Featured Post
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৩ সংখ্যা নিয়ে কিছু কথা ।। রণেশ রায়
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৩ সংখ্যা নিয়ে কিছু কথা
রণেশ রায়
বইমেলা ২০২৩ সংখ্যা নবপ্রভাত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশকদের অসংখ্য ধন্যবাদ।আর্থিক সীমাবদ্ধতা আর লোকবলের অভাবের প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এই সুন্দর প্রকাশনা।একে সুন্দর বলার দুটি কারণ। সম্পাদক মন্ডলী এই প্রকাশনার মাধ্যমে নতুন লেখকদের সুযোগ করে দেন। সাহিত্যকে বাজারের পণ্যে রূপান্তরিত করতে চান না। দ্বিতীয়ত এর বিষয়বস্তু চয়ন।প্রবন্ধ গল্প উপন্যাস ছড়া অনুবাদ সাহিত্যের সব বিভাগ নিয়ে পত্রিকাটি সেজে ওঠে।আর এমন লেখা প্রকাশিত হয় যা সাহিত্যের সামাজিক কর্তব্য পালনে সক্ষম আজ সাহিত্য চর্চায় আধুনিকতার নামে যেটা উবে যেতে চায়। অনলাইনে মাসিক পত্রিকার প্রতিশ্রুতি মাথায় রেখে বোধ হয় সাহিত্যের এই নির্মাণ কর্ম।
২০২৩ সালের এই গ্রন্থে বেশ কিছু লেখা শুধু পাঠ্য রসে পাঠককে সিক্ত করে তোলে তা নয়, তার মননকে প্রজ্বলিত করে তোলে। জীবন ভাবনায় সাহিত্যের সামাজিক কর্তব্য পালন করে। পাঠককে সৃজনশীল ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করে। সাহিত্যের রসাস্বদনের সঙ্গে পাঠকের এটা কম পাওনা নয়।এই সংখ্যায় এমন সব কবিতা নিবন্ধ গল্প আছে যা পড়ে পাঠক এই দুয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন। সম্পাদকীয়তে প্রথমেই সম্পাদক পত্রিকার উদ্দেশ্য তুলে ধরেছেন । সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা বলেন। সেই অনুযায়ী লেখাগুলো সাজিয়েছেন বলে মনে হয়।যেমন প্রথম লেখাতেই আজ পৃথিবী জুড়ে যে যুদ্ধের বাতাবরণ সেটা তুলে ধরা হয়েছে লেখকের লেখায়।তার বিরোধিতার স্বর ধ্বনিত হয়ছে। বিষয়টা আজ আমাদের সমাজ জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধ বিরোধী কণ্ঠে কণ্ঠ মেলানো আজ জরুরি। এর পর এসেছে নানা ধরনের গল্প কবিতা।এতে পাঠকের মনোরঞ্জনের দিক যেমন আছে তেমনই গুরুত্ব পেয়েছে মানুষের জীবন বোধ।এর পর কবিতা কেন লিখি বা লিখব তা নিয়ে আলোচনা। আজ সস্তা দরের বাজারি লেখার প্রবণতার মুখে বিষয়টা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।ভাবার সময় এসেছে দায়িত্ব বোধহীন নেহাত মিথ্যের বেসাতি, মানুষের অপকর্মের দিশারী হবে সাহিত্য না সাহিত্যের মাধ্যমে লেখক যুগের বার্তা পোঁছে দেবে কালের জ্বালা যন্ত্রণা তুলে ধরবে তার সমাধানের পথ খুঁজবে।বিভিন্ন কবিতায় সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের কথা আছে, নারী নির্যাতনের চেহারাটা তুলে ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে বইটা কালের উপযোগী, পাঠক-পাঠিকার পাঠ তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম বলে আমার মনে হয়েছে।
তবে পুস্তিকাটি কিভাবে আরও মনোগ্রাহী আকর্ষণীয় করে পাঠক সমাজে তুলে ধরা যায় সেটা বোধ হয় ভাবা দরকার। একটা আকর্ষনীয় বইএর প্রচ্ছদে লেখাগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। আমরা আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্বেও চাই সন্তানকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে। বইও পাঠকের কাছে, লেখকের কাছে সন্তান তুল্য।একে সুসজ্জিত করে রাখা দরকার লেখার উপযুক্ত মান বজায় রেখে। ছাপা অক্ষর আরও বড় হোলে পাঠকের পড়তে সুবিধা হয়। দুটি শব্দের মধ্যে ফাঁক বাড়লে ভালো হয়। এতে বইয়ের পরিসর বাড়ে। অবশ্য বড় মাপের বইয়ের খরচ বাড়ে। তাই বলা যত সহজ করা তত সহজ নয়। এর জন্য বইয়ের দাম বাড়াতে হয়। তবে আজের বাজার ধরে দাম একটু বাড়ানো যেতে পারে। আর আমি পাঠক-পাঠিকা ও লেখক-লেখিকাদের এ ব্যাপারে সাহায্যের হাত বাড়াতে অনুরোধ করব যাতে এরকম একটা উদ্যোগ বেঁচে থাকতে পারে।
সবাই প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন