পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

অণুগল্প: পারিজাত ব্যানার্জী

পোড়া মাটির প্রজাপতি রাতের কোন প্রহর এখন, জানে না হাসোহা। পিঠে এলিয়ে পড়ে রয়েছে তার ঢেউ খেলানো কোমর ছাপানো কালো গভীর লতানে এলোমেলো অযত্নে লালিত সমস্ত চুলটার নির্মম মলিন গোছ। ঠিক যেন বুড়ো বটগাছের হাজার বছর ধরে জমতে থাকা তালগোল পাকানো শেকড়।তীব্র অসহনীয় যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত চেপে কাটাতে হবে আরও বহুকাল - রয়েছে তারাও সেই একাকী নিঃসঙ্গ অপেক্ষায়। তবে তাতেও হাতে পায়ের দগ্ধে ওঠা সব জ্বালাদের উপশম কোনোদিন হয়না আমাজনের জঙ্গলের গভীরতম আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা শামান উপজাতির এইসব মানুষদের - পরতে পরতে শুধু জমতে থাকে গরম কয়লা চেপে চেপে ফুটিয়ে তোলা উল্কির দাগ এক একটা যুগের ইতিহাসের সাক্ষ্য রূপে। হাসোহা সামনের নিকষ অন্ধকারের দিকে চেয়ে থাকে একদৃষ্টে। তার চোখের গহন কালো মণির অন্দরে কষ্টের লেশমাত্র পড়েনা কোনোখানে। সেই ছোটবেলা থেকে একটু একটু করে তৈরি হয়েছে সে শুধু আজকের এই দিনটার জন্য, এই বিশেষ বিস্তৃত ক্ষণের জন্য — নাঃ, মেয়েরা এত সহজে হার মানেনা তাদের সম্প্রদায়ে, কোনোদিনই। তাকেও এত সহজে কোনোমতেই প্রতিহত করবে না তার একটুকরো নিজস্ব আপন নিস্তব্ধ জমাট আত্মা। এ যুদ্ধ তো তাদের আজকের নয়, অনন্তকাল ধরে।

গল্প: তরুণ প্রামানিক

                       ভেজা জুঁইয়ের গন্ধ ...                                                              ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে ট্রেন টা অবশেষে প্লাটফর্মে ঢুকতেই বৃষ্টির ছোয়া বাঁচিয়ে মস্ত একটা লাফ দিয়ে ট্রেনে উঠলো নির্ঝর। মাথায় বাধা রুমালটাকে এক ঝটকায় খুলে চোখে, মুখে, চশমার উপর এসে পড়া অবাঞ্ছিত বৃষ্টির ফোটা গুলো মুছতে মুছতে জানালার ধারের একটা ফাঁকা  সিটে বসে স্বস্তির একটু নিঃশ্বাস ফেললো সে। যাক বাবা প্রায় চল্লিশ মিনিটের উপর লেট এ চললেও,এই ঘোর নিম্নচাপের অকাল বর্ষায় ট্রেনটা এসেছে এই ঢের। এবার ঠিক মতো বাড়িতে পৌঁছাতে পারলে হয়। এই ভেবে মনে মনে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে থাকে সে। এইরকম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে হেড অফিস কেন যে আগে থেকে মিটিংটা পিছিয়ে দিলো না ! এই ভেবে মনে মনে খুব বিরক্ত হয়ে  ম্যানেজমেন্টকে শাপশাপান্ত করতে করতে পকেট থেকে মোবাইলটা বার করে । ক্ষীণ একটা আওয়াজ করে ট্রেন ছাড়তেই সে মোবাইল থেকে মুখ উঠিয়ে দেখলো কামরার বেশির ভাগটাই ফাঁকা। দুই একজন ছাড়া প্রায় কেউ নেই বললেই চলে। হোয়াটস অ্যাপএর মেসেজে মনোনিবেশ করে নির্ঝর। এতক্ষনে প্রায় ধরে আসা বৃষ্টিটা আবার জোরে শুরুহলো। কর কর

কবিতাঃ অসীম মাহাত

  " স্বপ্নের দেশ "                         পাড়ার রাখালের বাঁশির ডাকে  হতে চাই প্রজাপতির ছা । সিলেবাসের সারাটা দিন  পায়ে পায়ে হারিয়ে , প্রেমের বাঁধন পুড়িয়ে  চোখের নীল তারার রূপকথার দেশে ; বাউলের সঙ্গে ঢেকেছি মায়াজাল । নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি  ঠিকানা বানাতে চাই - মরীচিকার নতুন বেশে ।             ---

রম্যরচনা: অ-নিরুদ্ধ সুব্রত

একটি অসহ্য রম্যরচনা: ভোটকর্মী নামক প্রাণী বিশেষের নিবেদন  ------------------------------------------------------------------------------- 'ভোটকর্মী ' এটি বিশেষ এক প্রকার মনুষ্য বংসোদ্ভূত প্রাণীর নাম । চিকিত্সা বিজ্ঞানে যেমন গিনিপিগ এক প্রকার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নব নব ঔষধ, ইংজেকশন খেকো প্রাণী বিশেষ, তেমনি ভোটকর্মী হলো ইলেকশন নামক চিকিত্সাহীন কাজের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রাণী। হাজার সাংবিধানিক স্বশাসিত উচ্চ ব্যাপক নাম সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান থাক, বিশাল বিশাল অস্ত্রধারী সেনা আধাসেনা যাই যত সংখ্যায় থাক, ভোটকর্মীরাই প্রকৃত অ্যাপলিকেশনের মূল গিনিপিগ । যাদের সুস্থ সাবলীল ভোটবাক্স সহ ফিরে আসার উপর নির্ভর করছে নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্টাল নির্বাচন প্রক্রিয়া কতটা সফল। পাশাপাশি তথৈবচ গবেষণা জাত নতুন বোতলে পুরনো মদ্য সম পরিচিত ইলেকশন প্রসেসে ঐ তথাকথিত ভোটকর্মীরাই কয়েক দফা ট্রেনিং সহ পুনর্বহাল । অর্থাত্ কিনা এই বিশেষ প্রকার প্রাণীগুলির এক জাতীয় নির্দেশ মান্য অভ্যাসের স্বতন্ত্র সিনড্রোম হ্যাব  অলরেডি  ইন।              কেউ কি কখনও মনে রাখে,কোন ল্যাবে কোন মহৎ গবেষণা কালে কতজন শ্রী ব্যা

অণুগল্প: তন্ময় সিংহ রায়

"হায় রে মানবিকতা" সমুদ্রতটে মর্নিং ওয়াকে আর পাঁচটা দিনের মতই জগদীশবাবু সেদিনও তাঁর অস্তিত্বের নিদর্শন রাখছেন। এই ৬৯-এও তার গতিবেগে ২৯-এর আভাস পায় অনেকেই। ধপধপে সাদা হাফ্-প্যান্ট, ব্র‍্যান্ডেড শু আর টি-শার্টে তার শৌখিনতার ছাপ স্পষ্ট। স্বভাবমতই মর্নিং ওয়াকের পর্ব শেষ করেই আওয়াজ দিলেন...'গোপাল, স্ট্র লাগিয়ে আমার ডাবটা দে, আর তিনটে বড়ো দেখে আমার গাড়িতে রেখে দিয়ে আয়, জানালা খোলা।'.... 'এই যে বাবু, আপনার ডাব।'..... হঠাৎ পাশ থেকে কে যেনো হেঁসে বলে উঠলো, 'ও দাদা কিছু মনে করবেন না, ডাব খাবেন আবার পাইপ লাগে?' .....'এক্সকিউস-মি! হু আর ইউ..এন্ড হাউ ডেয়ার ইউ?'........ পায়ে চটি, সাধারণ ফুল প্যান্ট,  ইস্ত্রিবিহীন জামা ও সাদা খোঁচা খোঁচা দাড়ির এই লোকটার এত স্পর্ধা! মনে মনে ভাবতেই... লোকটা বলে উঠলো... 'মানে বলছিলাম যে, আপনি কি রাগ করলেন?' প্রত্যুত্তরটা বিদ্যুৎ গতিবেগে জগদীশবাবু ফিরিয়ে দিতে উদ্যত হচ্ছেন এমন সময়ে গোপাল এসে বললো,'বাবু ডাব তিনটে রেখে এসিছি।'  তখনও জগদীশ বাবুর পারদ শীর্ষে... সে কথায় ভ্রুক্ষেপ না করেই আবার সেই লোকটাকে প্রশ্

তাপসকিরণ রায়ের কবিতা

আঁচড়ের উৎস ও দর্শক বৈশাখী টোটো সাজিয়ে সকালের রোদ্দুর মাখতে মাখতে নিজেকে অনেকটা সহজ ও উদাস মনে হল। পাখির কুজন শুনি সে সঙ্গে গাছের আড়ালে দাঁড়ানো নিষাদকে দেখি-- ফুল ও ভ্রমরের প্রেম হল, যেখানে প্রেম সেখানেই বৈরী ও বিরহ হাওয়া, অনুকূল হাওয়ায় একটা লাল ঘুড়ি উড়ছে--প্যাঁচ দেখি, তারপর ভোঁ কাট্টা, এক বিদেশিনী সে ঘুড়ি দেখে, সে লুফে নেয় সেই ঘুড়ি তারপর রংদার খেলার প্যাঁচ উঠে আসতে থাকে শরীরে-- সে সব খেলা তোমায় বুঝিয়ে দিতে দিতে তুমি কেঁদে উঠলে-- আসলে নরম ও কোমল গায়ে সহজেই নখ বসে যায়। সীমা লঙ্ঘন ভালবাসতে বাসতে একটা কোমল সীমা লঙ্ঘন হয়ে যেতে পারে, আসলে সে কদর্য শব্দ সংজ্ঞায় আদালত বসতে পারে-- আর প্রমাণের অভাবে, ধর্ষণ প্রেমে বদল হয়ে যেতে পারে। প্রমাণ অথচ খেলতে খেলতে কত কি না হয়ে যায়-- তুমি যখন চীৎকার করে ওঠো তখনি আলোচনা সভা বসে, তোমার সোচ্চারের পেছনে প্রমাণ চাই, সে আঁচড়ের উৎস ও দর্শক চাই। বারবার বলতে বলতে তোমার বুদ্ধির ভ্রম হতে পারে তোমার মধ্যে গাধার মত লবন বস্তা বয়ে নেবার শক্তি গজিয়ে উঠতেই পারে, সৌন্দর্য আসলে তো তোমার মন, কদর্যতা

কবিতা: পল্লব মজুমদার

অনেক জানি আসলে...তবুও! অনেক ভালোবাসা ছুঁয়ে গেছে আমার দুহাত অনেক অভিলাষা বেছে নিয়েছিল অপঘাত অনেক রাতজাগা ঘুম আজো স্বপ্নে বিভোর জানি কিছু অসময় একমনে ভাবে কথা তোর জানি কিছু পরাজয় মুখ বুজে মেনে নিতে হয় জানি এই অস্থির প্রেমের ভিন্ন সব চরিত্র পরিচয় আসলে আমার মোহে প্রেমের জোগান সব বন্ধ আসলে দেখেছিস তুই, আমি ভান করে গেছি অন্ধ। আসলে চলেই গেলি, আদতে আমার তুই না। তবুও কিছু সম্পর্কেরা গতিপথে জড়ায় অক্লেশে, তবুও আমি বলতে চেয়েছি, যদিও আমি বলতে পারিনা তবুও অপেক্ষা থাক কোথায় জীবন গিয়ে মেশে। =================================

কবিতা: ফিরোজ আখতার

নিঃস্বার্থভাবে ...................... যেদিন কোনরকম স্বার্থ ছাড়াই আমার দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকাবে আমি উভচর হয়ে যাবো সেদিন প্রিয়তমা, তুমিও আমাজান হয়ো... তোমার বুক আর সেদিন মৃত আগ্নেয়গিরি বহন করবেনা আমায় একটু আশ্রয় দিও সেদিন দেবে তো ? নিঃস্বার্থভাবে... ====================== নাম - ফিরোজ আখতার ঠিকানা - ১৮ই জায়গীর ঘাট রোড, ঠাকুরপুকুর, কোলকাতা - ৭০০o৬৩

খোলা চিঠি: শ্যামাপদ মালাকার

ছবি
খড়দার দেবী রয়কে """"""""""""""''''''                                                                             হে প্রিয়, হে দেবী! তোমার জিজ্ঞাসাটি ব্যক্ত করলেই সংসার যে অকূল দরিয়ায় ডুবতে বসে!--তোমার কোন প্রশ্ন থাকতে নেই-- প্রভাতের দাতন থেকে দেবালয়ের চন্দনটি পর্যন্ত তোমায় যোগান দিয়ে যেতে হবে। সংসারে কারু বেদনা হলেই আপনার দেহ-প্রশাখার পাতা ছিঁড়ে তার যন্ত্রণা প্রশমিত কর। এখানে শেষ নয়-- কারু নয়নের কাজল প্রয়োজন হলে, আপনার দেহছাল ছিঁড়ে দীপানলে তপ্ত করে অন্যের নয় রঞ্জিত কর---তুমি যে মানবী ওরা ভাবে তোমার সারা সুখ--ওদের প্রশমিত বেদনায় আছে! তাই সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত যতটা রস পাওয়া যায়- কর্মের মধ্যদিয়ে এক এক করে নিংড়ে নেয়!। তুমি ভাব, "এ আমার দায়ীত্ব!" ওরা ভাবে- "এটাই নিয়ম!" তুমি ভাব- "আমার সংসার!" ওরা ভাবে- "এর জন্যই ওর আসা!"। তবু ওরা তোমায় মানবী ভাবে! ওরা ভাবে-- রোগীর শিয়রে রাত জেগে সেবা করার জন্যই তোমার জন্ম! ওরা ভাবে- তিল তি

কবিতা: অষ্টপদ মালিক

নতুন দিন দিন আসে দিন যায় বছর ঘুরে ঘুরে আসে মন যা কিছু চায় সবই অতল জলে ভাসে । একমুঠো রোদ চাই চেয়েও ব‍্যর্থ নতুন দিনে ঘোর আঁধার হাতে পাই জোড়াতালি জীবন বীণে । কালো হাত গিলে খায় কচি কচি ফুল-দলে চোখ কান বন্ধ হায় ! মনোরাজ‍্যে ত্রাস চলে । তবু বনে ফুল ফুটুক দোলের চাঁদ যেন হাসে আলোর বেণু বেজে উঠুক প্রতি পলে শ্বাসে-প্রশ্বাসে ।      ================            অষ্টপদ মালিক    পাঁচারুল, হাওড়া-৭১১২২৫     

গল্প: রাম সরেন

সব সাপ বিষাক্ত নয় "ওই শোন না বিকেলে একবার ফোন করবি" জোস্না ইশ্বরকে বলল কথাটা; --"কেন ?" --"এমনি" --"আমার ফোনে রিচার্জ করা নেইতো, আচ্ছা দেখছি কি করা যায়।" এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেছে, ইশ্বরের আর ফোন করা হয়নি জোস্নাকে, এর মধ্যে ওদের আর দেখাও হয়নি, ইশ্বর রোজ বিকেলে ফোন নিয়ে বসে, যদি জোস্না ফোন করে; জোস্নাও বিকেলে ফোনটা বার বার দেখে , কোন কল আসেনি দেখে হতাশ হয়ে ফোনটা রেখে দেয়। কিন্তু কেন ? এই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছে নেই, কেমন একটা অদৃশ্য বাঁধনে তারা বাঁধা, যার সঠিক নাম দেওয়া হয়ে ওঠেনি আজও ।  একদিন দুপুরে ইশ্বর একাই মাঠে মাটি কাটছিল, আর তা ফেলছিল তাদের নব নির্মিত ঘরে। সূর্য যত তার মাথার উপর উঠছিল ততই তার শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছিল, হাতের কোদালটাও ফসকে যাচ্ছিলো বার বার।কানে হেডফোন পকেটে স্মার্টফোন আর তার ওয়ালপেপারে জোস্নার একটা ছবি ! কেন ? তা সে জানেনা। মাটি কাটতে কাটতে হঠাৎ করে সে তার বাঁ হাতের আঙ্গুলে কিরকম কাঁটা ‌‌‌ফোটার মত অনুভব করল, কোদালটা তুলতেই সে চমকে উঠল, একটা সাপ দু টুকরো হয়ে গেছে, সাপটা ঠিক গলার কা

কবিতা: সায়নী ব্যানার্জী

নতুন  সময় নিজে সরে গিয়ে, নতুন সময়ের রাস্তা আঁকে - নিঃশব্দে শুধু নীরব পথ সময়ের গতি হিসাব রাখে। নব সকাল নতুন সূর্য - স্বপ্ন হাজার চোখের পাতায়,  ক্লান্ত মন হাস্য মুখে - অস্তরাগে নিজেকে লুকায়। সময় শুধু নদীর স্রোত পক্ষপাত দুষ্ট না- যতই ডাকো মুহূর্ত গুলো বাঁধন  টাকে মানবে না l মিথ্যে কিছু ছেলে মানুষি , রাগ, অভিমান, এড়িয়ে চলা-  আলিঙ্গনে   মিটুক গ্লানি , নতুনের হোক গল্প বলা। নভারম্ভে মলিনতা আজ মুছে যাক এই মনের মাঝে, আশার বুকে নতুন পথ, আগামীর দিকে তাকিয়ে আছে।l

কবিতা: সুমন কল্যাণ

পিতৃস্নেহ জীবন মন্থন করে তুলে এনেছি তোকে তুই তো অমৃত-পুত্র; বিষ যন্ত্রনা যা আছে থাক সব কন্ঠ জুরে শ্বাপদের তীক্ষ্ণ আঘাত যত নিকষ অন্ধকারে আমারই রক্ত ও স্বেদ আলো হয়ে ঝরে এই ক্ষয় যাপন চিত্রে খোঁজে বাঁচার রসদ ভুলে যাই সব তোর ঐ কোমল হাত যখন ছুঁয়ে দেয় আমার বুক তোর ঠোঁট ছুঁয়ে যায় কপাল খেলার ছলে অন্তরে ঘুমিয়ে থাকা শিশুর পিতার প্রতি মূহুর্তে তখন পুনর্জন্ম হয় জীবন যন্ত্রনাও অমৃত মনে হয় অবোধ কন্ঠ যখন ডেকে ওঠে "বাবা" বলে। ================ সুমন কল্যান মণ্ডল বোলপুর

উপলব্ধিঃ রমলা মুখার্জী

আমার  জীবনের এক সুন্দর উপলব্ধি  উমার অবসরের দিন ওদের স্কুলে  অতিথি হয়ে গেলাম ওর বিদায়  সম্বর্দ্ধণায়।সবাই বিষাদবিধুর প্রিয় দিদির বিদায় লগ্নে।উমা তো কেঁদেই সারা।বলতে গিয়েও অনেকেরই গলা ভারি হয়ে এল।             ঠিক এক বছর আগে আমি অবসর নিয়েছি।ভেবেছিলাম বোধহয় শেষের কামরায় পৌঁছে গেলাম।আমার সেদিনের পুনরাবৃত্তিই আজকে দেখছি।কিন্তু অবসরের পর আমি নিজেকে নতুন  করে পেলাম।প্রথম ক'দিন খুব কষ্টের মধ্যে কাটালাম।তারপর পাড়ার ছোট্ট ছেলেদের নিয়ে বাংলা সাহিত্য  লেখা,আবৃত্তি,নাটক,গান এসব করতে আরম্ভ করে বুঝলাম বিদ্যাক্ষেত্রের সেই  শেষ কামরা আমাকে নতুন আর একটা রেলগাড়িতে তুলে দিয়েছে। আমি তাই সেই সভায় বললাম," এক  আনন্দযজ্ঞ থেকে আর এক আনন্দজগতে প্রবেশক্ষণের মাঝে কোনো দুঃখ নয়।" 'শেষ নাহি যে,শেষ কথা কে বলবে' বলে বক্তব্য শেষ করে দেখি উমার মুখে অল্প হাসির আভা। ================================== ডঃ রমলা মুখার্জী,বৈঁচী,হুগলী,পিন ৭১২১৩৪,

কবিতা: সান্ত্বনা চ্যাটার্জি

ব্যাভিচারঃঃঃ এক টুকরো আকাশ দেখি বসে জীবনের এক টুকরোর মতো যদি তাকে বিচ্ছিন্ন করা যেতো । এখানেই রোদ-বৃষ্টি , দিন-রাত, এখানেই কিছুটা চাওয়া পাওয়া, নিজের মতন করে যদি নেওয়া যেত ! এক টুকরো আকাশের জল শহর ভাসায় । এখানের রাত্রি ঢাকে অন্ধকারে শহরের চলার পথে , কালিঝুলি মাখা কোনো অভাগী গনিকার ঘর । আমার এক টুকর চাওয়া যদি পাওয়া হয়ে যেতো, সমগ্র জীবনের মতো প্রশ্নচিহ্ন এঁকে নিত আমার অন্তর ।

কবিতা: চন্দন সুরভি নন্দ

        প্রথম বৃষ্টি                       চারিদিক আঁধার করে আকাশের বুক ফুঁড়ে গভীর এক উল্লাস যেন বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে দমকা হাওয়ায় এলোমেলো কেশ হঠাৎ ঝড়ে লেগেছিল বেশ চিকন ললাট স্পর্শ করে প্রথম বৃষ্টির ফোঁটা অনেক দহন পেরিয়ে ধীরে ধীরে শরীর ভিজে ওঠা যে শরীরে কবির কল্পনা লেগেছে ঢেউ সুরের মূর্ছনা পটের তুলি বর্ষা-ভেজা আঁকে হারিয়েছে প্রেম ভেজা শরীরের বাঁকে এত বারিষ তবুও তৃষ্ণা পায় ভেজা শরীর আরো বৃষ্টি চায়। =================

কবিতা: জয়ীতা চ্যাটার্জী

বদল বুনো রোমাঞ্চকর এক শব্দ,  তখনও আমায় পৃথিবীর আদিবাসীর মতো  টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসত পাহাড়ের কাছে।  আমি দেখতাম পাথরের গা বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল,  ছুঁয়ে দিলেই নিথর নিস্তব্ধতা খান খান হয়ে ভেঙে পড়ত অন্তরীক্ষে।  আজ ও  অবশ্য আমি আসি পাহাড়ের কাছে,  তার চেয়েও বেশি আসি পাহাড়ী ফুলের কাছে।  শিশিরের আঘাত ও ওদের বুকে তীব্র ভাবে লাগে। পাহাড়ের গা বেয়ে ঝরে পড়ে এলোমেলো পথের পাশে। ভেজা ফুলের গন্ধ নিতে বার বার ছুটে যাই ওদের কাছে। তখন আমি ছোঁব বলে নেমে আসত  বৃষ্টিময় মেঘ পাহাড়ের বুকে। ছুটে যেতাম তাপহীন দাগহীন দিনে,  উজ্জ্বল রোদ্দুর সারা গায়ে মেখে।  আজ ও আমি ফিরে আসি পাহাড়ের কাছে,  ফিরে আসি ছোঁব বলে ফুলেদের ,রাস্তার পাশে।  ছুঁতে ছুঁতে বলে যাই আমি মনে মনে  নেই কোন শোক , তাপ নিভৃতে গোপনে।  মেঘে মেঘে বেজে ওঠে অতীতের বানী,   কাউকে আমি দুঃখ দেবো না, শুনেছ আগামী? =============================== নাম: জয়ীতা চ্যাটার্জী ঠিকানা: ২২/৪ আর এন টি পি বাই লেন শ্যামনগর। ২৪পরগনা নর্থ, পশ্চিমবঙ্গ। 

খোলা চিঠি: আবদুস সালাম

বৈশাখী পত্র   প্রিয় পহেলা বৈশাখ      প্রতি দিনের মতো তুমি আজও এসেছো , ফিবছর আবার  আসবে জীর্ণতার আড়ালে লূকানো আবেগ  মাখামাখি করে ।।ভুলে যেতে চাই বিড়ম্বিত আর্তনাদ, লাঞ্চিত দিনের বঞ্চনা ।উগরে আসে কাঠামো হীন দিনগুলোর ব‍্যর্থ আবেগ।চরাচর ভেঙে যায়। এসোনা নিঃশব্দে আঁকি নকশিকাঁথায় আল্পনা, গান বেঁধে নিই মেঠো সুরে।মানবিক স্পর্শে জেগে উঠুক বঙ্গসংস্কৃতি,উদ্ভাসিত হোক আলোর বিষন্ন অক্ষর।প্রগতিশীল অস্তিত্বের দলছুট স্বপ্নগুলো বাসা বাঁধুক আমাদের সম্পৃতির উঠোনে। মহাকাব‍্যিক জীবনে ডানা মেলুক সময়।উর্বর আহ্বানে ঝংকার তুলুক ফেনীল স্রোত।আজ পূণ্য দিনে মেখে নিবো সোনালী স্বপ্ন।ঘরে ঘরে বেজে উঠুক ভূপেনবাবুর গান "মানুষ মানুষের জন্য একটু সহানুভূতি কি দিতে পারে না"--- চলো পূণ্য সলীলা গঙ্গায় বিসর্জন দিয়ে আসি অপনীতির অপস‍্রোত।      পূণ্য দিনে সকলের শুভ কামনায়-- আবদুস সালাম প্রয়াস ,শ্রীকান্তবাটি মাদারল‍্যান্ড ডাক রঘুনাথগঞ্জ মুর্শিদাবাদ 742225

কবিতা: জগবন্ধু হালদার

                  বৃষ্টিদিন                                   বৃষ্টি তোমায় চিনি খুব বন্ধু ও বজ্জাত      হাড়ে হাড়ে বাঁশি বাজাও পাকা ধানে একহাত      বৃষ্টি তোমায় চিনি খুব অসভ্য ,  একগুঁয়ে      শুয়ে থাকা মনখারাপের অপেক্ষা দাও ধুয়ে    ভাব জমিয়ে ভেজাও এমন চিড়ে ও কাক হাসে    চুপসে যাওয়া ফুল শার্টে ভরা শ্রাবণ ভাসে    লাগাম ছাড়া তুমি ও সে ফড়িং লাফের ফন্দি    আমিও বেশ গলে গড়াই অজুহাতে মন দিই মৌন - সরব নাছোড় ধারা,মিছিল টিছিল নাকি? আমি কিন্তু গোপন মুঠোয় লুকিয়ে রাখি ফুলকি    বৃষ্টি তোমায় চিনি খুব ঘাতক ফন্দিবাজ    জানলা দিয়ে হাত বাড়াতেই চুলোয় গেল কাজ স্যাঁতস্যাঁতে মন পিছলে গেল এদিক ওদিক মেঘে গলি হোক বা মোড়ের মাথা মিলছেনা আর ভাগে  হুড়মুড়িয়ে ঠান্ডা হাওয়া ঘরের মধ্যে যা -তা  প্রহর কাটে শঙ্খ ঘোষে নিরুদ্দেশে বইঠা  ।।                   -----------------

কবিতা: সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

।। ঠাকুমা ।। শীত চলে যাওয়া আর বসন্ত শুরুর  মাঝখানে বৃষ্টি ছাট নিয়ে পাতা ঝরার বেলা, শীর্ণ ডালপালাওয়ালা জবা গাছটা-- হৃদয়হরণি অপরূপা ঠাকুমার মতো  বিষন্ন চোখে তাকিয়ে থাকে সংসারের দিকে। পৌত্তলিকতাময় যে সংসার  সাপ-নেউলের ভেলকিবাজিতে মজে আছে, যার ওপর আজও বিছিয়ে আছে সাদা মেঘ- ঠাকুমার থান কাপড়ের মতো ধবধবে সাদা, যাতে পাঁচ চোখ না হয়। আমি আঁচলে ঝুলে থাকা চাবির গোছা, বৈরাগ্যের সাদা থানে জড়িয়ে থাকা আমার হারানো শিশুবেলার বুদ্ধু ভুতুম, বেতাল, দুয়ো রানী সুয়ো রানীর গল্প খুঁজতে থাকি। ঠাকুমা কি বুঝতে পারল! তবে পাতা ঝরা গাছের শীর্ণ ডালপালা মাথা দোলালো কেন! ঝরাপাতার স্তূপ সরিয়ে কেন উঠে এলো শব্দের কৌলীন্য-- সবাই ভালো থাকিস। আমার সারা শরীর জুড়ে কে বুলিয়ে দেয় ফুলের পাপড়ির মতো কোমল আদর! পারিজাত গন্ধে আকাশ পূর্ণ হলে দেখি সমস্ত বৈভব আর পরাবাস্তবতা তুচ্ছ করে, পুষ্পক রথে চড়ে রাজেন্দ্রানীর মতো  দীর্ঘাঙ্গী ঠাকুমা, চান্দ্র সরনীর দিকে চলে যায়, অমঙ্গল হবে ভেবে পিছু ডাকতে পারি না।।                       / ************ \ SUDIPTA BANDYOPADHYAY. 7P/1,

কবিতাঃ সুমন নস্কর

 নবপ্রভাত বৈশাখ তব রূদ্র তপন তেজে রূদ্র বীণার সুরটি উঠেছে বেজে৷ নব আলোকের রশ্মিচ্ছটায়- প্রাণটা জেগেছে উদ্দামতায় সেজে৷ বৈশাখ তব নব চেতনার বাণী নব প্রেরণায় সাহস জোগাবে জানি৷ জয়ের কেতন ছুঁয়ে যাক প্রাণে প্রাণে- খুলে দিক দ্বার বদ্ধ কপাটখানি৷ বৈশাখ তব রক্ত চক্ষু আঁখি কালবৈশাখী মেঘ-মল্লারে ঢাকি৷ রূদ্র মূর্তি ধরিয়ে ভয়ঙ্করে- নব চেতনার প্রাণটা লুকিয়ে রাখি৷ বৈশাখ তব নবপ্রভাতের আশা নতুন স্পর্শে নব নব প্রত্যাশা৷ বাজুক প্রাণেতে নতুন সুরের রেশ- নতুন আলোকে জাগুক প্রাণেতে ভাষা৷ ----------------------------------- সুমন নস্কর ৷৷ বনসুন্দরিয়া ৷৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা

কবিতা: সুনন্দ মন্ডল

কুমারী বৈশাখী                 বৈশাখী তুমি এখনো কুমারী? তোমার গর্ভে কখন জন্ম নেবে কালবৈশাখী! কখন বিশ্ব নমস্কার জানিয়ে আঁচলে জড়িয়ে নেবে? এস, আর দেরি নয়,  এস, তুমি যৌবনা হয়ে প্রলয়ের টঙ্কারে। গর্ভবতী হয়ে জন্ম দাও ধ্বংস মাদল ঘুচিয়ে দাও হিংসা-বিভেদের মঞ্জরী। কালোয় কালোয় ভরিয়ে দিও দিনের উজ্জ্বলতা ডাঙার মাছ হয়ে মানুষের ভয় নৃত্য শুরু হোক! একবার নতুন সৃষ্টির অপেক্ষায় না হয় মৃত্যুভয়কে আঁকড়ে ধরুক কালবৈশাখীর গন্ধে কালের সূচনায় নবযৌবনের দূতকে স্বীকার করুক। বৈশাখী তুমি আর কুমারী হয়ে থেকো না নতুন প্রজন্মের নেশায় কিছু তো অন্তত ধ্বংস করো!                          ----------- কাঠিয়া, পাইকর, মুরারই, বীরভূম ৭৩১২১৯ যোগাযোগ: ৮৬৩৭০৬৪০২৯

নিবন্ধঃ রাণা চ্যাটার্জী

                একাকীত্ব       একাকীত্ব আজ প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে,আপন আপন মহিমায় বিরাজমান । আধুনিক জীবন যাত্রার ভিন্নতার সাথে ঘুণপোকার বাসার  মতোই অন্যতম অপ্রতিরোধ্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে একাকীত্ব।  বেড়েছে মানুষে মানুষে মোলাকাৎ, হই হুল্লোড় , কত রকমের গেট টুগেদারের আয়োজন আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততার জীবন পরিসরে, তবুও একাকীত্বের নখর আঁচড় বসাচ্ছে নিজের মতো করে গহন মনের আকাশে , আমাদের  বাহ্যিক আচার-আচরণে । আপন মানুষ জনের পাশেই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে সংসার জীবন তবু যেনো একটা শূন্যতা ।বড্ড ব্যস্ত জীবনে একাকীত্বের চতুর থাবা । এই একাকীত্ব যাতে না আসে,একে নির্মূল করতে, আমরা নিজেদের ব্যস্ত রাখার কত চেস্টা করি,হটাৎ বেরিয়ে পরি সপ্তাহান্তিক ছুটিতে,একটু ফুরসৎ তো  সুপার মার্কেট ,মল কালচার,আইনক্স,এক্সিভিসনে অবগাহন, দেখনদারি তবুও মুক্তি কই ? একাকীত্ব তবু আপন খেয়ালে নিজ ভঙ্গিমায় এই দ্রুত গতির মানব জীবনে ঘাপটি মেরে বসে , সময়ে সুজোগে ঠিক মাথা তোলার অপেক্ষায় । এই একাকীত্বের অন্যতম দোসর আবার অবসাদ, তার মোকাবিলাতেও চিন্তার শেষ নেই । ঐ সব থেকে নিজেদের দূরে রাখতে , ভুলতে কতো রকম ভাবে নিজেদের  ব্যস্ত রাখার প্রচে

রম্যরচনা: সুপ্রীতি বর্মন

 শাহজাদার স্পর্শে সালংকারা অপ্সরা। বৈশাখী,,,,,,, আজ চৈত্রসেলের বাজার চারিদিকে রমরমা,,, আর কদিন বাদেই আসবে নতুন সিদ্ধিবিনায়কের হালখাতা,,, বৈশাখী দিনের শুভ মহরৎ। পহেলা বৈশাখ।  নধরকান্তি সিদ্ধিবিনায়কের টইটুম্বুর রসেলা ভুঁড়ি,  হাতে তবক মোড়া হালখাতার লাড্ডু,  বৈশাখী ঘটে চিনচিন ব্যথা আড়িমারি স্পর্শকাতর যন্ত্রনা। মহাজন ব্যবসাদারের বুকের ঠিক পাশে,  অতলান্ত মহাসমুদ্র শোক বুকে ঢিপঢিপ,  ঢেঁকির পাড় কে জানে কবে পাওনাগন্ডার হিসেবনিকেশ হবে। ওদিকে ছন্নছাড়া যৌবনা দুধমতী বালিকা,  ভিড়ভাট্টা ঠেলে প্রেমিকের সাথে করপদ্মের বিদ্রোহ। এটা ওটা টানাহিজড়া করে নতুন পোষাকের বিপুল সম্ভার। হুক ভগ্নদশায় উৎখাত। প্রেমিকের সাবধানী দৃষ্টি কাঁচুলিতে নজরের ঘাট। আতে যাতে পরদেশীর যুগ্ম আলাপন,  কঠিন সময়ের অন্তর্ঘাত। নোনা ঘাম খোঁজে স্নেহের মিষ্টতা। তোমার হাতের স্পর্শে অগোছালো আয়নায়,   আমার সাজানো গোছানো সংসার। ঘরে আবদ্ধ জুনের এতদিনে আছাড় কাছাড় করা বিলাপ শুনেছে ঈশ্বর কান পেতে। তাই সঙ্গতিহীন ও সখা শূণ্য জীবনে পেয়েছে খুঁজে পরম আশ্রয় ও প্রশ্রয় তার ন্যাওটা প্রেমিক।  ত

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪