পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। প্রবাহ ।। অঞ্জন বল

ছবি
    প্রবাহ                      অঞ্জন বল পরিশ্রুত জীবনকে ডেকে নিয়ে বলি -- এবার এসো অতীত গ্লানি মুছে ফেলি আবাহন করি আগামী বসন্তকে । সব কি মুছে ফেলা যায় যা কিছু চিরন্তন ? কবচে থেকে যায় জড়ানো শ্রুতি -- জমানো ইতিহাস । কতবার নীড় ভেঙে গেছে .... পুড়ে গেছে সব সুখ ছাই হয়ে ..... আতপের ঘামে গন্ধগোকুল হেঁটে গেছে নদীর এক তীর ক্ষিদে নিয়ে , কতবার সূর্যের তাপ খেয়ে খেয়ে সন্ধ্যা নেমেছে গভীর পৃথিবীর  হরিৎ বাথানে ,  নক্ষত্রের সাথে ক্ষরিত আলোতে চাঁদ সওদাগর ভাসাছে ভেলা সারারাত ধরে। প্রতিদিন সেঁজে উঠি সবুজে আর কমলা প্রলেপে , জলোচ্ছাসে ভেসে যাবো জানি তবুও আজন্ম পিপাসা বুকে ধরে রাখি । অতীত যে চিরসখা -- ফিরে আসে বার বার বয়সের হাত ধরে , ঋণ রেখে যায় মাটির ধুলোতে যেখানে তৃণবেলা কেঁটেছে আমার । একটু ধীর অলসে বয়ে যাক নদী একটু বিনোদন , আলাপ খুনসুটি .... আড়ালে বসি ছায়া হয়ে , ওপারের ঘাট বড় মায়াময় .... বাতাসে কুয়াশার আদিম হাতছানি .... প্রবাহে নাড়ির টান মোহনার দিকে । বিস্তর আজীবন কাল কেঁটে গেছে ঘুমঘোরে , ঋতুরা ফিরে গেছে বারে বারে কখনো পলাশ হয়ে ফুঁটেছ

কবিতা ।। কোথায় পাব তারে ।। নিরঞ্জন মণ্ডল

ছবি
কোথায় পাব তারে নিরঞ্জন মণ্ডল চলতে পথে বাঁক পেরিয়ে যখন ফিরে চাই পেরিয়ে আসা পথের রেখার আধেক টুকুই নাই! হারিয়েছে তার গাছগাছালির চিকন সবুজ মায়া ফসল খেতে রোদের চুমা গেরস্থালীর কায়া। হারিয়ে গেছে পুকুর জলে ডুব-সাঁতারের সুখ, বট পাকুড়ের ছায়ায় ভেজা হাজার চেনা মুখ। ধূপছায়া রোদ নিঝুম দুপুর আকাশ মুখো ঘুড়ি ঘাস ফড়িঙের ঘাড় বাঁকানো,আলতো ওড়াউড়ি। আল পথে রোজ কলকলিয়ে শ্লেট পেনসিল বই ঝোলায় ভরে স্কুল-মুখো ছুট ফুটিয়ে মুখে খই যেতেম যারা কোথায় তারা হারিয়ে গেছে আজ ভূবনডাঙার সৃজন-স্রোতে থামিয়ে সকল কাজ! ধু-ধু মাঠের কপাল ছোঁয়া বাবলা হলুদ ফুল টলটলে জল মাঠ-পুকুরে শাপলা দোদুল দুল পানকৌড়ির ডুব-সাঁতারে লাফিয়ে ওঠা মাছ বাবলা ডালে মাছরাঙাদের অলোক চপল নাচ ; স্মৃতির মাঝে আজও এদের আবছায়া রূপ ভাসে রাতের ঘুমে সজনে সোঁদাল ফুলরা অমল হাসে। তেঁতুল ডালের চোখ না ফোটা দুইটা শালিক ছানা স্বপ্নে সাকার হলেও তাদের ছুঁইতে আছে মানা! শালুক ফুলের সফেদ ডানার নাগাল পাওয়াই দায় টুকটুকে লাল ছাঁচি কুলের গন্ধ এ মন চায়। তাল খেজুরের নিটোল কায়ায় বিভোর চোখের তারা ; বাবলা ডালের ধঁদুল-ফুলে হই যে আপন হারা। কবির লড়াই তর্জা গানের সুর-ঝুরঝুর দিন আঁধার বুকে জমি

ছড়া ।। আর কি পাবো ।। জগদীশ মন্ডল

ছবি
আর কি পাবো জগদীশ  মন্ডল ফেলে আসা দিনের কথা খুব টানে যে মন, গ্ৰামের কাছে পাই খুঁজে পাই শৈশবের জীবন। বইয়ের ব‍্যাগটি কাঁধে নিয়ে ছুটে চপ্পল পায়, সামনে দিঘি  পৌঁছে যেতাম পাঠশালার দাওয়ায়। ছুটি হলে রাস্তার ধারে আম দেখতে পেলে, লাঠি দিয়ে আঁকশি বানাই বইয়ের ব‍্যাগ ফেলে। একা একা পাইনা নাগাল বন্ধুটি ধরে, আম পড়ে যেই হৈ হুল্লোড় নিজের পকেট ভরে। কখন আবার কাঁচের মার্বেল হাতে রাবার বল, নদীর ধারে পুকুর জলে কতই কোলাহল‌। বিকেল হলে ক'জন বন্ধু হাতে ছিপ নিয়ে, মাছ ধরেছি ট‍্যাংরা ল‍্যাঠা কেঁচোর টোপ দিয়ে। ইস্কুল সময় কখন সখন আচার করে লুট, কোথায় টিফিন ব‍্যাগটা নিয়ে দে ছুট গোল্লা ছুট। ডাঙ্গুলি ও লাটিম খেলা কোথায় গেলো সব, আর কোনদিন ফিরে পাবো হারানো শৈশব ! *************************************** জগদীশ মন্ডল ।। নতুন পুকুর রোড।।  চড়কডাঙা।। পোস্ট:: বারাসাত।। কলকাতা::  700124

কবিতা ।। আমি কোথায় পাবো তারে ।। জয়শ্রী সরকার

ছবি
আমি কোথায় পাবো তারে জয়শ্রী সরকার মলিন মনের বিপন্নতায় নৌকা ভাসাই আজ সুর ছড়িয়ে জীবন মাঝি করছো ভালোই রাজ। স্মৃতি বড়ই পিছু টানে ভাবছি বসে তাই কাগজ দিয়ে নৌকা গড়ে বৃষ্টিতেই ভাসাই ! মন বলে যে এ-নৌকা তো যাবে পরীর দেশে ভাসতে ভাসতে পৌঁছে যাবে ঠিক ঘাটেতে শেষে। খেয়া ঘাটে মাঝি তো নেই, আছে যে এক পাগল কাগজ-নৌকা দেখে সে তো দিচ্ছে খুলে আগল ! কাগজ দিয়ে নৌকা বানায় যেন সোনার তরী দূরের দেশে পাড়ি দেবে নবান্নসুখ ভ'রি ! জীবন এখন মস্ত নদী, নৌকা ভাসাই কই ? চোখের জলে দুই পারেতে নীরব বসে রই ! কাগজগুলো সৃষ্টিকথায় পূর্ণ হয়ে ওঠে নৌকারাসব এক নিমেষেই অন্তর্জালে ছোটে। কোথায় পাবো তারে আমি বলতে পারো কেউ? কাগজ দিয়ে নৌকা গড়ি, মনের মাঝে ঢেউ ! তোমরা যদি বলো তবে আবার ফিরে পাবো, কাগজ দিয়ে নৌকা গড়ে শৈশবেতে যাবো । ওইখানেতে আছে আমার সকল সুখের বাসা কাগজের এই নৌকা ভরা অমল ভালোবাসা ! ******************* জয়শ্রী সরকার, দিনান্তিকা, প্রেমবাজার, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ - ৭২১৩০৬

কবিতা ।। ফিরে দেখি অবসরে ।। দীনেশ সরকার

ছবি
ফিরে দেখি অবসরে দীনেশ সরকার যখন থাকি একলা ঘরে একান্ত নিরালায় কত স্মৃতি ভিড় করে এই মনেরই জানালায় । ফিরে দেখি, যাই হারিয়ে স্মৃতিরোমন্থনে দুঃখ-সুখের জাল বোনা সেই অতীত বাতায়নে । প্রিয়জনের বিয়োগ ব্যথা মনের কোণে বাজে মন থেকে সব ঝেড়ে ঝেড়ে ফেলতে পারি না যে । কত পর যে হ'লো আপন আর আপন হ'লো পর দিনের শেষে ফিরে দেখি যোগ-বিয়োগ শূন্য ঘর । মধুর স্মৃতি বালকবেলার ফিরে ফিরে আসে দিনগুলো সব চোখের পাতায় ছবি হয়ে ভাসে । স্কুল জীবন সেরা জীবন আর পাবো না ফিরে দুঃখ সুখের মেলবন্ধন যে আমায় রাখে ঘিরে । ভালো লাগে ফিরে যেতে অতীত রোমন্থনে হারানো সেই দিনগুলো সব ভিড় করে যে মনে । বাঁচার রসদ একটু হলেও পাই যে আমি খুঁজে নির্জনতায় স্মৃতিমেদুর থাকি চক্ষু বুঁজে । *********************************** দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর --- ৭২১৩০৬

কবিতা ।। ফিরে দেখা ।। মহাজিস মণ্ডল

ছবি
ফিরে দেখা মহাজিস মণ্ডল কখনও কখনও সময়ের কাছে আবার কখনও নিজের কাছে ফিরে আসতে হয় সবাইকে ওই নদী জানে আকাশকে আর আকাশ জানে ওই নক্ষত্রকে মাটির বুকে মিশে থাকে জন্মের দাগ ফিরে দেখার পাতাগুলো  অনবরত উল্টাতে উল্টাতে শুধুই তোমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছি ছুঁয়ে হাজার বছরের স্বপ্ন বুকে ধরে অনন্ত...                               ----০---- মহাজিস মণ্ডল সবুজলেন, নবপল্লী(১২ ফুট), ২২ বিঘা রোড, জোকা, কলকাতা-৭০০১০৪                             -০-

কবিতা ।। আমার ছোটবেলা ।। দীপঙ্কর বেরা

ছবি
আমার ছোটবেলা  দীপঙ্কর বেরা  আমার তোকে একটুও মনে রাখতে ইচ্ছে করে না, তোর তখন কিছু ছিল না। না দুবেলা দুমুঠো খাবার, না হাত পা ছড়িয়ে বসার একটু জায়গা না পরার মত একটু ভালো জামা কাপড়। রোজ কাদা ঘেটে পাথুরে রাস্তায় খালি পায়ে স্কুলে যেতে কার ভালো লাগে বল? স্কুলে যাওয়ার সময় এক মুঠো আলুসেদ্ধ ভাত আর ফিরে এসে কখনও ভেজা ভাত, নয়তো একমুঠো মুড়ি না হলে উপোস। এভাবে থাকা যায়? বল? বাবা মায়ের সঙ্গে মাঠের কাজ ধান চাষ, ধান তোলা ঝাড়াই মাড়াই, লোকের বাড়ি জনমজুর যাওয়া মাটি কাটা মাটি তোলা যোগালির কাজ। এসবের ফাঁকে মাঝে মাঝে পড়াশুনা করা সত্যিই কি সম্ভব? তুই একবার ভেবে বল? ক্লাসের বই পেতিস না অঙ্ক করার খাতা পেতিস না কেরোসিনের অভাবে কুপী জ্বেলে রাতে পড়তে পেতিস না চোর পুলিশ গোল্লাছুট ফুড়ৎ ডাংগুলি পাঁচগুটি ছোঁয়াছুঁয়ি ধরাধরি এসব কত কি তুই খেলতে পাস নি, অভাবের সংসারে শুধু কাজ আর কাজ , আর কত ভাল লাগে বল? আশেপাশে সারাদিন শুধু গালাগাল কুটকাচালি মারামারি খিস্তি খেউড় পরনিন্দা পরচর্চা লেগে থাকত এসব শুনে শুনে বড় হওয়ার লড়াই কি চাট্টিখানির কথা? বৃষ্টিতে খড়ের চাল বেয়ে ঘরে জল পড়ে‌, শীতে ছিটে বেড়ার ফাঁকে ফিরফিরে ঠাণ্ডা

ছড়া ।। তাকাই যখন ।। বদ্রীনাথ পাল

ছবি
তাকাই যখন বদ্রীনাথ পাল ফেলে আসা দিনগুলিকে যখন ফিরে দেখি, কান্না হাসির দোদুল দোলায় তারা মাখামাখি। কেউ এসেছে এই জীবনে পাগলা ঝড়ের মতো, উড়িয়ে নিয়ে মান অভিমান শুকনো পাতা যতো। শোক দুঃখ কান্না হাসির কতো রঙের ছবি, টাটকা হয়ে আছে ওরা মনের মাঝে সবই।  তাকাই যখন তাদের পানে আজকে পিছন ফিরে, দেখি ওরা জড়িয়ে আছে আমার হৃদয়টিরে। ------------------------   বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোস্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ।

ছড়া ।। ফেরে নাকো আর ।। সুমন নস্কর

ছবি
ফেরে নাকো আর  সুমন নস্কর যে দিনগুলো ভাবলে মনে করুণ ব্যাথা বাজে, যন্ত্রনা আর ব্যথার পাষাণ চাপে  বুকের মাঝে।            সে দিনগুলো ভুলতে যে চাই             না ভুললে যে যন্ত্রনা পাই তাই মনে হয় যা গেছে যাক দুঃখ না পাই কাজে!! সুখের স্মৃতি দুখের স্মৃতি স্মৃতি নানান ভাবে, এই তো জীবন স্মৃতিগুলো আসবে এবং যাবে।            তাকাও যত পিছন পানে            পিছু সে ডাক বাজবে কানে তবুও তার নাগাল জেনো কেউ মোটে না পাবে!! বলতে পারো সত্যি কি আর ফেরার উপায় আছে? ধাপ্পা দিয়ে পালিয়েছে যে লুকিয়ে তোমার পাছে!            দূর থেকে যে বহুত দূরে            বাজিয়ে বীণা করুণ সুরে ফেরার মত যে ফিরে যায় আর আসে না কাছে!! =================== সুমন নস্কর গ্রাম + পোষ্ট - বনসুন্দরিয়া জেলা - দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

ছড়া ।। ভালোবাসি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

ছবি
ভালোবাসি তীর্থঙ্কর সুমিত রথের দড়ি টান পড়েছে ঘুরছে রথের চাকা রাস্তাঘাটে ভিড় জমেছে মন্দির আজ ফাঁকা চারধারেতে উঠছে যে রব হই হই হই হই হই মাগো আমার ছেলেবেলার দিনগুলো সব কই হারিয়ে গেছে অনেক কিছু অনেক চেনা সুখ জীবন পথে হোঁচট খেয়ে আলতো অভিমুখ মনের কোণে জমছে এখন ক‍্যকটাসেরই হাসি সত্যি মাগো ছেলেবেলা বড়ই ভালোবাসি।  

ছড়া ।। মনে পড়ে ।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
মনে পড়ে   গোবিন্দ মোদক  মনে পড়ে    ছোট্টবেলার সেই যে আমার গ্রাম,  মনে পড়ে    সেই গ্রামটির 'ফকিরতলা' নাম! মনে পড়ে    গ্রামটি ছিল 'কুসুম' নদীর তীরে,  মনে পড়ে    সে গ্রাম সবুজ গাছ-গাছালির ভিড়ে!  মনে পড়ে    ঘুম ভাঙতো ভোরের আজান শুনে,  মনে পড়ে    ডাকতো পাখী স্বপ্নের জাল বুনে! মনে পড়ে    রাম রহিমের পাঠশালাতে যাওয়া,  মনে পড়ে    বন্ধুর কাছে আচার চেয়ে খাওয়া!  মনে পড়ে    নদীর জলে সকাল-বিকেল নাওয়া,  মনে পড়ে    ঝড়ের সময় আম কুড়োতে যাওয়া!  মনে পড়ে    বর্ষার মাঠে ভিজে ফুটবল খেলা,  মনে পড়ে    আষাঢ় মাসে পীর-দরগার মেলা!  মনে পড়ে    চু-কিত্-কিত্, হাডুডু, গুলি খেলা,  মনে পড়ে    নদীর জলে ভাসাই কলার ভেলা!  মনে পড়ে    ফলসা বনে দৌড় আর হুটোপুটি,   মনে পড়ে    গুটি খেলা সকল বন্ধু জুটি!  মনে পড়ে    সন্ধ্যা হলেই ফিরতে হতো বাড়ি,  মনে পড়ে    লম্ফ জ্বেলে পড়া তাড়াতাড়ি!  মনে পড়ে    পড়া শেষে ঠাকুমা-দাদীর গল্প,  মনে পড়ে    আজও সেসব রূপকথা রূপ-কল্প! মনে পড়ে    গ্রামের পরব ঈদ বা মহরম, মনে পড়ে    পুজো হতো নানান রকম ! মনে পড়ে    মন্দিরেতে বাজতো কাঁসর-ঘন্টা,  মনে পড়ে   

কবিতা ।। দুরবীনে ।। প্রতীক মিত্র

ছবি
দুরবীনে প্রতীক মিত্র স্মৃতি বড় অকাজের।  খালি বাঁধন আলগা করে দেয়। জল বইতে শুরু করে সাঁকোর ওপর দিয়ে। কিছু জিনিস ভুলে যাওয়া ভালো। কিছু পাতা উলটে যাওয়া। সময়ের মতন যদি একগুঁয়ে  আর উদাসীন হওয়া যেত পেছনে ফেলে আসা হারানো মুহুর্তের এসব ক্ষত খুব একটা হয়তো করতো না হেরফের। ওরা ওদের মতন আছে এবং ভালো আছে। আমি আমার মতন আছি এবং ভালো আছি উপরিতলে যাতে অতীতের হাঙর কামড়ে না দেয় পাছে। একটু আধটু ভিজে ভিজে চোখ মিছামিছি। সময়ের মতন যদি একগুঁয়ে হওয়া যেত; জল বয়েই চলেছে সাঁকো দিয়ে। ============== প্রতীক মিত্র কোন্নগর-712235, হুগলি। 

ছড়া ।। দেখা হলে ফিরে ।। আনন্দ বক্সী

ছবি
দেখা হলে ফিরে  আনন্দ বক্সী ফেলে আসা বছরকে দেখা হলে ফিরে  সুখ-দুখ মিলমিশে থাকে তার ভিড়ে। ঘটে যাওয়া ঘটনা হয় ইতিহাস  কিছু তার স্মৃতি হয়ে মনে করে বাস। স্মৃতিগুলো আসে যায় মনের দাবায়  একাকীর সাথি হয় মনকে ভাবায়। সুখস্মৃতি মন-মাঝে  জাগায় পুলক  বেদনায় মন ভারি  সে কি অমূলক? আনন্দ বক্সী Vill-Beliadanga, P.o-Dakshin Barasat, P.s-Jaynagar, Dist-South 24 parganas,Pin-743372. 

ছোটগল্প ।। ধর্ম অধর্ম ।। উত্তম চক্রবর্তী

ছবি
  ধর্ম – অধর্ম   উত্তম চক্রবর্তি            আমরা ঘটনাটা শুনেছিলাম চন্দনের মুখে প্রায় দশ বছর আগে।  চন্দন আমাদের কলেজের বন্ধু। কলেজ ছুটির পর আমরা প্রায়ই লেবুতলা পার্কের বেঞ্চে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা মারতাম আর তারপর  সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফিরতাম। এরকমই এক বিকেলে চন্দন শুনিয়েছিল এই আশ্চর্য ঘটনাটা ।         চন্দনরা আগে বসিরহাটে ভাড়া থাকত যখন ওর বাবা ওখানে পোস্ট অফিসে পোস্ট মাস্টার ছিলেন । ঘটনাটা ওখানকারই একটা উঠতি যুবকের জীবনের আশ্চর্য ঘটনা আর চন্দনের নিজের চোখে দেখা । সুবীর ছিল চন্দনদের পাশের বাড়ির ছেলে এবং বয়সে প্রায় তিন চার বছরের সিনিয়র । সুবীরের বাড়িতে ওর বাবা , মা , এক দাদা ও একটা ছোট বোন ছাড়া ছিলেন শুধু ওদের এক বিধবা ঠাকুমা। সুবীর বারাসাত কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিল আর ঘটনাটা এই সুবীরকে নিয়েই ঘটেছিল ।       বরাবরই সুবীর ছিল এক ধর্ম ভীরু ছেলে আর সেটা সব্বাই জানতো । অদ্ভুত ব্যাপার হোল সুবীর একই সাথে হিন্দু , মুসলিম আর খ্রিষ্টান তিন ধর্মেই বিশ্বাস রাখত। যেমন প্রতি শনিবার পাড়ার শনি মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করে প্রণামি বাক্সে নিয়মিত পঞ্চাশ পয়সার কয়েন ফেলে দিয়ে আসত , তেমনি আবা

কবিতা ।। কবিতার ভূবন ।। হামিদুল ইসলাম

ছবি
কবিতার ভূবন  হামিদুল ইসলাম বসন্তের হাওয়ায় ভাসে বৃষ্টির সুবাস  বৃষ্টি নেই তবু ভিজে যায় রাত বালিশের বুকে আজও আঁকি হিরণ্ময় দিন     ।। মনে পড়ে প্রিয় অশথ ফিরে আসে স্বপ্ন। ফিরে আসে অনন্ত কথার আলাপন আমরা তখনো খরস্রোতা আমরা তখনো অতলান্তিক জীবন      ।। অদূরে অবরুদ্ধ কথাঘর নিরন্ন মানুষের মিছিল আমরা তখন বারুদ আমরা বিপ্লবী। মহাবিপ্লবের নিশানা ওড়াই প্রতিদিন       ।। আজও শোষণ আর বঞ্চনা আজও পায়ে পায়ে ফিরে আসে বিভেদ রাজপথে চাপ চাপ রক্ত আজও ধনী গরিবের লড়াই। জীবন যুদ্ধ চিরন্তন       ।। আজও কারা বিকৃত করে ইতিহাস কারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিঃসংকোচে ধুকে মরে সারা জীবন  তবু ফিরে আসে মায়া তবু আলোয় আলোয় আলোময় করে তুলি কবিতার ভূবন    ।। ================== হামিদুল ইসলাম গ্রাম +পোষ্ট =কুমারগঞ্জ। জেলা =দক্ষিণ দিনাজপুর।

ছোটগল্প ।। বিস্মৃত-প্রেম ।। শংকর ব্রহ্ম

ছবি
বিস্মৃত-প্রেম শংকর ব্রহ্ম [ মরমী ব্যথার কত যে বীজ গোপনে, মাটির নীচে পাথরচাপা পড়ে, গুমরে গুমরে কেঁদে মরে, কান্না ফুল হয়ে ধরণীতে ফুটতে পারে না, তার খোঁজ-খবর আর ক'জনে রাখে, হায় ! ] এক)         বাজারের এদিকটায় মাতালদের ভিড় বেশি। মদের দোকান আছে একটি। আজ ছুটির দিন নয় তবুও মত্ত মানুষদের ভিড় লেগেই আছে। এদের গায়ের ছোঁয়া লাগতেই আরও রাগ বাড়ছে সমীরের। সবকিছুই ঘৃণা করে সে। ঘৃণা চেপে রাখতে পারে না। মুখে ফুটে ওঠে তা। মুখ বেঁকে যায় তার। কয়েকদিন ধরে কবিতা না লিখতে পারলে, এমন দশা হয় তার। কিছুই ভাল লাগে না। ঘরেও মন টেকে না। বাইরে বেরিয়ে এসে অস্থির ভাবে হাঁটা শুরু করে। কোথায় যাবে, কেন যাবে? তা সে কিছুই জানে না। যে দিকে দু'চোখ যায়, যে দিকে যেতে মন চায়, সেদিকেই হাঁটতে থাকে। মনে মনে নিজের প্রতি তার একটা উদগ্র রাগ থাকে,যা ঘৃণায় পরিণত হয় । সেটা আসলে না লিখতে পারার রাগ তার কষ্টে রূপন্তরিত হয়। আর তারই প্রতিফলন ঘটে উল্টো ভাবে তার মনে। সমাজের সব কিছুর প্রতি তার ঘৃণার ভাব জেগে ওঠে মনে।        তবে তার চেহারাটা কিন্তু মন-কারা! রীতিমত সুদর্শন সে। বেশ লম্বা, দশজনের ভিড়ে দাঁড়ালে মাথা উঁচু হয়ে থাকে সবার ও

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪