তিনটি কবিতা ।। রহিত ঘোষাল
ঘূর্ণাবর্ত
কপালের ভাঁজ দিয়ে হাঁটছি,
পরনে কল্লিদার পাঞ্জাবি আর আলোয়ান।
ঝুল বারান্দায় মরা ফুলের লাশ,
সেখানে ঝিমাতে থাকা গাভী,অদূরে আগন্তুকের
কন্ঠে পৌরাণিক গন্তব্যহীন সুর,
প্রবাহিত সব দৈব বিমর্ষ ঘ্রাণ শুক্রবার
বিকেলে জাহাজকোম্পানির মোড়ে অসাড় ও
নীলাভ হয়ে ওঠে।
বুকে ফুটে ওঠে অর্কিড,
বেগুনি নিঃশ্বাসে পারাপারের ছল।।
তালিকাভুক্ত নই
আমি নিজেই নিজের শাস্তি,
যে আসবেনা আমি তার কথাই ভাবছি,
যে আসবে সে তো আসতেই থাকে,আসতে থাকুক।
আমি কোন মানুষ নই আমি একটি উপলব্ধি,
কোন মুখে আমি তাঁর কাছে গিয়ে দাঁড়াবো?
আজ এতগুলো বছর প্রতিদিন সে আমায় ডেকেছে,
আমি তার তালিকায় কোনদিন ছিলাম না।।
অবস্থা
জেনে ভালো লাগলো তোমার জিভে রক্ত,
আমি কখন বলেছিলাম তোমায় ওড়না পোড়াতে?
তুমি আছো আসর আলো করে,
আমিতো এখন বাড়ি থেকেই বের হই না,
শুধু বেঁচে থাকলে আমি না থাকার মতো থাকি,
আমি কি এখনো বেঁচে আছি?
প্রথমে তোমার স্মৃতি ছিল,
তারপর সেটুকুও থাকলো না।
তোমার গলি থেকে উঠে আমি রাজপথে গিয়ে
পড়লাম,নাকি পরলোকে?
আমি কখন বলেছিলাম তোমায় ওড়না পোড়াতে?
====================
রহিত ঘোষাল
বাঁশদ্রোণী সোনালী পার্ক কলকাতা ৭০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন