হেমন্তের কবিতা
অবশেষ দাস
সোনালী সাঁকোর নির্জন হাত ধরে
খোঁপা বাঁধা লাল পলাশের হাওয়া, একঝাঁক দুঃখ
হেমন্ত ঋতুর বুকে পাখি হয়ে ওড়ে।
সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসা বিষন্ন বিকেল
বেলাশেষের উষ্ণতা নিয়ে সন্ধ্যাকে ধরা দিতে চায়।
এমন শোকের দিনে কে বলো তো বাড়ি ফিরে যায় ?
মেঘাচ্ছন্ন পাইনের ছায়া ধরে লাট খাওয়া ঘুড়ি,
সন্ধ্যা ও জোনাকির মিহি সুতো আলো
লালনের খাঁচার পাখি, শিমূলের হাত-পা ও কয়েকটি আঙুল
এঁকে দেওয়া আকাশের বুকে আবীর ছড়িয়ে আছে
পাগলের হাত-পা ছোঁড়ার মতো বেহিসাবি মুদ্রায়।
আলপনা মুছে গেলে কে পারে গো হুবহু আবার ফোটাতে ?
হঠাৎ একটু উষ্ণতার জন্য এক কাপ চা হয়ে এসো
ভালবাসা, জ্যোৎস্নার ঋতু হয়ে এসো
বরিশাল নদী হয়ে এসো, হয়তোবা কোনও এক রবীন্দ্রনাথ
কবিতার বিচূর্ণ অক্ষরে পাতাঝরা কুয়াশার নীলে
সন্ধ্যার ঘ্রাণ হয়ে এসো, এ জন্মে অন্তত একবার
---------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন