পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা ।। স্মৃতির ভেলায় রথের মেলা ।। জয়শ্রী সরকার

ছবি
স্মৃতির ভেলায় রথের মেলা         জয়শ্রী সরকার রথযাত্রা নামটা শুনেই পৌঁছে তো যাই ছোট্টবেলায় বাবার কাছে বায়না ধরি, যাও না নিয়ে রথের মেলায়। সেই সে দিনের সুখগুলো সব লেপটে থাকে মনের মাঝে চাইলেও কী ভুলতে পারি? প্রশ্ন করি সকাল-সাঁঝে ! রথযাত্রার রহস্য কী --- সেটাই মাথায় ঢুকতো না যে আনন্দটাই মুখ্য ছিল --- আর বাকি সব বৃথাই কাজে। ছুটি পেতাম একটি দিনের ঠিক দুপুরে পৌঁছে যেতাম জিলিপি আর পাঁপড় ভাজা মনের সুখে হামলে খেতাম ! রথটাকে তো টানবো বলে বায়না ধরি বাবার কাছে ধমক যে খাই ঠিক তখনই ভীড়ের মাঝে হারাই পাছে। নাগোরদোলায় আমার সাথে চড়তে হতো বাবাকেও নাছোড়বান্দা আমি নাকি, ছাড়ছি না তো ধমকালেও ! বায়না করার আগেই বাবা কিনে দিত পালকি-পুতুল সাজবো বলে সঙ্গে দিত গলার হার আর কানের দুল। বাবার হাতটা ধরে ধরেই আহ্লাদেতে কাটতো বেলা মনের সুখে মজা লোটা --- এই না হলে রথের মেলা ! হঠাৎ দেখি মেঘের ঘটা --- বৃষ্টি নামে মুষলধারে জল-কাদা আর ভীড়ের ঠেলায় দাঁড়াই গিয়ে শেডের ধারে। ভাবতে গেলেই মন ছুটে যায় সেই সে দিনের রথের মেলায় হাতড়ে বেড়াই আজকে শুধুই মধুর স্মৃতির এই অবেলায় ! ****************************************

কবিতা ।। আমার এ দেশ ।। দীনেশ সরকার

ছবি
        আমার এ দেশ               দীনেশ সরকার আমার দেশে রোজ সকালে তরুণ অরুণ ওঠে ঠিক তখনই ফুলকলিরা হাসতে হাসতে ফোটে । অলিরা সব দলে দলে ফুলের বনে জোটে গুনগুনিয়ে ফুলের মধু মনের সুখে লোটে । ঘুম ভাঙে রোজ শীতল হাওয়ায় পাখির কলতানে বাউল-ফকির মন ভরায় তার পাগল করা গানে । নতুন নতুন সাজ প্রকৃতির ষড়ঋতুর টানে বর্ষ জুড়ে খুশির প্লাবন সবার মনে প্রাণে । সবুজঘেরা আমার এ দেশ উর্বর যে তার মাটি লক্ষ হীরে মোতির চেয়েও দামি এবং খাঁটি । বীর শহিদের রক্তে ভেজা আমার দেশের মাটি বাধ্য হ'লো ব্রিটিশ শাসক ছাড়তে ভারত ঘাঁটি । সন্ধ্যা হলেই আকাশ ভালে লক্ষ মানিক জ্বলে বাঁধভাঙা ওই চাঁদের হাসি ছড়ায় গগন তলে । আঁধার রাতে আলো জ্বালে জোনাক দলে দলে আমার দেশে চাঁদ দেখা যায় পদ্ম দিঘির জলে । আমার এ দেশ ভরা আছে সম্পদে সম্পদে ঝর্ণা-পাহাড়, বন-বনানী এবং নদী-নদে । কালো হীরে, রত্ন খনি, পাহাড়ঘেরা হ্রদে হাসি-খুশি ঝরে পড়ে সকল জনপদে । *************************************************     দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর --- ৭২১৩০৬

ছড়া ।। ভার ।। তূয়া নূর

ছবি
  ভার  তূয়া নূর চুরি এখন বড়ো বিদ্যা লজ্জা পায় না  তাতে, ভয় লাগে না কলকাঠি সব এখন নিজের হাতে। কেটে কুটে ইচ্ছে মতো দিন-দুপুরে চুরি, ঘুষ খায় সে আটকে ফাইল, দালান উঁচু ভুঁড়ি। বস্তা ভরা ধান আসে না বস্তা ভরা টাকা, দেশ বিদেশে জমি বাড়ি ঠিক দেবে গা ঢাকা। কোথায় খরচ করবে বলো এতো টাকা যার? বুঝবে কবে অনেক টাকার অনেক বেশী ভার।  ===========

ছড়া ।। ধরায় আন সুখ ।। সুনন্দ মন্ডল

ছবি
  ধরায় আন সুখ         সুনন্দ মন্ডল এই তো আষাঢ় নামল ধরায় বৃষ্টি তবুও নাই! মানুষ পাখি ঘামছে খরায় তীব্র দহন ঘায়। ফলগুলো সব গাছেই পাকে মাটি ছুঁলেই পচে। কীই বা করি বাজার ঘুরে ভেজালে থাকি মজে। ফুলগুলো সব শুকিয়ে গেল বৃষ্টিহীনতায়। বাঁচবে কীভাবে পাতারা গাছের দারুন এ খরায়? চাতকগুলো কোথায় এখন? নাই কি প্রয়োজন! তারাও কি সব ঘুমিয়ে আছে ক্লান্ত প্রিয়জন। তোমরা যদি না ডাক তবে বৃষ্টি ফেরায় মুখ। আমরা ডাকি পথের পথিক ধরায় আন সুখ। ==============   কাঠিয়া, পাইকর, বীরভূম    

ছড়া ।। ভোট এলে ।। আনন্দ বক্সী

ছবি
  ভোট এলে  আনন্দ বক্সী ভোট এলে হানাহানি-মারামারি-দ্বন্দ্ব  অন্য দলের হলে কথা বলা বন্ধ।  রক্ত গরম করা উত্তাপ ভাষণে  একটাই দাবি থাকে বসাও না আসনে। জীবন লড়িয়ে দেবো তোমাদের জন্য  উন্নতি ছাড়া কিছু ভাববো না অন্য।  হুঙ্কার-গর্জনে জনসভা জমান  নিজেদের ভাবে তারা সিংহের সমান।  খালি হলে কারো কোল মুছে গেলে সিঁদুর  কিবা আসে যায় বলো যদু-মধু-বিধুর।  এটা দেবো ওটা দেবো বুকে নেবো জড়িয়ে  আমাকে ভোটটা দিও দুটো হাত ভরিয়ে। প্রচারের কৌশলে দিতে চায় টেক্কা  গরু-গাড়ি চড়ে কেউ, কেউ চড়ে এক্কা। হেলিকপ্টারে চেপে কেউ নামে আসরে  বিজয়-মালাটা যেন জোটে ভোট বাসরে।  মসনদ চায় ওরা যেনতেন প্রকারে  সেই বার্তাই দেয় ইঙ্গিত আকারে। গরিবের গৃহকোণে সেরে নিয়ে আহার  নিতে চায় এরা খালি মাইলেজ তাহার।  ভোটের বাজারে এক বিরল সে চিত্র  দলীয় পতাকা ওড়ে হয়ে দেখি মিত্র।  জনসেবা করাটাই হয় যদি কর্ম  বিভাজন কেন তবে তুলে জাত-ধর্ম? মানুষকে ভাবো নাকি হাতের ঐ খেলনা জেনে রেখো ভালো করে ওরা নয় ফেলনা। বলিয়ান তোমরা যে ওদের সে বলেতে  ভুলে যাও নাকি সেটা সবকটা দলেতে? কাছে টেনে নাও যদি ভালোবাসা বিলিয়ে  তোমাদের হিসেবটা দেবে ওরা মিলিয়ে।  মন

কবিতা ।। নতুন সকাল ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

ছবি
নতুন সকাল তীর্থঙ্কর সুমিত বহুদিন পর আবারও যে পথ ধরে বেড়িয়ে পরলাম সবুজের দেশে,  নীলকে পিছনে ফেলে ক্রমশঃ ক্রমশের দিকে সরলরেখা বরাবর শুধুই...  যেখানে নদী শেখায় ভালোবাসার গান পাখি শেখায় উচ্ছ্বাসের সুর  সবুজ জানায় আমন্ত্রণ ছেঁড়া চিঠি আজ খাম ছেড়ে আকাশের পথে এসো মুগ্ধতা কুড়োই ভোরের আলোয়।  ===================== তীর্থঙ্কর সুমিত মানকুণ্ডু, হুগলী পিন - ৭১২১৩৯

গ্রন্থ-আলোচনা ।। কবি সাথি রায়-এর কাব্য 'ইচ্ছেরা ছুঁয়ে যায়' ।। আলোচক: বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

ছবি
ইচ্ছেরা ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের অনুভূতিমালা বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়   'ইচ্ছেরা ছুঁয়ে যায়' কবি সাথি রায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। কোন গভীর তাড়নায় একজন কবি কবিতা লেখেন এর উত্তর বিভিন্ন জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হলেও প্রথম কাব্যগ্রন্থ  প্রকাশের যে রোমাঞ্চ, যে আবেগ ও উদীপনা তা কমবেশি সকলের ক্ষেত্রেই সমান। সাথি  দীর্ঘ সময় ধরে কাব্যচর্চার সাথে সংযুক্ত থাকলেও কাব্যগ্রন্থ প্রকাশে তাঁর তীব্র অনীহা, অথচ সাহিত্যের এক গর্বিত উত্তরাধিকার তাঁর রক্তে ও মজ্জায়। প্রখ্যাত সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি তিনি। সংস্কৃতির অঙ্গনে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ছন্দের অসামান্য কারুকাজ তিনি রপ্ত করেছেন শৈশব থেকেই। এই কাব্যগ্রন্থে জীবনের আলোড়িত সত্তার ভেতর থেকে প্রাত্যহিক দ্বন্দ্ব সংঘাত, প্রেম- জটিলতা, ক্ষুদ্রতা-উদারতা, সংগ্রাম এবং বিচ্ছিন্নতার নিরলস ভাবনা বারবার আবর্তিত হয়েছে। ' বালুচরে ফোটে না তো ফুল/ কাঙাল হৃদয় আজ হয়েছে আকুল' এই আকুলতাই তাঁর গতিজাড্য। তাই ধ্যানলীন চৈতন্যের ভেতর অস্তিত্বের সুপ্তি ও জাগরণচিহ্ন নিয়ে জীবনকে এঁকেছেন তিনি। যে জীবন নিরালম্ব আলোকলতা নয়। যার পরতে পরতে জড়িয়ে আছে যন্ত্রণাময় দাহ এবং

সোনার ছেলে ।। বাসুদেব সরকার

ছবি
সোনার ছেলে  বাসুদেব সরকার  আমার দেশে সেই ছেলে তো কই,  ভালোবাসে ফুল পাখি ভালোবাসে বই।  বিদ্যাচর্চা করবে তো পরচর্চা নয়,  কর্মগুণে করবে যে সারাবিশ্ব জয়।  নিজ কর্মে হবে তারা সদা মনোযোগী  মানব সেবায় রত, সেবা দেবে রোগী।  দেশপ্রেমে হবে তারা সদা আগুয়ান,  প্রয়োজনে উৎসর্গ করবে যে প্রাণ।  দুখীজনের দুঃখ নেবে ভাগ করে,  নিরপেক্ষ হবে তারা সকলের তরে। অন্ন তুলে দেবে মুখে অন্নহীন জনে,  হিংসা বিদ্বেষ কভু থাকবে না মনে।  ছোটোদের স্নেহ আর গুরুজনে ভক্তি,  ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, দৃঢ় আত্মশক্তি।  নিজ ধর্মে বিশ্বাস ও মেনে রীতিনীতি  পরধর্মে সহিষ্ণুতা মানবতা প্রীতি।  তেমন সোনার ছেলে করি আশা সবে,  সেই ছেলে দ্বারা হবে সুখ শান্তি ভবে।  মহাস্বর্গ রচিত যে দুনিয়াতে হবে,  আসবে মোদের দ্বারে সেই ছেলে কবে?  ================ ◼️বাসুদেব সরকার, পেশা: শিক্ষক চরভৈরবী, হাইমচর, চাঁদপুর, বাংলাদেশ।

কবিতা ।। কথা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

ছবি
কথা তীর্থঙ্কর সুমিত কথার সাথে কথারা হারিয়ে যায় সময় বাঁকে .. আলাপের দ্বিচারিতা আর সময়ের ব্যার্থতা ক্রমশ এগিয়ে আসে  পাশে বসে সখ্যতা জমায় আঙুলে আঙুল রেখে এক - দুইয়ের অছিলায় নতুন কোনো সংখ্যা বসায় আর দূরের নদীটা বয়েই চলে জোয়ার - ভাটার সাথে সাথে। =================     

স্মৃতিকথা ।। আমার বন্ধু কবি শ্যামলকান্তি দাশ ।। শংকর ব্রহ্ম

ছবি
আমার বন্ধু কবি শ্যামলকান্তি দাশ শংকর ব্রহ্ম -------------------- ------------ ------------ ------------ ------------ ------------ আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেকার কথা। সত্তর দশকের কথা। 'সত্তর দশক মুক্তির দশক।' দেওয়ালগুলি যখন ভরে উঠেছিল এই শ্লোগানে। আমরা কতিপয় তরুণ তখন মুক্তি খুঁজেছি কবিতায়। কমল সাহা তখন আমাদের সঙ্গে কবিতা লিখত। আর নতুন প্রকাশিত প্রায় সব লিটল ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদপট আঁকত। ওর ছিল চারটে নেশা। ছবি আঁকা, কবিতা লেখা, চা আর চার্মিনার সিগ্রেট। কবিতা লেখায় মুন্সীয়ানা ছিল ওর, ছিল প্রখর ছন্দ জ্ঞান। প্রচন্ড অনুভূতি সম্পন্ন কবি ছিল কমল। প্রায় সব পত্রিকায় ওই সময় কমলের কবিতা প্রকাশিত হত। কমল সাহা তখন এক জনপ্রিয় কবির নাম। শ্যামলকান্তি দাশ সেইসময় - 'সূর্যনেশা' নামে একটি পত্রিকা মেদনীপুর থেকে  প্রকাশ করত। কমল তখন এতটাই জনপ্রিয় কবি ছিল যে শ্যামল আমাদের ও কমলের সমসাময়িক কবি হয়েও 'সূর্যনেশা' পত্রিকার 'বিশেষ কমল সাহা সংখ্যা' বের করেছিল। যা এখন প্রায় ভাবাই যায় না সমকালীন কবিদের কাছে থেকে। শ্য

কবিতা ।। মেঘ বিলাসে ।। বন্দনা পাত্র

ছবি
মেঘ বিলাসে  বন্দনা পাত্র ও আকাশ ঢালো ঢালো উজ্জ্বল প্রণয় অজস্র  মেঘের ভিতর মেঘ ছিল ঐ আকাশের সহস্র... দুরন্ত সেই রোদেলা আকাশ হারিয়েছে আজ মেঘের আঁখি কিরণ ঢালে কেবল অভিমানী সাজ। মেঘের ভিতর কলঙ্ক ছিল ও পূর্ণ আকাশ বিলাসে  কঙ্কাবতী নাম নিয়ে সে উতলা হয় বাদল বাতাসে... পূব হাওয়াতে দুলল যখন দোদুল দোলায়.. আষাঢ়ের মেঘ যে তখন ভীষণ রকম দূত হয়ে যায়। মেঘ বৃষ্টি বিলাস করে তাদের নীরের মেঘ-নীড়ে, সর্বনাশী সুরা ঢেলে কন্ঠে আকাশ উতল ধারায় নৃত্য করে... এমন বিলাস আকাশ ঘরে আষাঢ় অভিসারে, আকাশের আঁখি জলে ঊর্বশী-মেঘ নাচ করে। ঝিনুক মত বৃষ্টি যেন ঢেউ খেলানো নক্সা ক'রে  রুদ্র আকাশ গর্জনেতে যুগল মিলন বন্দী করে। মেঘ বৃষ্টির এমন ধরন আকাশ পথেই হরিণ হয়ে  দৌড়ে গিয়ে লক্ষ প্রণয় আকাশ জলে যাচ্ছে ধুয়ে। ও বাতাস তুই বাদল হলি এখন কেন আষাঢ় বলে? সব যেন ঐ যৌথ-মিলন বিলাস করে আকাশ কোলে। ============   নাম- বন্দনা পাত্র   

কবিতা ।। ভাঙ্গা আয়নায় ।। সনথ রায়

ছবি
   ভাঙ্গা আয়নায়     সনথ রায় শব্দরা কেঁদেছে অনেক প্রয়াণ সভায় স্বপ্ন গুলো বিগড়ে যাওয়া নীড়ে  হামাগুড়ি ক্ষতচিহ্ন হাঁটু সহসা দাঁড়ায় । অজানা অচেনা ধাম হঠাৎ জীবন এক আকাশ মহাবিশ্ব ভাঙ্গা আয়নায় । নিখোঁজ এখনো আছি জানিনা কোথায় অনুরাগ বনানীকে রেখেছি বিতাড়ে কী নামে নিজেকে ডাকি কেমন প্রথায় । দেহ ভরা দাসপ্রথা সহিছে পীড়ন যোগাসনে অনুযোগ আছে কী শোভায় । পরিযায়ী সুখ নিরাশ্রক ঠিকানা ডানায় দেখিতাম ডানা পেলে ডানায় উড়ে অনাশ্রিত বনজ প্রাণ বিবিধ উপাধ্যায় । পালিলাম মহামান্য মানব জীবন গেছে শতকাল মুনী'ঋষি নিযুত অধ্যায়। এখনো রয়েছি "তারপর " যত নিরুপায় বিধাতার তমসুক খেলাপির ঘাড়ে বিকৃতি শতমুখ ভাসে ভাঙ্গা আয়নায় । আপনার চেহারাটি দেখতে কেমন টুকরো আয়নাতে দেখে পড়েছি দ্বিধায় ।  ============   ঠিকানা:- শিলচর, আসাম

ঝরা পাতা ।। নিবেদিতা দে

ছবি
 ঝরা পাতা   নিবেদিতা দে  খুব জানতে ইচ্ছে করে, তোর পছন্দের রং ধূসরের উর্দ্ধে গেল কিনা, নীল আর কালোর নিকষ অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে, জগতটাকে দেখে তোর পছন্দ হলো কিনা। খুব জানতে ইচ্ছে করে, তোর বদলে যাওয়া স্বভাবগুলো আর পরনের সুরগুলোর কথা। জানতে ইচ্ছে করে, আসা-যাওয়ার মাঝে তোর মনে দাগ কেটে যাওয়া উড়ো মেঘগুলোর কথা। জানতে ইচ্ছে করে, তোর দক্ষিনা বাতাস আর বৃষ্টির গন্ধ মাখা চিঠিপত্র পাঠায় কিনা। শীতের ঝরা পাতাগুলো কি নিয়েছে তোর খোঁজ? ভোরবেলার পাখিগুলো কি তোকে আর জিজ্ঞেস করে, ঠিক কতটা একাকিত্ব পোহালো? ================ নাম: নিবেদিতা দে  বিহু, শরৎপল্লী, নিবেদিতাপল্লী,গোলাপবাগ পূর্ব বর্ধমান।

গল্প ।। কর্কট-ক্রান্তি ।। সুশান্ত পাত্র

ছবি
কর্কট-ক্রান্তি  সুশান্ত পাত্র     বর্ষাকাল বিশেষ পছন্দের নয় গোকুলের। এই সময়টাতে তাকে অনেকগুলো অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। যখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি ধারা নেমে আসে, তার ঘরের খড়ের চাল ভেদ করে ঝরঝর করে জল পড়তে থাকে। উঠোন জুড়ে খেলা করে সোনা ব্যাঙ, বিছে, ইঁদুর, কেন্নোরা। নদীর জলে ভাঁটা প্রায় নামতেই চায় না, ফলে উপার্জন বন্ধ হয়ে আসে। পেটে টান ধরে। কাজকর্ম থাকে না। সেঁতিয়ে ওঠা মাটির দাওয়ায় বসে তখন সে কেবল তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে।      দুদিন অবিরাম বৃষ্টির পর আজ একটু ধরণ দিয়েছে দেখে সকালবেলাতেই পান্তা খেয়ে কাজে বেরোচ্ছিল গোকুল। দুদিন বসে বসে কাটল। আজ না বেরোলে সংসারের চাকা ঘুরবে না। বারান্দার বেড়ার গায়ে ঝোলানো থাকে একটা লোহার শিক, তার পাশেই নাইলনের ব্যাগ। জিনিস দুটো নিয়ে বেরোবার মুখে যমুনা ডাকল।  — কিছু তো বললে না। কি ভাবলে?      গোকুল আকাশ দেখছিল মুখ উঁচু করে। আবার ঢালবে কিনা তাই বোঝার চেষ্টা করছিল। যমুনার কথা কানে গেলেও মনে গেল না।      সে আলগোছে বলল, কিসের কি ভাবব?      যমুনা খানিকটা হতাশ হয়ে বলল, কালই তো বললাম। দুলির ব্যাপারে কি করবে?      গোকুলের মনে পড়ে গেল। দুলি মানে দোলন, ত

ডাকবাক্সে তোমার চিঠি ।। গোলাপ মাহমুদ সৌরভ

ছবি
ডাকবাক্সে তোমার চিঠি   গোলাপ মাহমুদ সৌরভ  আজও আমি প্রতিনিয়ত অপেক্ষায় থাকি হলুদ খামে প্রিয়তমার চিঠি আসবে বলে,  ডাকহরকরা আমার দরজা কড়া নাড়বে, চিঠিটা দেখে আনন্দে মনটা ভরে যাবে অধিক আগ্রহ নিয়ে বারংবার পড়বো,  কবে,কখন যে আসবে প্রিয়তমার চিঠি  প্রশান্তির দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে চিঠি পড়বো।  একাকী বিষন্ন মনটা একটু স্বস্তি পাবে তুমি হীন নিজেকে বড়ই একা মনে হয়,  ফেরারি এই মনটা তোমারই কথা কয়।  অভিমানে না-হয় নিজেকে দূরে সরে রেখেছো বিনিময়ে কষ্ট ছাড়া বলো কি পেয়েছো?  অজান্তে একবার স্মৃতির ডাইরিটা খুলে দেখো একটি ভুলের জন্য কতোদিন হারিয়ে গেছে,  আমি প্রতিদিন ডাকবাক্সে তোমার চিঠি খুঁজি  অবশেষে ক্লান্ত হয়ে ভাবি আজও এলোনা বুঝি! ============

কবিতা ।। বদল ।। কার্ত্তিক‌ মণ্ডল

ছবি
                   বদল      কার্ত্তিক‌ মণ্ডল   বদলে গেলাম আমি তুমি,বদলাল হালচাল   দেখেছি আবার বদলে মানুষ তিলকে করে তাল‌ পোশাক আশাক বদলে গেছে বদলাল বাক্‌ ভাষা গাড়ি বাড়ি বা চলন বলন,মনের যত উচ্চাশা। চারদিকটা লাগছে ফাঁকা বদলাল গাছ ভূমি বদলে গেল মাছ মাংস দূষণ চাষের জমি সুউচ্চ সব অট্টলিকা ,নেইকো মাটির ঘর আগের মত কেউ মিশে না, শুষ্ক যে অন্তর দোয়েল কোয়েল নেইকো আর দেখিনা ঘুঘু টিয়া ভাবলে মনে তুফান আসে যায়রে‌ ভেঙে হিয়া বাপও ছেলে আলাদা রয়,দেখাদেখি নেই কার‌ও সবার মন পাষাণ যেন, ভুলে গেছে কথা মার‌ও ভাই বন্ধু আর কেউ বলে না,প্রেম তো মরীচিকা চোখের সামনে দেখছি রে প্রেম,বন্ধনহীন ফিকা‌ উদার প্রীতি মানবিকতার সূত্র গেছে ছিঁড়ে মানুষ এখন হারিয়ে গেছে অমানুষের ভীড়ে । ===========  

কবিতা ।। সৃজণ মনন ।। তপন মাইতি

ছবি
সৃজণ মনন  তপন মাইতি সৃষ্টি থেকে সবুজ মনন সৃজণ  বায়ুমণ্ডল নির্মল হলে পরে  পৃথিবী রাখবে ধরে শ্রীজন  বাড়লে বিপদ দুর্যোগ তুফান ঝড়ে।  একটি সংগ্রাম সবুজায়ন করে  নদীবাঁধে উঁচু করলে মাটি  মেরু গলন রুখে সৃজণ গড়ে  সবুজ যত্নে বৃক্ষ পরিপাটি।  একটি লড়াই বিপ্লব সচেতনে  মানুষ নিজের সামাজিকবোধ দেবে  সার্বিক পৃথিবী আদর যতনে  মুক্ত জীবন নিঃশ্বাস নেবে।  ভালবাসতে জানলে তুমি পারবে  অরণ্য যে বাঁচতে শেখায় লড়াই  যেদিন জীবন জগত তুমি ছাড়বে  দিয়ে যাবে সমান উতরাই চড়াই। বৃক্ষ হয়ে বৃক্ষের কাছে দাঁড়াও  কাছের মানুষ নিজের হয়ে দাঁড়াও।  ================   নামঃ তপন মাইতি ঠিকানাঃ গ্রামঃ পশ্চিম দেবীপুর; পোঃ দেবীপুর; থানাঃ মৈপীঠ কোস্টাল; জেলাঃ দঃ২৪ পরগণা; পিন-৭৪৩৩৮৩; পশ্চিমবঙ্গ। ভারতবর্ষ  ।

কবিতা ।। তন্ময় দাস

ছবি
   চল না ; ফিরে যাই তন্ময় দাস               আহ্ রে,-                এই ব‍্যস্ত জীবন-  একটু থমকে দাড়া। আর চাই না যেতে দুর পথ_  আবার ফিরে চল শৈশবের পথে। যে পথে চল্লে মানুষ কিছু বলে না_ দু হাত তুলে নাচা যায় - বন, বাদারে। সকাল, দুপুর,সন্ধার ধূলো মাখা ধূসর পথে। যেখানে চিন্তা নেই, ক্রোধ নেয়, ভয় নেই, হিংসা নেই _ জীবনরে চল না - একটু ওই ফেলে আসা পথে। একটু ছুয়ে আসি তারে। যেমন শরৎ- শিশীর বিন্দুরে ছোঁয়, তেমনি_ যেমনি বুড়ো ঈগলের ঝড়া পালক গজায় ; তেমনি_ চল না একটু ;সেই পথ হতে_ গোধুলি এখন,সূর্য ডোবার পথে। ঘুরে আসি হাত ধরে - ছোট্ট বেলার বন্ধুর সাথ ধরে। একটু খেলে আসি,, লুকোচুরি, গোলা পাক, পাতা ছেঁড়া। লুকিয়ে  আসি; চুরি করা আম, লেচুর থোকা। বকুনিটি খেয়ে  আসি মায়ের। চল না রে মন_  একটু নেচে আসি প্রজাপ্রতির মতন। ফিঙের মতন, বুলবুলির লেজটি নাড়ানোর মতন। ব‍্যস্ত জীবন, বরই ব‍্যাকুল_ চল ফিরে যাই _ আরেক, বারেক বার।                      _________ নাম- তন্ময় দাস জেলা - জলপাইগুরি পশ্চিম বঙ্গ

ছড়া ।। ভোরের পাখি ।। মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

ছবি
ভোরের পাখি  মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান রোজ সকালে গাছের ডালে পাখপাখালির ডাকে,  খোকা খুকুর ঘুম ভেঙে যায় খোঁজে তারা মা'কে।  দোয়েল কোয়েল ময়না শালিক  হরেক রকম পাখি,  গানে গানে প্রভাত আনে  সুরুজ খোলে আঁখি।  কোকিল ডাকে আপন তালে  কুহু কুহু সুরে,  বউ-কথা-কও ডাকে পাখি  অল্প কিছু দুরে ।  চড়ুই পাখির কিচির-মিচির  বাংলা ঘরের চালে,  টুনটুনি তাই  মনের সুখে  নাছে ডালে ডালে ।  **************     মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান  দশানী, বাগেরহাট 

কবিতা ।। সুশান্ত সেন

ছবি
  কথা ও সুখ সুশান্ত সেন   কোনো একটা সাধারণ কথা নিয়ে  আগ বাড়িয়ে আগ বাড়িয়ে অনেক দূর চলে যাবার পর দেখা যাবে এতক্ষণ যা কিছু কথা হলো  সে সব কথার কোনো মানে নেই। আর অর্থহীন কথা ছাড়া সারাদিন ত এত কথা বলা যায় না। স্বচ্ছ জলের মধ্যে সাঁতারের মত আর কি বা সুখ আছে - অথচ আমি জানি আমি সাঁতার জানি না। সাধারণ কথা আর সাঁতারের থেকে দূরে চলে গিয়ে ছিপ ফেলি মানস সাগরে - সেই যেন নিয়ে এলো সুখ । ============ সুশান্ত সেন ৩২বি , শরৎ বসু রোড কলিকাতা ৭০০০২০

কবিতা ।। পরিণতি ।। চন্দন দাশগুপ্ত

ছবি
  পরিণতি চন্দন দাশগুপ্ত  টিলা -ঢিবি ছিল বটে সে-দেশে কিছু, আর ছিল অজস্র গাছ, ফুল আর পাখি ছিল অগুন্তি, খোলা আকাশের বুকে ছিল মেঘ, ঠান্ডা বাতাসে ছিল ফুলের সুবাস। তারপর একদিন শুরু হল গাছ কাটা, ওরা নির্মম....ওদের হাতে আছে কুঠার, ওরা নাকি করবে "উন্নয়ন", মাটির পথকে ওরা করল পিচঢালা পাকা রাস্তা, সেখানে চলল গাড়ি আর বাইকের মিছিল, কারখানার ধোঁয়াতে ঢেকে গেল বাতাস, ঘোলাটে আকাশে মুখ ঢাকলো সমস্ত তারা-নক্ষত্র, ঠান্ডা বাতাস পালিয়ে বাঁচল, এসে গেল লু, আদুল গায়ের সরল মানুষগুলোর জায়গা নিলো, সুটেড বুটেড কিছু "সভ্য" মানুষের দল, ওরা এক পা হাঁটতে পারেনা, তাই চড়ে বাইক, তার দূষণের ঠেলায় তারা নিজেরাই নাজেহাল,  টিলা ঢিবিগুলো আজ আর নেই সে-দেশে, আর, ফুল-পাখি-প্রজাপতি ,,,,,,,,? ওরা সবাই আজ চলে গেছে না-ফেরার-দেশে। ================= চন্দন দাশগুপ্ত  সি/৩০/১, রামকৃষ্ণ উপনিবেশ,  রিজেন্ট এস্টেট,  কলকাতা--৭০০০৯২  

কবিতা ।। ঋণশোধ ।। সবুজ জানা

ছবি
  ঋণশোধ সবুজ জানা বাজারে গোপন দাঁদন ইহকাল ও পরকালের বোঝা  এখন মৃত্যু হলে আমি ঋণী থেকে যাব আপাদ মস্তক কোন এক শাইলকের কাছে। এই মরলোকের ঋণশোধ নিয়ে আমি কিন্তু দু:শ্চিন্তায়! আমার ঠাকুরমা বলতেন, কাঁধ থেকে ঋণের বোঝা নামাও  গঙ্গা স্নান সারবে....  অন্যথায়  ঋণশোধ পরজন্মেরও দায় মানুষ কিংবা পশু হয়ে! ভালবাসায় সুদ, আসল বা লভ্যাংশ আছে কিনা জানি না তবুও ভালবেসে ঋণী করে যাও তুমি আমায় প্রতিনিয়ত। ভাবছি এ বোঝা নামিয়ে দেব কাঁধ থেকে শাপমোচন! ওগো সই তবুও পারছি কই।  ============ সবুজ জানা পাঁশকুড়া পূর্ব মেদিনীপুর 

কবিতা।। তোমার প্রতি ।। তপন মাইতি

ছবি
  তোমার প্রতি  তপন মাইতি যখন তোমায় বলতে যাব  তখন তুমি ভিড়ে  বলব বলব করে কি আর  পাখি গেল নীড়ে।  যখন তোমায় বলব ভাবি  কেমন যেন মগ্ন  হৃদয় যেন অন্য কারোর  আসছে শুভলগ্ন।  শুরু করা গেলে ভাবতাম  কিছু একটা হবে  বলব বলব বলি করে  পাখি উড়ল কবে? এখন যদি একটু বোঝ  তোমার জন্যে এমন  ভালবাসি ভাবলে যেন  ভাল লাগে কেমন... ============= নামঃ তপন মাইতি ঠিকানাঃ গ্রামঃ পশ্চিম দেবীপুর; পোঃ দেবীপুর; থানাঃ মৈপীঠ কোস্টাল; জেলাঃ দঃ ২৪ পরগণা; পিন-৭৪৩৩৮৩; পশ্চিমবঙ্গ। ভারতবর্ষ। 

কবিতা ।। হিসেব ।। প্রতীক মিত্র

ছবি
  হিসেব প্রতীক মিত্র সবাই বহালতবিয়তে আছে। জানলায় শৌখিন পর্দা। মোবাইলে হিন্দি গান। অবসর সমান সমান গাছের পাতায় গরম হাওয়ার দোলা। শেয়ার বাজার, জমির দালালি, বিছানার কুঁচকে থাকা চাদরে ভালোবাসা। নেতাদের চুরি, ধড়পাকড়, স্ফটিক জারে মাছেদের জলের বুদবুদ গেলা। ঘরে আকছার অনধিকার প্রবেশকারী  পাড়ার বিচ্ছু বেড়ালটা আগাছার ঝোপের কাছে হাঁচে। দিনযাপনের পাতার একের পর এক উলটে যাওয়া মুহুর্তগুলোর কখনও শর্ত কখনও শর্ত ছাড়া আঁকড়ে ধরে আঠা হয়ে কিম্বা ছেড়ে দেওয়া যেন বাদামের খোলা। আর যদি বা কিছু বাকি থাকার থাক… সবাই তো দেখছি বহালতবিয়তেই আছে। ============== প্রতীক মিত্র কোন্নগর-712235, পশ্চিমবঙ্গ

কবিতা ।। আশিস ভট্টাচার্য্য

ছবি
অহল্যার চোখে ঘুম নেই আশিস ভট্টাচার্য্য স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়  অবৈধ সম্পর্ক সুখ দেয় আরাম দেয়  কিন্তু শান্তি কেড়ে নেয় কেড়ে নেয় চোখের ঘুম। উদাসীন স্বামী তাকে তৃপ্তি দিতে ‌ অক্ষম তাই অহল্যা হাজার বিনিদ্র রাতের ছটফটানি ভুলে ইন্দ্রের কাছে সতীত্ব বিসর্জন দিতে এক মুহূর্ত দ্বিধা করেননি। ইন্দ্রের শরীরে কি জাদু আছে অহল্যার মস্তিষ্কে, শরীরে হাজার সঙ্গীতের সুর বেজেছিল, লম্পট ইন্দ্রের চম্পট দিতে এক লহমা বিলম্ব হয়নি। উদাসীন ঋষির ক্রুদ্ধ শাসনের সামনে চঞ্চলা হরিণীর মত ভীত , স্তম্ভিত অহল্যা ত্রিভুবন শান্তির ঘুমে মগ্ন তার চোখে নেই। =================   আশিস ভট্টাচার্য্য রামকানাই গোস্বামী রোড শান্তিপুর নদীয়া -৭৪১৪০৪

কবিতা ।। সান্ত্বনা চ্যাটার্জি

ছবি
ঠিকানা সান্ত্বনা চ্যাটার্জি  আমি ছিলাম সপ্তদশী তখন ফাগুন মাস, আকাশ জুরে রঙের মেলা ,স্বপ্ন ভরা চোখে; দেখে ছিলাম তোকে। মেঘের ভেলায় শিশু রবি আগুন বরণ কায়া , তারই মাঝে দেখেছি তোর ছায়া । একটি দশক পরে .. তুই এলি আমার ঘরে ; আমার জীবন আলো করে । তোর তো সবই ছিল.. আমি কিছুই রাখিনি বাকি; তুই ছেড়ে কেন গেলি আমায় , ,জীবন জুরে আঁধার । গ্রহন লেগে সুর্য যেমন আকাশ কে দেয় ফাঁকি মাঘের শীতের সায়াহ্নে আজ শুকনো চোখে চাই- শুস্ক নদী ,ধুধু প্রান্তর, শুধু বালিয়ারি পাই । তুই আছিস কোথায় জানি ; তোর প্রার্থীব ঠিকানা টা; নাইবা দিলি আর -স্বপ্ন ভাঙ্গা হৃদয় মনে নেই তার দরকার ।                          ****** সান্ত্বনা চ্যাটার্জি A166 Lake Gardens Kolkata 700045

কবিতা ।। বিজ্ঞানে রই, অপবিজ্ঞানে নয় ।। শুভ্রা ভট্টাচার্য

ছবি
বিজ্ঞানে রই,অপবিজ্ঞানে নয় শুভ্রা ভট্টাচার্য বিজ্ঞান কথাটির মূলগত অর্থ "বিশেষ জ্ঞান" যাহার সাথে জড়িত রয় জৈব অজৈব প্রাণ, পরীক্ষা নিরীক্ষা সিদ্ধান্ত তাহার তিনটি ধাপ হাতে কলমে জ্ঞান অর্জনে চাই বুদ্ধির ছাপ। এ বিশ্ব ব্রম্ভান্ড প্রকৃতি মাঝে লুকিয়ে বিজ্ঞান  পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সঠিক ব্যবহারে শিক্ষার মান, অজানাকে জানাতে প্রকৃতির রহস্য উদঘাটন  তারই মাঝে অপবিজ্ঞানের টানে ছোটে মন। অজ্ঞানতার আঁধারে বিজ্ঞানের অপব্যবহার অন্ধ বিশ্বাস আর অনুকরণে মেকি আধুনিক, যদিও মোরা কুসংস্কারের সঙ্কীর্ণ বেড়াজালে অনুদার চিন্তায় মনে ব্যাকডেটেড পৌরাণিক। অন্যায়াসক্ত অপরাধী মন সদা ভীত ত্রস্ত  মানসিক দুর্বলতায় ভ্রান্ত সংস্কারে আচ্ছন্ন, মসৃণ জীবনধারার মূল সত্য ও লক্ষ্য ভুলে  উদারতা মানবিকতা হতে অন্তর বিচ্ছিন্ন। অদৃষ্টবাদ অসঙ্গত ভীতি আতঙ্ক হতেই যত আদিকালে অবৈজ্ঞানিক কুসংস্কারের জন্ম, রন্ধ্রেরন্ধ্রে আষ্ঠেপৃষ্টে বাঁধা সংকীর্ণতা হতে না জানি কেমনে বাঁচবে আমাদের প্রজন্ম! বিলাসযাপনে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ভোগবাদ তবুও মনেতে একরাশ শুন্যতার হাহাকার, তাই আপাতত আনন্দ সুখ শান্তির খোঁজে  তাবিজ কবজ আর পাথরের জয়জয়কার। অযৌক্তিক

গল্প।। মায়ের স্বপ্নভঙ্গ ।। মিঠুন মুখার্জী

ছবি
                  মায়ের  স্বপ্নভঙ্গ                         মিঠুন মুখার্জী  সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ছোট্ট আফরিনা তার মাকে বলে--- "মা, আমরা কি দেশে ফিরতে পারবো না!! আমার স্বপ্ন কি পূরণ হবে না?" মা খাদিজা বিবি কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন--- "এই পরিস্থিতিতে কিভাবে যে মাতৃভূমিতে ফিরে যাব, কে জানে। দেশে তোর বাবার ও দিদির চোখের জলে দিন কাটছে।" খাদিজা বিবির মাতৃভূমি হল ভারতবর্ষ। কলকাতার পার্ক সার্কাসের একটা বস্তিতে মোহাম্মদ সালেম তার বউ খাদিজা বিবি ও দুই মেয়ে আফরিনা ও কারিনাকে নিয়ে একপ্রকার সুখেই বাস করতেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে খুলনা জেলায় ভাইয়ের বাড়িতে বড় মেয়ে করিনার বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিলেন তারা। তাছাড়া অনেকদিন ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। দেশভাগের সময় ভাই আবু হোসেন পূর্ব পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। তারও জন্মস্থান কলকাতা। সপ্তাহখানেক পর মোহাম্মদ সালেম বড় মেয়ে কারিনাকে নিয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন। সপ্তাহ দুই পরে খাদিজা বিবি ও আফরিনাকে বর্ডার পার করে দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালেমের বড় শালা আবু হোসেন। খাদিজার দাদার খুলনা জ

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪