পোস্টগুলি

৭ম সংখ্যা # আশ্বিন ১৪২৫ # "শিক্ষা ও শিক্ষক" লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

সন্তু চ্যাটার্জির অনুগল্প

ছবি
ভুয়ো গ্রামের প্রবীণ মাস্টারমশাই প্রণববাবুর শিক্ষক দিবসের সকালটা একটু অন্য রকম ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে। আর কাটবে নাই বা কেন ? এই ৩৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনে তো তিনি কম ছাত্রছাত্রীর বৈতরণী পার করলেন না।আজ তারা নিজ নিজ জগতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।তাই আজকের দিনে তারা তাদের প্রিয় স্যার এর খোঁজ খবর নেবে, তার আশীর্বাদ ধন্য হতে চাইবে এতো খুব সহজ কথা।পূর্ণপরিতৃপ্ত প্রণব বাবুও পরমেশ্বর এর কাছে তার প্রাণাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান আত্মজ স্বরূপ ছাত্রছাত্রীদের সুভাশুভ কামনা করেন।মনে মনে ভাবেন, আর তো মাত্র কয়েকটা দিন তারপর তিনিও যে প্রাক্তন । সকালের ব্যস্ততা কাটিয়ে, কোনো রকমে স্নান- খাওয়া সেরে ,সাদা ধূতির উপর পাঞ্জাবীটা চাপিয়ে প্রণব বাবু যথাসময়ে স্কুল এ হাজির হন। সমবেত ছাত্রছাত্রীদের প্রণামের পালা চুকলে, দোতলায় হেডস্যার এর ঘরে এসে জানতে পারেন, D.I. অফিস থেকে এক কমবয়সী অফিসার এসেছেন, তার অবসর কালীন কাগজপত্র নিয়ে কথা বলতে।হেড স্যার পরিচয় করিয়ে দিতেই অফিসার বলে ওঠেন "প্রণব বাবু আপনার B.ED degree টা তো দেখছি বৈধ নয় , কারণ আপনি যে কলেজ হতে B.ED করেছিলেন তার তো NCTE এর অনুমোদন নেই ,আপনি যে কি ভ

তপন কুমার মাজির গল্প

ছবি
"শিক্ষাগুরু" সেপ্টেম্বরের তিন তারিখ। সোমবার। ঘড়িতে তখন সকাল ১০:৫৫। মৃণালবাবু মানে মৃণালকান্তি চৌধুরী মহাশয় দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ক্লাসে ঢুকেছেন সবেমাত্র। চলছে রোলকল। এমন সময় একাদশ শ্রেণীর কিছু ছাত্র-ছাত্রী দরজার সামনে এসে ভিড় করে দাঁড়ালো। --তোমরা কিছু বলবে ? --স্যার, নাটকের সংলাপগুলো একটু দেখে নিলে ভালো হতো। আর অভিনয়টাও কেমন হচ্ছে... একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রণিকের কথাটা শেষ হতে না হতেই মৃণালবাবু বললেন, --দেখছো না, এখন ক্লাস নিচ্ছি। তোমরা এখন ক্লাসে যাও। সেকেন্ড ক্লাসটা আমার অফ্ আছে। তখন না হয় দেখে নেব। রণিকরা মাস্টার মশায়ের কথার মান্যতা দিয়ে চলে গেল ক্লাসে। ঠিক একইরকমভাবে প্রতিটি ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা পরপর কেউ গান, কেউ বা আবৃত্তির জন্য মৃণালবাবুর কাছে এসে অনুরোধ করতে শুরু করলো। আর তাদের একই কথা বলে প্রত্যেককেই একের পর এক ক্লাসে ফিরে যেতে বললেন। ঘটনা হোল সামনেই শিক্ষক দিবস। প্রতি বছরের মতো এই বছরও বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে নাচ বাদে সবগুলোরই হত্তা কত্তা বিধাতা--"সবে ধন নীলমণি" মৃণালবাবু। নাচটা শেখান অব

সৌরভ ঘোষের ছোটগল্প

 নিরাকার সকাল থেকেই হইচই শুরু করেছেন প্রভাত বাবু।পুরো নাম প্রভাত কুমার নস্কর,ছোটদাদু দিয়েছিলেন।প্রতিদিন ভোরবেলা উঠে পার্কে প্রায় এক ঘন্টা শরীরচর্চা করেন। বাড়ি ফিরে, বাড়ির সামনের কাঠা দুয়েক জমিতে নিজের সবজি বাগানে কিছুক্ষণ সময় দেন তারপর চা- মুড়ি টিফিন করে বাজারে।প্রতিদিনের একই রুটিন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী করতেন প্রভাত বাবু।আগের বছর বসন্তে দখিনা হাওয়া গায়ে মেখে অশ্রু সজল চোখে বিদায় নিয়েছিলেন।সকলের প্রিয় আর মজার মানুষ।সাড়ে সাতাশ বছরের কর্মজীবনে কামাই কদিন গুনে বলা যাবে।সংসারের থেকেও বেশি স্কুলকে ভালোবাসতেন।স্কুল ছেড়ে চলে যাবার ভয়ে কর্ম জীবনের একমাত্র ইনক্রিমেন্ট, হেড মাস্টারের পদ পর্যন্ত অবলীলায় ত্যাগ করেছিলেন। প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী'রাও স্যর বলতে অজ্ঞান। রাস্তায় দেখা হলে দাঁড়িয়ে কথা বলে,বাজারের ব্যাগ ভারি হলে কেউ এগিয়ে দেয়,ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে গেলেও তাই-লাইন দিতে হয় না।এক্ষেত্রে প্রভাত বাবুর আপত্তি থাকলেও,কে শোনে।কিছু কিছু ছাত্র বাইরে থাকে। বাড়িতে ফিরেই আগে স্যরের বাড়ি।বিয়ে হয়ে যাওয়া ছাত্রী'রাও বাপেরবাড়ি এলেই দেখা করতে আসে।কেমন যেন অদৃশ্য টান।প্রভাত বাবু মানু

কবি আর্যতীর্থএর কবিতা

। বিলুপ্ত। পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে নিলেও অভিভাবকরা যাঁদের বলতেন বেশ করেছেন, পাশফেলের সাথে সাথে সেই মাস্টাররাও কেমন উধাও হয়ে গেলেন। যাঁদের ভয়াল চাউনি একক্লাস কোলাহলকে স্তব্ধ করে দিতো, পড়া না পারলে নিল ডাউন বা বেঞ্চে দাঁড় করাতেন যাঁরা নিয়মিত, যাঁরা ধুতি পাঞ্জাবী পরে স্বচ্ছন্দে পড়াতে পারতেন ওয়ার্ডসওয়ার্থ টেনিসন, শেলী, হেমিংওয়ে, যাঁদের শাসনের মধ্যে স্নেহ থাকতো, যাঁরা চাইতেন গাধাগুলো ঘোড়া হোক বড় হয়ে, সেই সব মাস্টারমশাই আর দিদিমণিরা ক্রমেই বিলুপ্ত হলেন ডায়নোসরের মতো। যদিও এই পাশফেলহীন মারধোর ব্যতিরেকে সন্তান মানুষ করার যুগে, তাদের না থাকাটাই বোধহয় যুক্তিসঙ্গত। শুধু কি ধমকই সব, আদরও কি পাইনি ? অনাবিল কিছু পিঠচাপড়ানি কঠিন অংক সমাধানে, দশে আট দিয়ে সেই হেসে বলা এর থেকে বেশি আর দিই নি জীবনে, তিনদিন না এলে কোনো বন্ধুকে দিয়ে ছিলো খোঁজ করা নিয়মমাফিক, সেন্ট আপ হয়ে গেলে জড়িয়ে ধরাও ছিলো, বয়স্ক দুই চোখ জল চিক চিক। গুগলের মতো হয়ে যাবতীয় নোটস আর তথ্যের ভাণ্ডার কাঁচিয়েকুঁচিয়ে যাঁরা আনতেন তুলে, ভালো নম্বরের আগে ভালো মানুষ হও ,সে আজব কথা যাঁরা শেখাতেন স্কুলে, কোথায় পাঠালে তাঁদের নির্বাসনে,

তাপসী লাহার কবিতা

প্রিয় ছাত্রী ------------ নাহ তুমি চঞ্চল হলে না লক্ষীমন্ত ডগমগ লাবণ্য কি ভালো কি ভালো! নম্রবদনা এতো ঢালো ঢালো। কোনো প্রশ্ন নেই হরিণ দুটো চোখে, সিঁথি 'পরে শোভিত লাল, বয়স শুধু ষোলো। বাকক্ষম ঠোটে গায় স্বামী গুণগান, ক্লাস পড়া এসব এখন যে বড়ো ম্লান। আমার সাধের চারাগাছে তখন ধন্দের আকিবুকি, অসংযত অন্দরে আশংকা দ্রিমি দ্রিমি বাজে। প্রিয় ছাত্রী, আমার মন ভেঙে গেলো হ্রদয় বিষাদপুরে, সবার মতো কেনো হলে, নিজের মতো কেনো নয়! তাপসী লাহা

বটুকৃষ্ণ হালদারের কবিতা

বরুণ বিশ্বাস স্মরণে রোজ কার মত স্কুলের শেষে ট্রেন ধরে ঘরে ফেরা স্টেশনে নামতেই, হঠাৎ সজোরে একটা বুলেটের শব্দে সব শেষ স্টেশনের এক কোণে লুকিয়ে ছিল কাপুরুষ, স্বার্থlন্বেষী হায়নার দল.......... তুমি ছিলে সবার প্রিয় সুটিয়ার মাস্টার মশাই আছে বাজারের ব্যস্ততা, রাস্তা ঘাট, জন কোলা হল, আছে দূষিত বায়ু, নেকড়ে হায় নার দল নেই প্রতিবাদ, সাহসী, নির্ভীকদের অদম্য উচ্ছ্বাস সু সভ্য সমাজের অর্জুনরা আজ নির্বাক, দুর্বল মনোবল আজ শুধু তুমি নেই মাস্টার মশাই কি ছিল তোমার অপরাধ জিজ্ঞাসিছে বিদ্য জনে? দুঃস্থ, অসহায় দীন, দিশাহীন দের আশার আলো কত শত অসহায় কুমারী, নারী নির্ভয়ে, নীরবে কাটিয়েছে কতিপয় রাত...... নির্ভীক, দৃঢ়, স্বাধীন চেতা মনোবলে ভয় পেয়েছিল, কাপুরুষ, কসাইয়ের দল তুমি আজ নেই লেখনী তে,কবিতা কিংবা গানে তোমায় নিয়ে হয় নি আলোচনা, সম্প্রচার চুলচেরা বিশ্লেষণ দূরদর্শনে তুমি রয়ে গেছো কতিপয় হৃদয়ের আত্ম সংঙ্গপনে অসহায়, সম্বলহীন পিতা, মাতার আজও অশ্রুধারায় ভিজে যায় সুটিয়ার মাটি দুয়ারে দাঁড়িয়ে আজও গভীর নিঃসঙ্গতায় হাঁতড়ে বেড়ায় স্মৃতি তোমার শহীদ বেদীতে নিভূ নিভূ দীপ জ্বলে বিষন্নতার সাঁঝে তুমি আজ

পবিত্র দাসের কবিতা

প্রহসন আদর্শহীন ছাত্রসকল অনাদর্শী শিক্ষাগুরু, শিক্ষার নামে নীতি বেচে দিচ্ছে ক'রে ব্যবসা শুরু। শিক্ষক সবে ব্যাপারী আজ শিক্ষা তাদের পণ্য হ'ল, বিদ্যালয়ে দিব্যি ফাঁকি বিদ্যা বেচে লক্ষ্মী তোলো। লক্ষ্মী পিঠে সওয়ার হ'য়ে সরস্বতীর অন্বেষণে, শিক্ষাক্ষেত্রে এই অনাচার চলছে হেথা অনুক্ষণে। সর্বপল্লী, বিদ্যাসাগর, ফেলছে তারা লুকিয়ে মুখ, মেরুদণ্ড ভাঙা জাতির লোভানলে সন্ধানে সুখ। যোগ্যতা সব থাক বা না থাক পকেট সবার উঠুক ভ'রে, আমার ছেলে পড়বে রে ভাই বঙ্গ থেকে অনেক দূরে। তাই তো ব'লি এই বাঙলাতে যোগ্য বেছে লাভ কি কাজে, কবিরা সব বেকার বকে লেখে সবই আজেবাজে। শিক্ষক আজি বন্দি থাকে দীর্ঘ সময় অফিস ঘরে, প্রভাববলে নানা ছুতোয় শিক্ষকদেরকে ঘেরাও করে। কটূভাষ্যে শিক্ষকদেরই করে সদা মুণ্ড ছেদন, শিক্ষকদিবস পালন ক'রে ওড়াতে চাও বিজয় কেতন! --------------- ঠিকানা:-পবিত্র দাস গ্রাম: চালতিয়াপোষ্ট: চালতিয়াথানা: বহরমপুর জেলা: মুর্শিদাবাদ পিন: ৭৪২৪০৭ফোন: ৮৯১৮৭২৫২৬৪

সোমনাথ বেনিয়ার কবিতা

স‍্যার কী লিখি? কী-বা বলি! তিনি সময়। বরং সময়ের থেকে অনেকটা এগিয়ে। আমি সময়চক্রের ক্ষুদ্র শব্দ মাত্র ... তিনি গাছ। অজস্র ডালপালা। তিনি ছায়া। শীতল আশ্রয়। আমার পরম বিশ্রাম ... তিনি অনন্ত। জিজ্ঞাস‍্য পরিধি! আমি কেন্দ্র। অস্ফুট ডট! তিনি পূর্ণ। ১০০! আমি আপাতত শেষ শূন‍্য ... ঠিকানা - ১৪৮, সারদা পল্লী বাই লেন ডাক + থানা - নিমতা জেলা - উত্তর ২৪ - পরগনা কলকাতা - ৭০০ ০৪৯. ফোন - 8697668875.

শুভাশিস দাশের কবিতা

শিক্ষক দিবসে জ্ঞানের আলো জ্বালান যিনি আসল গুরু তিনি এই সমাজে শিক্ষক নামে আমরা তাঁকে চিনি ! অক্ষর জ্ঞান দিয়ে চোখে দেন যে দিশা পথের তাঁদের বিনে সমাজ অচল বিশ্ব মতামতের ! কিন্তু মশায় দেখছি কী সব কাণ্ড যাতা ভাই শিক্ষকদের কোন রকম মর্যাদা আর নাই ! শিষ্য -গুরুর সম্পর্ক যে হচ্ছে ক্রমেই ফিকে আসুন সবাই বিরুদ্ধে এর গর্জি চতুর্দিকে ! -------------------------------- শুভাশিস দাশ দিনহাটা কোচবিহার মো :9932966949 subhashis.dinhata@gmail.com

সমীর কুমার বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের কবিতা

বাঁকাকথায় জবানবন্দী মূল‍্যবোধ চুলোয় যাক নীতিটা মাথায় থাক বাড়ী চাই গাড়ী চাই শুধু বেতনে কি ভরসা পাই তাই উপরি খুঁজছি ভাই এ ছাড়া যে উপায় নাই অনেক খসিয়েছি বাপের টাকা উসুল করতে পথটা বাঁকা ফুটো ছাতা ছেঁড়া জুতো পুরাণকথা ওসব এখন রঙ্গকথা তাড়াবোনা বনের মোষ সেটা কি আমার দোষ গন্ডায় গন্ডায় বেরোক যন্তর মানুষ না হোক ফুসমন্তর সমাজটা মোর পৈত্রিক নয় আপনি বাঁচলে নামটা রয়।। সমীর কুমার বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় ৩৪ সৌদামিনী নগর, মোড়পুকুর রিষড়া, হুগলী ৭১২ ২৫০ মো ৯৯০৩৬৭৬১৮৩

নৃপেন্দ্রনাথ মহন্তর কবিতা

শিক্ষক এক আকাশের নাম *************** আমাদের আকাশের ভেতরে থাকে আর এক আকাশ নিঃসীম শূন্যের মতো বিশাল, উদার; দিনরাত্রির আবর্তনহীন সে আকাশে আলো ফোটে বিরামবিহীন। সে আকাশ প্রাণের স্পন্দন দেয় রক্তমাংসের শরীরে সে আকাশ হৃদয়ে,মগজে,রক্তের ভেতরে চেতনার বীজ পুঁতে দেয় ক্রমশ তা উপ্ত হয়,কিশলয় মহীরুহ হয়। সে আকাশ শিক্ষাদাতা এক মানুষের নাম যার হৃদয় অলিন্দে থাকে অর্ধেক মাখন আর বাকিটা ইস্পাত! সে মানুষ সর্বক্ষণ আমাদের মাথায় রাখে আন্তরিক শুভেচ্ছার হাত। তার পায়ের পাতা পাতা থাক আমাদের বুকে যেখানে যখন খুশি সারবো প্রণাম। ************************************** কবিতা -২ শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংবাদ ************** শিক্ষালয়ে কাটিয়েছি আশৈশব-যৌবনের অনেকটা সময়। প্রথম প্রহরে পেয়েছিলাম একটি মহামূল্যবান চাবি যা দিয়ে খোলা যায় বর্ণ-শব্দ-বাক্যের অবাক মন্দির। তারপর প্রতিবছর একাধিক দরজার চাবি-- কোনোটা অংকের বা সাহিত্যের কোনোটা ইতিহাস-ভূগোল বা বিজ্ঞানের কোনোটা যুক্তির, কোনোটা প্রযুক্তির,কিংবা দর্শনের। সর্বোপরি শিক্ষাগুরু দিয়েছিলেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একগোছা চাবি।বলেছিলেন,দেখো, এসব চাবিতে কেমন ম

প্রশান্ত সেনের কবিতা

শিক্ষাগুরু... বলতে পারো, কে-ই বা আমার প্রথম দিদিমণি? তিনি আমার বিশ্বভুবন আমারই জননী| মায়ের কাছেই হাতে খড়ি বাংলা ভাষা শেখা শ্লেট পেন্সিল দিয়ে প্রথম অ-আ-ক-খ লেখা প্রথম কর গুনতে শেখা প্রথম ধারাপাত প্রথম সেই হাঁটতে শেখা ধরেই মায়ের হাত... মা-ই প্রথম দিদিমণি আমার প্রথম গুরু মায়ের কোলে বসেই আমার প্রথম শেখার শুরু তাই তো শিক্ষক দিবসে ছড়া এবং পদ্যে সাজিয়ে দিলাম প্রণাম আমার মায়ের পাদপদ্মে | @প্রশান্ত সেন ফ্ল্যাট-ই/৩, ফোর্থ ফ্লোর, ঝিলিক এপার্টমেন্ট, সি.সি.৫৭/৪, নজরুল পার্ক, পূর্ব নারায়ণতলা, পোঃ অশ্বিনীনগর, থানা - বাগুইআটি কলকাতা - ৭০০১৫৯, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত চলভাষ : +৯১-৯৮৩০৯২৫৩৭২/+৯১-৯৮৩০৪০৫৩৭২ হোয়াটসঅ্যাপ : +৯১-৯৮৩০৯২৫৩৭২ ই-মেইল : psen.1981@gmail.com / prasanta.satyaki.sen@gmail.com

অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

ছবি
শিক্ষকের প্রার্থনা মাত্র একটি দিনের জন্য আমি ফুল মালা আর সংবর্ধনায় ঈশ্বর হতে চাই না । কালই তো বলবে আমাকে , "মাস্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি ।" কালই চোখের সামনে অন্ধকার সাজিয়ে বলবে , এটাই আধুনিক আলো । কালই একটা বৃত্তে আমাকে পুরে রেখে বলবে , এখানেই আপনি নিরাপদে থাকবেন. . . . মাত্র একটা দিনের জন্য আমি তোমাদের সাজানো ঈশ্ব র হতে চাই না । যেকোন উপায়ে হোক তোমরা অন্ধকারকে ঘৃণা করাটা অভ্যাস করো , যেকোন উপায়ে হোক তোমরা আলোকে সর্বগ্রাসী থাবা থেকে বাঁচাও । অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদক, কবিতার রঙবেরঙ সাহিত্য পত্রিকা লাভপুর, গুরুপল্লী , বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ দূরভাষ --7908600710 তাং --05/09/2018

কৃষ্ণা দেবনাথের কবিতা

ছবি
|| প্রিয় প্রেরণা || শুরুর প্রথম স্পন্দন থেকে আমার যাত্রার রঙিন পাঠশালায় মাগো তুমি বাড়িয়েছিলে হাত... এগিয়ে চলার লক্ষ প্রেরণায় । তোমার আলিঙ্গনে, খেলার ছলে কাটানো শৈশব... প্রথম হাতেখড়ি । আজও প্রিয় শিক্ষিকার ভিড়ে দৃশ্যতঃ তোমারই ছবি । এই রুদ্ধ জীবন যুদ্ধে যখনই হোচট্, খুইয়েছি ছন্দ... মিথ্যে ভরসা আবছা করে সন্ধান দিয়েছ পথ, পাশে থেকেছ । নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় তুমি ঋণী করেছ হররোজ । মা, প্রিয় মাধুরী... এই শিরায়-সংশ্লেষে জেগে থেকো । ......................... কৃষ্ণা দেবনাথ ঠিকানা: উদয়পুর, রায়গঞ্জ উত্তর দিনাজপুর পিন নং: 733134

মৌসুমী ভৌমিকের কবিতা

শিক্ষক তুমি **************** শিক্ষক তুমি আলোর সেতু সাম্য বাণীতে গীতা - কোরান অন্ধকারে দর্শাও দিশা, সর্বকালের মহৎপ্রাণ। আলো হবার মন্ত্র তুমি, শিক্ষার শিখা অনির্বাণ নরম মাটির সুপ্তমনে রোপন করো জীবনগান। দিশাহারা ছাত্রসমাজে জ্বালাও আজ দীপ্তিশিখা নবযুগের আহ্বানে শিষ্যরে দেখাও আলোকবর্তিকা। নরম মনের পেলবতায় এঁকে দাও সুর্যস্বপ্ন আলোপাখি হয়ে উঠুক সকলে, হোক নির্ভীক রত্ন। শিক্ষক তুমি আলোর মানুষ, থেকো কারিগর দক্ষ শাসন মেশানো ভালবাসা ও স্নেহে ভরিয়ে রাখো বক্ষ। পথহারাদের দেখাও আলোর পথ, হে জ্যোতিস্মান মুক্ত কণ্ঠে যেন গেয়ে যেতে পারি তোমার জয়গান।

চৌধুরী নাজির হোসেনের কবিতা

বর্ণমালা লম্বা ঘর, আয়তকার যেনবা দরজা জানলা,অসময়ে একা পশ্চিমা রোদ্দুর, হা হা করছে। 'রেনবো' কবিতাটি পড়ানো হয়েছে? শ্রেণিকক্ষ নিশ্চুপ, বাকহীন। টুপটাপ বৃষ্টিফোঁটা কিয়ৎ আগে, রেশ তার এখনো দু'কানে যেন অযথা খুনসুটি, তাদের। উৎসুক চোখ, দূরের থেকে রং সযত্ন, বর্ণমালা এঁকে যায় মাটি থেকে আকাশ,ঝুলন্ত সেতু,পারাপার,পারাপার... বললাম― 'রেনবো' কবিতাটি পড়ানো হয়েছে। ――― ঠিকানা: চৌধুরী নাজির হোসেন। রয়‍্যাল এনক্লেভ(সাউথ), সেকেন্ড ফ্লোর, ফ্ল্যাট নং–২০৩. ২১ড:এ.এন.পাল লেন, বালি:হাওড়া। পিন–৭১১২০১. মোবাইল নং ―৯৬৭৪৬৭২১৭৭.

দীপঙ্কর বেরার দুটি কবিতা

শিক্ষক দিবসের আর্জি শিশুকে শিক্ষা দেয় তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক বোধ বুদ্ধিকে করে তোলে সভ্যতা সংস্কারক অক্ষর জ্ঞান আর শিষ্টাচারের সুষ্ঠু সাধনা বিদ্যালয়ে শিশু পায় তার সঠিক নিশানা। মা বাপ ও তার পরিবেশ খারাপ হতেও পারে মনুষ্যত্ব ভরা থাকে স্কুলের শৃঙ্খলা ভাণ্ডারে যেখানে শিশু শুধু ভাল শেখে শিক্ষকের পাশে তাকে বিমুখ করো না হে টিউশনের অভ্যাসে। শিক্ষক যা বলেন শিক্ষার্থীর কাছে তা বেদবাক্য সারাজীবন মনে রাখে সেইসব জীবনের লক্ষ্য শ্রেণিকক্ষ বেঞ্চে বসে তাই পেতে চায় কিছু শিক্ষা শিক্ষক দিবসের মর্যাদা দিক তেমন কোন দীক্ষা। শিক্ষক দিবস ছাত্ররা আজ আসবে স্কুলে তোমার জন্য গাইবে গান আবৃত্তি আর বক্তৃতা দিয়ে তোমাকে জানাবে সম্মান ; দেবেই দেবে উপহার ওরা নেবেই নেবে আশীর্বাদ তোমার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে হবে নির্মল নিখাদ । তোমাকে দেখেই ওদের চলা স্বপ্ন ভবিষ্যতে মানুষ গড়ার কারিগর তুমি আগামীর পৃথিবীতে; সদা হাস্যে দেখি তোমায় শিক্ষা করছো দান , চির উজ্জ্বল 'শিক্ষক' তুমি তোমারে করি প্রণাম ।

কান্তিলাল দাসের কবিতা

 প্রিয় শিক্ষক বাবা প্রিয় শিক্ষক বাবা, বড় করে কত গাছ চলে গেছ কোন দূর দেশে দেখা হবে কিছুকাল পরে আজীবন গরীবির সঙ্গে যুদ্ধ করে করে টেনে গেছ সংসারের ঘানি সে বড় কঠিন কাল গেছে বাবা, প্রিয় শিক্ষক লণ্ঠন হাতে হেঁটে এ বাড়ি সে বাড়ি পাঠদানে ছুটে গেছ দিনে রাতে বর্ষা শীত যাই হোক, যোদ্ধা যেন এক ! না ভালো জুতো একটা, না ভালো পিরান মাইল মাইল গেছো অন্নতারণায় অভিভাবকেরা নিশ্চিন্দি ছিল কম দামে ভালো মাস্টারে ! এখন তো গার্জেনেরা স্যার স্যার করে শিক্ষক দিবস হয় বেশ ঘটা করে প্রাপ্তি হয় শিক্ষকের এটা ওটা সেটা ! তোমার আমলে এসব তো দূরস্থান, লোকে ডাকত কখনো ম্যাস্টর ! ইস্কুলের বেতন হিসেবে দৈনিক ছিল দশ টাকা বা নীচে! আর ঐ বাড়িতে পড়িয়ে ? সে বলার নয় তবু তবু তবু না পড়ালে অভাবের হাঁ মুখ বড় হবে জেনে ছুটে যেতে সামান্য দক্ষিণায় রফা গরীব মাস্টার। বড়লোকের বাড়িতে পড়িয়ে বৃষ্টিরাতে ছাতা না থাকা মাস্টার তুমি ফিরেছিলে এক রাতে তুমি বাবা, মনে আছে ? তাদের বাচ্ছার ছেঁড়া পলিথিনে মাথা ঢেকে ? আমরা অবাক ! তুমি ও কি অবাক হওনি বাবা, শিক্ষককে কী সম্মান দিলো ওরা ভেবে ! এভাবেই বাবা তুমি

তরুনার্ক লাহার ছড়াক্কা

ছবি
ছড়াক্কা ১ শিক্ষা গুরু ---------------- মা বাবা যে প্রথম শিক্ষা গুরু মা যে শেখায় কথা কওয়া নামতা শেখায়,শেখায় অ আ মানুষ হওয়ার মন্ত্রটা যে বাবা শেখায় সকাল সাঁঝে তাদের পথেই পথ চলা যে শুরু । *** ছড়াক্কা ২ প্রকৃতি শিক্ষক ---------------- এই প্রকৃতি শেখায় আমায় অনেক কিছু আকাশ ,বাতাস,পাহাড়,নদী শেখায় আমায় নিরবধি ঐ পাখিরা,ঐ গাছেরা জলের নীচে ঐ মাছেরা তাদের শিক্ষা মন করেছে অনেক উঁচু । *** তরুনার্ক লাহা বেলিয়াতোড়,বাঁকুড়া Sent from Yahoo Email App for Android

অমিত পালের কবিতা

৫ই সেপ্টেম্বর অঙ্ক হল আমার বিষয়, চক ডাস্টার তুলে ব্ল্যাকবোর্ডে করছি সরল জিতপুর ইস্কুলে। ছাত্ররা সব বেঞ্চে বসা, এই ক্লাসে অঙ্ক কষা, একটা পোকা আটকে আছে মাকড়সারই ঝুলে। পরের ঘন্টা ক্লাস নাইন, সেখানে সুদকষা, এসব নিয়েই দিন কেটে যায়, হয়না খানিক বসা। ছাত্রদেরকে কড়া শাষন, মনের ভেতর স্নেহের আসন, জানতে কেউ চায়নি আজও আমাদের দূর্দশা। সারা জীবন কিইবা পেলাম, হিসেব যখন করি, হাতখানা সেই শুন্য দেখি, পাইনি আহামরি। জীবনভর এমনি করে গেলাম শুধু মানুষ গড়ে তরতরিয়ে চলে না তো জীবন ঘাটের তরী। মেয়ের বিয়ে বাকি আচে, বাকি আছে ঘর, ঘুরতে যাওয়ার হয়নি সুযোগ পাহাড় বা বন্দর। আবার যদি জন্ম নিই শিক্ষক হব ইস্কুলেই আকাশ বাতাস স্বাক্ষী থেকো, ৫ই সেপ্টেম্বর। ____________________________________________________ পরিচিতিঃ নামঃ অমিত পাল পেশাঃ শিক্ষকতা ঠিকানাঃ AMIT PAL C/O ANIL KUMAR PAL (NEAR G.R.U.VIDYAPITH BOYS) P.O: DEBINAGAR, RAIGANJ, DIST: UTTAR DINAJPUR WEST BENGAL, INDIA PIN: 733123

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪