পোস্টগুলি

মুক্তগদ্য লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

মুক্তগদ্য ।। গন্ধের যা কিছু (প্রথম কিস্তি) ।। তাপসী লাহা

ছবি
গন্ধের যা কিছু (প্রথম কিস্তি) তাপসী লাহা  পুণ্যতিথি মানে স্বপ্নের সাজুঘরে বেসামাল  দাম্পত্য, টুকরো ক্ষয়াভ  গন্ধ, ভিজে থাকা ঘরের কোণ যা সবকিছু ঠিক নেই এমন এক গানের রুনরুন করুণা। উচ্চতা অনেক দুর হতে পারে তবে ঘরের ভরাট নিঃসঙ্গতা এক তসবীরের মত ছাপোষা আয়নায় থেকে থেকে চমকে ওঠে ছবি তোলার কালে, বার বার আঁচড়েও  ত্রুটি থেকে যায়।ভ্যাপসা পচনের  কিছু নাকে এসে ধাক্কা খায়। শুঁটকি মাছের মত সংসার এক নিরাভরণ কারবালা, কেউ মশলা সহযোগে তাকে দিয়ে রসনা তৃপ্ত করে, কেউ মুখ ভ্যাংচায় তার   কৌলিন্যহীন কদর্যতায়, তবু কেটে বেরোতে পারে না সে বাঁধন। বাঁধনের ফাঁস যে গেছে আছে মনের  সেসব অজ্ঞাত দুর্গম জঙ্গলাকীর্ণ ঘনায়মান বিস্তারে যেখানে রীতি, গতি সহযোগে এক অন্য যাত্রার  পথ অতিক্রম করা হচ্ছে অন্য একটি রুটম্যাপ মেনে। ভেবেছিলে এল ডোরাডো পৌঁছে যাচ্ছে এলে বেলে সেকেলে নগর। ক্ষোভে, রাগে, চূড়ান্ত  অজ্ঞানে দুষছে  ম্যাপকে। একটু নীচে তাকাও বরং, পায়ের ছাপগুলো লক্ষ্য করো ভাল করে। আঙুলের ছাঁপগুলো কিন্তু উল্টো অভিমুখে। না তুমি ব্রেম্হদত্তি নও।ভুলপথের নাবিক অথবা শিকার। ব্রেম্হদত্তিরাও কি তাই? না আসলে ওটা অন্য প্রসঙ্গ। আলোচনা সময়সাপেক্ষ

মুক্তগদ্য ।। অগ্নিকন্যা ।। সুচন্দ্রা বসু

ছবি
অগ্নিকন্যা সুচন্দ্রা বসু    দুধ আনতে বেরিয়েছিলাম সকালে। শুনলাম আজ স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর উপলক্ষ্যে স্বদেশী গান বাজছে মাইকে। তা ছাপিয়ে এক অদৃশ্য স্বর এসে কানে ধাক্কা দিল। শুনলাম গান্ধীজী যেন কাকে ডেকে বললেন, কোথায় গেলি কমলা? লবণ আন্দোলনে আমার সঙ্গে ছিলি তোকে কি ভুলতে পারি? তাকিয়ে দেখলাম নেতাজীও গান্ধীর পেছনে চলেছেন । দেশবাসী জানে ব্রিটিশ পরাধীনতার শিকল ভাঙতে তোমার নেতৃত্বে, 'আইন অমান্য' ও 'অসহযোগ আন্দোলন'- 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের ঢেউ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে। কথাগুলো কানে যেতে মুখ ঘুরিয়ে গান্ধী বিস্মিত, সুভাষ তুমি?  আপনাকেই খুঁজছি বাপু।  জানতে চাইছিলাম  যেসব সংগ্রামী জনগণ দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিল, যাদের তাজা রক্তে ভারত স্বাধীন হয়েছে,তাদের কথা কি মানুষ  মনে রেখেছে?  এইদিনে কমলাকেও শ্রদ্ধা জানানোর কথা দেশবাসীকে বলতেই তো রেড রোডের দিকে যাচ্ছিলাম।  বাবা সরকারি আমলা হলেও,মা গিরিজাবাই  ছিলেন  স্বাধীনচেতা মহিলা। মায়ের আদর্শে কমলা উদ্বুদ্ধ ।  বাড়িতে আনাগোনা ছিল মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, গোপাল কৃষ্ণ গোখলে, অ্যানি বেসান্ত, রামাবাই রানাডের মতো স্বাধীনতা সংগ

মুক্তগদ্য ।। অন্য ভালোবাসা ।। মহুয়া রায়

ছবি
অন্য ভালোবাসা   মহুয়া রায় রাতের অন্ধকার ভেঙ্গে আকাশ ভরা পূর্ণিমার চাঁদের আলো খানিক নিভিয়ে এসেছে, পূর্ণিমার চাঁদ আজ, আকাশের অন্ধকারের সহিত খানিক আলাপ জুড়েছে, সে জানান দিচ্ছে পূর্ণিমার পক্ষ সমাপ্তির পথে ক্ষণিক অমাবস্যা শুরু। তুমি আমি দুজনেই দাঁড়িয়ে সেই সুউচ্চ পাহাড়সম এক অট্টালিকার বারান্দায়। দুজনেই আজ চাঁদের দিকে তাকিয়ে। কি অদ্ভুতভাবেই যেন আর চাঁদকে ভীষণ আপন মনে হচ্ছে ঠিক সে রকমই মনে হচ্ছে আপন বস্তুটি আর কয়েকটা দিন পর আমার চোখের সামনে হতে দূরে চলে যাবে। কোথাও যদি মনে হচ্ছিল এই চাঁদ আর তুমি দুই যে আমার আপন আর তুই যে আমায় ছেড়ে দূরে সরে গিয়ে আমার কাছে অমাবস্যার রাত নামিয়ে দেবে। সেদিন বারান্দায় দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখতে দেখতে হঠাৎ তোমায় জড়িয়ে ধরলাম। তোমার হৃদয়ে আমার আমার মস্তক শায়িত হতেই আমার নয়ন হইতে অশ্রুধারা নির্গত হলো। প্রথমটা ভাবলাম তোমার হৃদয়ের মস্তক রেখে শান্তি অনুভব হয় তাই হয়তো এই অশ্রুধারা নেমে আসলে তোমায় ফাঁকি দিয়ে দেবে। কিন্তু কই ? হে সখা আমার অশ্রুধারা তোমায় ফাঁকি দিতে পারল কই? বেশ কিছুক্ষণ তোমার বুকে আমার মাথায় শায়িত করে দাঁড়িয়ে ছিলাম চাঁদের আলো নিচে। ব

মুক্তগদ্য ।। কাল নিরবধি ।। বিজয়া দেব

ছবি
  কাল নিরবধি  বিজয়া দেব  রান্না করতে গেলে অনেকসময় হাত পুড়ে যায়, তারপর ঠান্ডা জল বরফগলা জল পোড়ার মলম কত কী। তারপরও ফোসকা কিংবা ছ্যাঁকার চিহ্ন থেকে যায়। চলতে চলতে পা মুচড়ে যায় ভাঙ্গা রাস্তায়। তারপর ব্যথা হলুদপ্রলেপ কাজ না হলে ডাক্তারের কাছেও দৌড়োনো। ওখানেও সহজে ডাক্তারের দেখা মেলে না। নম্বরের সারিতে নিজেও একখানা নম্বর হয়ে অপেক্ষা করতে হয়। তখন আবার কাল নিরবধি। কখন যে ডাক্তারের কাছে গিয়ে দাঁড়াই নিজেই বুঝি না।     দৈনন্দিন জীবনের কিস্যা নিয়ে রাতে ডাইরি লিখি। খুঁটিনাটি সব। কোনও দিন বিকেলে যেদিন চারপাশ খুব ফাঁকা তখন নিজের লেখা ডাইরির পাতা একের পর এক উল্টে যাই। দেখি সময়টা এক গোলকধাঁধা। এ ঘর থেকে ওঘর ও ঘর থেকে এ ঘর, বেরোবার পথ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তখন পথ খুঁজে পাওয়ার জন্যে ব্যাকুল হয়ে পড়ি।       "পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি"  এ এমন এক "বন্ধনহীন গ্রন্থি"র কথা বলছেন কবি যে "গ্রন্থি" প্রতিমুহূর্তে আলগা হয়ে যায় আলগা করে দেয় পথচলার বাধা। কিন্তু আজকের এই যে চলতি হাওয়া  তাতে ভেসে ভেসে যাওয়ার নাম বুঝি জীবন? যেদিকে হাওয়া সেদিকে তরী ছেড়ে দিলে সে তরতর ক

মুক্তগদ্য ।। সময়ের চাকা ।। মেশকাতুন নাহার

ছবি
  সময়ের চাকা মেশকাতুন নাহার আমি যখন অনার্সে পড়ি তখন পরিসংখ্যান প্রাইভেট পড়তে যেতাম, হঠাৎ স্যার প্রশ্ন করলেন তোমরা কে কত ঘন্টা ঘুমাও? কেউ কেউ উত্তর দিলো রাতে ৮-১০ ঘন্টা আবার বিকেলে ১-২ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকে। স্যার মৃদু হেসে বললেন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭/৮ ঘুমের প্রয়োজন। তাহলে হিসাব করে দেখো জীবনে তোমারা কত ঘন্টা ঘুমে কাটিয়ে দিলে? আর এভাবেই যদি সামনের দিকে ঘুমাতেই থাকো কত বৈচিত্র্যময় জীবন থেকে বঞ্চিত হবে? হুম স্যারের সেদিনের কথাগুলো আজও মনে পড়ে। এখন সেই কথাগুলোর মর্মার্থ আরও বেশি করে উপলব্ধি করছি। কেন সেই সময় সেই কথাগুলো গুরুত্ব সহকারে জীবনে কাজে লাগালাম না আজ বড় আফসোস হয়। যদি দৈনিক অতিরিক্ত ঘুমের ২ ঘন্টা সেইব করা যায় তাহলে মাসে ৩২ ঘন্টা সময় কাজে লাগানো যেতো। আর বছরে প্রায় ৩৮৪ ঘন্টা আমরা কাজে লাগাতে পারি। আর একজন মানুষের গড় আয়ু যদি ৬০ বছর ধরে নেই তাহলে প্রায় ২৩০৪০ ঘন্টা আমরা অতিরিক্ত ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম। আর কেউ যদি তারচেয়ে বেশি সময় ধরে ঘুমিয়ে থাকেন তাহলে জীবনে কত মাস, কত দিন, কত ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলেন চিন্তা করতে পারছেন? এই সময়টা যদি আমরা সৃজনশীল কাজে ব্যয় করি তাহলে কতই না আমাদ

মুক্তগদ্য ।। একটি স্বাধীনতা দিবস ।। সান্ত্বনা ব্যানার্জী

ছবি
  একটি স্বাধীনতা দিবস সান্ত্বনা ব্যানার্জী  অনেকটা ভোরে উঠেছি আজ। যেতে হবে স্কুল। আজ স্বাধীনতা দিবস। পতাকা উত্তোলন, বক্তৃতা, দু একটি কবিতা,  গান....তারপর লাইন দিয়ে দাঁড়ানো ছাত্রছাত্রীদের হাতে হাতে ব্রিটানিয়া মারি বিস্কুট। তারপর বাড়ী ফেরা।         তবুও ফেরার পথে যখন দেখি রাস্তার মোড়ে মোড়ে, ইটের ওপর ইট সাজিয়ে রঙিন কাগজে  সাজিয়েছে পতাকার বেদী,ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা কচি হাতে প্রণাম করছে বেদী মূলে নানারঙের ফুল দিয়ে। কারও হাতে শক্ত করে ধরে রাখাতেরঙা পতাকা। এমনকি রিক্সা, ভ্যান, অটো,টোটো, সাইকেলে ও বেঁধে দিয়েছে জাতীয় পতাকা তাদের চালকেরা। উড়ছে খোলা হাওয়ায়পতপত্ করে।নানা দিক থেকে ভেসে আসছে সেই মহা মহিম ধ্বনি....বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম।            চোখের সামনে যেন দেখতে পাচ্ছি সেই মহামিছিল... সামনে হাঁটছেন নেতাজি, বীর  ক্ষুদিরাম, বিনয় বাদল দিনেশ, ভগৎ সিং, গান্ধী বুড়ি, প্রীতিলতা ,কল্পনা,আরও আরও সব স্বাধীনতা সংগ্রামী! সমস্বরে গর্জে ওঠে...ইংরেজ ভারত ছাড়ো।      আর আমি! আমি অবরুদ্ধ কণ্ঠে প্রার্থনা করি, হে স্বাধীন ভারতের নেতানেত্রীগণ,   তোমরা ক্ষমতার রাজনীতি ছাড়ো। দেশবাসীকে

মুক্তগদ্য ।। তাহাদের কথা...।। শাশ্বতী মণ্ডল

ছবি
তাহাদের কথা... শাশ্বতী মণ্ডল           আজকাল বড়ো পুরোনো মানুষ দের কথা মনে পড়ে। বিকেল হয়ে আসা ধানখেত,হৈমন্তী রোদের মন কেমন করা মায়া, ভাঙা চণ্ডী মণ্ডপে খড়ের কাঠামো,কোন জীর্ণ দোতলা বাড়ির কার্নিশ থেকে ঝোলা তাঁতের শাড়ির লাল নরম আঁচল ... সব কিছুতে মনে পড়ে।        সাদা ধুতি আর সাদা পাঞ্জাবি পরা আমার নিরাপদ দাদু।মায়ের মেসোমশাই।চার ছেলে তাঁর।দুটো চালু মুদিখানার দোকান।বাজারের উপর সারের গোডাউন।পৈতৃক সম্পত্তি ও নেহাৎ কম না। তখনও বুড়োর হাতেই সংসারের সবকিছু।নাতি,নাতনী,বৌমা ছেলে নিয়ে ভর ভরন্ত সংসার! অভাব কিছুই নেই।শুধু একটি মেয়ে ছাড়া।ওই দাদু দিদার মেয়ে নেই,তাই মাসে একবার অন্তত আসতেই হবে আমার মায়ের কাছে।যখন আসবেন পুঁটুলি ভরে আনবেন কত্ত কিছু।     হলুদ কমলাভোগ মিষ্টি মা ভালোবাসে বড্ড।লবঙ্গ লতিকা,একটি করে লবঙ্গ গাঁথা তাতে,বড়ো বড়ো সিঙ্গাড়া,তাতে ফুলকপি বাদামের স্বাদ।একটা থলিতে করে ধুতির কোমরে বাঁধা নোট আর খুচরো টাকা ।নাতি নাতনীদের কাছে আসতেন বলে সব টাকাই খরচ করবেন ভাবতেন।    এসে থাকতেন চার পাঁচ দিন,তার মধ্যে মেলা বসলে আমাদের দিয়েই তাঁর সব খরচ হয়ে যেত।    _ কি দিদিভাই লাল কাঁচের চুড়ি নেব

মুক্তগদ্য ।। "নব আনন্দে জাগো আজি…" ।। শ্রীজিৎ জানা

ছবি
"নব আনন্দে জাগো আজি…" শ্রীজিৎ জানা চৈতি হাওয়ায় ভাসে বর্ষ বিদায়ের করুণ সুর। নূতনের আগমনে মনের ক্যানভাস জুড়ে যেমন অনন্দ শিহরণ। যেমন প্রত্যাশার আকুলতা। পুরাতনের গায়ে লেগে থাকে তেমন পিছুটান। ইতিউতি মায়াভাষ।বিগত ক্যালেন্ডারের সব তারিখই তো আঁধারঘন নয়। এক দু'মুঠো রোদ্দুরও বোধকরি ছিল কখনো কিম্বা কোথাও। অতঃপর ভালোমন্দের মিশেল দেওয়া বর্ষপঞ্জী সময় মেনে পুরানো হয়। দেওয়ালে ঠাঁই পায় নূতন ক্যালেন্ডার। আগমন আর প্রস্থানের মাঝখানে বেজে উঠে চোত গাজনের ঢাকের বাদ্দি! শেষ আর শুরুর মাঝের ফাঁকটুকু ভরে দ্যায় বর্ষবরণের রকমারি আয়োজন! নববর্ষ উদযাপনের উন্মাদনার পাশে চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক-গাজনের মেলা বাঙলা ও বাঙালীর উৎসবপ্রিয়তাকেই তুলে ধরে। যদিও আজকের বাঙালির কাছে চৈত্র মানেই চৈত্রসেল। হাটে, বাজারে,মলে,ফুটপাতে শুধুই ধামকা অফার। ডিসকাউন্টের লোভনীয় আহ্বান। চৈত্র মানেই তাই বাঙালির হৃদিমাঝে সসাতায় শপিং করার গাবগুবাগুব মজা! অন্যদিকেবাঙলার গাঁগঞ্জে শিবের থানে বর্ষ শেষের যে সমারোহ তা যেন পল্লীবাংলার চিরায়ত আনন্দঘন মিলনমেলার রূপকেই প্রতিভাত করে। বাঙালীর অধিকাংশ মেলা পার্বনের সঙ্গে জুড়ে আছে আধ্যাত্মিকতা। তার স

মুক্তগদ্য ।। নববর্ষের কুচুটে ভাবনা ।। মুক্তিপ্রকাশ রায়

ছবি
  নববর্ষের কুচুটে ভাবনা  মুক্তিপ্রকাশ রায় নববর্ষের শুভেচ্ছায় যখন ইনবক্স প্লাবিত, তখন কিছু ভাবনা বোতলের সোডার মতো নিজের থেকেই ভসভসিয়ে ওঠে (সুকুমার স্মর্তব্য)। বিশেষত হাতে কাজ না থাকলে মাথায় জিলিপি ভাজাই কুচুটে মানুষের বিধিলিপি। অতএব নববর্ষের প্রথম প্রভাতে এই শুভেচ্ছা-সুনামির কারণ অনুসন্ধানে ধূসর কোশগুলিকে জাগানোর চেষ্টা করা গেল।      সত‍্যিই কি এমন সম্ভাবনা আছে যে নতুন বছরে আমাদের জন্য অবিমিশ্র সুন্দরের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হবে? শুধু এ-বছর নয়, কোনও বছরই কি এরকম কর্নওয়ালিসীয় পরিকল্পনা কার্যকর করতে সক্ষম? বাস্তববোধসম্পন্ন সব মানুষই জানেন -- তা অহিফেনবিলাসীর খোয়াবমাত্র। তাই "নতুন বছর শুভ হোক" কথাটির কোনও মানেই হয় না।      বরং এ-কথা উপলব্ধি করতে বেশি মুণ্ডশ্রম দরকার নেই যে সময় এক অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ --- একটি continuum। মানুষ নিজের কাজকর্মের সুবিধার জন্য তাকে ছোটোখাটো এককে বা ইউনিটে ভেঙেছে। অতএব নতুন বছর এইরকম এক কাল্পনিক ধারণা বই কিছু নয়। সময়ের নিরন্তর প্রবাহে এক চক্রান্তবিশেষ। পৃথিবীর নিজ কক্ষপথে একচক্কর ঘোরা শেষ হলে, সে যখন আবার পুরোনো পথেই টয়ট্রেন-জার্নি শুরু করে, আব

মুক্তগদ্য ।। শুভ বাংলা নববর্ষ ।। শেফালী সর

ছবি
।। শুভ বাংলা নববর্ষ ।। শেফালী সর চৈত্রের শেষ আর নতুন বছরের সূচনাই তো বাংলা  নববর্ষ।জীর্ন পুরাতন বছরটা রাত্রির অন্তিম প্রহরে যেন তারই আগমনের  বার্তা  ঘোষনা  করে।আাঁধার রাত্রির বুক চিরে উদিত হয়  নবীন  সূর্য।পৃথিবী বাসীর মনে  জাগায় নবীন  আশার উন্মাদনা।পাখির কণ্ঠে  ধ্বনিত হয় নব প্রভাতের বন্দনা গান।মর্ত‍্যবাসী থাকে  উৎসবের মেজাজে।সকলে নতুন  বছরকে অভিনন্দিত করে শঙ্খধ্বনির মাধ‍্যমে।নতুন দিনের  কাছে  প্রত‍্যাশা থাকে নতুন বছরটিতে যেন সবার  জীবন  সুখ সমৃদ্ধিতে ভ'রে ওঠে।অতীতে অগ্রহায়ণ মাসকে বছরের  প্রথম মাস বলে  ধরা  হ'তো।তাই অগ্রহায়ণ মাসকেই বলা  হ'ত মার্গশীর্ষ মাস। অগ্র অর্থাৎ  শ্রেষ্ঠ  আর হায়ণ মানে ব্রীহি বা ধান জন্মায় যে মাসে তাই-ই অগ্রহায়ণ।কালের পরিবর্তনে বিশাখা নক্ষত্র যুক্ত  পূর্ণিমার নাম বৈশাখী পূর্ণিমা।বৈশাখ যেহেতু পুণ‍্যের মাস সেই থেকেই বৈশাখ বছরের  প্রথম মাস।  যদিও নববর্ষের দিনটি বছরের  আর পাঁচটা দিনের  মতোই সাধারণ, এর তেমন  কোনও  বিশেষত্ব  নেই।তবুও  এই  দিনটি  প্রতিটি  বাঙালির  মনে  একটি সম্পূর্ণ  স্বতন্ত্র দিন।চলমান মহাকালও যেন  বিশেষ  এই দিনটিতে থমকে  দাড়ান। তাঁর অশ্রান্ত

মুক্তগদ্য ।। আমার সেকাল আর একালের নববর্ষ ।। ঊষা মল্লিক

ছবি
  আমার সেকাল আর একালের নববর্ষ  ঊষা মল্লিক নববর্ষ মানেই খুব আনন্দের। একটা পুরো বছর কে অতিক্রম করে আবার একটা নতুন বছরে পা দেওয়া। কত নতুন স্বপ্ন জাগে মনে।  তবে শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত সে নববর্ষের স্বাদ ছিল আলাদা । তখন মাঘের শীত যেতে না যেতেই  মনে হতো  এই বুঝি বৈশাখ মাস চলে এল। আমার শৈশবের দিন গুলো তে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীতই প্রাধান্য পেত। বসন্তের ছোঁয়া তো লেগেছিল কৈশোরে এসে। শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণ চূড়ায় প্রেম জেগেছিল যৌবনকালে। নববর্ষের কাছে এদের গুরুত্ব ছিল ভীষণ কম। শৈশব আর কৈশোরের নববর্ষের পূর্বের প্রস্তুতি ছিল অন্যরকম। গোটা বাড়ী ঘর পরিষ্কার। পুরানো কাগজ, পুরানো জিনিসপত্র ফেলা দেওয়া বা বিক্রি করার এক মহা যোগ্য। একটা নতুন টেপফ্রকের জন্য মায়ের কাছে রাতদিন আব্দার করা।  নববর্ষ না বলে, আমরা পয়লা বৈশাখ বলতেই বেশি পছন্দ করতাম। ভাই বোনে দের সব বাড়ীতে থাকতে হতো। মামা বাড়ি  বা আর কোথাও গেলে ও নববর্ষের আগে বাড়ীতে ফিরে আসতে হবে।  মনে  হতো নববর্ষে নতুন জামা না পরলে বোধ হয় নববর্ষ হলো না। সকাল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতেই হবে।  বছরের প্রথম দিন সব কিছু ভালো অভ্যাস করতে হবে, তা নাহলে মা বলতেন যে, সারা বছর নাকি খ

মুক্তগদ্য ।। কলম ।। অদিতি ঘটক

ছবি
 ছোট বেলায় বাবা হাতে ধরে 'হাতে খড়ি' দেওয়ার পর হাতে স্লেট পেন্সিল এল। লম্বা,লম্বা সাদা ,সাদা স্লেট পেন্সিল। তা দিয়ে স্লেটে, মেঝেতে দেওয়ালে সম্ভাব্য, অসম্ভাব্য সব জায়গায় হিজিবিজি কাটাতাম। কোথাও রেখা ফুটত কোথাও ফুটত না। যেখানে ফুটত না সেখানে বারবার ঘষতাম। খেয়ালের বসে হিজিবিজি কাটার সময় কড়মড়িয়ে খেয়েও ফেলতাম। স্কুলে ভর্তি হয়ে টুকরো গুলো দিয়ে কত মজার খেলা খেলতাম বন্ধুরা মিলে। কেউ কেউ টিপ প্র্যাকটিস করত অন্য বন্ধুদের মেরে। অজানা কারুর গোটা একটা স্লেট পেন্সিল কুড়িয়ে পেলে তা ছিল বিরাট প্রাপ্তি। বন্ধুদের চুপিচুপি, ডেকে, ডেকে দেখানো। তাদের চোখে বিস্ময় মাখা সম্পদ প্রাপ্তির ঘোর। আর নিজের মনে শিহরন জাগানো রোমাঞ্চ।  তারপর একটু বড় হতে উডেন পেন্সিল। তা দিয়েও খাতা ভরে ভরে আঁকিবুকি। কাটাকুটি খেলা। লেখার থেকে পেন্সিল ছোলাতে আনন্দ। ছুলে ছুলে কে কত বেশি তীক্ষ্ণ করতে পারে। শরীরের কোন অংশে ফোটালে কেমন ব্যথা হয়। এই সব প্রতিষ্পর্ধি আচরণ। গ্রাফাইটের গুঁড়ো জমিয়ে ইচ্ছেমত যেখানে সেখানে ঘষে কালো করা।  দুটো আঙুলের ফাঁকে পেন্সিল গুঁজে ইচ্ছেমত ব্যথা দেওয়া। পেন্সিল  ছোলার ফেলে দেওয়া টুকরো দিয়ে নানান রকম খেল। পেন

মুক্তগদ্য ।। প্রতিভার অপমৃত্যু ।। গৌতম বসাক

ছবি
  সালটা 2002, এই গত বছরেই বহু রক্তক্ষয়ি গৃহ যুদ্ধে বিদ্ধস্ত ও তালিবান শাসনের পতন ঘটিয়ে,ন্যাটো (NATO) বাহিনী কব্জায় দেশটা, ধিরে ধিরে শরিয়তের অন্ধকার শাসনের কুসংস্কারের বাধা সরিয়ে শিক্ষা ও সংস্কৃতির আলোতে দেশটা সবে ফিরতে শুরু করেছে। কাবুলের আর পাঁচটা সাধারন পরিবারের ছেলের মতই ছেলেটার জন্ম ও বেড়ে ওঠা, খুবছোট বয়স থেকেই ফুটবল পছন্দ করত, দুই একবার এই খেলার জন্য মৃত্যুর ফতোয়াও যে শুনতে হয় নি তা নয়; কিন্তু এই খেলায় যে তার স্বপ্ন,এই খেলতে খেলতে কখন যে তার প্রেমে পরে গেছিলো তা সে নিজেও টের পাই নি।রাতে ঘুমে স্বপ্নের মধ্যেও সে ওই ফুটবলই খেলতো। ইচ্ছে ছিলো ভবিষ্যতে তার স্বপ্নের নায়ক হবে,, তার জন্য কঠোর পরিশ্রম ও করত। এমন করে দেখতে দেখতে মাত্র 16 বছরেই, 2019 সালে দেশের জারসি গায়ে চরিয়ে সবুজ মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো শুরু করেছে সবে। সালটা 2021, 15ই আগস্ট আবার অশুভ আন্তজাতিক চক্রান্তে দেশটা তালিবানদের কবলে, কাবুল শহরও, দেখতে দেখতে যথারিতী তাদের দখল চলে গেল,কুলাঙ্গার রাষ্ট্রপতি অর্থ তচরুপ করে দেশের মানুষকে ছেড়ে পালালো, কিন্তু জাকি আনয়ারি তো নিজের স্বপ্নকে বিসর্জন দিতে পারে না তাই 17ই আগস্ট, তার মত আর দুই বন্ধুক

আমার চোখে স্বাধীনতা দিবস ।। দীপঙ্কর বেরা

ছবি
অন্য দিনের তুলনায় এই দিনে আমি একটা নিজস্ব মাত্রা পাই। স্কুল জীবনে এই দিনে আমি প্রথম প্রার্থনা হলে সবার সামনে 'চিত্ত যেথা ভয় উচ্চ যেথা শির' আবৃত্তি করার সুযোগ পাই। সেদিন স্বাধীনতা কি অতটা বুঝতে না পারলেও বুকে একটা আলাদা অনুভূতি টের পাই। স্কুলে আমার কিছুটা হলেও মর্যাদা বেড়ে যায়। বাড়িতেও আমি একটা নিজস্ব খুঁজে পাই। এ তো গেল সেদিনকার স্বাধীন অনুভূতি।           আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার যোগাড়ে যেখানে সারাদিন কেটে যায় সেখানে কি স্বাধীনতা, কোথায় স্বাধীনতা, কেন স্বাধীনতা এসব ভাবার অবকাশ থাকে না। দু চার দানা খাওয়ার পেলেই টান টান হয়ে যেখানে হোক শোয়া আর ঘুম। ব্যাস, আর কিছু চাই না। তার মাঝে আমি দেখেছি বাবা মা দাদা দিদি পাড়া প্রতিবেশী সবার কাছে আমি আমার সীমানায় যা চেয়েছি পেয়েছি, যা দিতে চেয়েছি তাও পেরেছি, যা অর্জন করার মত হওয়া উচিত তাও হয়েছি। সেই তো আমার স্বাধীনতা।      যদি নিজের ইচ্ছে, নিজের চাহিদার মাপকাঠি তৈরি করতে পারি তাহলে কোন কিছুই পাওয়া দেওয়া বা ভাগ করার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হয় না।      কিন্তু আমরা কি করি? আরো চাই আর আরো চাই। এই আরও চাওয়ার মাঝে নিজের

মুক্তগদ্য ।। বেঁচে থাকার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা দেব রায়

ছবি
    স্বধীনতা মানে স্ব অধীনতা , অর্থাৎ নিজের অধীনে চলা। স্বাধীনতা বলতে আমি বুঝি নিজের বিবেক আর ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ । আমার কিছু বলতে ইচ্ছে করছে , বলে দিলাম। লিখতে ইচ্ছে করছে , লিখে ফেললাম । কিছু করতে ইচ্ছে হয়েছে তো করলাম । বিবেকের কথা বললাম কারণ সব ইচ্ছাই  কিন্তু শোভন বা দেশ ও দশের পক্ষে উপকারী নাও হতে পারে , তাই স্বাধীনতা মানে অবাধ লাগামহীন আচরণ না , বরং মার্জিত ও রুচিশীল ব্যবহার ।       বাস্তব অর্থে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি ৭৪ বছর হল । কিন্তু আসলেও কি স্বধীন হতে পেরেছি  ?  দেশের মানুষই যদি নির্ভয়ে চলতে না পারে , তবে কিসের স্বাধীনতা ? অর্জিত স্বাধীনতা খুব মূল্যবান জিনিস । তাই  স্বাধীনতা আমার কাছে আকাশে উড়তে থাকা পাখির মতো । উড়তে দেখলে ভালো লাগে , খাচায় বন্দি রাখলে ঠিক মানায় না । এই অস্থির সময়ে মনে হচ্ছে সেই পাখিটাকে আটকে ফেলার একটা চেষ্টা করা হচ্ছে । যুক্তির মাধ্যমে মুক্তির সুড়ঙ্গের শেষ কিনারায় পৌঁছতে চাওয়া মানুষগুলোকে চুপ করানোর  একটা প্রথা  সবার চোখের সামনেই গড়ে উঠেছে । সবচেয়ে দুঃখের কথা হলো একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ  না জেনে , না বুঝেই অন্যদে কথা বলার অধিকারটুকু কেড়ে নিতে  চাচ্ছে । স্ব

মুক্তগদ্য ।। শ্রাবণ ঘন গহন মোহে ।। তরুণ প্রামাণিক

ছবি
  শ্রাবণ ঘন গহন মোহে তরুণ প্রামাণিক   ঝি ম ধরা বিকেলের প্রান্তে মিইয়ে আসা আলোর রেখা বৃষ্টি ভেজা কার্নিশে লেগে আছে তখনো। দিনমানে কাকের গলার মত কালো আকাশ জুড়ে অঝোর প্লাবন,ভেজা বাতাসে কি এক সর্বনাশের হাতছানি! জলে ভেজা টসটসে পিচ কালো রাস্তায় ছুটে চলেছি,সাথে একটা হলুদ ট্যাক্সি। গন্তব্য- কোন এক অচিনে। বৃষ্টির ঝালর তখনও ট্যাক্সির কাচে ঝমঝম করে ঝরছে। রাস্তার জল ছিটিয়ে দ্রুত চলেছি বাইপাস বেয়ে। এ পথে রোজই যেতে হয়,কারণে কিম্বা অকারণে। কিন্তু আজ যেন কিসের এক মোহগ্রস্থতা ক্রমে গ্রাস করছে আমাকে। ফিরতে ইচ্ছা করছে না কিছুতেই - কিছু দূরে রাস্তাটা ছোট একটা বাঁক ঘুরতেই চোখ পড়লো শ্রাবণের খোলা আকাশের দিকে, ঝম ঝম করে বৃষ্টি পড়ে চলেছে তখনো। কী এক গভীর সম্মোহনে বসে থাকতে পারলাম না,নেমে পড়লাম গাড়ি থেকে। তখন আকাশে চলছে সান্দ্রতার খেলা। মেঘের সাথে মেঘ মিশছে , আকাশের সাথে আকাশ ! পথের ধারের আদিগন্ত গাঢ় সবুজ ক্ষেত, সেই ক্ষেতের ওপারে যেখানে- জলভরা আকাশ ঝুঁকে আসছিল ধানের ক্ষেতের ওপরে, আর কতগুলো শান্ত বকের ওড়াউড়ি, নিঃশব্দ আলপনা আঁকছিল বৃষ্টি ভেজা পুব আকাশের ঘন ক্যানভাসে- আমি দুহাতে তালি দিয়ে লাফিয়ে উঠলাম। যেন একটা অসী

মুক্তগদ্য ।। রবীন্দ্রনাথ ও আমি ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

ছবি
                                         রবীন্দ্রনাথ ও আমি পার্থ সারথি চক্রবর্তী     রবীন্দ্রনাথ আমাদের মনে, মননে,রন্ধ্রে রন্ধ্রে। শৈশব থেকে শুরু করে জীবনের শেষ সময়েও আমাদের ঘিরে রেখেছে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর সৃষ্টি। তাই তো তিনি আবহমান, সদাবিচরণকারী। 'সহজ পাঠ ' নিয়ে জীবন শুরু করে 'শেষের কবিতা ' অবধি তিনিই তিনি। জুড়ে আছেন জীবনে ও যাপনে। এককথায় বলতে গেলে 'আমার পরাণ যাহা চায়, তুমি তাই '। কীটসের প্রেম, ওয়ার্ডসওয়ার্থের প্রকৃতি, কালিদাস, শেক্সপিয়রের মানবিক সম্পর্কের আখ্যান- সব পাই তাঁর লেখায়। খুব ছোটবেলায় হাতে পাওয়া 'সঞ্চয়িতা' কবে যে সবার অলক্ষ্যে পরম বন্ধু হয়ে উঠেছে, টেরও পাইনি। শৈশবে 'দামোদর শেঠ' পড়ে যখন বিয়েবাড়িতে গিয়ে  'ভেটকি ফ্রাই' খাই; তখন তাঁকে দূরে দাঁড়িয়ে মুচকি হাসতে দেখেছিলাম। আবার যখন 'বীরপুরুষ' আবৃত্তি করে মায়ের চোখ ভিজিয়ে দিয়েছি; তখন যেন তাঁকে হাততালি দিতেও দেখেছিলাম। এভাবে কৈশোর পেরিয়ে 'যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙল ঝড়ে '; সেদিন যেন হঠাৎ বড় হয়ে গেলাম। প্রেম, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, বিশ্বপ্রেম। সব মিলিয়ে যেন এক ভেসে যাওয়ার জো

মুক্তগদ্য ।। রঙিন কোলাজের ছেঁড়া টুকরো......।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

ছবি
রঙিন কোলাজের ছেঁড়া টুকরো...... পার্থ সারথি চক্রবর্তী     বসন্তোৎসব নাকি ভোট- কোনটা নিয়ে লিখব! ভাবতে গিয়ে যেন সব গুলিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যা এককথায়, ঠগ বাছতে গা উজাড়। বসন্ত কালে আকাশ নীল হয়ে থাকে, বাতাস ফুরফুরে হয়। গাছের পাতা ঝরে পড়ে। সেই সঙ্গে ঝরে কিছু পুরনো স্মৃতি। তবে এগিয়ে যাবার পথ প্রশস্ত হয় বিছিয়ে রাখা ঝরা পাতার শব্দে। পাতা ঝরে পড়ার শব্দে ধ্বনিত হয় হৃদয়ের ভেঙেচুড়ে যাবার, দুমড়ে মুচড়ে যাবার প্রক্রিয়া। জন্মজ যে পদ্ধতি বা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা যাই, তা আসলে পুরোটাই একটা পথ। দীর্ঘ একটা পথ। আর বসন্ত বা শরৎ বা তৎসংক্রান্ত বিষয়াদি সেই পথের কয়েকটা বিরতি। সেই বিরতি আবার কখনো কখনো সেখান থেকে কয়েকটা উপপথ বা বাইলেনের জন্ম দেয়। যদিও কোন কোনটা আবার ঘুরে এসে সে পথেই মিলে যায়। কোনটা আবার হারিয়ে যায় নিরুদ্দেশের খোঁজে। রঙ বেরঙের ছবির কোলাজে এই মুহূর্তগুলো ধরা থাকে। বসন্ত রঙ নিয়ে আসে প্রকৃতির। প্রকৃতির মাধ্যমে। আর আমরা মানুষেরা বাড়তি চাকচিক্য আনি বিভিন্ন রঙ মেখে আর মাখিয়ে। অথবা রঙ ছিটিয়ে। রঙ উড়িয়ে। বাঙালীর জীবনে ভোট কিন্তু একটা রঙিন উৎসব ছিল একদা। পাশাপাশি দুই বা তিনদলের সহাবস্থান। যার যার ভোট তার

মুক্তগদ্য ।। আনন্দ মিশন ।। সীমা ব্যানার্জি রায়

ছবি
আনন্দ মিশন সীমা ব্যানার্জি  রায়  কে যেন পড়ছে বসে আনন্দমিশন প্রেম ছাড়া শূন্য এ মহাজীবন ... প্রেম ! সে তো ধরাছোঁয়ার বাইরে এই আছে , এই নেই , দেখি ঘরে ঘরে ... কি কান্ড ! কি কান্ড ! দক্ষিণপূর্ব আমেরিকায় পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মিশিশিপি নদীর কাছে আসতেই মন উড়ে গেছে। সেই গঙ্গা আমার মা , পদ্মা আমার মা - র কাছে। আচ্ছা ! পৃ্থিবীর সবচেয়ে বড় নদী -' নাইল ' কে কেন আমরা বড়মা বলি না ? দেশের বাইরে তাই - সৎ মা ! তাই ? হয় ... ত তাই। ঠাকুরমা - র ঝুলি থেকেই সৎ মা - কে তো অন্য চোখে দেখি , কেন দেখি ... সৎ তো সৎ - ই হয় ... অসৎ নয় , তবে ? ঠিক তেমনি পয়লা বৈশাখ। একলা বৈশাখ মোটেই নয়। সব দেশেই বাঙালিদের কি আনন্দ আকাশে বাতাসে এই পয়মন্ত বৈশাখে ... তাই না ? কিন্তু আমার আনন্দ .. হম্ ! আমার আনন্দ আছে পুরনো স্মৃ্তির তক্তপোশে। তক্তপোশ ? কবিগুরুর এই অদ্ভুত দেশে আবার তক্তপোশ কোথায় ? আছে গো আছে ... আমার বিছানার পায়ের কাছে একটা সুন্দর আঁকিবুকি আঁকা কাঠের বাক্স রাখা আছে , পোশাকি নাম তার ' চেস্ট ' হলেও ... আমি নাম দিয়েছি তার "ট্

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪