পোস্টগুলি

২৫তম সংখ্যাঃ মার্চ ২০২০ চৈত্র ১৪২৬ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

শ্রদ্ধাঞ্জলি : প্রণবকুমার চক্রবর্তী

ছবি
কল্পনা দত্ত : এক বিপ্লবী নারী শক্তি                         ছবিটা দেখতে দেখতে পুলিশ সুপার রবার্ট সাহেব বললেন, ডিসগাস্টিং, দিস বিউটিফুল লেডি ইস আ টেররিস্ট! আই ডোন্ট বিলিভ। ইউ অল আর ননসেন্স।      চট্টগ্রামের ডেপুটি পুলিশ সুপারের চোখে চোখ রেখে গোয়েন্দা অফিসার মিঃ বসু বললেন, সত্যিই স্যার  আমরা ননসেন্স। আমাদের বুকের ওপর বসে এইভাবে বিপ্লবী কাজ চালাচ্ছে, আর আমরা জানতেই পারিনি। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের কাছে খবর আপনার ওই বিউটিফুল লেডি একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ।  রবার্টের চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো। তিনি বললেন, এর কেস হিস্ট্রির ফাইলটা দেখি।      অ্যান্টি টেররিস্ট শাখার অফিসার ডিউক বললেন, কেস হিস্ট্রি নেই স্যার , কারন কোন অপরাধ প্রমান হয়নি। তবে হিস্ট্রিটা লেখা আছে , শুনুন।     বলুন , রবার্ট সাহেব রীতিমতো বিরক্ত । নড়েচড়ে বসলেন ।     এই মহিলার বাবার নাম বিনোদবিহারী দত্ত। এই গ্রামের স্কুল থেকে খুব ভালো রেজাল্ট করেছিলো মেয়েটা। ম্যাট্রিকে মেয়েদের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিলো। শিক্ষিত পরিবার । তার দাদু দুর্গাদাস দত্ত বিখ্যাত ডাক্তার। তাই সবাই চাইলো মেয়ে সায়েন্স পড়ুক। সেই মতো কলকাত

কবিতা : উত্থানপদ বিজলী

ছবি
নারী তুমি ----------------- নারী তুমি তৃষ্ণার জল জড়িয়ে গায়ে আছে লতা-পাতা ঝুলে আছে থোকা আঙুর ফল কথা বললে কদম ফুটে যায় কেশদামে চন্দনের বাস। নারী তুমি জন্ম থেকে জানো জানতে জানতে বড় হয়ে ওঠো গাছ যেমন পাতা ছেড়ে ছেড়ে  বাড়ে আর বাতাসে হাত নাড়ে,,,, নারী তুমি কদম কথা কও। নারী তোমার ফুল থেকে বীজ নারী তোমার বীজ থেকে ফল নারী তুমি বেশ ভালো জানো জীবনটা তৃষ্ণার জল। ----------------------------------- ফোন:9733941690/8617226600

কবিতা : রাখী সরদার

ছবি
অহল্যা তুমিও!                   অহল্যা তুমিও! তুমিও পুরুষের মাংসাশী দাঁতের শিকার! তোমাকেও নড়বড়ে জটিল সমাজের সামনে            দ্বিচারিতার কাদা মেখে যুগ যুগ            ধরে পাথর হয়ে থাকতে হলো! হায়রে পুরুষ! হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকে           আজ পর্যন্ত শুধুমাত্র নারীর জন্যই                 পৈশাচিক যন্ত্রনার অলংকার স্তরে                    স্তরে সাজিয়ে রেখেছো?                                     কখনো জনক দুহিতাকে জগত সংসারের সামনে সতীত্বের অগ্নি পরীক্ষায় পুড়তে হয়,কখনো বা পৃথিবী শ্রেষ্ঠ কৌরব রাজসভায় বীর পুরুষ দের ছাইচাপা লোলুপ        দৃষ্টির সামনে অসূর্য্যস্পর্শা কৃষ্ণাকে        বস্ত্রহীন হতে বাধ্য করা হয়। ব্যাথায় ক্লান্ত, শ্রীরাধাকে রঙ মেখে হোলি উৎসবের                নামে রক্তাক্ত শরীর ঢাকতে হয়।              কেন? কেন বলতে পারো? ঋষি গৌতম নাকি সিদ্ধ পুরুষ ছিলেন?              কোন আধারে শ্রেষ্ঠ তিনি? পতিব্রতা স্ত্রীর ভালোবাসা, ব্যাথা, বেদনা ,যন্ত্রণা         কোনদিনই নিজ হৃদয়ের মর্মমূলে                 উপলব্ধি করতে পারেননি। তিন

কবিতা : সুমিত মোদক

ছবি
আমি যাজ্ঞসেনী জ্বলন্ত যজ্ঞকুণ্ড থেকে আমার জন্ম ; আমি যাজ্ঞসেনী ; যাকে আগুন কোনদিন স্পর্শ করতে পারেনি ; সেই আমি ; আমি নারী ; মহাভারতের সেই নারী ; এ ভারতের এ নারী ; # আমি যাজ্ঞসেনী … # আমার জন্ম শ্রীকৃষ্ণের জন্য ; আমার জন্ম পঞ্চপাণ্ডবের জন্য ; আমার জন্ম মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদ ব্যাসের জন্য ; আমার জন্য মহাভারতের কুরুক্ষেত্র প্রান্তর ; যেখানে দাঁড়িয়ে শ্রীকৃষ্ণ তৃতীয় পাণ্ডবকে  শুনিয়ে ছিল গীতার বাণী ; বেজে উঠে ছিল পাঞ্চজন্য শঙ্খ ; # আমি পারি বার বার জন্ম নিতে  এ মাটিতে , এ ভারতবর্ষে ; আমাকে দেখা পাবে রাজপ্রাসাদে ; আমাকে দেখা পাবে অরণ্যে , জনারণ্যে , মহাপ্রস্থানের পথে ; # আমি এক নারী ; আমি যাজ্ঞসেনী ; জ্বলন্ত যজ্ঞকুণ্ড থেকে আমার জন্ম ; # আমার মধ্যে প্রেম আছে ; আছে মায়া-মমতা , প্রতিহিংসা … সে কারণে আমি বার বার ফিরে ফিরে আসি ; জন্ম দিতে পারি আরেক মহাভারত ; আরেক ভারতবর্ষ  ।। ––––

কবিতা : আবদুস সালাম

ছবি
নারী বহুভোগ‍্যা নারীর অন‍্য বিশেষণ প্রয়োজন পুরুষ দৃষ্টি খুঁজে যায় অহল‍্যাকে মায়াবী ফুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা স্বভাব দৃষ্টি বিষে জর্জরিত নারী শরীর স্ত্রী ভোরে ঘুম ভাঙতেই দেখি তোমাকে        নামাজের পাটিতে ভক্তি রসে ডুব দিয়েছো সেজদায় আজীবন ঝড়ের দাপটে কুঁকড়ে যাওয়া মানবপিন্ড নিজেকে সঁপে দেওয়ার নিমিত্তে ভাষাহীন মুখ, ভাবলেশহীন বিশেষণ স্নিগ্ধ ভোরে রূপবতী মায়াময়  মহাকাব্য চাপচাপ শূন্যতা, বৃষ্টিহীন বাঁজা মেঘ, পার হয় সভ‍্যতার নীলনদ আবিশ্ব কাঁপে , গুমরে মরে আর্তনাদ বিষন্ন সময় চেটে নেয় মানবিক ধৃষ্টতা মূল‍্যবোধ ক্ষয়ে ক্ষয়ে তৈরী হয়  ক্ষয়জাত  হিমালয় =====০০০===== আবদুস সালাম  প্রয়াস  শ্রীকান্তবাটি মাদার  ল্যান্ড ৭৪২২২৫  ৯৭৩৪৩৩২৬৫৬

কবিতা : তাপসী প্রামানিক

ছবি
একটি মেয়ে একটি মেয়ে গাইতে পারে পরের বাড়ি যাইতে পারে সবার ভালো চাইতে পারে। সেই মেয়েটি পড়তে পারে কালি-কলম ধরতে পারে সবার জন্য লড়তে পারে। ঘুঙুর পায়ে নাচতে পারে মন খুলে হাসতে পারে সবার ভালোবাসতে পারে। সেই মেয়েটি লিখতে পারে নতুন কিছু শিখতে পারে সকল কাজে জিততে পারে। একটি মেয়ে রাঁধতে পারে চুলে-বেণী বাঁধতে পারে ভোরে গলা-সাধতে পারে। জল-ছবিটা আঁকতে পারে সোনারোদ মাখতে পারে লজ্জায় মুখ ঢাকতে পারে। বাপের বাড়ি ভুলতে পারে সবার তালে দুলতে পারে একলা পথে চলতে পারে। নতুন সৃষ্টি করতে পারে দেশের জন্য লড়তে পারে সুস্থ-সমাজ গড়তে পারে।।              ---------- তাপসী প্রামাণিক বারুইপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।

প্রবন্ধ : বটু কৃষ্ণ হালদার

ছবি
ইচ্ছাশক্তির ডানায় ভর করে   শিবাঙ্গী স্বরূপরা জীবন যুদ্ধে জয়ী হয় নারী সম্পর্কে বিদ্রোহী কবি যথার্থ বাণী "রাজা করিছে রাজ্য শাসন,রাজারে শাসিছে রানী/রাণীর দরদে ধুইয়া গিয়াছে /রাজ্যের যত গ্লানি"। রাজ্যের রানী যদি ভাল হয় প্রজারা মহা সুখে থাকবে। না এ দেশের রানীরা আজ সুখে নেই। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা বারবার পুরুষদের রোষানলের শিকার হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে শিবাঙ্গী স্বরূপ এক জীবন্ত প্রতিমূর্তি। একটি দেশের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। নারী জাতি মানব সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ সমাজের বুকে নারীর মর্যাদা ও অধিকার পুরুষদের সমান। তাদেরও রয়েছে মৌলিক অধিকার। একটি নারী অদম্য শক্তি ও সম্ভাবনার অধিকারিনী। তাদের মান,মেধা,চিন্তা-চেতনা,প্রজ্ঞা ধী_শক্তি, সৃষ্টিশীলতা ব্যক্তিত্ব ও অভিব্যক্তি একটা পুরুষের চেয়ে কম নয়। তেমনি বর্তমান সমাজের বুকে নারী শুধু মাত্র ভোগ্য,আমদানি-রপ্তানি র পণ্য নয়। তাদের মধ্যে রয়েছে সুপ্ত প্রতিভা।তারাও শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নতি লাভ করে জলে,স্থলে অন্তরীক্ষে তাদের অবদানের স্বাক্ষর রেখেছে। পুরুষদের সঙ্গে সমানতালে কাঁধে কা

সবিতা বিশ্বাসের প্রবন্ধ

ছবি
                                                                                                 আমার প্রিয় মহিলা কবি কুসুমকুমারী দাশ                                                   "আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে / কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে? / মুখে হাসি বুকে বল তেজে ভরা মন/ মানুষ হইতে হবে-- এই তার পণ"| বিংশ শতাব্দীর কবি কুসুম কুমারী দাশের শিশুশ্রেনীর পাঠ্য "আদর্শ ছেলে" কবিতাটি পড়েননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা | তিনি তাঁর জেষ্ঠ পুত্র কবি জীবনানন্দ দাশের মা হিসেবে নয়, তাঁর নিজস্ব প্রতিভাতেই বাংলা সাহিত্য জগতে চিরস্মরনীয় | কবি কুসুমকুমারী দাশ বাখরগঞ্জ জেলার বরিশাল শহরে ২১শে পৌষ ১২৮২ বঙ্গাব্দে (ইং ১৮৭৫) এক বিদ্যানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন | তাঁর পিতা ছিলেন চন্দ্রনাথ দাশ এবং মাতা ধনমণি দাশ | তাঁর পিতা চন্দ্রনাথ উদার চিন্তাধারার মানুষ ছিলেন | তিনি ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেছিলেন | তাঁর জন্য তাঁকে তাঁর পৈত্রিক ভিটা গৈলা ছেড়ে বরিশালে চলে আসতে হয়েছিল | কুসুমকুমারী খুব সুন্দর একটি পারিবারিক মুক্তচিন্তাধারার পরিমন্ডল পেয়েছিলেন | যা তা

প্রবন্ধ : শেফালী সর

ছবি
।। পুরাণে ইতিহাসে নারী।।        সেই বৈদিক যুগ থেকে মধ্য যুগের সূচনার পূর্ব পর্যন্ত ভারতবর্ষ ছিল নারী মহিমায় উজ্জ্বল। তাই তো বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, "হে ভারত, ভুলিও না তোমার নারী জাতির আদর্শ -সীতা, সাবিত্রী, দময়ন্তী।ভুলিও না তোমার সমাজ বিরাট মহামায়ার ছায়া মাত্র।"।        ভারতের অতীত ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায়-প্রাচীন সমাজে নারী ও পুরুষের মর্যাদা ছিল সমান সমান।শিক্ষার ভিত্তিতেই সমাজে নারীদের স্হান ও মর্যাদা নির্ধারিত হ'ত। মৈত্রেয়ী, গার্গী, খনা, লীলাবতী, লোপামুদ্রা,সীতা, সাবিত্রী প্রভৃতি নারীগণ কে সমকালীন সমাজ তেমন শ্রদ্ধার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, তেমনি এইসব মহীয়সী ললনাদের সংস্পর্শে ভারত বিশ্বরঙ্গমঞ্চের স্বর্ণ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছিল। প্রাচীন ভারতীয় সমাজ নারী মহিমায় ভাস্বর হলেও এমন একটি সময় এসেছিল তখন ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির পাদপীঠে নারী শিক্ষার উপর ঘনকৃষ্ণ মেঘের কালো ছায়া নেমে আসে। ইতিহাসে সেটা হলো মধ্যযুগ।মধ্যযুগের সূচনাতে নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার আলোক বর্তিকাকে কৃষ্ণপক্ষের ক্রমপ্রসরিত

অণুগল্প : কৃষ্ণেন্দু পাল

ছবি
।।গল্প হলেও সত্যি ।। আজ ভোর ভোর ঘুম ভেঙে গেল, ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াল তিস্তা। তিনতলার এই ব্যালকনিটা থেকে এই আবাসনের অনেকটা দেখা যায়। চওড়া রাস্তা মাঝখানে, তার দুপাশে সারি দিয়ে কোম্পানির কোয়ার্টার্স বা ফ্ল্যাট, রাস্তার দুপাশে গাছের সারি , তার পরে দূরে ফুটবল গ্রাউন্ড দেখা যাচ্ছে, টেনিস কোর্ট, ভলিবল কোর্ট, তারপর কমপ্লেক্সের সীমানা ছাড়িয়ে দূরে ছোটবড় পাহাড়ের উঁকিঝুঁকি। ঝাড়খণ্ডের রাজরাপ্পায় সি. সি. এল কলোনি, ছোট নিরিবিলি শহর । আসানসোল থেকে এখানে বিয়ের পর এসে উঠেছিল তিস্তা , তারপর কখন যেন ভালবেসে আপন করে নিয়েছিল শহরটা কে ও নিজেও জানেনা। এখন ভোর পৌনে ছটা প্রায় , তিস্তা তাকিয়ে দেখল সুমিত্রাদি নীচে ঝাঁটা হাতে মন দিয়ে সামনের রাস্তা টা ঝাড়ু দিচ্ছে, শুকনো পাতাগুলো তুলে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলছে। সুমিত্রাদিকে যত দেখে তত অবাক হয় তিস্তা , আজ বাদে কাল কলোনির সুইপার পোষ্ট থেকে অবসর নেবে ও , কিন্তু আজও কেমন নিষ্ঠার সাথে নিজের কাজ করে যাচ্ছে । 'ও ..সুমিত্রা দি ' ডাকল তিস্তা ব্যালকনি থেকে , প্রথমে শুনতে পায়নি সুমিত্রাদি। আর একবার ডাকায় মুখ তুলে তাকিয়ে হাসল সুমিত্রা, তারপর ফ্

ছড়া: সুমন নস্কর

ছবি
আজ মেয়েরা আজ মেয়েরা যেমন রকম স্কুল কলেজে পড়ায়, তেমন আবার হেঁসেলেতে রান্না তারা চড়ায়। আজ মেয়েরা সাহস নিয়ে দেয় মহাকাশ পাড়ি, আজ মেয়েরা টোটো চালায়, চালায় রেলের গাড়ি। সৈন্য হয়ে মেয়েরা আজ দেশের তরে লড়ে, জন্ম দিয়ে শিশুকেও লালন পালন করে। উৎসবে যে সেজে পেটে ফুল গুঁজে নেয় খোপায়, সেই মেয়েটাই চাষের খেতে কোদালটাও কোপায়। মেয়েরা কেউ হচ্ছে গায়ক কেউবা আবার বাদক, কেউ বা আবার তাক লাগিয়ে আনছে জয়ের পদক। মেয়েরা আজ বিমান চেপে রকেট চেপে উড়ুক, নারীকে যে তুচ্ছ করে মুখখানা তার পুড়ুক। ============== সুমন নস্কর।। বনসুন্দরিয়া।। দঃ ২৪ পরগনা

নিবন্ধ : অনির্বাণ মন্ডল

ছবি
আমাদের দেশে নারী অবস্থান  নারীবাদ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের মনেই একটা ভুল ধারণা প্রোথিত হয়ে রয়েছে যে এটা হলো একটা পুরুষ বিরোধী উগ্র মতবাদ। কিন্তু প্রকৃত অর্থে নারীবাদ তা নয়। নারীবাদ হলো বিংশ শতাব্দীতে উদ্ভূত এক তত্ত্ব যার মূল লক্ষ্য হলো নারীর ক্ষমতায়ন। এখন মূল কথা হলো এই ক্ষমতায়ন বাস্তবের মাটিতে আমাদের দেশে কতটা কার্যকরী হয়েছে আর যদি সম্পূর্ণভাবে সেটা না হয়ে থাকে তাহলে তার নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা কারণ কি। নারীর ক্ষমতায়ন অবশ্যই হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। যেমন রাজনৈতিক প্রার্থী হিসেবে তাদের আসন সংরক্ষণ, তাদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য নানারকম প্রকল্প, শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের কে নানারকম সুবিধা প্রদান ইত্যাদি। এরফলে তাদের জীবন যাত্রার মান কিছুটা হলেও উন্নত হয়েছে একথা অস্বীকার করা যাবে না। রাজনীতি, ব্যাবসা, চাকরী, খেলাধূলা, পড়াশোনা প্রভৃতি সব ক্ষেত্রেই তারা পুরুষদের রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে এখন। অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে ও আছে। কিন্তু এটা হলো আলোর দিক।এর আর একটা অন্ধকার দিকও আছে। নারী দিবস আমাদের দেশে খুব ধুমধামের সাথেই উদযাপিত হয়। আমরা প্রত্যেকেই নিজের

কবিতা : সৌরভ ঘোষ

ছবি
মা নিজেই সভ্যতা একের পর এক সভ্যতা গড়ে তুলতে তুলতে নদী যেটুকু ঘেমে উঠেছিল, তার থেকেও বেশি পরিশ্রম আর আগ্রহে মানুষ গড়তে চেয়েছিলে... তিমিদের এড়িয়ে শুরু করি কিভাবে ? মিথ্যে বলছি- গল্প বলা রাত - মনে পড়েনা, কলোস্ট্রামের স্বাদ মনে পড়েনা,তোমার রাতের পর রাত জাগা মনে পড়েনা ,হাত পাখায় আবহাওয়ার পরিবর্তন সেও...   হিংস্র জান্তব মানুষগুলোর হাত থেকে সভ্যতা ধরে রাখার জন্যে আপ্রাণ লড়াকু সহিষ্ণু, প্রতিবাদের বেদ ; মা... ঋণ বাড়তে বাড়তে বাউন্ডারি পেরিয়েছে তবু কত হালকা মনে হয় ,তুমি পাশে আছ তাই... ঊনষাট বছর পেরিয়ে এলে, প্রথমে বাপের সংসার তারপর নিজের সংসারের দারিদ্রতার আগাছা কেটে উন্নত ফসল ফলানোর নিরন্তর  প্রচেষ্টায়।  লক্ষ্য করোনি, একদিকের জঙ্গল সাফ করতে করতে যখন এগিয়ে যেতে পেছনেই উর্বর মাটিতে দ্রুত জন্ম নিত দৃঢ় কাণ্ডহীন মহীরুহ, যারা সাপের মত ফনাযুক্ত।সে জঙ্গলে নিশাচর চড়ে যারা দিনেও শিকার করে। সৃষ্টির শুরু থেকেই হিংস্ররা আছে...জীবন্ত জীবাশ্মর মতই...  তুমি লড়তে শেখালেও আমি ভীতু।  জঙ্গলে তুমি একা।রাতে জেগে উঠি অজান্তেই ।কি করি বলোতো? তোমায় লড়াই করতে আর দে

কবিতা : দীপঙ্কর বেরা

ছবি
নারীর পথ চলা অনেকদিনের অনেক পুরোন কথা মনে পড়ে জগদ্দলকে ঠেলে তোমার যাত্রা জীবন গড়ে তুমি মহীয়সী তুমি মানুষ হয়েছো নিজের মত তোমাকে তাই শ্রদ্ধা জানাই করছি মাথা নত। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা করে রান্নাবাড়া ঠিক সময়ে অফিস হাজির কর্মের ডাকে সাড়া, বিকেলে ফিরে একা হাতে ঘরদোর সামলে তোমার জীবনকে তুমি নিজের মত গড়লে। না সাজগোজ গয়নাগাঠি গড়ে তোলা সংসার সমাজের বুকে যেন সমাজ হয়ে ওঠা পরিবার, তোমার নারী ভাবনা তোমাকে দিয়েছে মুক্তি তুমি ভেঙে দুর্বার হলে দেখালে তোমার যুক্তি। এত পরিশ্রমে চলতে থাকা মানুষ তুমি একক দেখিয়ে দিতে পেরেছো তুমি এ দশক এ শতক, প্রেমের অপরূপ ভঙ্গিমায় আমি খুঁজে পাই তুমি দিগন্তে যেন উঠেছে সূর্য চিরকালের আত্মভূমি।

কবিতা : সুজাতা মিশ্র(সুজান মিঠি)

ছবি
সামলাতে পারবে তো? কাঠ ঠোকরার মতন ঠুকরে ঠুকরে আমি গর্ত করতে পারি, উলঙ্গ গর্তকে আমি বানিয়ে দিতে পারি এক রক্ত মাংস নারী, শিরায় শিরায় বয়ে চলা রক্ত স্রোতকে থামিয়ে দিতে পারি ঝটকায়, গাছতলায় পরে থাকা কাঠ টুকরোকে বানিয়ে নিতে পারি রাগ...মটকায়। বলো তো পুরুষ সেই রাগ সামলাতে পারবে তো? উলঙ্গ গর্তের বাইরে থেকে চেঁচিয়ে ওঠা...ছোওঃ। দমকা বাতাস হয়ে উঠবে নারী দেখো। ঠুকরে গর্ত নয়। একবার ঘা করবে, ঘা। এবার ভয় পাবে, এবার শাড়িতেও পাবে ভয়। বলো পুরুষ, সামলাতে পারবে তো?  বলো পুরুষ,সামলাতে পারবে তো? বলো পুরুষ,সামলাতে পারবে তো?       ----

কবিতা : অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
আজ একটা অন্যরকম দিন         আজ অন্য কিছু নয় আজ তোমাকে দেখব সবকিছু ফেলে তোমাকে দেখার দিন আজ  আজ মাঠে ঘুরব না  হাটে যাব না  আকাশে উড়ব না  এতটুকু পুড়ব না  আজ একটা অন্যরকম দিন  আজ  শুধু এক মায়াবী ফুলের ফুটে ওঠা দেখব বহু দূর থেকে তার পরিমল আমার সমস্ত সত্ত্বায় মাখবো আজ ।  =============== অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায় লাভপুর , গুরুপল্লী , বীরভূম  পিন -- 731303 যোগাযোগ -- 7908600710

কবিতা : শ্যামাপদ মালাকার

ছবি
প্রবৃত্তি """"""""" কি-রে,--কি ভাবছিস্? তীরে বসে আমি কি শুধু তরঙ্গই গুণছি! না-রে না!--যেটুকু নিজের ছিলো, সেটুকু আলোর আড়ালে বিলিয়ে দিয়েছি!  বিনিময়ে শুধু- গলাধাক্কা!-- নিজের বলে আর কিছু নেই... জানিস,--মাঝে মাঝে তোকে ভাবি! তরঙ্গের বদলে তোকে গুণি... এতোগুলো গ্রীষ্মের পরেও তুই বর্ষার চারাটির মতোই আছিস! এতো বিয়োগের-ব্যথার পরেও তুই, দীঘির ধারে পদ্মটির মতো আছিস্-- শতদুঃখেও তোর নূতন সাজার যে প্রবৃত্তিটা হৃদয়ে তোর আজও বনফুলে ধোয়া মেঘের মতোই আছে.. ইচ্ছে করে,- তোর ঐ প্রবৃত্তিটা ভেঙ্গে গুড়ো গুড়ো করে ললাটে মেখে নিই! কি-রে,--তোর ঐটুকু আমায় দিবি?---যদি দিস্-- সমুদ্রের বুকে আকাশটা সরিয়ে বলতে তো পারবো- আমারও নিজের বলে কিছু আছে। যে তার বুকের ভরসা মাখিয়ে আমায় কমলতুল্য করে রাখে.. নাই-বা চুলে তেল পড়ল, নাই-বা দিনে আহার জুটল, পাতার আড়ালে সে আমায় ফুটিয়ে ত রাখবে... তোর ঐ প্রকৃতিটা আমার ললাট-শিকড়ে লেপে দে-না,-- যদি দিস্- নয়নের কটাক্ষ, অধরের হাসি, হৃদয়ের ধৈর্য- সব তার হাতে তুলে দেবো.... নাই-বা

কবিতা : রাণা চ্যাটার্জী

ছবি
     নারীই ভরসা নারীই শক্তি                                             না জাগিলে ললনা,সত্যি এ সমাজ,বিশ্ব জাগেনা এটাই যেন আসল কথা,নয় এ মিথ্যা,ভুল ছলনা। সুস্থ রুচি সংস্কৃতির, বাড়ির সব দায় সামলায় নারী  আমরা পুরুষ কেবল বড়াই করি দেখাই বাহাদুরি। গৃহ শান্তি, সন্তান পালন, রান্নাবান্না নানাবিধ কাজ  আদেশ,অভিযোগে ব্যস্ত পুরুষ,ঠিক যেন মহারাজ সমাজ সংসার সুস্থ থাকে পুরুষ যদি থাকে পাশে  ঝড়ঝঞ্ঝা সামলে নারী, উদ্যমে ঝলমলিয়ে হাসে। নারী-পুরুষ আসল পরিপূরক,ঠিক যেন মেঘ বৃষ্টি  দুজনের কেউ বিগড়ালে ঘর,মনের ক্ষতি,অনাসৃষ্টি যতই আসুক অভাব মনে,দুঃখের পাহাড় অনটন সু -সম্পর্কে বোঝাপড়ায় পুরুষ-নারী অমূল্য রতন।  কাগজে কলমে নারী-পুরুষ নেই কোন ভেদাভেদ,  যতো নিয়ম,শেকল বাঁধন নারীদের করে বিভেদ। সূর্য যেমন দৃপ্ত পুরুষ,মিষ্টি রোদ্দুর হয় তার সঙ্গী নারী পাক যোগ্যসম্মান,বদলাক সমাজ দৃষ্টিভঙ্গি।  নারী-পুরুষ সমান সমান,এক দারুন  মেলবন্ধন ,  পুরুষ বাহবা বিনা,কিভাবে বাড়ে সমাজের বন্ধন। নারী শক্তি স্বাধীনতার,কত্ত খবরই না আমরা

মুক্তভাবনা --- জিত মল্লিক

ছবি
অন্য নারী... ছেড়ে যাওয়ার আগের সেই সন্ধ্যেটা এখনো ভুলতে পারিনি। বলেছিলে আমার মতো মেয়ের সাথে নাকি সংসার করা যায় না। সমাজ নাকি মেনে নেবে না।কারণ আমি যে বেশ্যা।।। আমি তো চাইনি বেশ্যা হতে।তোমার সমাজ ই আমাকে বেশ্যা বানিয়েছে।কেন দেখিয়েছিলে ভালোবাসার স্বপ্ন?? আমি তো চাইনি আবার কোনো মিথ্যে ভালোবাসার স্বীকার হতে। পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলাম সেলিম কে। তার সমস্ত শারীরিক চাহিদা মেটার পর আমাকে তুলে দিয়েছিল এই পতিতালয়ে। সেদিন কিছু পয়সার বিনিময়ে আমার নাম এবং পরিচয় দুটোকেই বিক্রি করে গিয়েছিল সেলিম। ১৭ বছরের আফসানা তখন তোমার সমাজের কাছে চুমকি। মাসি প্রথম দিন বলেছিল আজ থেকে আর আফসানা নয় তোর নাম চুমকি। ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি তোকে আমি, কাজেই এই ফেনর-ফেনর কান্না বন্ধ করে তৈরি হয়ে নে, আজ রাত থেকেই তোর শরীর বেচার জীবন শুরু। খুব কেঁদেছিলাম, প্রত্যেকটা রাত্রের যন্ত্রণা, মিথ্যে ভালোবাসার মানুষটিকে না চেনার যন্ত্রণা, সমস্ত শরীরে তোমার সমাজের নখের দাগের যন্ত্রণা, শরীরের নরম মাংসপিন্ড গুলো পয়সার বিনিময়ে তোমাদের হাতে তুলে দেওয়ার যন্ত্রণা, পরিবার হারানোর যন্ত্রণা..... কিন্তু তাতেও তো ভালো

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪