পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

আর্যতীর্থর কবিতা

।। এই সময়, এই দেশ।। প্রতিটি গুজবে রক্ত ছড়িয়ে পড়ছে মাটিতে। কল্পিত গাভীর মৃতদেহ থেঁতলিয়ে দিচ্ছে জ্যান্ত মানুষকে। মুখিয়ে রয়েছে লোকে পাতা ফাঁদে পা দিতে। কারা যেন আড়াল থেকে আগুন চলেছে উসকে। এই মৃত্যু উপত্যকাই আমার দেশ, আমার জন্মভূমি। এখানে ঈশ্বর রক্তপিপাসু, দাঙ্গা না হলে ঘুম হয়না তাঁর। প্রতি ভোটে বেজে ওঠে আমরা ওরা'র ঝুমঝুমি। এখানে ধর্ম লেখে সবার কাহিনী, শুরু থেকে উপসংহার। এখানে ন্যায় অন্যায় কেউ দেখে না, ভোট মাপে। আগামীর মুখে আগুন দিয়ে বর্তমানকে দখল করাই রীতি। সিন্দবাদের বুড়োর মতন নেতা জনতার ঘাড়ে চাপে। প্রতিবাদ মানে বেঘোরে প্রাণ হারানোর ভীতি। এ আমার দেশ, যেখানে ধনী বা রাজনৈতিকের কোনো সাজা নেই। এখানে সততা ওপরে ওঠার পথে অন্তরায়। শাসকের দিন কেটে যায় দু আনার কাজে ষোলো আনা ঢাক বাজাতেই। এ আমার দেশ, আঁধার যেখানে আলোকে আস্ত গিলে খায়। এখানে এখন রোজ তৈরী হয় ঘৃণার ফেক ভিডিও। ধর্মের তাগিদে নয়, ভোটের তাড়নায় হিংসা জারি রাখা দরকার। আমরা বনাম ওরা'র আগুনে কারা যেন দেয় গুজবের ঘি-ও, বিষণ্ণ দিন হিসেব হারায় কোথায় পুড়লো ঘর কার। অথচ এ দেশ প্রগতির পথে, বলে চলেছেন সরকার... ++

পুলক মণ্ডলের কবিতা

         # দেশ আমার # রাতভর বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে  যারা হাটঁতে থাকে তারাও তো জানে  নিশান দেখে বিপ্লব হয় না ;  নিভু নিভু আলোটা উসকে দাও  তোমার না বলা কথাগুলো  জাগতে থাকুক--  ভোরের পাতাঝরা শব্দে  যাপনে যতই সন্ধ‍্যা নামুক না কেন-  খুঁজে আনো একটি মশাল  তাতে ভালোবাসার আগুন জ্বালো  জ্বলে পুড়ে যাক যত  হিংসা আর রিরংসা ;  একদিন তুমিই না বলেছিলে  রূপসী হতে চাও !  তোমার জন্মভূমি যে আজ বিপন্ন  এসো হাতে হাত ধরি  যত ক্লেদ আর মেদ ঝরিয়ে  আগে স্বদেশ কে রূপসী করি--             ------------------------------- পুলক মণ্ডল,  নাগরিক সমাচার,  কালনা,  পূর্ববর্ধমান-৭১৩৪০৯,  পশ্চিমবঙ্গ,  মো: ৯৯৩২৭৪৬২০৬

সম্পা পালের নিবন্ধ

কীভাবে বেঁচে আছে আমাদের স্বাধীনতা ? ১৯০ বছরের লড়াইয়ের চরম পাওনা ছিল সেদিন, সালটা ১৯৪৭ এর ১৫ই আগষ্ট। জাতীয় জীবন সেদিন সীমাহীন আনন্দে মেতে উঠল। যদিও দেশভাগের নিদারুণ যন্ত্রণা ছিলই তবু পরাধীনতা থেকে মুক্তি, মুক্তি বিদেশী শোষণ শাসন থেকে। উড়ল স্বাধীন দেশে স্বাধীন পতাকা। বিশ্বের মানচিত্রে নতুন করে জন্ম নিল ভারতবর্ষ। আমরা পেলাম স্বাধীনতা, অবাধ স্বাধীনতা। স্বার্থক হলো সেই সব বীর যোদ্ধাদের আত্মবলীদান যারা জীবনের মায়া করেনি, নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথাও ভাবেনি। ঘর তাদের প্রত্যেকেরই ছিল তবু দিনের শেষে যাদের ঘরে ফেরা হয়নি। দামাল মায়ের সেই সন্তানরা যে সবাই স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান ছিলেন এমনটা কিছুতেই নয়, অনেক অভাবী মা তাদের সন্তানদের এগিয়ে দিয়েছিল আরেক মাকে স্বাধীন করবার জন্য । নিরন্ন ঘরে একটাই স্বপ্ন সেদিন ছিল একদিন স্বাধীনতা আসবে সেই স্বাধীনতায় জীবনের সব অভাব মুছে যাবে । সেদিনের সেই স্বাধীনতার পর অনেক পথ হেঁটে সময়টা আজ ২০১৮তে দাঁড়িয়ে। মাঝপথে অনেক সময় চলে গেছে । এই সময়ে আমাদের পাওয়া না পাওয়ার প্রত্যাশাও অনেক এসেছে গেছে । তবে প্রশ্ন এখানে আছে - আমাদের সেদিনের সেই স্বাধীনতা আজ কীভাবে

মুক্তগদ্য: অ-নিরুদ্ধ সুব্রত

একটি ফ্রীডমিক পেঁচাল ------------------------------ ---- ১৪ই আগস্ট১৯৪৭,নেহেরু আবেগ মথিত কন্ঠে ঘোষণা করলেন, "মধ্য রাতের ঘন্টাধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত পৃথিবী যখন নিদ্রামগ্ন ভারত তখন স্বাধীনতা ও নবজীবন লাভ করে আঁখি মেলে তাকালো। এল সেই মুহূর্ত, যা ইতিহাসে কদাচিৎ আসে, যখন আমরা পুরাতনকে ত্যাগ করে নতুনকে বরণ করে নিলাম।যখন অবসান হলো একটি যুগের। যে দেশের আত্মাকে দীর্ঘদিন ধরে রুদ্ধ করে রাখা হ'য়েছিল, তা হ'য়ে উঠল বাঙ্ময় ।"                                             সারা ভারতবর্ষে সেই 'নবজীবন'-এর রাতে যত শিশুর জন্ম হয়েছিল, তারা হয়তো সক্কলে আজ বেঁচে নেই। তবে যারা আছে, আজ তারা রীতিমতো বাহাত্তুরে। এক কথায় পরম পাকা। মৃত্যুর মতো দূরবর্তী দ্বীপের অস্পষ্ট ছায়াপথে নিশ্চিতরূপে এই প্রবীণদের 'স্বাধীনতার স্বাদ' ফিরে ফিরে স্মৃতি-দুর্বল করে ? হয়তো সময়ে পৃথিবীতে না আসার কারণে তারা দেখতে পান নি পরাধীনতার ঝড়-বাদল। দুঃখ থেকে পা ধুয়ে ওঠা ডাঙার দেশে কেটেছে তাদের শৈশব থেকে বার্ধক্য। অতএব তারা চরম সৌভাগ্যবান, সুখী ? আর পরবর্তী পরবর্তী ঘন্টা মিনিট সেকেন্ডে জন্মানোরা

পুস্তক আলোচনাঃ দেবাশিস কোনার।। কাব্যগ্রন্থ "নির্বাক বাল্মীকি" ।। কবি শুভদীপ সেনশর্মা

ছবি
"যদি পৃথিবীর এক কোণে আমার হৃদয় চাপা পড়ে থাকে  সেটা আমার দায় নয়" অনেকদিন আগে করি শুভদীপ এই কাব্যগ্রন্থটি উপহার স্বরূপ হাতে পেয়েছিলাম।সেসময় কিছুটা দায়বদ্ধতা আবার সামান্য সৌজন্যের কারনে প্রায় করতে হবে তাই করা -এমন মনোভাব নিয়ে বইটির আলোচনা করেছিলাম।আর এখন করছি মনের আনন্দে।তরুণ কবির উত্তরণ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি।প্রতিটি কবিতাতেই পরিণতির ছাপ স্পষ্ট।"সেলের ভেতর থেকে"কবিতায় কবি বলেন, "সফলতা হাতের মুঠোয় এসে যখন আত্মক্ষরণ হয়,তখন আমি সেলের ভেতর বসে থাকি " বৃষ্টি বিষয়ক কবির বেশ কয়েকটি কবিতায় ঝংকৃত হয়েছে বিরহ, স্মৃতিমেদুরতা,আত্মকথন, আত্মক্ষরণ ও ভালোবাসা। তিনি বলেন "বৃষ্টির শব্দে আমার কথা ফোটে মুখে"। তার এই সব উচ্চারণ পাঠকের বুকে আশার সঞ্চার ঘটায়। কখনও কবির বলছেন, "বৃষ্টি কখনো রোদ্দুর হলে মেঘের হাসি পায়।" কবির বলবার ধরনটি একেবারেই কবির নিজস্ব।এই প্রসঙ্গে জাঁ পল সার্তে এর উক্তি অনুসরণ যোগ্য। তিনি বিশ্বাস করতেন ,"ব্যক্তি যদি তার অস্তিত্ব বিষয় সচেতন থাকে তবে তাকে শোষণ করা সহজ নয় ।" "স্বাধীনতা মানুষকে সাহায্য করে

রাণা চ্যাটার্জীর নিবন্ধ

            "আদর্শ ও বাস্তবতা "                  এক একটা করে বছর পার হয় । বর্ষবরণ উৎসব থেকে শুরু হয়ে ঝুঁকে যাওয়া বছরের মধ্যবর্তী কিছু সময়ের পর থেকেই  শুরু হয় স্বাধীনতা দিবস পালনের নানান প্রস্তুতি,কুচকাওয়াজ, নিরাপত্তার বলয় বেষ্টনীর নানান নিরাপত্তা। মিডিয়া, সংবাদ মাধ্যম ,সংসদের কার্যকলাপ,স্কুল কলেজ অনুষ্ঠানে মনে করিয়ে দেওয়া হয় স্বাধীন ভারতের স্বাধীন নাগরিক আমরা।  শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি সেই সকল বীর সেনানীদের । শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয় , উদ্বুদ্ধ হই,মহাপুরুষদের জীবনী পড়ে।  ক্ষুদিরাম, মাস্টার দা,বাঘাযতীন, মাতঙ্গিনী কি  বিবেকানন্দ এই সকল শ্রদ্ধেয় শ্রদ্ধেয়া গনের মহান কীর্তি, চোখের সামনে স্বাধীন ভারতের এক উজ্জ্বল ছবি  তুলে ধরে। ওনাদের সেই দৃপ্ত চাহুনি ,রোমহর্ষক কাহিনী শুনে,পড়ে কিংবা সিনেমা আকারে টেলিভিশনের পর্দায় দেখে বাস্তব জীবনে,কিছু করার মানসিকতা চাঙ্গা করে আমাদের, কিন্তু বড়ই ক্ষণিকের সে অনুপ্রেরণা।  আবার গতানুগতিকজীবনযাত্রা ,চারপাশের ভূরি ভূরি উদাহরণ, একঘেয়েমি জীবন যাপনে অভ্যস্ত আমাদের জীবন গড়গড়িয়ে না হলেও কোনো রকম ধীর পদক্ষেপে  চলতে থাকে। একদিকে আ

শেফালি সরের মুক্তগদ্য

"আমার দেশ, দেশের মানুষ"   শস‍্য শ‍্যামলা ভারত আমার জন্মভূমি আমার প্রিয় দেশ। ভারত আমার দেশজননী একথা বলতে ও ভাবতে আমার গর্বে বুকটা ফুলে ওঠে। কারণ এদেশ কত মহামানবের জন্মস্থান। ভারতমাতা কতশত বীর সন্তানদের জননী। কতশত কবি সাহিত্যিক বৈজ্ঞানিকের জন্মভূমি আমার এই ভারত।এ দেশে জন্মেছে কত মহীয়সী সতী নারী! সাধু সন্তের দেশ আমার এই মহান ভারত। আমার কাছে আমার ভারত এক পবিত্র তীর্থস্থান।                         এ দেশের প্রতি বহু দেশের বহু মানুষের লোভ আছে। যেমন ছিল ইংরেজদের। ফরাসি বণিকের ছদ্মবেশে একসময় ইংরেজরা  এদেশের সহজ সরল মানুষ গুলোকে ঠকিয়ে এ দেশের অধিপতি হয়ে দু'শ বছর ধরে এদেশের মানুষকে প্রচুর দুঃখ কষ্ট দিয়েছিল। বণিকের মানদন্ড একদিন রাজদণ্ড রূপে দেখা দিয়েছিল।        পরাধীন হয়ে ভারতবাসী সেদিন পরাধীনতার শৃঙ্খল পরিয়েছিল ভারতমাতার পায়ে।সে এক কলঙ্কময় অধ্যায় ভারতবাসীর জীবনে। মায়ের সেই পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনের জন্য মায়ের বীর সন্তান সন্ততিরা নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে সংগ্রাম করেছিল ছদ্মবেশী শত্রুদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করার জন্য। একদিন সেই সংগ্রাম সফলও হয়েছিল। যেদিন বিদেশী

তপন কান্তি মুখার্জির কবিতা

স্বাধীনতা  স্বাধীনতা যেন হাড় জিরজিরে খটখটে নদীখাত , স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ , পায়ে পায়ে বেড়ি ,  অথচ পদে পদে প্রস্ফুটিত হওয়ার লিপ্সা ।  স্বাধীনতা যেন শূন্য সরণির ভাঙ্গাচোরা দেহ ,  চিকচিক করছে বালি , বালির ওপর  কাক , চিল , শকুন লাশের অপেক্ষায় ।  স্বাধীনতা যেন শূন্য কলসির ঢক্কানিনাদ  সংকীর্ণ , সীমাবদ্ধ ইচ্ছার বশ্যতা  সংশয় ও পিছুটানের উথালপাথাল হাওয়া ।  স্বাধীনতা যেন পরিবর্তনের প্রাণকণায় জারিত  নরম উষ্ণ অনুভূতির আলো , যার পায়ে ঝংকৃত  জলনূপুর ময়ুখমঞ্জিমায় ।      - - - ০ ০ ০ - - - Tapan Kanti Mukherjee ,  ' Swapnasandhaani ' ,  Ward No.- 4,  P.O.- Arambagh ,  Dist.- Hooghly ,  Pin - 712601.  Mob.No.- 8918672005. 

পারিজাত এর স্বাধীনতার গল্প

স্বাধীনতার অনাবিল রেখা আবার কালকে স্বাধীনতা দিবস। আবার আর একটা অন্ধকার রাত পেরোনোর সময় এসে হাজির ফণীভূষণের দোরগোড়ায়। হা ঈশ্বর! কোথাওই কি কোনোভাবে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই তবে?এখনও তো নিষ্কৃতি মিলল না এই ভরা পাপের কোটর হতে! চোখ বন্ধ করেই আরামকেদারায় গা এলিয়ে শুয়েছিলেন ফণীভূষণ। অন্যদিন এই সময়ে প্রাতঃভ্রমণ সেরে ফিরে খবরের কাগজে চোখ বোলান খানিক। নাতি জুডো আর তার জমজ বোন ইভা দাদুর পায়ে পায়ে ঘোরে সকালের এই সময়টায়। ওদের দুজনকে নিয়েই সময় কেটে যায় বেশ।পারিপার্শ্বিক সমস্ত চিন্তাভাবনাগুলো অন্তত কিছুটা সময় হলেও দেরাজবন্দি রাখা যায়। শান্তনু যখন স্কলারশিপ পেয়ে কেমব্রিজে গিয়ে আইরিশ মেয়ে অলিভিয়াকে একেবারে ঘরণী করে দেশে ফিরেছিল, সত্যি কথা বলতে মুখে কিছু না বললেও মনের দিক থেকে কিছুতেই ফণীভূষণ মেনে নিতে পারেননি সবটা। আত্মীয়স্বজন পাড়াপরশী কে কি বলবে, এই নিয়ে কখনই সন্দিহান হননি তিনি। তাদের কোনোকালেই আমল না দেওয়াটা তাঁর চিরকালের দস্তুর। বরাবরের একরোখা মানুষটি শুধু চেয়েছিলেন নিজের ছেলে হওয়ার সুবাদে অন্তত শান্তনু যেন বুঝে উঠতে পারে তাঁকে। অলিভিয়া আসায় সেই দিক থেকেও একেবারে

পবিত্র রায়চৌধুরীর কবিতা

ঘুমিওনা জেগে থাকো  --------------------------------------------------------------------                                                                     ঘুমিয়ে পড়লে নাকি? ঘুমিয়ে পড়ো না, দেখো, তোমার স্বদেশে রক্ত আর ঘামে ভেজা মাটির অনেক নীচে  থরে থরে শুয়ে আছে অজস্র শ্রম আর লাঞ্ছনার ইতিহাস লিপি। ভালো করে বুঝে নাও  এখানে কেমন করে  স্বপ্ন থেকে বঞ্চনা,          বঞ্চনা থেকে লড়াই, লড়াই থেকে কবিতা,            আর কবিতা থেকে একটা সুবিশাল ভারতবর্ষ হয়ে যেতে পারে।  জানি খুব ঘুম পায়  তবু তুমি ঘুমিয়ে পড়ো না, দেখো,  এখানে গাছের ডালে ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমীরাও হতবাক দুই চোখ বড়ো করে চেয়ে চেয়ে দেখে= দেব উপাসনা ছেড়ে রাজদণ্ড হাতে নেবে বলে  ধার্মিক তপস্বীরা অস্ত্র হাতে নামে রাজপথে, ঘুগনি বা পেপসির বিনিময়ে কী দারুণ অনায়াসে  একপেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, দুটাকা কিলোর চালে খুশির ঢেকুর তোলে  জন্মদিন ভুলে যাওয়া মাঠের কৃষক।  মাধ্যমিকে স্টার পাওয়া কিশোরীর ঘরে বন্ধুর ছদ্মবেশে চুপিসাড়ে ঢুকে পড়ে ধর্ষক কামুক, অথবা কোচিং থেকে বাড়ি ফেরা নির্জন পথে  ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে বল

বিকাশ দাসের কবিতা

প্রচ্ছন্ন মাটি এক এক করে সকলের   মস্তকের ভেতর মুর্ধার গন্ধ শুঁকেছি এ যেন মাটির গন্ধ । এক এক করে সকলের   হৃতপিন্ডের ধুকধুকানি ধ্বনি শুনেছি এ যেন মাটির ছন্দ । এক এক করে সকলের   পাঁজর ঠুকে হৃদয়ের স্পন্দন শুনেছি এ যেন মাটির প্রাণ । এক এক করে সকলের   শিরদাঁড়ার রিডে স্বরলিপির বাঁধ পেয়েছি এ যেন মাটির গান । এক এক করে সকলের   হাতের রেখায় সৌভাগ্যের রঙ দেখেছি এ যেন মাটির রঙ । এক এক করে সকলের   কাঁধে বার্ধক্যের শিশুসুলভ প্রহর দেখেছি এ যেন মাটির ঢঙ । এক এক করে সকলের   দুচোখের কোলে একতার স্পর্শ পেয়েছি এ যেন মাটির টান । এক এক করে সকলের   দু পায়ের গোড়ালিতে শ্রান্তির শ্রম দেখেছি এ যেন মাটির দান । এক এক করে সকলের   ত্বকের ভগ্নভাঁজে মমতাশীল হাত দেখেছি এ যেন মাটির নীড় । এক এক করে সকলের শরীরে শিরালে শিরায় রক্তের বীর্য দেখেছি এ যেন মাটির নীর । হে কবি বন্ধুরা এগিয়ে এসো ধরে মাটির ধুরা দুচোখে রসো । ধরো মাটির গন্ধ রঙ তোমার ছন্দ গাঁথার চূড়ায় মাটির অরুণ তিনকা মাটির তরুণ তিলকা । বাকি মানুষের নির্মাংস হাড় কংকালের দৃঢ়তায় জাগিয়ে তোলো মানুষবোধ সুস্থ্ সুলভ মানসবোধ মাটির বন্দনায় মাটির অমৃতে মাটির গীতল সুধায়

সবর্না চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

১ . ঘুম গোধূলি বিকেলে ফুটে আছে                   বেলফুল মায়াবী স্নিগ্ধতায় আর আমি ভাবি ,                   এরপর , অন্ধকার নামলে একে একে জেগে উঠবে শেয়ালের চোখ লাল লিপস্টিক ঘষা সন্ধ্যেআলোয় হাতে বেলকুঁড়ির মালা পেঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে শ্যামলীরা , আর অপরাধীর মত আমি প্রেমের                     কবিতা লিখে যাব মুখ বুজে । দেখেও দেখছি না মৃত্যু শুনেও শুনছি না প্রহসন শুধু পুষ্পপ্রদর্শনী দেখছি রাতের সমুদ্রতীরে ... আস্তাকুঁড়ের মত ঢাঁই করা মানুষ পড়ে আছে ফুটপাতে .... খিদে নিয়ে জ্বলন্ত , ক্লান্ত শরীর .... ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ওরা প্রশ্ন করে রোজ , ' ফুটপাতের ঘুম কোন বাপের ?' ২ . রথ মধ্যবিত্ত দাম্পত্যকলহের ডালভাত রেঁধে মেয়ের হাত ধরে জগন্নাথ দর্শনের ভিড়ে বাকীদের মতো আমিও ভেড়া হয়ে গেছি ঈশ্বরের মোহে ... ওদিকে আরও কিছু ঈশ্বর কিছু মধ্যবিত্ত ঘরে বুক চাপড়ানোর প্রদীপের শোকে অসুস্থ পড়ে আছে থরে থরে .... খালি পেটে মায়েদের সন্তান , তেরোদিন ধরে দেওয়ালে আঁচড় কেটে কেটে চড়াচ্ছে প্রতিবাদ । তবুও চোখকানহীন ক্ষমতার কঠোর সরকার রথের মেলার আগে উপহারে

কোয়েলী ঘোষের কবিতা

ছবি
সত্তর বছর পর স্বাধীনতার পতাকা উড়ল আকাশে তবু স্বাধীন হল কি দেশ , অনিমেষ ? কত স্বপ্ন , কত আশা , কত মুক্তিযুদ্ধ রেখে গেল দেওয়ালে রক্তের দাগ অবশেষ। তুমি কি আজও স্বপ্ন দেখ অনিমেষ ? সুস্থ্য সুন্দর এক সমাজের স্বপ্ন ? সত্তর বছর গেছে কেটে -- আজো আলো নেই অন্দরে ,   অন্তরে। যে মেয়েটা আজ পতাকা তুলেছিল আকাশে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষিত! একে কালো রঙ মেয়েটার তায় আবার পর পর দুটো মেয়ে , মরে গিয়ে হয়তো বেঁচে গেল। আরও একজন হাসপাতালে , এসব কথা কত লিখি বল অনিমেষ ? পায়ে শিকল বেঁধে কেটে গেল জীবন কত ঝড় , জল , বৃষ্টি বারান্দায় , মেয়েটি মানসিক ভারসাম্য হারাল। সারি সারি শিশু রাশি রাশি মৃত্যু দমবন্ধ হয়ে আসছে -- এ কোন স্বাধীনতা পেলাম ? প্রতিদিন রাত্রি আসে দুঃস্বপ্নে প্রতিদিন সকাল হয় জাগরণে। ঐ দেখ অনিমেষ ,   আগামী প্রজন্ম চলেছে ওদের চোখে সূর্যের আলো! কি বলছে শোনো -- কিশলয় এ দেশ বাঁচাবে ওরা সঙ্কটে , বিপদে। ওই দেখ পতাকা হাতে এগিয়ে চলেছে ওরা আকাশে উড়ছে স্বপ্ন . .. মুঠো মুঠো রঙ।

পাপিয়া মজুমদারের কবিতা

#  দুর্বৃত্তের স্বাধীনতা  # ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ একি নমুনা দেশের স্বাধীনতার        চেয়েছিল কি সংগ্রামী ? অকারণ খুন, শিশু ধর্ষণ, মিথ্যাচার        রাজনৈতিক ভন্ডামি !     যে যার মতো করে অস্ত্র শানাচ্ছে       আবার কি কুরুক্ষেত্র ?  নাকি সিরাজের ভারত আবারও       হতে চলেছে অস্তমিত !  এসেছিল দুর্বৃত্ত বণিকের বেশে        এই দেশের মাটিতে ,  পরাধীনতার গ্লানি কি সব এতো        তাড়াতাড়ি গেছে মুছে ?   নিস্তব্ধ রাতের বিষাক্ত হাওয়া         বইছে চারিদিকে ,   রক্তলোলুপ পিশাচ জলন্তচোখে         ঘুরছে দিকেদিকে । মানুষ আজ বিবেকের কাছে নত          খ্যাতির ভূষণ লোভে , সন্তানেরা ইঁদুরদৌড়ে সামিল হয়ে          বন্ধুত্ব হারায় ক্ষোভে ।  এই অরাজকতা মধ্যে তুমিও বন্ধু          কেন বিভ্রান্ত হও ? উত্তেজনাকে চরমে তুলে দুর্বৃত্তরা          ফায়দা লুটতে চায় ।।         ~~~~~~~~~~          @  পাপিয়া মজুমদার  @      

স্বরূপা রায়ের মুক্তভাবনা

ছবি
পুরুষের স্বাধীনতা ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট আমাদের মহান ভারতবর্ষ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বহু মানুষের বলিদান দিয়ে ইংরেজদের হাত থেকে। এই বছর অর্থাৎ ২০১৮ তে আমরা পালন করতে চলেছি ৭২তম স্বাধীনতা দিবস। এই একাত্তর বছর কি আমরা সত্যি স্বাধীনভাবে কাটাতে পেরেছি? স্বাধীনতা দিবসের দিন অনেকেই প্রশ্ন করে নারী স্বাধীনতা নিয়ে। অবশ্যই, সেই প্রশ্ন তোলা উচিৎ। কারণ, আজও একজন ভারতীয় নারী নির্ভয়ে যখন ইচ্ছা রাস্তায় চলতে পারেনা। তার পোশাক থেকে শুরু করে চরিত্র, সবটায় আঙুল ওঠে। কিন্তু আজ আমি কথা বলবো পুরুষের স্বাধীনতা নিয়ে। আজ আমাদের সমাজের পুরুষদের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, আজ সেটাই আমি সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। একসময়ে নারীরা ঘরে-বাইরে অত্যাচারিত হতো পুরুষদের হাতে। ঘরে স্বামীর দ্বারা অত্যাচার, বাইরে ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানি। আজ যে সেসব নেই, বলবো না। আজও হয় কিন্তু সংখ্যায় কমেছে। আগে নারীরা নিজেদের উপরে অত্যাচারের বিরোধিতা করতে পারতো না, তাই সবার সামনে সত্য আসতো না। আজ নারীরা বিরোধিতা করে, যা খুবই ভালো, তার ফলে আমরা জানতে পারি। কিন্তু যেটা আগে খুবই কম ছিল, দিনে দিনে বেড়েই চলেছে, তা হলো পুরুষ নির্যা

নৃপেন্দ্রনাথ মহন্তর কবিতা

প্রেম গৃহহীন *************** এখুনি এসো না প্রিয়ে,এ যে বড় দুঃসহ দিন সত্য আজ নিরুদ্দেশ, সাহসেরা সকলে উধাও নিঃশঙ্ক কেবল তারা রাবণের যারা অনুচর রামরাজ্যের ভুতেরাও সেখানে মারে বটে দাঁও। তুমি কি জানোনা প্রিয়ে আজ আমি প্রবাসীর মতো নিজ বাসভূমে থাকি।সদাত্রস্ত।মুক্ত সন্ত্রাসীরা চারিদিকে ঘোরেফেরে আতঙ্কের নামাবলি গায়ে দেখায় মায়ের অধিক দরদ মাসিরা- পিসিরা। এই দুঃসহ দিনে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখি না গো উঠবেনা চাঁদ,ফুটবেনা ফুল কৃত্রিম ফাল্গুনে শোভন হৃদয় পড়ে গেছে সব দুষ্টনীতির ফাঁদে আমরা কাটাবো বাকি দিন সুদিনের দিন গুনে। লিখবো না আর কবিতা গো,কবি হারিয়েছে মান লোভী বুদ্ধিজীবীরাই আজ সকলের শ্রদ্ধেয় ধর্মগুরুরাও শাস্ত্র ফেলে অস্ত্রে দিতেছে শান পর হয়ে গেছে আজ পাড়াতুতো সব ভাইবোনও। এতৎসত্ত্বেও যদি চাও বেদুইনদের মতো তুমি-আমি পিঠে তাঁবু বেঁধে বেরিয়ে পড়তে পারি বিসর্জন দেবো সংসারের পুরোনো ধারণাগুলি চিরকাল রইবো দুজন--আমি নর তুমি নারী। ******************************** নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত গ্রাম ও ডাকঘর : হেমতাবাদ জেলা : উত্তর দিনাজপুর । ----------------

কবিতা ভট্টাচার্যের কবিতা

"কাদের  আর্তনাদ" চোখে  ঘুম  নেই রাত গভীর  থেকে  গভীরতর হয় শুনতে পাই কানফাটা চিৎকার রাএির নিস্তব্ধতা ভেদ করে যে মেয়েটি সকলে  উঠে ফুল  তোলে মন্দির  পরিষ্কার  করে হাওয়ায় ভাসে তার গোঙানি অন্ধকারে সে ধর্ষিতা হয়েছে রক্তে ভিজে যাচ্ছে মাটি নিঝুম  রাএিতে মারামারি ধিক্ ধিক্ জ্বলছে চারিদিক দরজায় কাছে শুনি কড়া নাড়ার শব্দ শঙ্কিত  মানুষের  কোলাহল এ কাদের  আর্তনাদ আমার  দুখানি হাত  শিথিল  হয়ে যায় ********************************** Kobita Bhattachrya 35 palmAveneu, Kolkata --19

মৌ দাশগুপ্তার কবিতা

ছবি
স্বাধীনতা দেশের আনাচে কোণাচে মাটির তলায়, ঝোপঝাড়ে, ডাষ্টবিনে,জলে-জঙ্গলে, বিসর্জিত অজাতিকা কন্যাভ্রূণ, আমাদের চিরসবুজ স্বাধীনতা। চার দেওয়ালের নির্জনে,বৃদ্ধাবাসে, বৃন্দাবনে,শহরের অলিগলিতে বেঘর, নির্বাসিতা বৃদ্ধাদের অসহায়তা, আমাদের পঁয়ষট্টি বছরের পুরানো স্বাধীনতা। দেশের কোণে কোণে নির্যাতিতা নারীর অপমান আর অশ্রুপাত, নারীর সম্ভ্রম, আত্মসম্মান, মৌলিক অধিকারের নিত্যনৈমিত্তিক ধর্ষণ, আমাদের রোজকার স্বাধীনতা। কালীঘাটের পটচিত্রের সেবাদাসী থেকে মন্দিরের দেবদাসী,অবিদ্যা,নাচনি, সম্পর্কের মিথ্যে গয়নামোড়া (হাতগুনতি) বধূ থেকে বারবধূ, সবার আত্মজীবনী আমাদের আটপৌরে স্বাধীনতা। ভোট-রঙে খালি হয়ে যাওয়া কিছু মায়ের কোল, কিছু বিধবার শূণ্য সিঁথি, কিছু বর্ধিত অনাথের সংখ্যা, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত ঘৃণ্য রাজনীতি, আমাদের সাদামাটা দলবদলের স্বাধীনতা। প্রতিটি ভোরের সূর্যস্নান, প্রতিটি ভাষাহীন রাতের মূর্ছ্ছনা, প্রতি দিনই একটি ইতিহাসের দিকে ধাবিত হওয়া৷ আর, একটি বৈষম্যহীন সুখী সমাজের অলীক স্মৃতিতে ডুবে যেতে থাকা৷ আমাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা। ৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃ

সোমনাথ বেনিয়ার কবিতা

বলছি, ভালো আছো তো হাঁটতে-হাঁটতে তুমি যাকে পথ বলো তা অনেকের ঘরবাড়ি। যদিও সুখ সেখানে কুমিরের পিঠ, আশ্রয় সাপের গায়ের পিচ্ছিল আর বিষাদের বটবৃক্ষ রূপকথার রাক্ষসের ঘন ঘন হাউমাউ ... আকাশের গায়ে তাদের যাপনচিত্রের জলছবি আঁকে ব‍্যস্ত শহরের আশ্চর্য কোলাহল। মধ‍্যপন্থার হলুদ জীবন কুকুরের আড়াই প‍্যাঁচ যার বদান‍্যতায় পৃথিবীর গতি ছাপাখানার গলিতে দু-মলাটে শিশুর হাতের সহজ পাঠ। ভরসার চুক্তি, প্রতারণার দহন, মুঠো-মুঠো ধূসর সংরক্ষণ, কোমরের ঘুনসিতে ঝুলছে ক‍্যাপিটালিজমের মাদুলি ... দৃশ‍্য বদলে যায় হাততালির শব্দে, স্লোগানের হেঁচকি ওঠায়। এখন এই যে মনে বিপণনযোগ‍্য সূত্র, হৃদয়ে বহুজাতিক শপিংমল আর রক্তে রাখাল বালকের গল্প, সব চোরাবালির নমুনা। আস্তে-আস্তে গিলে নেওয়া যার পরমধর্ম। তাই সারাংশের টাইমলাইনে ভাসে একটি কথা - বলছি, ভালো আছো তো! ভালো থাকতে গোধূলির আশকারায় সময় করে দেশমাতার কাছে আজ একটু আগুন চাওয়ার দুধেল আবদার রাখি ...

আবদুস সালামের কবিতা

স্বাধীনতার নঙর্থক নূপুর   জেগে ঘুমানোর পৃথিবীতে সর্বনাশ খেলা করে ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় আঁকা তাদের সংলাপ বোধের দরজায় জমে চলেছে কালোমেঘ অসহায়ত্বের অন্ধকারে ডুবে চলেছি প্রতিদিন ঘরে ঘরে যাপন করছি নির্বাসন উত্সব  ধর্ম জল্লাদ তলোয়ার  হাতে ভাঁজছে মুগুর হৃদয়হীন দেহে সাঁটা আছে মিথ্যে দর্শনের আয়না ধ্বংসের উপত্যকায় খেলা করছে  বিভেদ স্বাধীনতার উর্বর মাটিতে বুনে চলেছে ধ্বংসবীজ জীবনের দলিল ভিজছে রক্তের ফোয়ারায় বেজে চলেছে নঙর্থক নূপুর -----

সুনন্দ মন্ডলের কবিতা

____৭২-এ স্বাধীনতা                ক্রমে এলো ৭২       স্বাধীনতা দিবস নাকি স্মরণীয় দিন?       ‎ 'স্বাধীনতা' নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা আছে কি কারো! স্বাধীনতা ক্ষুন্ন আজ স্বাধীন ভারতে দু'একটা ফুল ঝরালে কিংবা ত্রিবর্ন পতাকা ওড়ালে দেশ স্বাধীন নয়! দেশের মানুষের মনে থাকতে হবে স্বাধীনতার স্বাদ। হ্যাঁ! আমরা স্বাধীন,      কিন্তু মানি কজন?     ‎সবাই স্ব-আচারে নিয়োজিত     ‎পরাধীনতার আগল এখনো মনে     ‎মানবিকতা খুইয়ে জিইয়ে রেখেছি অসংযম     ‎হিংসা আর স্বার্থের বিশাল পাহাড় গড়েছি     ‎থেকে গেছি প্রত্যেকে সংকীর্ণ গন্ডিতেই। অনেক তো হলো, এবার দেখো নতুন ভোরের আলো ফোটার মতোই স্নিগ্ধ রাত্রির কালো ছায়া পেরিয়ে এসেছে ৭২ সুস্বাগতম জানাই গঙ্গা জলে দাঁড়িয়ে শুচিতা ফিরিয়ে দায়বদ্ধ হতে আমন্ত্রণ জানাই। দ্বারপ্রান্তে এসে থমকে থাকা ৭২-এর স্বাধীনতা এখনো কানে কানে বলছে, তোমরা পরাধীন নও স্বাধীন ভারতের শিরদাঁড়া! শক্ত করো দেহ-মন মানবিক হয়ে ধ্বংস করো দানবিক লীলা।                --------------  সুনন্দ মন্ডল কাঠিয়া,মুরারই, বীরভূম

শুভদীপ পাপলুর কবিতাগুচ্ছ

ছবি
১। হে ঘোরকলি      *********** দুঃখিত পরিণাম আজ, চলো হয়ে যাই বনবাসী আমরা ভূমিপুত্র, অথচ স্বদেশী জোয়ারে বানভাসি। কাকে বলে বিখ্যাত? আর খ্যাতি প্রস্তুত কি দ্বারা? হে ঘোরকলি, তুমি কি দেখনি, দুর্ভাগা'র দেশছাড়া? কি প্রয়োজনে প্রস্তুত করছো এ সুতীব্র সমাবেশ? সব কাঁটাতারে লঙ্ঘন করেছি, চৌরাসিয়া'র রেশ। এ পলি মাটি দেবী নয়, দেবী'র নাম ভূমিকার প্রণামী হে ঘোরকলি, আজও পরিচয়হীন, সকল যৌণকর্মী। তাও উৎসবে মাতি। দেদার ফূর্তি, যেমন খুশি তেমন মাঝে ফাঁকি দিয়ে যায়, হরিধ্বনি, জানিনা তা কেমন প্রকাশ্যে বা চাক্ষুষে-সংবাদ পরিবেশনকারী বেতার হে ঘোরকলি,খবরেও ভুল,কাটছে মানুষ সাঁতার। যে এসে প্রথম ধরবে চক্রান্তকারী ডাকবাক্স'কে, যে এসে প্রথমবার দিয়ে যাবে মৃত্যুকাহিনী লিখে যে এসে প্রথমবার চোখে চোখ রেখে দেবে ডাক হে ঘোরকলি, তখনও তুমি শুধু শ্রোতা, শুধুই নির্বাক! সক্ষম আয়, অক্ষম আয়, আরো আয় পদলেহনে অর্থ চায় বাঁচতে, লড়াকু সমস্ত আর্থিক বিভাজনে-- বন্ধুগণ, হাল ছেড়ো না, নির্ভয়ে চালাও শব শকট্ ... হে ঘোরকলি, দিলাম ভিক্ষা, এবার তো হও প্রকট। জা

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪