পোস্টগুলি

৩২তম সংখ্যা: কার্তিক ১৪২৭ অক্টোবর 2020 লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

শ্রদ্ধাঞ্জলি - করুণাময়ী ফ্লোরেনস ।। আনন্দময়ী মুখোপাধ্যায়।।

ছবি
   করুণাময়ী ফ্লোরেন্স     আমরা ভুলেই গেছি কোমল হৃদয় মেয়েটিকে একবার ও সেই দীপধারিনী  সেবাময়ীকে শ্রদ্ধা জানালাম না তার দ্বিশত জন্মবর্ষপূ্র্তিতে।     200 বছর আগে মেয়েদের সব দেশেই সব কাজেই ছিল বাধার দুর্লঙ্ঘ্য প্রাচীর। সেই পরিবেশেও মেয়েটি নিজের ও অন্য মেয়েদের জন্য একটি অসাধারণ স্নেহ মাখা স্বাধীন বৃত্তির স্বপ্ন দেখেছিল।      তার স্বপ্ন ছিল সেবা দিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের আরোগ্য করে তোলা। তিনি সারা পৃথিবীর মেয়েদের জন্য একটি সেবামূলক বৃত্তির পথ খুলে দিয়ে গেছেন। সমাজে অবহেলিত লাঞ্ছিত নারীরা শুশ্রুষাকারিনীর বৃত্তিতে এসে নিজেদের মনের মত কাজ ও সম্মান খুঁজে পেয়েছে। অবহেলিত কত নারী মর্যাদা লাভ করেছে।     তিন্নি করুণাময়ী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, তার জন্ম হয়েছিল1820 সালে। এই 2020 তে তার 200 বছর পূর্ণ হল। এই অবসরে তাকে একটু সম্মান করি একটু স্মরণ করি।     ফ্লোরেন্সের পিঠা ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ার অঞ্চলের একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন। ধনবান পিতা মাতার ঘরে ফ্রেন্ডস তাদের ডারবিশায়ারে বাড়িতে যত্নে লালিত-পালিত হয়েছিলেন। লেখাপড়ায় ফ্লোরেন্সের খুব আগ্রহ, সেকালে মেয়েদের বেশি লেখাপড়া করার রেওয়াজ ছ

নারী বিষয়ক নিবন্ধ ।। বনশ্রী রায় দাস

ছবি
ভেঙে দাও লজ্জার কপট কপাট বনশ্রী রায় দাস এ যেন ছেলে ভোলানো কথা সমস্ত অধিকার তোমায় দিলাম কিন্তু কোনো অধিকারই প্রকৃত   কার্যকরী হয় না কিংবা হতে হতে অর্ধেক জীবন   অথবা গোটা জীবনই পেরিয়ে যেতে পারে । আদপে নারীজাতি কী প্রকৃত মানুষের সম্মান     অথবা মর্যাদা পেয়ে থাকেন? আসলে অধিকাংশ পুরুষ নারীকে একটি নির্দিষ্ট গম্ভীর মধ্যে দেখতেই অধিক সাচ্ছন্দ বোধ করেন । নারী হবে সংসারী অঙ্কশায়িনী লাজবন্তী ইত্যাদি ইত্যাদি । হাতের তালুতে রেখে নাচিয়ে নেওয়া যায় ইচ্ছে মতো।তাই তো ঘরে বাইরে নারী প্রতিক্ষণে নিপীড়িত । যৌনতার নিরিখে যথেচ্ছ বববহার করা হয় বিজ্ঞাপন থেকে শুরু দেবতার আসন পর্যন্ত ।                      পুরীর মন্দিরে প্রায় আটশ বছর ধরে নারীদের দেবদাসী বানিয়ে দেবতার চরণে উৎসর্গ করার রীতি প্রচলিত ছিল। পুরোহিতরা সেই সমস্ত কিশোরী কিংবা যুবতীদের দেবতার চরণে উৎসর্গ করে নিজেরাই যথেচ্ছ যৌনাচার চালাতো।তাহলে ভাবুন এরা এতোটাই পাপিষ্ঠ     মানুষের চোখে ধর্মের ধুলো ছিটিয়ে মন্দিরকে   করেছে যৌনতার কেন্দ্র ভূমি।তবে 2015 সালে এই বর্বরতা বন্ধ করা গেছে।খ্রিস্টান চ্যাপেলে  ও একই ঘটনা ঘটেছে 2019 এর গোড়ার দিকে     কেরলের সেন্ট ফ্রান্

কবিতা ।। স্বপ্ন ।। মুহা আকমাল হোসেন ।।

ছবি
 স্বপ্ন  মুহা আকমাল হোসেন  স্বপ্নের হিসাব ভুলভাল হলে,  চাঁদ মরতে আসে নৌকার নিচে।   আমাদের ভাগ্যের  লন্ঠনের কাছাকাছি  ছড়ানো  শানিত জোছনা কণা।  কপাল পোড়া কটা মাছ নিখোঁজ!  যথেষ্ট জলজ সন্ত্রাসে!  শূন্য বন্দর! উন্মাদ হাওয়া।  আখড়ার পরকীয়া আড়াল করে                                বট অন্ধকার!  যৌবনের রিড থেকে উড়ে যায়  জোনাকির ঠান্ডা আগুন...  ------- Author & Social Worker Md. Akmal Hossain  Editor - Yatrik  Address :  Vill. Brohmottor, P.O. Choto Sujapur, P.S. Kaliachak, Dist. Malda Pin-732206, West Bengal, India. Mobile : 9734934497 Youtube : https://www.youtube.com/channel/UCnpcss2bALK2doedPPTRkSg?view_as=subscriber          

দুটি কবিতা ।। তুষার ভট্টাচার্য

ছবি
    শিকড়ের মায়াটানে _____________________ বীজপত্রের ভিতরে আমি লুকিয়ে রাখি জীবনের  অপূর্ণ সাধ স্বপ্নগুলি , চারপাশে শীতার্ত বাতাসে শুনি  শুকনো হলুদ ঝরাপাতার মর্মর গান , আহত পাখির দু'ডানায় দেখি  যন্ত্রণার ক্ষত চিহ্ন ; তাই ভাঙাচোরা ব্যর্থ জীবন আমি বেগুনি রোদ , ঝড় ,ধুলো বৃষ্টি,উত্তাল সমুদ্র হাওয়ার হাত থেকে আড়াল আবডালে লুকিয়ে রাখি  বীজপত্রে , আমার শিকড়ে ; বুকের ভিতরে জমিয়ে রাখা অনন্ত  আকাশ কুসুম স্বপ্নগুলি  আমি দিয়ে যাব সন্তানের দুই হাতে ; আমি বেঁচে থাকি শুধু শিকড়ের মায়াটানে শূন্যতার বাগানে  _________________________________   শূন্যতার অশ্রু বাগানে মরা ঘাসের বুকে জমে আছে যত গূঢ় অভিমান , দু'চোখের পাতায় লেগে যত  আছে ব্যথার গান , সেখানে যদি কখনও ভেসে আসে  নদীর তির তির ঢেউ , কল কল কলতান , তবে ভাঙা হৃদয়ে আবার  নীরবে জেগে উঠবেই প্রথম ভালবাসার মায়া মৃদঙ্গ স্মৃতির ঝুমুর গান ________________________________________ তুষার ভট্টাচার্য /পো:কাশিমবাজার/বহরমপুর/ জেলা :মুর্শিদাবাদ /৭৪২১০২ / দুরভাষ :৯৪৭৫৭৭৪৯৯৬ / ০৪ /১০ /২০২০ /

কবিতা // বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়

ছবি
পার্থক্য চোখের উপর হেঁটে যাচ্ছে জন পদ একটি সমুদ্রের ভেতর কালো গর্ত গিলে নিচ্ছে সব মাস্তুল অসংখ্য ঘাস আর বৃক্ষ পৃথিবী একটি দূরত্ব শুন্য হয়ে আসছে আছড়ে পড়া ঢেউ এর মুখে। প্রান্তর জুড়ে গড়ে উঠেছে প্রাচীন হাট দামের ফারাক এ চিনি নিচ্ছে ভুয়ো অস্তিত্ব টাই প্যান্ট আর ধুতির ফাঁকে সেই একই মাংস পিন্ড একটি অর্ধভেদ্য পর্দার আড়ালে নর্দমার আলেয়া হঠাৎ সূর্য ডুবে গেলে একটি কালো আঁধার দিয়ে মুছে ফেলা হয় পার্থক্য। সব জাহাজই  পথ হারিয়ে হয়ে ওঠে বেদুইন পথের পার্থক্য জল হয়ে যায় তখন শুধুই ভাসা জনপদ নিশ্চিহ্ন হলে বুজে আসে চোখ। ################## বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় গ্রাম পোস্ট.  বৃন্দাবনপুর বাঁকুড়া 9732154888

তিনটি কবিতা ।। দীপ্তেন্দু বিকাশ ষন্নিগ্রহী

ছবি
 ১. বিষ চৌচির  দালানের আশ্রয় স্থলে খুলে রেখেছো বিষদাঁত খোলস সেখানের অসমাপ্ত জলসায়  শেষরাতের ছোবল স্মৃতি  দেওয়ালের নিস্প্রান তেলছবি ঘসে যাওয়া মুখ দিব্বি হাসছে বাঘ মেরে গোঁফে তা দিচ্ছে একছাদ পায়রারা দানা খায় আজন্মকাল।  ২. ফুটপাত  ফুটপাতে আশ্রয় নিয়েছে পৃথিবী  কালো রাত্রি বিশাল চাদর ল্যাম্পপোস্টর থেকে বিষাদ আলো সেকেন্ডর কাটায় ছবি আঁকছে প্রহর মাথা গুনছে চকিতে চকমকি চোখ  হেডলাইটের ঠিকরে পড়া আলো  খুঁজছে না আর নিজের লোক.. ৩. মাকড়সার গল্প জাল পাতা আছে  প্রতিটা কোনায় ওখানে আটকে যায় ললিপপ ভোর মাসকাবারি ফর্দ  সিড়ির নীচের জালে খয়ে যাওয়া সুকতলা  আরেকটা জালে দোলখায় তালি মারা ব্যাগ তার ভিতরে ফাও পাওয়া দুটো লংকা...

মুক্তগদ‍্য ।। সোমনাথ বেনিয়া

ছবি
কী কারণ, অকারণ এবং স্ফুরণ  সিগারেট ধরালে প্রেমিকার মুখ মনে পড়ে নাকি প্রেমিকার মুখ মনে পড়লে সিগারেট ধরাই! যার কাছে এর উত্তর খুঁজতে যাবে সেই তো প্রথম বলেছিল, "তুমি সিগারেট খেতে পারো।" আবার শেষে বলেছিল, "ওসব ছাইপাঁশ না খাওয়াই ভালো।" অত‌এব এই দ্বন্দ্ব সমাস (কথায় বলে শিখতে লাগে ছ-মাস) পরীক্ষার খাতায় রসগোল্লা আনবে নাকি মিহিদানা, জানা নেই। এই না জানার অনেক সুবিধা আছে। পাশের বাড়ির নারকেল গাছ থেকে ছাদে দাঁড়িয়ে নারকেল পেড়ে না জানার মতন সুবিধা। আড়চোখে কোনো অষ্টাদশীকে আন্ডারলাইন করে দিলাম, তা সে নিজেও জানলো না! অথচ এক হাতের উপর অপর হাত রেখে হৃদয়ের কাছে নিয়ে বলেছিলাম, "যাহা বলিব সত‍্য বলিব, সত‍্য ছাড়া মিথ‍্যা বলিব না!" কিন্তু ঠিক সময়ে মহাশয় অস্বীকার করে নির্বিকার ভাবে পেরিয়ে গেছে খেয়ালি পার্কের গলি, আকাশের অন্তর্বাসে থাকা বিকেল কিংবা বাথরুমে চিত হয়ে থাকা আরশোলার ছটফটানি। ঘটনাচক্রে ভালোবাসার ক্রেডিট কার্ডে রোদ ছিল। তাই সহজেই আকৃষ্ট হতো তুলারাশির দল। মৃদু হাসলে স্কুটিতে বসার জায়গা বেড়ে যেত। বাম্পারে (ঘুমন্ত পুলিশ) ইচ্ছে করে হোঁচট খাইয়ে আর‌ও কাছে আনা। কেউ কি কিছুই বুঝতো

ছোটগল্প।। শিকার ।। অলোক দাস

ছবি
শিকার                                                                         আজ বিকালে কালবৈশাখীর প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। কালো মেঘ চারিদিকে অন্ধকার করে রেখেছে। খেলার জন্য অনেকেই মাঠে এসেছিল; হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ হওয়াই সবাই ক্লাবেই ঢুকেছে। বিকালে খেলতে না পেলে মনটা কেমন বিষন্ন হয়ে যায়; আজও সেই রকম বোধ হল। এতো জোরে ঝড় হচ্ছে যে ক্লাবের দেওয়াল পর্যন্ত কাঁপছে। আমরা সবাই ক্লাবের ভেতরে নিস্তব্ধ হয়ে বসে আছি। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না, মিনিট কুড়িকের মধ্যেই থেমে গেল। কিন্তু যেটার জন্য আমাদের বিকালে মাঠে আসা, সেটা আর হলো না; ক্রিকেট খেলাটা মাটি হয়ে গেল।  হঠাৎ অন্ধকার হয়ে আসা জগৎ থেকে আলো বিচ্ছুরিত হলে আমরা বেশ কয়েকজন প্রফুল্ল মনে ক্লাবের বাইরে এলাম। দেখলাম কাবেল দাদু গুটি গুটি পায়ে ক্লাবের দিকে আসছে।  আমাদের কাছে এসে একটু ফিক করে হেসে বলল, "কিরে তোদের খেলার তো আজকে বারোটা বেজে গেল!" অমিয়দা রেগে গিয়ে বলল, "তোমার খুব আনন্দ হচ্ছে না।" দাদু বলল, "কি যে বলিস, আনন্দ হবে কেন। বরং দুঃখ হচ্ছে রে, তোরা খেলতে পেলি না।" বিকাশদা কৌতুকের ছলে বলল, "দুঃখ প

ছড়া ।। টুম্পা মিত্র সরকার

ছবি
আষাঢ়ের পদ্য আয় রে বেলি আয় রে কদম চম্পা বকুল জুঁই লাজুক লাজুক বৃষ্টি ফোঁটায় তোদের খানিক ছুঁই ৷ আয় হিঞ্চে আয় কলমি আয় মালঞ্চবন তোদের সঙ্গে মনের কথা বলি কিছুক্ষণ। আয় রে কাগা আয় রে বগা মাছরাঙা আর হাঁস বৃষ্টিমধুর এই দিনেতে ছুটির অবকাশ ৷ আয় রে দিঘি আয় রে পুকুর ভরা নদীর কূল জলপদ্য লিখছি বসে খুশিতে মশগুল ৷ ......... টুম্পা মিত্র সরকার গ্রাম+পোষ্ট—দেয়াড়া জেলা—পূর্ব বর্ধমান পিন—৭১৩৪০৯ ফোন—৯৭৩২০৯১০৩৭ ভারত বর্ষ

স্মৃতিগদ্য // সুবীর ঘোষ

ছবি
শারদীয় আবহে টুকরো কথা   অভূতপূর্ব পরিস্থিতি এ বছর । ফেব্রুয়ারির শেষে যখন শারদীয় সংখ্যার জন্য গদ্য লেখায় হাত দিয়েছি তখন কে জানত এ বছর সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যাবে । শক হুন বর্গি এদের লুণ্ঠনে মানুষ যেভাবে দিশাহারা হয়ে যেত এক অদৃশ্য ভাইরাসের আক্রমণে সারা পৃথিবী একপ্রকার অবরুদ্ধ । লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণনাশ । যাতায়াত ব্যবসা বাণিজ্যের পথ অবরুদ্ধ । এ হেন পরিস্থিতিতে এ বছর দুর্গোৎসব হবে কী না সংশয় ছিল । যাই হোক্ , মানুষের আবেগ ও এই উৎসবের সঙ্গে জড়িত বিপুল আয়ব্যয়ের কথা মাথায় রেখেই স্থির হয়েছে পুজো হবে । নিয়মবিধিও পালন করতে হবে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ।   এ বছর তাই পুজোর সেই উন্মাদনা নেই । মানুষের মন ভালো নেই । বহু বাড়িতে প্রিয়জন হারানোর শোক । তবু জীবনকে এগিয়ে যেতে হবে । সংসারচক্রের এটাই নিয়ম । এ বছর আবহাওয়া কেমন থাকবে জানি না। বাতাসে হেমন্তের আভাস পেতে শুরু করেছি । এ বছর ঋতুচক্রের ভারসাম্য অনেকটা ফিরে এসেছে । সুষম বৃষ্টি হয়েছে । অবশ্য আমফানের মতো মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ও কিছু কিছু স্থানের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময় বিপুল ক্ষতিসাধন করে গেছে মানুষের ।   এব

ছড়া // রিয়াদ হায়দার

ছবি
মায়ের কাছে ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, কাশের বনে দোলা দিয়ে শরৎ যখন আসে, মনটা তখন উদাসী হয় স্বপ্নতরী ভাসে! চারিদিকে ঢাক গুড় গুড় মায়ের ছবি মনে, মা আসছেন ভূবন জুড়ে সবার ঘরের কোণে! আদর দিয়ে সোহাগ দিয়ে করবো মা'কে স্মরণ, শিউলি-পলাশ রাঙিয়ে দিয়ে করবো মা'কে বরণ! তাঁর ছোঁয়াতে ধন্য হয়ে গাইবো জয়গান, মায়ের প্রতি তাইতো সবার অপূর্ব এক টান! মা আসছেন ভুবন জুড়ে খুশির ঝিলিক উঠুক, হিংসা-বিবাদ ভুলে গিয়ে সম্প্রীতি ফুল ফুটুক! মা আসছেন শরৎ মেখে ভরিয়ে সবার প্রাণ, চাইবো মাগো সব সমস্যার হোক না অবসান! ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, রিয়াদ হায়দার সরিষা আশ্রম মোড় পোস্ট - সরিষা থানা - ডায়মন্ড হারবার জেলা - দঃ২৪ পরগনা

রবীন বসুর কবিতা

ছবি
হারিয়ে গেলেন জীবনানন্দ দাশ এই দেখুন, বলতে ভুলে গেছি। কাল সন্ধ্যায় রাসবিহারী মোড় থেকে দেশপ্রিয় পার্ক পর্যন্ত হেঁটে আসছিলাম। আমার সঙ্গী কে ছিল জানেন? ওই যে-- 'চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা'। ম্লান মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাসবিহারী  মোড়ে কল্যাণদার বুকস্টলের এক কোণে ; ভাসা ভাসা চোখে দেখছিলেন পত্র-পত্রিকা, পুরনো বই, নতুন বই, অক্ষরের সজ্জাবিন্যাস-- করোনা-আক্রান্ত দিন কেমন ফাঁকা ফাঁকা, নিজের মধ্যে নিজে মুখ গুঁজে নিঃসাড়ে আছে ; আমি পায়ে পায়ে পাশে গিয়ে দাঁ ড়াই, নিঃশব্দে। তিনি দেখছেন, তিনি দেখছেন না। তবু যেন  বড়ই অস্থির। রামকৃষ্ণের ভাবসমাধি হত ; আর এই কবি কি ভাব-সমাহিত। একটা পত্রিকা হাতে নিলেন, অন্য হাতে আমাকে খামচে ধরলেন। ' দেখ, দেখ ! আমার নামে পত্রিকা ! আমার নামে ! আমি তো দূরতর দ্বীপ ! ঘাড়ভাঙা মেঠো ইঁদুর !  শিশিরের জল ! লাশকাটা ঘরে শুয়ে আছি  টেবিলের পরে ! চল চল, তোমাকে পার্কে নিয়ে যাবো।  সবুজ ঘাস, নীলাভ অন্ধকার, রুপোলি জ্যোৎস্না আর অনন্ত নক্ষত্রবীথি…  দেখাব তোমাকে, দেখবো… আমি এক মর্বিড আত্মমগ্ন চেতনায় আচ্ছন্ন হয়ে তাঁর  পাশেপাশে হাঁটতে লাগলাম। মাদকের মত একটা

কবিতা // ইন্দ্রাণী পাল

ছবি
  দিনলিপি এক একটা সুখের দিন খচখচ করে আর আমি একটা পোড়ো বাড়ির সামনে বসে থাকি মুড়ি আর মিছরি নিয়ে এখানে মানুষেরা খুব তাড়াতাড়ি হাঁটে ছায়ার ভিতর ছায়া দীর্ঘতর হয় আর বিদেশী মেয়েরা কুকুর নিয়ে ঘুরতে বেরোয় আমিও হাঁটতে থাকি পিছোতে পিছোতে একটা খাদের ধারে এসে দাঁড়াই একটা চোখ নেমে যায় অন্ধকারের ভিতর।   ************************************************************ Indrani Pal Vill-Janai (Samanta Para) P. O.-Janai  Dist.-Hooghly Pin-712 304 indranipal14@gmail.com

কবিতা ।। সম্পা পাল

ছবি
নীল আয়োজন স্বপ্ন এখন কেমন আছে ? তারপর কি ঘুম এসেছিল ? বছর চলে গেছে ঘুম স্টেশনের ব‍্যালকোনিতে এখনও একটি পরিচিত রোদে শীতের শিহরণ ঘন্টা, মিনিট জেগে যায় পাথর পড়ার আওয়াজে গল্পের শুরু এখানেই, পশমিনা শাল গায়ে জুলাই এখনও অনন্ত অনুভব অমিত লাবণ্য ভিজেছিল এই বৃষ্টিতেই যদিও হ্দয়পুরের রাস্তা নগরেই শেষ তবু সাদা বক ঘন নীল আকাশের দিকে.... যদিও রঙের আকাল এখনও দিনের শুরু এবং শেষে তবু সীমানায় নীল আয়োজন  -------------------------- সম্পা পাল , শিলিগুড়ি 

কবিতা ।। সুমনা ভট্টাচার্য্য

ছবি
ইলিউশন    একটা কবিতার হাত ধরে চলে যেতে পারি বহুদূর অলিগলি পেরিয়ে চৌমাথার মোড়ে … তারপর ধানের ক্ষেত আর আকাশের সমীকরণ  দুপাশে রেখে পৌঁছে যেতে পারি  কাঁটাতার আর ছেঁড়া কাঁথা সেলাইয়ের গল্পগুলোর কাছে - কিন্তু হয় না ক্ষত বিক্ষত দিনগুলি সামনে এসে দাঁড়ায়- কানের কাছে ফিসফিস করে ওঠে "চলে এসো, এখনো কিছুই গোছানো হয় নি …" অতএব……বাস স্টপেজের হাতলভাঙা চেয়ারে কবিতাকে অপেক্ষায় রেখে চলে আসি অগোছালো দিনের ভাস্কর্য নির্মাণে ; দিনের শরীরে মুখ হাত নখ দাঁত জুড়তে জুড়তে আর সেই নখ দাঁতের নিরন্তর মোকাবিলা করতে করতে টের পাই আমার ফেলে আসা কবিতার রোদপোড়া তামাটেবর্ণ শরীরের দিকে বাদামওয়ালা এগিয়ে দ্যায় দশ টাকার উপশম, ঈশ্বর ভেবে পথচলতি ভিখারি কবিতার দিকে বাড়িয়ে দ্যায় টি নের বাটি - আর পানের দোকানের দড়িতে ঝুলে থাকা স্ফ‌ুলিঙ্গ ওষ্ঠে ছুঁয়ে ছেলে মেয়েরা কবিতার বুকে গেঁথে দ্যায় ধোঁয়ার গুল্ম । টের পাই বৃষ্টির ফোঁটায় কবিতার শরীর থেকে ওঠা সোঁদা ভাপ কেমন সোজা উঠে যায় শহরের বাক্স খোপের ঠিকানায় - সেসময় আমার মেয়ের চোখ জ্বলে ওঠে

গল্প ।। মৌসুমী দত্ত

ছবি
  ঋণশোধ  ................................... সখি , ভাবনা কাহারা বলে, সখি, . যাতনা  কাহারা বলে তোমরা যে বলো দিবস-রজনী 'ভালবাসা ' 'ভালবাসা '-  সখি ভালবাসা কারে কয়! সেকি কেবলই  যাতনাময়। রবীন্দ্র সংগীত প্রতিযোগিতার শেষ প্রতিযোগী 'পিয়াসা ' যখন মঞ্চ থেকে নামল তখন ঘড়িতে রাত নয়টা। এরপর ফলাফল ঘোষণা ও পুরষ্কার বিতরণী উৎসব । প্রত্যেক বারের মত এবারও প্রথম পুরস্কার পিয়াসার ঝুলিতে। সব কিছু যখন মিটলো, তখন ঘড়ির কাঁটা দশটা পার করেছে । মা নিশ্চয় রাস্তা - বাড়ি করছেন । বাবা অফিসের কাজে বাইরে গেছেন। না হলে এই সব দিন গুলো তে উনি উপস্থিত থাকেন । দেরি না করে পিয়াসা পা চালালো । ওদের বাড়ির সামনের গলি টা অন্ধকার।  হঠাৎ দেখে ' অয়ন "উলটো দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে । কাছে যেতেই বলল ''এদিকে একটা কাজে এসেছিলাম ,কিন্তু কাজটা হল না , তোমার বুঝি কমপিটিশন ছিল? দেখা যখন হয়েই গেল, চলো বাড়ি পৌছে দিয়ে আসি।'' ' পিয়াসা জানে অয়ন ওর জন্যই অপেক্ষা করেছে। গান গাওয়ার সময় দূরে দাঁড়িয়ে থাকা অয়নকে স্টেজে থেকে ও লক্ষ্য করেছে । পিসতুতো দাদার বন্ধু অয়ন। সেই সুত্রেই ওর সাথে পরিচয় । ঠিক

ভ্রমণকাহিনি ।। ছবি গ্রাম -- রিকিসাম ।। সঞ্জীব রাহা

ছবি
ছবি গ্রাম -- রিকিসাম সঞ্জীব রাহা                        আজকের এই বিষন্ন মনে ভারাক্রান্ত করোনা কালে চলো বেড়িয়ে পড়ি। ছোটবেলা থেকে আমাদের বেড়াতে যাওয়া নিয়ে তর্ক-বির্তকের মূল বিষয় ছিল পাহাড় না সমুদ্র ?  আমরা বরাবর পাহাড়কে ভোটদিয়ে জিতিয়ে দিয়েছি। এই দুঃসহ গরম, প্যাঁচপেঁচে  ঘাম আর খসখসে ঘামাচির হাত থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাঁচবার একমাত্র উপায় পাহাড়কে নির্বাচিত করা। আবার সেই পাহাড় যদি হয় ঘরের পাশে আরশি নগর তবে-তো কথাই নেই। শিলিগুড়ি থেকে সটান চলে আসো কালিম্পং। ব্যাস্ এখানে এলেই তোমার সব কর্তব্য শেষ। এবার এখানের লাভা রোড ধরে আঠারো কিলোমিটার এগুলেই পৌঁছে যাবে  ৬৪১৪ ফিট ওপরে পাহাড়ি হ্য্যমলেট ছবিগ্রাম রিকিসাম এ।  ছবি গ্রাম রিকিসাম   এবার বলি কেন ছবি-গ্রাম ? এখানে আসতে গেলে তোমাকে পেরুতে হবে বিশাল-বিশাল পাহাড়, ঘন বন-জঙ্গল (নেওড়া-ভ্যালি অভয়ারণ্য),  নদী আর ফুলের সমুদ্র। তাইতো রিকিসাম মানেই দূষণমুক্ত বহুমাত্রিক এক জলজ্যান্ত পটে লিখা ছবির চলমান প্রদর্শনী। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে বাস ছাড়তেই একটানে শিলিগুড়ি শহরের জ্যাম--জেলি পেরিয়ে সেবক রোড ধরে বাঘপুলকে ডাইনে রেখে মাত্র আড়াই ঘন্টায় কালিম্পং। এ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪