অনাথ রাজা
অঞ্জনা গোড়িয়া
পৌষ মাঘ শীতের রাজা,
গরীবরা সব পাচ্ছে সাজা।
লেপ কম্বল ছেঁড়া কাপড়
বস্তা গায়ে কাটছে ভোর।
অনাথ শিশু বাপ-মা হারা।
আদর স্নেহ পায় না তারা।
দুবেলা ভাত তাও জোটে না ।
অভাব অভিযোগ তাও করে না।
ফেলা দেওয়া যত বাড়তি খাবার
গোগ্রাসে গিলে খিদের জ্বালায়।
রঙচঙে মানুষ মজায় মেতে,
দেখছে তারা যেতে যেতে।
অনাথ কাঙাল পথের পাশে
শীতের রাতে গুটিয়ে কাশে।
ঠকঠকিয়ে কাঁপছে রাতে।
লেপকম্বল ছেঁড়া কাঁথে।
জন্ম দিনেই ছুঁড়লি যারে
ফুটপাতে ডাস্টবিনের ধারে।
পাগলী মেয়ে কুড়িয়ে তাকে
মাতৃ স্নেহে বাঁচিয়ে রাখে।
ভদ্রলোকে দিচ্ছে সাজা
একাই ঘোরে অনাথ রাজা।
শীতের রাতে কেঁপেই মরে।
অবাক পৃথিবী অবাক করে।
দোকান দোকান খাবার খোঁজে।
তাঁর কষ্ট কে আর বোঝে ?
জীবন কাটে কেমন করে?
পথেই জীবন পথেই মরে ।
এত এত সব বস্ত্র বিতরণ,
রাজার মত কত আগমন
পাই না তবু এরাই বস্ত্র
প্রতিবাদী ভাষা আজ নিরস্ত্র।
লজ্জিত মানব ,লজ্জিত সমাজ
পোশাক খাবার ঘর আর কাজ
যদি পায় রাজার মত সবাই
মাথা উঁচু করে বাঁচত এরাই।
উন্নত আধুনিক এই সভ্যতার
সুস্থ বাঁচার অধিকার সবার ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন