পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বালাকী নাচ ।। শুভ জিত দত্ত

ছবি
ঐতিহ্যবাহী বালাকী নাচ শুভ জিত দত্ত   বাংলাদেশের গ্রাম বাংলায় বিশেষ করে চৈত্র সংক্রান্তিতে বালাকী নাচের এই আয়োজন চোখে পড়তো । বালাকী নাচে শিল্পীরা বিভিন্ন পৌরাণিক চরিত্র নিজেদের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতেন গান ও নাচের মধ্য দিয়ে। লোকসংস্কৃতি অন্যতম একটি অনুষঙ্গ ছিল এই বালাকী নাচ। সাধারণত চৈত্র সংক্রান্তিতে যে সকল উৎসবগুলো চোখের পড়ে তার মধ্যে চড়ক পূজা, লোকজ নীল পূজা, নীল উৎসব, শিবের গাজন ও গম্ভীরা পূজা, খেজুর ভাঙ্গা উৎসব ও বালাকী নাচ অন্যতম।   বালাকী নাচ একটি দল থাকে তাদের মধ্যে একজন দলনেতা থাকে এবং একজন বাদক এবং একজন গায়ক এবং কয়েক জন শিল্পীর সমন্বয়ে বালাকী নাচ এর এই দল গঠিত হয়ে থাকে। সাধারণত রামায়ণ অথবা মহাভারতের কোন একটি অংশ তারা নাচের মধ্যে অভিনয় ভঙ্গিমায় সম্পূর্ণ পর্বটি তুলে ধরার চেষ্টা করে। তারা মূলত বংশ পরম্পরায় এই আয়োজন এর সাথে যুক্ত থাকতো। বাঙালির পালাপার্বনের এটি একটি অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে ওই সময়কার দিকে। এটার উৎপত্তি বার শুরুর সময়টা যথাযথভাবে জানা না গেলেও এটা সাধারণত জমিদারি সময় থাকে এই প্রচলন হয়। এই আয়োজন দেখার জন্য কয়েক গ্রামের মানুষের ভিড় জমে যেত তৎকালীন সময়ে। বর্ত

নিবন্ধ ।। কাটোয়ার সবলা মেলা ।। অনুপম বিশ্বাস

ছবি
    কাটোয়ার সবলা মেলা অনুপম বিশ্বাস শীতকাল, বাঙালির মন যেন চায় কোন মেলা, একটু গান, একটু গল্প, একটু আড্ডা, সঙ্গে নানান রকমারি গরম গরম তেলেভাজা থাকলে তো জমে ক্ষীর। কাটোয়া শহরের পৌর প্রধানের ব্যবস্থাপনায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে কাটোয়া কাশীরাম দাস বিদ্যায়তনের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে সবলা মেলা।  গ্রামীণ মেয়েদের স্বনির্ভর করতে, তাদের সৃষ্টিকে মেলে ধরতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিয়ুক্তি বিভাগের উদ্যোগে প্রতিবছর এই মেলার আয়োজন করা হয়।      প্রতিটি বছর এই মেলায় মানুষজনের সমারোহ চোখে পড়ার মতো। মেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ৬ থেকে ৭ দিন ধরে এবং সঙ্গে চলতে থাকে নানান রকম তারকা গায়ক নর্তকিদের আগমন। কাটোয়া দেখে এক নতুন উজ্জ্বল সন্ধ্যা।      প্রতিবছরের মত এই বছরও ২০২৩ থেকে ২০২৪ এর সবলা মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে কাটোয়ার কাশিরাম দাস বিদ্যায়তনের ময়দানে। নারান জাতির ভিড় ছিল সঙ্গে ছিল আনন্দ উল্লাস।      সবলা মেলার প্রথম দিন ৩০/১২/২০২৩ এ প্রখ্যাত গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তীর কন্ঠে গান শুনলো কাটোয়া বাসি। মাঠের চারিদিকে শুধুই ভিড়, ভিড়ে ঢেকে গেছে নানান ধরনের অস্থায়ী দোকানগুলি। যেমন পিঠে পুলি

দুর্গোৎসব সম্প্রীতির উৎসব ।। রতন বসাক

ছবি
 সমস্ত রকম বিভেদ ভুলেই একালের মানুষ পুজোতে শামিল হয় রতন বসাক প্রকৃতির নিয়ম মেনেই বর্ষা ঋতুর শেষ হতে না হতেই শরৎ ঋতুটা এসে যায় আমাদের দেশে। যদিও ঝড় বৃষ্টির তাণ্ডব পুরোপুরি যায় না। শরৎ ঋতু মানেই নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ভেসে চলা। পথে, ঘাটে, জমির আলে কাশফুলের মেলা। মন মাতানো শিউলি ফুলের গন্ধ বাতাসে। আর শিশিরের পরশ গাছের পাতা ও সবুজ ঘাসে। এই সবই আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মায়ের আগমনের কথা মানে পুজো আসছে। পুজো মানেই একটা বছর অপেক্ষার পর আবার এক বিশাল উৎসবের আয়োজন। যেখানে ধনী-গরিব ও ধর্ম বিভেদের বেড়াজাল টপকে এক মহামিলন দেখা যায়। মায়ের পুজোর ক'টাদিন সবকিছু ভুলে শুধুই আনন্দ আর মজা করা। দুর্গা মায়ের পুজো হিন্দুদের হলেও, বিশ্বজুড়ে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মানাতে দেখা যায়। আসলে একঘেয়েমি জীবন থেকে একটু সরে এসে, আনন্দে মনকে হালকা করে নিতে সবাই চায়।  প্রায় প্রত্যেকটি মানুষই তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী পুজোর সময় নতুন কিছু কিনবেই। নতুন জামা, কাপড়, জুতো, কিংবা ঘরের কিছু না কিনলে মনে হয় না যে পুজো-পুজো ভাব। তাই পুজোর আগে থেকেই হাট-বাজারে প্রত্যেকটা দোকানে নতুন-নতুন জিনিসের দেখা পাওয়া যায়। বোনাস কিংবা স

বাঙালির পার্বণ ।। মিঠুন মুখার্জী

ছবি
বাঙালির পার্বণ মিঠুন মুখার্জী  'বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার ফল/  পুণ্য হোক পুণ্য হোক পুণ্য হোক হে ভগবান।'--- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই পুণ্য বাংলা  ভূমিকে নিয়ে যে প্রার্থনা তা প্রতিটি মুহূর্তে পূর্ণ হোক। আমরা বাঙালি, বাংলা মায়ের সন্তান। বাংলা সংস্কৃতি, ধর্মীয় আচার-আচরন ও বাংলার ঐতিহ্য আমরা বংশপরম্পরায় বহন করে চলেছি। শত দুঃখের মধ্যেও আমরা আনন্দে  থাকতে চাই। বাঙালি যেমন ভোজন প্রিয়, তেমনি বারো মাসে তেরো পার্বণ নিয়ে মেতে থাকেন তারা। এক কথায় উৎসবমুখর বাঙালি। শত কষ্ট হলেও এই উৎসব মুখর দিনগুলোতে পরিবারের সমস্ত সদস্যের মুখে হাসি দেখতে চান প্রতিটি বাঙালি পরিবারের অভিভাবক- অভিভাবিকারা।                উৎসবমুখর বাঙালির পার্বনকে  আলোচনার  সুবিধার্থে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া হলো।----                            ১) সামাজিক পার্বন                            ২) ধর্মীয় পার্বণ                           ৩) রাষ্ট্রীয় পার্বন                           ৪) আন্তর্জাতিক পার্বন ১) সামাজিক পার্বন : আনন্দ প্রিয় বাঙালির কোনো একটা কিছু হলেই হয়, তার মধ্যে দিয়েই উৎসবের আনন্দ খুঁ

লোকসমাগমের পাশাপাশি মেলা শিক্ষা-সংস্কৃতিরও প্রসার ঘটায় ।। প্রদীপ কুমার দাস

ছবি
লোকসমাগমের পাশাপাশি মেলা শিক্ষা-সংস্কৃতিরও প্রসার ঘটায় প্রদীপ কুমার দাস মেলা কথাটার অর্থ হল কোন একটা জায়গায় বহু লোকের সমাবেশে একত্রে মিলিত হয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভাব বিনিময় করা।মেলা মানে মহামিলন। মানুষের আনন্দ-উচ্ছাসের প্রকাশ ঘটে মেলার মাধ্যমে। এছাড়া ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়ের উপরে উঠে মেলা সকলের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলে।  মেলা ঐতিহ্যবাহীও বটে। বাংলার বারো মাসে তের পার্বণের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মেলার আকর্ষণ। মেলার জায়গাগুলো হয় কোন বড় গাছতলায়, ধর্মীয় মন্দির-মসজিদের আশপাশে, নদীর পাড়ে কখনো বা সাধু-সন্ন্যাসী-পীর-ফকিরদের আস্তানায়। রাজ্যে বহু আনুষ্ঠানিক মেলা হয়। যেমন মকর সংক্রান্তিতে জয়দেবের কেন্দুলী মেলা যে মেলায় লোকেরা সারা রাত ধরে আকড়ায় ঘুরে ঘুরে বাউল গান শোনেন আর সময়মত কোন একটা আকড়ায় বসে গরম গরম খিঁচুড়ী খেয়ে নেন। ভোর রাতে পাকা কলা কিনে খুশি মনে বাড়ি ফেরেন। ঐ একই সময়ে বর্ধমানের প্রান্তিক অঞ্চল পান্ডবেশ্বরে একদিনের মেলা বসে।  সেখানকার মেলার বৈশিষ্ট্য হল মেলা শেষে লোকেরা ডিম খেয়ে বাড়ি ফিরে।  এছাড়া প্রতিটা জেলায় জেলায় বিভিন্ন সময়ে গ্রন্হমেলার আয়োজন করা হয় যেখানেও বহু লোক সমাগম হয়। হুগলী জেলার শ

নিবন্ধ ।। মকর সংক্রান্তি ।। বিজয় দাস

ছবি
মকর সংক্রান্তি বিজয় দাস   🌿মকর সংক্রান্তি অর্থ হচ্ছে -- এখানে মকর শব্দটি মকর রাশিকে বুঝানো হয়েছে। আর সংক্রান্তির অর্থ হচ্ছে সংক্রমণ অর্থাৎ প্রবেশ করাকে বুঝায়। বৈদিক গণনানুসারে কাল বা সময় গননা হয় দুইভাবে।  ১) চন্দ্র মাস গননা ২) সৌর মাস গননা আর এই সৌর গণনা শুরু হয় সংক্রান্তি দিয়ে। সংক্রান্তি অর্থাৎ সংক্রমণ মানে প্রবেশ করা। সূর্যের প্রবেশ। অর্থাৎ সূর্য যে রাশির মধ্যে প্রবেশ করে সেই রাশির সংক্রান্ত বলা হয়। এমনিতেই সংক্রান্তি ১২ রকমের। কিন্তু ৪ ধরনের সংক্রান্তি বিশেষ মাহাত্ম্য পূর্ণ। তাহলো মেষ, কর্কট, তুলা ও মকর সংক্রান্তি।  মকর সংক্রান্তি বিশেষ মাহাত্ম্য কারন এই দিনে সূর্যদেব দক্ষিণায়ন থেকে উত্তারায়ন হয়। অর্থাৎ সূর্যদেব উত্তরদিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে সূর্যদেব দক্ষিন দিকে যাত্রা শুরু করেছিল এখন উত্তর দিকে যাত্রা শুরু করবে। এভাবে ৬ মাস দক্ষিন দিকে অর্থাৎ দক্ষিণায়ন আর বাকি ৬ মাস উত্তরদিকে অর্থাৎ উত্তরায়ণ। আর এই উত্তারায়ন বিষয়ে ভগবদগীতায় ৮/২৪ নং শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন ---  অগ্নির্জ্যোতিরহঃ শুক্লঃ ষণ্মাসা উত্তরায়ণম্। তত্র প্রয়াতা গচ্ছন্তি ব্রহ্ম ব্রহ্মবিদো জনাঃ।।  অনুবাদ - ব্রহ্মবি

প্রতিবেদন ।। মাঘী পূর্ণিমা পালন ।। শুভশ্রী দাস

ছবি
মাঘী পূর্ণিমা পালন শুভশ্রী দাস  প্রতি বছর তুলসী মঞ্চ প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে এই দিনটি খড়গপুর-এর খরিদাস্থিত জানা পরিবারে মহা সমারোহে পুজো অনুষ্ঠান করা হয়। এ হলো আমাদের পরিবারের কাছের দূরের আত্মীয় স্বজনের মিলিত হওয়ার উৎসব। পাড়া প্রতিবেশী রাও আগ্রহের সাথে যুক্ত হয়। এই পুজোতে মানত করা হয় । এবং তার উপযুক্ত ফলও পাওয়া যায়। কাঁসর শাঁখ-এর ধ্বনিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হয় পুজোর ক্রিয়াকর্ম ।   মূল আকর্ষণ বাতাসা  লুঠ ও হরি কীর্তন । দু হাত তুলে কীর্তনের সাথে শ্রীকৃষ্ণ প্রেমে হরির প্রতি অগাধ বিশ্বাস এ চলে নাম গান। অনেক রাত অবধি চলে প্রসাদ বিতরণ। জানা পরিবারের এই বিশ্বাস যেন আজীবন অটুট থাকে। পূর্নিমার চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত হোক প্রতিটি মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা। উদ্যোক্তা:পারুল বালা জানা (জানা পরিবারের কর্তৃ) ও পরিবার বর্গ ।   ============= কলমে : শুভশ্রী দাস  স্থান:খড়গপুর (জেলা:পশ্চিম মেদিনীপুর)

কবিতা ।। উৎসবের রিনরিন আওয়াজ ।। অজিত দেবনাথ

ছবি
উৎসবের রিনরিন আওয়াজ অজিত দেবনাথ শীতের কুয়াশাঘেরা মাঠের প্রান্তরে মেলার  বাঁশির  রিনরিন আওয়াজ বেজে ওঠে, শীতের হাওয়ায় আমলকি পাতাদের নাচ, ভরে ওঠে মনের হৃদয়প্রাঙ্গণ নিজস্ব ভাষায় মেলা বর্ণসংকেতের ভিড় রেখে যায়, হৃদয়ের তোশকে ধুনুচি নাচের আলিঙ্গন। আলুথালু শীতে ফিকিরহীন ধুলোয় নগ্ন জীবনের  রক্তচোষা জোকের ঠোঁটে শুঁয়োপোকা-ঠাসা ঈশান মেঘ যে পুঞ্জ গড়ে তোলে, তার ওপর চিতসাঁতার  দিয়ে আমি ভেসে যাই জন্মমৃত্যুর মনুস্মৃতির পটে । উৎসবের ভেজা কলসি উৎপেতে শুনিয়ে যায় কুহকবিহীন নিরাসক্ত উতল নির্জন, নির্জনতার ক্রীড়াঙ্গনে যে বায়োস্কোপের ছবি ফুটে ওঠে তার ভিতর আমি খুঁজে পাই বহু আঁকজোকের নক্ষত্ররাজি। জনসমুদ্রের গবাক্ষবলয়ের পক্ককেশে বিভাহীন আলোর পঙত্তিতে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে উৎসবের তৈলচিত্র। ================    Ajit Debnath Assistant Professor Department of History Ramananda College Bishnupur.Bankura. Pin-722122.West Bengal

কবিতা ।। উৎসব আসছে ।। মানস চক্রবর্তী

ছবি
উৎসব আসছে মানস চক্রবর্তী  মেঘেদের ভেলা ওই আকাশেতে ভাসছে রাশি রাশি খুশি নিয়ে উৎসব আসছে। দিকে দিকে কলরব, লেখাপড়া বন্ধ সকলেই খুশি আজ, বড় মহানন্দ। কাশফুল দোল খায়, শিউলিরা হাসছে। রাশি রাশি খুশি নিয়ে উৎসব আসছে ।। একঘেয়ে কাজ ফেলে মন পাখি গান গায়  বারে বারে শারদীয়া ফিরে পেতে মন চায়। ফিরে এলো উৎসব, পুজো পুজো গন্ধ খুলে দাও জানালাটা, রেখো নাকো বন্ধ। শান্ত দিঘির জলে শালুকেরা ভাসছে। রাশি রাশি খুশি নিয়ে উৎসব আসছে ।। ********************************* মানস চক্রবর্তী  উত্তর বাওয়ালী, নোদাখালি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পিন-৭০০১৩৭

কবিতা ।। মিলন মেলার আঁকে বাঁকে ।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
মিলন মেলার আঁকে বাঁকে গোবিন্দ মোদক কখন যে উৎসবকে কেন্দ্র করে মেলা বসে,  আর কখন যে মেলাকে ঘিরে উৎসব  তার কোনও সীমারেখা না থাকলেও  মন জুড়ে বে-নী-আ-স-হ-ক-লা।  তাই কখনও বীরভূমের রাঙামাটির পথে  অথবা রাজস্থানের রুক্ষ প্রান্তরে  মনের বেহালায় কে যেন ছড় টেনে বাজায়।  তখন আর দু'দন্ড বসে থাকার জো নেই,  রাম রহিম আর জনসনেরও ফারাক নেই;  অগতা মনবাউল পথ হাঁটে উৎসবের আলোয়, হাঁটে মেলার পথ ধরে হাজারো মানুষের ভিড়ে; কখনও বা সাথী হয় পার্বণ  ভাদু .. টুসু .. বোলান .. জারিগান .. কিংবা নকশিকাঁথা আঁকা পিঠে-পুলি,  আতপের ঘ্রাণ, ঝুমঝুমি, খাজা-গজা,  নাগরদোলার মায়াবী হাতছানি,  আর কোমর জড়ানো নাচের বাহার … তবুও এতো কিছুর মধ্যেও                  কখনও কখনও মনে হয় —  ধর্ম থাকুক ধর্মের মতো,  উৎসব উৎসব-ই হোক,  তাহলেই মনে মনে জমবে মেলার বাহার!  এসো! একটু রঙিন হই মেলার ভিড়ে!! ___________________________   গোবিন্দ মোদক। রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ, ডাকসূচক - 741103

ছড়া ।। মেলায় ।। নিরঞ্জন মণ্ডল

ছবি
মেলায় নিরঞ্জন মণ্ডল দোল লেগেছে নরম হাওয়ায় দোলা খুকির মনে যাবে সে আজ রথের মেলায় অথির সময় গোনে। গড়িয়ে গেলে মেঘলা দুপুর চওড়া হবে হাসি আঁকড়ে মাকে মেলার ভিড়ে হাঁটবে পাশাপাশি। সব বয়সী হরেক রঙের কাপড় জামায় যারা জড়িয়ে শরীর দুলিয়ে মাথা হাঁটবে বাউল পারা তাকিয়ে তাদের মুখের পানে দেখবে নতুন ছবি, আঁকবে মনে যে ছবিটায় ভাসছে আলোর রবি। তালের পাতার বাঁশি এখন যায় না মেলায় পাওয়া পাঁপড় ভাজা কড়াই বাদাম – যায় না এ সব চাওয়া, কিনতে কেবল পারবে খুকি রঙিন বেলুন কিছু নাগরদোলার মটকা থেকে মুখটা করে নিচু দেখবে ভিড়ের আজব ঢেউয়ে কোন মায়া যায় ভেসে মেঘ-থমথম আকাশ পারে উতল দিনের শেষে! কিনবে ক'টা খেলনা নতুন,সোনাল গলার হার নক্সা কাটা একটা রুমাল মোড়ানো চার ধার। মেলায় কেনার বায়না – খুকুর দেয় না সাড়া মন দেখতে বড়ই ইচ্ছে মেলায় ঘুরছে আপনজন। গন্ধ মেলার বুকের মাঝে চায় সে নিতে ভরে কান্না হাসির অঢেল ছবি দেখতে আজব ঘোরে।

কবিতা ।। পিঠে পুলি ।। দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায়

ছবি
পিঠে পুলি দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায় নতুন চালের গুঁড়ি গরম জলেতে ফেলি  নতুন ডালের পুরে আর নারকেল কুরে  দুধের ভেতরে ফেলে খেজুরে গুড়ের কেলি  পৌষের পার্বণে যত নারী একসাথে মিলে  রকম রকম পুলি হাসি মজা মন খুলি চেটে চেকে খেয়ে মজা ফুরফুরে খোশ দিলে  সারা শীত জুড়ে থাকে নানান মেলার মজা  মেলাতে মিলবে পিঠে খেজুরে গুড়ের মিঠে  ভাপা পুলি ভাজা পুলি সেদ্ধ পুলি মিঠে গজা। পাটিসাপটায় আর সরু চাকলিতে সায়  মোদক শোকেস জোড়া রস বড়া ঝোড়া ঝোড়া সংস্কৃতি বাংলার এক অর্থ হেতু লুপ্তপ্রায়।। ---------------------------

ছড়া ।। পৌষ পার্বণ ।। ফটিক ঘোষ

ছবি
পৌষ পার্বণ ফটিক ঘোষ বাঙালিদের তেরো পার্বণ বারো মাসে ভাই, প্রতি মাসেই পার্বণ থাকে মজা লুটে যাই। শীত কালেতে পৌষের পার্বণ পিঠাপুলির ধুম, মায়ের হাতের পিঠার ঘ্রাণে কেড়ে নেয় যে ঘুম। নলেন গুড়ে পিঠার বাহার জিভে আসে জল, খেজুর রসের পায়েস খেতে আসে বন্ধুর দল। দক্ষিণায়নে পৌষ সংক্রান্তি তৈরি বুড়ির ঘর, ছন বাশেতে তৈরি ঘরে কাটায় রাত্রি ভর। ছেলের দলে নিজের হাতে রাধে মাংস মাছ, মাইক বাজে বুড়ির ঘরে চলে খুশির নাচ।

ছড়া ।। নবান্ন উৎসব ।। ক্ষুদিরাম নস্কর

ছবি
নবান্ন উৎসব  ক্ষুদিরাম নস্কর শিশির ঝরা ঘাসের মাথা সূর্যতে চিক চিক নতুন ধানে ভরছে গোলা আলপনা চারদিক। ইঁদুর লাফায় নাকের ডগায় প্যাঁচার জ্বলে চোখ উদয় অস্ত ব্যস্ত বড় ক্লান্ত চাষের লোক। গাঁদা গাছে রঙ লেগেছে উচ্ছসিত মন গুনগুনিয়ে ভ্রমর আসে সরষে ফুলের বন। ধান ভাঁঙিয়ে নতুন চালে নবান্নে হয় ভাত বেচবে ফসল আশায় চাষি সচল হবে হাত। তুলাইপঞ্জির পায়েস হবে বিন্নি ধানে খই পিঠেপুলির সঙ্গেতে চাই নলিন গুড়ের দই। সজন সুজন খবর পেল সাজো সাজো রব দুখের ঘরে সুখের লগন নবান্ন উৎসব।

ছড়া ।। রথের মেলা ।। নিতাই মৃধা

ছবি
রথের মেলা নিতাই মৃধা রথের মেলা, মেলা রথের হাজার জীবন মেলা, মেলা রথের দেখতে দেখতে কেটেই গেল বেলা। কেউবা দোলে নাগর দোলায় দোলায় নাগর দোলে জয় জগন্নাথ বলে কেউবা মাদলে বোল তোলে। পাপাই খোঁজে পাপড় ভাজা, ভজা খোঁজে গজা, পুচকা খোঁজে ফুচকা খেতে ফুচকাতে তার মজা। সার্কাস, ম্যাজিক, মরনকুপে, জমজমাটি মেলা, যেখানে যাও দেখতে পাবে সব-ই  টাকার খেলা। অন্ধ বুড়ির নাতনিটা চায় দুটি পয়সা পেতে, পয়সা পেলে তবে তারা পাবে দুটি খেতে। এমনিভাবে কাটে জীবন মেলায় মেলায় ঘুরে, মেলাই জীবন, জীবন মেলা। চলছে জগৎ জুড়ে। ============== Nitai Mridha, Baisnabghata-Patuli, Kolkata-7000 84.

কবিতা ।। নবান্ন ।। মনোরঞ্জন ঘোষাল

ছবি
নবান্ন মনোরঞ্জন ঘোষাল আজও ভাসে বায় ঘ্রাণ  সেই নবান্ন অনুষ্ঠান! চোখে ভাসে আজও কত স্মৃতি মনে নিদারুণ অনুভূতি। এই পৌষ আর মাঘ দিনে শীতের কাপড় জড়ানো ক্ষণে। জ্বলা কেরোসিন লণ্ঠন  মাতা গুড় পিঠে পার্বণ। সেই শিশিরের ভেজা ঘাস ঘরে তোলা আমন চাষ। গড়া খেজুর রসের গুড় মিঠে গন্ধে সে ভরপুর।  শিলে পেষা চালের গুঁড়ো  কত আনন্দ তাড়াহুড়ো। হাতে গড়া পিঠে পুলি আজও জাগায় পরশ গুলি। মেটে ঘরে চেটাই পাতা মুখে খাবারের মুগ্ধতা।  থালা ভরা চিতুই পুলি তার আয়েস কেমনে ভুলি। সাথে পায়েস সরু চাগলি পাটি সাপটা মালাই ছাপলি। হত মন পেট পুরে খাওয়া ঘরে ভেতর নয়তো দাওয়া। জিভে বাসি পিঠের স্বাদ বাজে কোমল নয়কো খাদ। ঘন কুয়াশা শিতল বাতাস দেহ কাঁপা মনে আশ। বেলার হালকা রোদ্দুর মন ছোটে অচিনপুর।  ফাঁক পেলেই দেদার ছুট জলা মাঠে ঘুঁড়ির লুঠ। খেজুর গাছে রসের চাপ নাড়া গদির উপর লাফ। চুপড়ি আলু পোড়া চাট কলাপাতায় ফাঁকা মাঠ। গান গল্পে লুটোপুটি পাড়ার সকল ছেলে জুটি। আজও দিনগুলো সব বাজে যত থাকুক ব‍্যাস্ত কাজে। শীত পৌষ মাঘের দিন বাজে নবান্নের সেই বিন। ================= মনোরঞ্জন ঘোষাল আত্মারাম পুর পশ্চিম রামেশ্বর পুর বজ বজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা পিন 700140

ছড়া ।। মকর সংক্রান্তি || ঊষা মল্লিক

ছবি
মকর সংক্রান্তি  ঊষা মল্লিক ঠান্ডা ঠান্ডা শীতল বাতাস, বইছে চারপাশে,  পিঠের গন্ধ ভাসে আজ আকাশে বাতাসে। আজ যে সংক্রান্তি, আর পৌষ মাসের শেষ, সকাল থেকে মনে যেন আজ, বড়ই খুশীর আবেশ। গঙ্গা সাগরের জলে আজ,  নাগা সন্ন্যাসীর স্নান,  আদিবাসীদের সুরে আজ, জমে উঠেছে গান।  কদিন ধরে চলেছে ঢেঁকি সমস্ত গ্রাম জুড়ি, ঢেঁকি কুটে সবাই আজ বানাল চাল গুঁড়ি।   রং বে রং এর আলপনাতে, সেজেছে সব উঠান,  মকর সংক্রান্তির মেলা আজ, পল্লীতে ফিরেছে প্রাণ।  নারকেল আর মাখা সন্দেশে তৈরী কতো কিছু,  পিঠে খাবার তরে, বাচ্চারা ঘুরছে , মায়ের পিছু পিছু।  সব রকমের পিঠেতে প্রায়, লাগছে খেজুর গুড়,  পাটিসাপটা আর পুলি পিঠেতে, লাগবে গুড়ের পুর। বাংলার আকাশ জুড়ে দেখি চলছে ঘুড়ির মেলা,  ছোট থেকে বড় সবাই খেলছে, কাটাকুটি খেলা।  সন্ধ্যা বেলায় প্রায় আজকাল, টুসু পৃজা হয়,  পিঠে খেতে দারুণ মজা, সবাই যে তাই কয়। দুধ পুলি, সরুচাকলী আর ভাপা পিঠের  স্বাদে,  মানুষের মন যেন আজ, ভরেছে আহ্লাদে।  পিঠে খেতে এসো সবাই, করি নিমন্ত্রণ,  সবাইকে জানাই, মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা, অভিনন্দন।

হুগলীর চৈতন্যবাটী গ্রামের নন্দী ভিটের পঞ্চ দেবদেবী ।। অঞ্জলি নন্দী

হুগলীর চৈতন্যবাটী গ্রামের নন্দী ভিটের পঞ্চ দেবদেবী অঞ্জলি নন্দী বঙ্গের হুগলীর চৈতন্যবাটী গ্রামের নন্দী ভিটেতে প্রায় তিন শত বৎসর পূর্বে পঞ্চ দেব আর দেবীর প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজও নিত্য পুজো চলে আসছে। রোজ পূজারী এসে পুজো করেন।       ভিটেতে ঢুকতেই মা শ্রী শীতলা দেবীর মন্দির। আমরা সকল মন্দিরকেই ঘর বলি। যেমন, মা শেতলার ঘর। এর পর একটু এসে পাশের দিকে রামেশ্বর ও বানেশ্বর। আরও ঢুকে দো তলায় রঘুনাথের ঘর। এর ঠিক কাছেই নিচে মনসা ও তুলসী তলা। সকল ঠাকুরের জন্য আলাদা আলাদা আলাদা পুকুর আছে। শিবের ঘরের পিছনে খিড়কি পুকুর। এরকম। পুজোয় ঐ পুকুরের জল লাগত। আবার চানও করা হত। বারো মাসে বহু পুজো, পার্বণ চলতেই থাকে.......... আমাদের মায়ের সামনে পাঁঠা বলি হয়। মা শেতলার প্রসাদ। আবার রঘুনাথের ঘরে রাম নবমী, জন্মাষ্টমী, দোল, চাঁচর, রাশ পুজো হয়। শিবের ঘরে শিব রাত্রি হয়। মনসার সামনে অরন্ধন অর্থাৎ রান্না পুজো হয়। তুলসী তলায় আমরা পুণ্যিপুকুর, কুলকুলবতী ব্রত করতাম। আবার গোকুল ব্রতও করতুম। ওই পুণ্যিপুকুরের সঙ্গেই, একসঙ্গে। চার বছর করে, দুটি ব্রত। আর তিনটি ব্রত আট বছরে করেছি। বালিকা বেলায়। আর রঘুনাথের ঘরে হরির চরণ ব

মুদ্রিত নবপ্রভাত ।। বইমেলা ২০২৪ সংখ্যা ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

ছবি
 

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭০তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

ছবি
    সূচিপত্র   নিবন্ধ ।। স্তন-কর রুখতে "নাঙেলি"র আত্মত্যাগ ।। শাশ্বতী চ্যাটার্জী নিবন্ধ ।। Self Medication ।। গৌতম সমাজদার নিবন্ধ ।। ফাঁদ ।। জয়শ্রী সরকার মুক্তগদ্য ।। বিষাদ ।। লালন চাঁদ স্মৃতিকথা ।। গোবিন্দ বাবু ও টাইপরাইটার ।। সুশান্ত সেন জীবনের সেরা পুজোর দিনটির কথা ।। গোবিন্দ মোদক বাঙালি মানসে চিরস্মরণীয় গণ সংগীতের স্রষ্টা সলিল চৌধুরী ।। পাভেল আমান প্রবন্ধ ।। দ্বন্দ্বতত্ত্বের আবহে সাহিত্যে কল্পকথা ও কল্পচিত্র ।। রণেশ রায় তবে হাসুন...!! বিশ্বজিৎ কর প্রবন্ধ ।। 'কাব্যজিজ্ঞাসা': সারকথা ।। শংকর ব্রহ্ম গল্প ।। ভয়ংকর স্মৃতি ।। অনিন্দ্য পাল গল্প ।। অবনী ।। সুনীল কুমার হালদার অণুগল্প ।। নোকরানি ।। লিপিকর রম্যগল্প ।। বুক খোলার কথা ।। প্রদীপ কুমার দে অণুগল্প ।। মন্দিরার উপহার ।। অধীর কুমার রায় ছোটগল্প ।। স্যার ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল ছোটগল্প ।। বাঁশিওলা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল চিঠি ।। তপন মাইতি স্মৃতিকথা ।। সিনেমার আড্ডাটা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) অণুগল্প ।। দেবাংশু কি তাহলে...? ।। আশিস ভট্টাচার্য্য ছোটগল্প ।। কুত্তায় সময় খাইছে কত্তা ।। সহদেব মণ্ডল অণুগল্প ।। বিস্কুট ।। প্রতীক ম

নিবন্ধ ।। Self Medication ।। গৌতম সমাজদার

ছবি
Self Medication  গৌতম সমাজদার  যখন একজন মানুষ তার অসুস্থতা, মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাবার জন্য ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে তা ব্যবহার করে, তাকে self medication বলে। নিজের থেকে মানসিক বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কষ্ট থেকে রেহাই পাবার জন্য কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ নিজের ওপর প্রয়োগ করে তা অনেক সময়ই বিপদ ডেকে আনতে পারে অথবা সেই ওষুধের ওপর নির্ভরতা দিন দিন বাড়বে।মাথা ব্যথা, গা-হাত-পা ব্যথা হলেই ওষুধের কাউন্টার থেকে কিনে খায় যা তার সামান্য রোগকেও বাড়িয়ে তুলতে পারে।আবার এটাও হয় কারো বা নিজের পুরোনো prescription দিয়ে ওষুধ কিনে খায়। তাতে কিন্তু কষ্ট বেড়েও যেতে পারে। পুরোনো ওষুধ খেয়ে ফেললে যা নির্দিষ্ট সময় পরে শরীরে কাজ করে না তাতে কষ্ট তো কমেই না, ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে। তাই expired ওষুধ কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা হয় মূলতঃ সময়ের জন্য গুণগত মান কম থাকে বলে। এটা খাওয়া বিপদজনক এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ না খেলেও এর বিপরীত ফল হতে পারে। তাই ডাক্তার দেখিয়ে prescription অনুযায়ী ও expire date দেখে তবে গ্রহণ করা উচিত।শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করলে মূলতঃ ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে শরীর

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪