অচেনা তবু আমরা
দেবযানী পাল
গোধূলি- চলো না একটু নদীর পাড়ে গিয়ে বসি।
তামস - চলো, তবে দেখেছ, জলটাও কেমন যেন ধূসর বর্ণ ধারণ করেছে।
গোধূলি - আসলে সময়ের ধূসরতা জলেতেও প্রতিফলিত, আমরাও তো ধূসর গোধূলির আমন্ত্রণে আজ।
তামস - তুমি নিজেকে ধূসর বলছো! গোলাপের বিবর্ণতার মাঝেও সে তার রঙে গন্ধে সমুজ্জ্বল, যেমন তুমি।
গোধূলি - তুমিও তো পশ্চিমাকাশের সূর্যের মত দীপ্তি ছড়াচ্ছ।
তামস - আসলে আমরা হলাম জীবনের আজ্ঞাবহ প্রতিনিধি, তার মাঝেই নিজেদের পরিচয় রেখে যাই আপন গুণের মহিমায় তা ভালো বা খারাপ যাই হোক।
এবার দুজনে একসাথে গেয়ে ওঠে --
মনটা আমার সঙ্গী করে বেদুইনের মন্ত্র পড়ে
চলনা কোথাও যাই হারিয়ে, তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে,
দূরের ওই বহ্নিশিখা পারবে না আর ফেলতে ছুঁয়ে,
ঝাঁপ দেবো সেই অসীমকাশে, কক্ষনো না মরণ কুঁয়ে।
পৃথিবীর সকল কণায় জীবন আমি বহুরূপী
সাধ্য সাধে সাজাই আকর থাকে না কোন কারচুপি,
নিয়তির খেলায় দান দেয় অজানা কেউ,
আমি নিমিত্ত, সব সাজানো, ওই যা আসছে সেই ঢেউ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন