প্রবন্ধকার হিসাবে ভূদেব মুখোপাধ্যার নাম উল্লেখযোগ্য। 'সফল স্বপ্ন' ও 'অঙ্গুরি ও বিনিময়' রচনা করে ঐতিহাসিক প্রবন্ধের স্রষ্টা হলেও তিনি পারিবারিক প্রবন্ধ, সামাজিক প্রবন্ধ, বিভিন্ন প্রবন্ধ রচনা করেছেন।
রাজনারায়ণ বসু সেই সময়কার একজন বিখ্যাত প্রবন্ধকার। সমাজ ধর্ম ও সাহিত্যের বিষয় অবলম্বনে তিনি বহু প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন যেমন 'মেকাল আর একাল' , 'ব্রহ্ম সাধন' ইত্যাদি। তাঁর আত্মচরিত্র এক বিখ্যাত গ্রন্থ।
কালীপ্রসন্ন ঘোষ চিন্তা মূলক প্রবন্ধ লিখে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছিলেন তাকে পূর্ববঙ্গের বিদ্যাসাগর বলা হয়। তাঁর প্রবন্ধ গ্রন্থের মধ্যে 'নারী জাতি বিষয়ক প্রস্তাব' ও সমাজ শোধনী সমাজ সংস্কার সম্পর্কিত।
শিবনাথ শাস্ত্রী দেশের তৎকালীন সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গ সমাজ জ্ঞানগর্ভ সমাজবিজ্ঞানমূলক মূল্যবান প্রবন্ধ। এই প্রবন্ধে রামতনু লাহিড়ীর কাহিনী বর্ণনা সহযোগে তৎকালীন বাঙালি জীবনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যের সমস্ত শাখায় সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রবন্ধ শাখায়ও যুগান্তর এনেছিলেন। তাঁর যাদু স্পর্শে বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্য বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যে আন্তর্জাতিক গৌরবময় স্তরে উন্নত করেছিলেন। তাঁর প্রবন্ধ অনুভূতি স্নিগ্ধ কবি মনের মধুর স্পর্শে রহস্য সমৃদ্ধ সাহিত্যকর্মে রূপায়িত হয়েছে। তিনি লিখেছেন সাহিত্যতত্ত্ব, সমালোচনা, ধর্ম, দর্শন, সমাজ, শিক্ষা, চরিতকথা, আত্মস্মৃতি, ভাষাতত্ত্ব, ভ্রমণ কাহিনী, চিঠিপত্র প্রভৃতি নানা বিষয় অবলম্বনে বিপুল আকার প্রবন্ধ সাহিত্যের বিকাশ ঘটিয়েছেন।
প্রমথ চৌধুরী ভাষারীতি অভিনব প্রয়োগে তিনি কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। সবুজপত্র নামে বিখ্যাত সাহিত্য পত্র সম্পাদনের মাধ্যমে তার অবদান সাহিত্যের ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । 'তেল নুন লাকড়ি', বীরবলের হালখাতা, নানা চর্চা ইত্যাদি প্রবন্ধ গ্রন্থে তার যুক্তিনিষ্ঠ ও সংস্কার মুক্ত মনের পরিচয় পাই।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্গদর্শন নামে বিখ্যাত সাহিত্য পত্রে প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি বাংলার সমালোচনা সাহিত্যে অভূতপূর্ব সমৃদ্ধি করেছেন। জাতীয় সংস্কৃতি ও সমাজ জীবন অবলম্বনে তিনি অজস্র প্রবন্ধ রচনা করেন। তার প্রবন্ধের বক্তব্য বিষয় পরিবেশনের গুণে সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞান সাহিত্য সমাজতত্ত্ব দর্শন ইতিহাস প্রভৃতি সকল বিষয়ে রচনা স্থান পেয়েছে। তাঁর প্রবন্ধ গ্রন্থগুলি - রহস্য কমলাকান্তের দপ্তর ও মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত, বিজ্ঞান রহস্য, কৃষ্ণ চরিত্র ও ধর্মতত্ত্ব।
আধুনিক যুগের প্রবন্ধ মানব চিন্তাকে বড় ধর্ম রূপে উদ্দীপ্ত যুক্তিভিত্তিক মনোভঙ্গি গ্রহণ করে নতুন আঙ্গিকে আত্মপ্রকাশ করেছে। আধুনিকতার ধারণা স্বভাবতই গতিশীল ও ধাবমান। একটু যদি আমরা পিছিয়ে যাই, দেখতে পাই ফরাসি বিপ্লবের পরে "মানুষের অধিকার", "মানবতা বোধ" অনেক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল। চন্ডীদাস অনেক আগেই বলেছিলেন, "সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই"।প্রবন্ধের বিষয়বস্তু আর দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এখন আর্টের বিচারে, রসের বিচারে প্রবন্ধের মানদণ্ড অনেক কম - জীবন দর্শনে প্রতিফলিত ঘটেছে তার ব্যাপ্তি।
------------------------------
Shyamal Hudati
P.A.Shah Road,Kolkata - 700068
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন