পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

মুক্তগদ্য ।। বলিদান ।। দীননাথ চক্রবর্তী

ছবি
         বলিদান দীননাথ চক্রবর্তী বলিদান এর মধ্যে ভীষণভাবে থাকে ভোরের রাঙা সূর্যের ভাবনা। এই ভাবনায় জারিত নব প্রাণ -এর ভ্রূণ। এক কথায় কোন মহৎ উদ্দেশ্যকে গড়ে তোলা। কোন কিছু গড়ে তোলার জন্য দরকার তিনটি জিনিসের। এক ভাবনা। ভাবনা প্রাণ পায় বিশ্বাসে। আর বিশ্বাস প্রাণ পায় প্রত্যয় থেকে। তবেই একটা জিনিস গড়ে ওঠে। আগস্ট মাস সেই ভাবনার মাস। বিশ্বাস প্রত্যয় এর মাস। আগস্ট মাস স্বাধীনতার মাস। জীবনে স্বাধীনতার মত পরম সঙ্গী কিছু হতে পারে না।  সেই স্বাধীনতা লালিত পালিত হয় জন্মভূমিতে। সেই জন্মভূমির শৃঙ্খলে লংঘিত হয় স্বাধীনতা। জীবন তখন মরনেরই নামান্তর। সেই জন্মভূমি শুধুমাত্র ভৌগলিকতায় সীমাবদ্ধ নয়। সমাজও সেই স্বাধীনতার ক্ষেত্র। মনের স্বাধীনতা না থাকলে পূর্ণতা পায় না সে স্বাধীনতা। বীর শহীদদের বলিদান তখন অর্থহীন হয়ে পড়ে। আজকে যেন তারই ইঙ্গিত। সকলকে বুঝতে হবে স্বাধীনতা মানে শুধু অধিকার নয়, কর্তব্যও। ====================== দীননাথ চক্রবর্তী কল্যাণীকুঞ্জ গ্রাম ও পোষ্ট, দুইলা, জেলা, হাওড়া সূচক,711302

মুক্তগদ্য ।। অগ্নিকন্যা ।। সুচন্দ্রা বসু

ছবি
অগ্নিকন্যা সুচন্দ্রা বসু    দুধ আনতে বেরিয়েছিলাম সকালে। শুনলাম আজ স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর উপলক্ষ্যে স্বদেশী গান বাজছে মাইকে। তা ছাপিয়ে এক অদৃশ্য স্বর এসে কানে ধাক্কা দিল। শুনলাম গান্ধীজী যেন কাকে ডেকে বললেন, কোথায় গেলি কমলা? লবণ আন্দোলনে আমার সঙ্গে ছিলি তোকে কি ভুলতে পারি? তাকিয়ে দেখলাম নেতাজীও গান্ধীর পেছনে চলেছেন । দেশবাসী জানে ব্রিটিশ পরাধীনতার শিকল ভাঙতে তোমার নেতৃত্বে, 'আইন অমান্য' ও 'অসহযোগ আন্দোলন'- 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের ঢেউ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে। কথাগুলো কানে যেতে মুখ ঘুরিয়ে গান্ধী বিস্মিত, সুভাষ তুমি?  আপনাকেই খুঁজছি বাপু।  জানতে চাইছিলাম  যেসব সংগ্রামী জনগণ দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিল, যাদের তাজা রক্তে ভারত স্বাধীন হয়েছে,তাদের কথা কি মানুষ  মনে রেখেছে?  এইদিনে কমলাকেও শ্রদ্ধা জানানোর কথা দেশবাসীকে বলতেই তো রেড রোডের দিকে যাচ্ছিলাম।  বাবা সরকারি আমলা হলেও,মা গিরিজাবাই  ছিলেন  স্বাধীনচেতা মহিলা। মায়ের আদর্শে কমলা উদ্বুদ্ধ ।  বাড়িতে আনাগোনা ছিল মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, গোপাল কৃষ্ণ গোখলে, অ্যানি বেসান্ত, রামাবাই রানাডের মতো স্বাধীনতা সংগ

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। অনিন্দ্য পাল

ছবি
স্বাধীনতা  অনিন্দ্য পাল  এক.  স্বাধীনতা  এনার বয়স এক এক দেশে এক এক রকম  ভারতে মাত্র পঁচাত্তর কি ছিয়াত্তর  পৃথিবীর বয়স যদি নাও ধরি  মানুষের বয়সের তুলনায় ইনি নিতান্তই  শিশু  এখনো প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় নি  ভাষা শিক্ষাও হয় নি এখনো পুরোপুরি  তবে ইতিমধ্যেই ইনি যেটা খুব ভালো শিখেছেন  সেটাকে ফুটপাতের ভাষায় বলে বাজার  এই দেশে এখন বাজার হয়েছে দেবতা  তার লাল চোখে ভয় পায় রাজা এবং প্রজা  কী বললেন?  রাজা নেই?  প্রজাও নেই?  কে বলে?   দিব্বি আছে রাজা  প্রজারাও আছে বেশ  অলিতে গলিতে মাঠে ঘাটে নগরে বন্দরে  কাগজে টিভিতে আছে কালো চুল বা পক্ককেশ  রাজারা আছেন সভায়, ভবনে এবং চেয়ারে  রাজাদের নাম লেখা থাকে অনেক উঁচুতে যত্নে এবং কেয়ারে  মঞ্চ আলো করে এসে বসেন সম্রাট  কত প্রজা আছে তাঁর সীমানায় গুনে নেন রাজপাট  তবে বলতে পারো মুকুটের দিন শেষ  বলতে পারো প্রজাদের গলাটা একটু উঁচু এখন  জিরাফের মত না হলেও পৌঁছে যাচ্ছে  কুর্সির হাঁটুর কাছে,  কিন্তু ব্যস্ ওটুকুই,  কুর্সির উপরে যারা চড়ে বসেছে একবার  তাদের গোপন হাতে কাটারির ধার  এদের কারো কারো আবার সহস্র হাত  কোনো হাতে ফুল কোনো হাতে কাটা মুণ্ডুর চুল  আসলে সবাই তো স্বাধ

কবিতা ।। আগস্ট এলেই ।। বদরুল বোরহান

ছবি
আগস্ট এলেই বদরুল বোরহান  আগস্ট এলেই বুকের ভেতর কষ্ট জেগে ওঠে,  চোখ দুটোতে অস্বাভাবিক অশ্রুধারা ছোটে। কষ্টগুলো এলোমেলো এবং আড়াআড়ি,  বুকের ভেতর সন্ধ্যে-সকাল করে বাড়াবাড়ি।  আগস্ট এলেই বুকের ক্ষতে কান্না জেগে ওঠে,  তখন আমার হুঁশ থাকে না, জ্ঞান থাকে না মোটে। আমি তখন যাই হারিয়ে হাজার স্মৃতির ভীড়ে, স্মৃতির পাতায় দুখ জাগানি ব্যাথার বাঁধন ছিঁড়ে। আগস্ট মাসে অজানা এক অনুভূতি এসে, আমার সকল চিন্তাধারা একদিকে যায় ভেসে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি,  উদাস বাউল এই আমাকে বানায় শিল্পী, কবি।                      ---------------------- বদরুল বোরহান  ফ্ল্যাট নং-৬০২, বিল্ডিং নং-১  জাপান গার্ডেন সিটি  আদাবর, মোহাম্মদপুর। ঢাকা-১২০৭

কবিতা ।। স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় ।। দেবযানী পাল

ছবি
স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় দেবযানী পাল স্বাধীনতা শব্দটায় একটা উন্মাদানা আছে যা আমাদের প্রাণ স্পন্দন আরও বাড়িয়ে দেয়। ২০০ বছরের অভিশাপগ্রস্থ পরাধীনতার হাত থেকে যেদিন আমরা মুক্তি পাই ইংরেজদের শাসন কোলাহল থেকে, ভেবেছিলাম আমরা এবার বোধহয় স্বর্গরাজ্যে বাস করব, এমন অদ্ভুত অনুভূতি আমাদের ভারতবর্ষের প্রত্যেকের মনে জাগ্রত হয়েছিল। কিন্তু হায়রে স্বাধীনতা, যা আজ লোহার বেষ্টনীর মতন আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। স্বাধীনতার কপটতায় আজ চোর সাধু, মেয়ে পুরুষের পাশ্চাত্যের ঔদ্ধত্য উগ্রতা আজকে বল্গাহীন, আজ মাতৃভাষা সাবেকি, যেখানে ইংরেজি ভাষা যুগান্তর সৃষ্টি করেছে। হে আমার ভারত মা,তোমার কি এটাই কাম্য ছিল নাকি পরাধীনতার শৃংখল সেটা তবু অনেক ভাল ছিল? বিপ্লব বিপ্লবীদের ইতিহাস আজ বইয়ের পাতায় যা শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতায় নম্বর আদান প্রদান করে। ধর্ষণ, খুন,রাহাজানি,রাজনৈতিক হিংসা আজ ভারতের মাটিকে কালিমা লিপ্ত করেছে। হে ভারত মা, পরাধীনতার আঁচলের নিচে তবু তো তোমার নিজস্বতা ছিল ওই দেশপ্রেম, আজ স্বাধীনতার তীব্র যাতনায় তুমিও ওই স্বাধীনতা সংগ্রামীর মতো বলো, ইংরেজের চাবুকটাই ঠিক ছিল। এ কোন্ সকাল রাতে

অণুগল্প ।। তরাস ।। চন্দন মিত্র

ছবি
তরাস চন্দন মিত্র ভোট শেষ হয়েছে। গণনাও শেষ। গতকাল ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারি যথারীতি খুলে গেছে। ট্রেন থেকে নেমে অটো-ড্রাইভারের বামপাশের সিটে বসে প্রতিদিনের মতো বাঁদিকের দৃশ্য দেখতে দেখতে যাচ্ছি। একজন যাত্রী হাত দেখালে গাড়ি থেমে যায় । ছাড়ার আগেই   এক বন্ধ দোকানের দরজায় একটি নিরুদ্দিষ্ট বিজ্ঞাপনে চোখ পড়ে — একটি কিশোরীর ছবি। কিছুক্ষণ পরে আবারও গাড়ি থামে এক যুবক নেমে যায়। সেই ফাঁকে আমার চোখ টেনে নেয়   ল্যাম্পপোস্টে সাঁটানো আর একটি নিরুদ্দিষ্ট বিজ্ঞাপন; পাশাপাশি একটি বালক ও একটি যুবকের ছবি। অফিসের স্টপেজে নেমে পড়লাম। যে দোকানে প্রতিদিন চা খাই, সেই দোকানের দেয়ালেও দেখি এক দম্পতির ছবি সম্বলিত একটি বিজ্ঞাপন । সব বিজ্ঞাপনগুলি বেশ স্পষ্ট ঝকঝকে সম্ভবত গতকাল সন্ধ্যায় অথবা আজ সকালে সাঁটানো হয়েছে। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক আমি , চা হাতে নিয়ে একটি সিগারেট ধরিয়ে ফেলি। যতদূর মনে পড়ে বিগত বছর দশেক আমি সিগারেট ছুঁইনি। ================ চন্দন মিত্র ভগবানপুর (হরিণডাঙা) ডায়মন্ড হারবার , দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।

কবিতা ।। জলবাতাস ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

ছবি
জলবাতাস অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় একটা দৃশ্যমান রেখা তার ওপর এখন কাঁটাতার প্রায় শতবর্ষের কাছে কাঁটাতারের এদিকে... সেই কবে ফেলে আসা ভূমিখণ্ড তবুও হৃদয়ের ওপর কখনও কখনও রেখাচিত্র পাবনা কলোনি রোড় এঁকে বেঁকে চলে গেছে চাকদহ থেকে পায়রাডাঙা... সেই কবে ছেড়ে আাসা পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া... এরকম বহু জন পথ তবুও পিঠের ওপর এক যন্ত্রণা হেঁটে যেতে যেতে দোকানের সাইন বোর্ড দেখে আর বিড় বিড় করে উচ্চারণ করে রাস্তার নাম তখন পুরোনো ভূমিতল থেকে উড়ে আসে এক টুকরো মেঘ ও জলবাতাস... ======================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০  

কবিতা ।। স্বাধীনতা তুমি কার ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
স্বাধীনতা তুমি কার হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতা তুমি কার রাস্তা যেমন কারো বাবার নয় প্রতিবাদও তেমন কারো একার নয়,  স্বাধীকার, স্বাধীনতা তাহলে  তুমি কার ছাব্বিশে জানুয়ারী  নাকি পনেরই আগষ্টের তেরঙ্গা পতাকার  ভালবাসার সাথে দলবেঁধে গুন্ডামির কোনও স্থান  থাকা উচিত নয় আপনি আপনার মতো প্রতিবাদ করুন সত্যের পক্ষে ন্যায়ের পক্ষে মানবতার পক্ষে কথা বললে আপনার পিছনে বাউন্সার লেলিয়ে দেবে এতো শুধু একালের নয় সর্বকালেই ছিল দ্য ভিঞ্চি অথবা গ্যালিলিওকে কি না করেছিল... আহা স্বাধীনতা তুমি বিনয় বাদল  ক্ষুদিরাম  তুমি  সুভাষ  বোসের  স্বাধীনতা তুমি বীর শহিদের গোলাপে যদি কাজ না হয় রাইফেল তুলতে হতে পারে হাতে, ভিয়েতনাম কিম্বা কম্বোডিয়া কিউবা কিম্বা তিউনিসিয়া নিয়ে কথা হতে পারে কিন্তু যখনি হাঁসখালি কিম্বা ফুলবাগান নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ জৈন খ্রীষ্টান তখন এক বাড়ির দেওয়ালে বড় বড় করে লিখে দিয়ে যাবে ...এসব চলবে না... তখন, তখন স্বাধীনতা তুমি কার  একশ পঞ্চাশ কেস , তিনশ পঞ্চাশটা আইনভঙ্গ সাতশ তিরিশটা দুর্ব্যবহার ...বন্ধুবান্ধব সব একে একে কেটে পড়বে ...আরবি ফার্সি বা উর্দ্দু শেখার দরকার নেই ....তবু মানুষ প্রতিবাদ করবে আর

কবিতা ।। শব্দ ওঠে ।। সুমিত মোদক

ছবি
শব্দ ওঠে সুমিত মোদক আকাশের নাম দিয়ে ছিলাম হৃদয় ; আর বাতাসের নাম সুখ ; অথচ , মাটির কোনও নাম দেওয়া হয়নি ; কারণ , মাটি যে আমার মা … আকাশে এখন গভীর কালো মেঘ ; বাতাসে এখন কেবল মৌনতা … স্রোতের বিপরীতে হাল টানে নৌকার মাঝি , পথ চেয়ে বসে আছে মা … পাড়া-গাঁয়ে এখনও অন্ধকার ; অথচ , তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালে আটপৌরে বউ ; মরদ যে তার মিছিলে মিছিলে হাঁটে … দাওয়ায় বসে কে যেন পড়ছে সম্রাট অশোকের ইতিহাস , ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ … আমি যে কেবল পথিকের সঙ্গে হাঁটি  যুগ থেকে যুগান্তরের পথে ; সারা শরীরে সোঁদা মাটির গন্ধ … হঠাৎ করে ঝড়ের পূর্বাভাস ; উড়ন্ত পাখিরা আশ্রয় টুকু খুঁজে নিতে চায় ; আমার মা আকাশে ওড়ায় পতাকা ; সেখানেও শব্দ ওঠে – পতপত…পতপত …

ছড়া ।। স্বাধীনতা ।। বিদ্যুৎ মিশ্র

ছবি
স্বাধীনতা  বিদ্যুৎ মিশ্র বীর শহিদের বলিদানে  রক্তে রাঙা পথ ভুলিনি আজ আগুন ছুঁয়ে  নিয়েছি যে শপথ। কতো কতো মাতৃ আঁচল  শূন্য হলো ঘরে বিধবাদের চোখের জলে  ব্যথায় হৃদয় ভরে । পিতৃহারা অবোধ শিশুর  কান্না শুনে লোকে অস্ত্র যখন তুলে নিল  ভুলে নিজের শোকে । প্রতিবাদের মশাল জ্বেলে  স্বাধীনতার জন্য  বলিদানের পর্বে লেখা  বাংলা আমার ধন্য । ================ বিদ্যুৎ মিশ্র কাশীপুর, পুরুলিয়া।

ছড়া ।। স্বাধীনতা দিবস পালন ।। অমরেশ বিশ্বাস

ছবি
স্বাধীনতা দিবস পালন অমরেশ বিশ্বাস  বলবে না কেউ আজকে কারো দুঃখ শোকের কথা মন দিয়ে আজ পালন করো দেশের স্বাধীনতা। বুকের কথা ভুলেও মুখে আনবে না কেউ আজ স্বাধীনতা শুনতে পেলে পাবে খুবই লাজ। স্বাধীনতা এসেছিল  প্রাণের বিনিময়ে  নেই ইংরেজ তবু দেখি মানুষ আছে ভয়ে। নির্বাসনে আছে আজও  কত মুখের হাসি  স্বাধীন দেশে কত মানুষ  কেন ফুটপাথবাসী? কত আশা নির্বিচারে  যায় অকালে ঝরে কত মানুষ পায় না খেতে দুইবেলা পেট ভরে। স্বাধীনতা দিবস পালন  করছি সবাই আজ  পণ কর আমরা ঘোচাব ভারত মাতার লাজ।

ছড়া ।। স্বাধীনতা স্বাধীনতা ।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
স্বাধীনতা! স্বাধীনতা!! গোবিন্দ মোদক   স্বাধীনতা মানে স্ব-অধীনতা, পরাধীনতার মুক্তি, লক্ষ ঝিনুক মাঝে যেমন একটি আসল শুক্তি।   স্বাধীনতা মানে নিজের শাসন, নিজের নিয়ম নীতি, পূর্ণ মনের উৎসাহ ভরা, নেই শোষণের ভীতি।   স্বাধীনতা সেই মহার্ঘ্য যা অনেক কষ্টে পাওয়া, দু'শো বছরের পরাধীনতা শেষে নিজেদের গান গাওয়া।   কতো না আত্মত্যাগে আর রক্তের বিনিময়ে, দেশপ্রেমিক বিপ্লবীরা প্রাণ দেয় শয়ে-শয়ে।   অবশেষে আসে স্বাধীন-সকাল, মুক্ত পাখির গান, আবেগে কবি লিখে ফেলে স্বাধীন দেশের গান।   স্বাধীনতার নবচেতনায় জেগে ওঠে দেশবাসী, স্বাধীন দেশের দেশমাতৃকা হাসেন মধুর হাসি।   মুক্তকণ্ঠে গাও আজ ভাই স্বাধীনতারই গান, দেশপ্রেমের অরুণ আলোয় জাগুক সকল প্রাণ॥ ============================= গোবিন্দ মোদক।  রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ, ভারত,

কবিতা ।। জেগে আছে সময় ।। কাকলী দেব

ছবি
জেগে আছে সময়      কাকলী দেব  উড়ে যাওয়া সময়ের হাত ধরতে চাই  বিফলতার অনুভবে, বসে আছি আজও -- ব্যথাদের গায়ে হাত বোলাই,  মনোনিবেশ সহকারে!  তবু জীবন  কেটে যায়, সময়  কাটে না! সবার জীবনেই একবার তুমি এসে দাঁড়াও  মানুষের ছদ্মবেশ বলে, আমরা চিনতে পারি না! সেই মহার্ঘ্য সময় শেষ হলে, চেতনা জাগে-- তারপর শুধুই খুঁজে ফেরা, সময় দ্রুত ফুরায়, হায়! যে সময়কে জীবন বলে, তার কতটুকুই বা, প্রকৃত নিজের! সহজ সরল আনন্দ  হারিয়ে যায়!                 =========  

কবিতা ।। সেদিন আমরা ।। বদ্রীনাথ পাল

ছবি
সেদিন আমরা বদ্রীনাথ পাল এই স্বাধীনতা চাইনি আমরা রক্তের বিনিময়ে- যেখানে মানুষ রবে চিরকাল অন্ধ ও বোবা হয়ে। স্বার্থান্বেষী মানুষজনেরা শুধু গরীবের বুকে- লাথি মেরে যাবে দিবস রাত্রি স্বার্থসিদ্ধি সুখে। অন্নের মুখ দ্যাখে নাকো যারা অন্ন যোগায় পেটে- স্কুল ছেড়ে কেন সন্তান তার ইটভাটা যায় হেঁটে ? রক্তের হোলি কেন খেলা হয় ধর্ম জিগীর তুলে- বেকার যুবক পড়ে মার খায় সেও বলো কার ভুলে ? যেদিন মানুষ ভরা পেটে রবে-বসন জুটবে গায়ে, দিনের শেষে ফিরে যাবে ঘরে হাসিমুখে পায়ে পায়ে- খুশির প্রদীপ জ্বলবে যখন কারো কারো ভাঙা ঘরে- সেদিন আমরা স্বাধীনতা- গান গাইবো হৃদয় ভরে। ---------------------------------  বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোস্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। আশীষ হাজরা

ছবি
স্বাধীনতা  আশীষ হাজরা ও ফেলানী  ঐ দেখ স্বাধীনতার পতাকা  ঐটা আমার দেশের পতাকা  আমরা এখন স্বাধীন । ও বৌদি, বোঁদে কখন দেবে গো  ছেলেটা আর কথা শুনছে না, ঘরকে যেতে হবেক রান্নার কাঠ নাই  চাল আছে- আনাজ নাই  ঘরে রুগী ওষুধ নাই, কখন শেষ হবেক  তোমাদের স্বাধীনতা।।

কবিতা ।। প্রলয় ।। হামিদুল ইসলাম

ছবি
প্রলয় হামিদুল ইসলাম       খুব সহজেই পেরিয়ে যাই অতলান্ত ভূবন কথার জমিনে গেঁথে রাখি স্বপ্ন দুচোখে মায়া ঘুমঘোর আজও নীরব ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পথের ঈশ্বর   ।। সেজে ওঠে চৌরঙ্গী শাওণে ভেসে যায় রাত তবু বৃষ্টি নেই কতোদিন হৃদয়ের আঙিনায় খাঁ খাঁ শূন্য মাঠ   ।। কথা দিয়ে আঁকি কথার বসত সব কথা হয়ে ওঠে নিষ্ফল আবেদন সব কথা হয়ে ওঠে উদাস দলিত সময়ের বুক চিরে বেরিয়ে আসে ঝড়ের সংকেত   ।। ঝড় ঝড় কথা ঝড় ঝড় যুদ্ধের বার্তা ঝড়ের বুকে প্রলয় আঁকে নিরন্ন মানুষের কান্না    ।। ------------------------------------------------------------------------ হামিদুল ইসলাম গ্রাম +পোষ্ট = কুমারগঞ্জ। জেলা =দক্ষিণ দিনাজপুর।

কবিতা ।। জোনাকি ।। নিরঞ্জন মণ্ডল

ছবি
জোনাকি নিরঞ্জন মণ্ডল যখন সবে হচ্ছে সাকার এই জগতের মায়া চোখের তারায় আঁকছি আকাশ মাটির অমল কায়া ভাবনা জুড়ে দিচ্ছে নাড়া জোয়ার নদীর ঢেউ দেখতে পেলেম নিপাট একা নেইকো পাশে কেউ। বাবা মায়ের সরব ছবি নিটোল হওয়ার আগে 'নেইকো তারা'-এই কথাটাই চেতন জুড়ে জাগে ; এই জগতের দুঃখ খুশির সকল বাঁধন ছিঁড়ে হারিয়ে গেল কোন ইসারায় নিরুদ্দেশের ভিড়ে! শরীর জোড়া যন্ত্রনাতেও পাই না কাজে ছুটি, ঘুম জড়ানো দু'চোখ তবু কোন সকালে উঠি দিনের হাজার কাজের মাঝেই ঘুমিয়ে পড়ি যেই লুটিয়ে জাগি ভুঁয়ের 'পরে,হারাই বাঁচার খেই! ভাবনা জুড়ে বাবা মায়ের পরশ খোঁজার ফাঁকে ককিয়ে উঠি চুপ-যাতনায় নতুন সে এক বাঁকে বাঁচতে চেয়ে, চোখের জলেই রাতটা আসে নেমে বেঁচে থাকার স্বপ্ন ছিঁড়ে ভাবনারা যায় থেমে। শরীর জোড়া ঘুম কেড়ে নেয় ভুখা পেটের জ্বালা শিথান পাশে আলতো জাগে গরম ভাতের থালা বুক জুড়ানো গন্ধতে তার হাতটা বাড়াই যেই ঘুম ছুটে যায় পিচ-আঁধারে,কোত্থাও কেউ নেই! চোখ-নাগালে জোনাক কিছু মিটমিটিয়ে জ্বলে মার আঁচলের গন্ধ ছড়ায় হাওয়ার চলাচলে। পিঠের 'পরে বুকের 'পরে বাবার পরশ পাই, নাগাল পেতে যেই চেয়েছি আর সে ছোঁয়া নাই! পথের পাশের হট্টমেলায় কাজ এড়িয়ে যাই

কবিতা ।। স্বাধীন দিনে ।। বিবেকানন্দ নস্কর

ছবি
স্বাধীন  দিনে বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীনতা দিনটা এলে ঘোরের মধ‍্যে থাকি পিছন ফিরে জলভরা চোখ,তাকেই কাছে ডাকি। স্বাধীনতায় কি এসে যায়, ভাবছে যারা ফাঁকি স্বাধীন দিনে সুখের  আলোয় ভরলো তাদের  আঁখি । অনেক অভাব অনেক দাবী অনেক অভিযোগ  সবার মনে লুকিয়ে  আছে যাপনের দুর্ভোগ । তবুও স্বাধীন  ভাবলে মনে অন‍্য রকম জোর দুচোখ মুগ্ধ তাকিয়ে  দেখি স্বাধীন দিনের ভোর । পিছিয়ে  যারা অন্ধকারে হাঁটছে কাঁটা পথ উল্টো স্রোতে এগিয়ে  চলে অন‍্যরকম মত । দেশের কথা দশের কথা  তাদের  কাছে টানে ভুলকে ছেড়ে ফুল বুকে নেয় নিজের  স্বাধীন দিনে । আত্মত‍্যাগের গাথাবলী স্মরণ করে খুশি ছড়ায় আলো সবার মুখে স্বাধীনতার হাসি । স্বাধীনতার স্বপ্প আলো মগ্ন শহীদ  স্মৃতি স্বাধীন দিনে স্বাধীন ভেবে অন‍্য অনুভূতি ।

ছড়া ।। শিকল ভাঙার গান ।। বাসুদেব সরকার

ছবি
শিকল ভাঙার গান  বাসুদেব সরকার  নিরীহ সব মানুষের পা'য় শিকল পরায়, বাঁধে-  স্বাধীনতা আঁতুড় ঘরে  বন্দি হয়ে কাঁদে।  স্বাধীনচেতা মানুষগুলো  শিকল ফেলেন ছিঁড়ে,  স্বাধীনতার জন্য ব্যাকুল   প্রাণপণে যান লড়ে।  ক্ষুদিরাম ও নেতাজীদের  শিকল ভাঙার গানে,  বাঙালিরা ওঠেন জেগে  শক্তি সাহস মনে।  অবশেষে শিকল ভেঙে  বাঙালিদের জয়,  বিদায় হলো ব্রিটিশ বর্গী  নেই কোনো আর ভয়।  ================= ◾বাসুদেব সরকার,  চরভৈরবী, হাইমচর, চাঁদপুর, বাংলাদেশ।

ছড়া ।। আসল স্বাধীন হবো ।। জগদীশ মন্ডল

আসল স্বাধীন হবো  জগদীশ মন্ডল মুক্তির জন্য জান দিয়েছে আমার দেশের ভাই, স্বাধীন হয়ে স্বাধীন দিনে তাদেরই গান গাই। স্মরণ করি বীর যোদ্ধাদের যাদের অবদানে, ইংরেজ শৃংখল মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা আনে। উড়িয়ে দিই বিজয় কেতন দেশের ভবিষ্যৎ, ত্রিবর্ণ রঙ পতাকাটি এগিয়ে চলার পথ। এগিয়ে গেছি কিন্তু কী কেটেছে অন্ধকার, অশিক্ষার কালি দূর হলো হলো কার উপকার ? আসল স্বাধীন হবো তখন সব হাতে কাজ পাবে, দু-বেলা, দু-মুঠো খাবার সবাই মিলে খাবে। ******************************** ঠিকানা::জগদীশ মন্ডল।।নতুন পুকুর রোড।।চড়কডাঙা।।পোস্ট::বারাসাত।। কলকাতা::700124

কবিতা ।। স্বদেশ ।। অজিত কুমার জানা

ছবি
স্বদেশ  অজিত কুমার জানা  স্বদেশ আমার, স্বদেশ তোমার,      অমূল্য সোনার মাটি। তোমার আলো, বাতাসের ছোঁয়ায়,       দেশের মানুষ খাঁটি।। ভিন্ন ভাষা ,ভিন্ন জাত,      তবুও একতা সবাই।  হিংসা, দ্বেষ সব ভুলে,       মিলনের গান গাই।। বন্যা খরায় বেড়েছে অনাহার,      আমরা ধরেছি হাত।  অসহায় অভুক্তের মুখে মুখে,       দিয়েছি তুলে ভাত।। বিপদ এলে শত্রুকে রুখবো,      বাঁচাবো তোমার সম্মান।  স্বদেশ আমার জননী জন্মভূমি,       তুমি চির অম্লান।। ==================== অজিত কুমার জানা  গ্রাম +পোষ্ট-কোটরা, থানা-শ্যামপুর, জেলা-হাওড়া, পিন-৭১১৩০১, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। 

কবিতা ।। আমার স্বাধীনতা ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল

ছবি
আমার স্বাধীনতা  ভুবনেশ্বর মন্ডল আমি কোন খাঁচা নয় একটা আত্মবিশ্বাসের আকাশ চাই যেখানে একটা সূর্য আছে আর মিঠা জলের সমুদ্র মাথার উপরে নিরাপদ ছাউনি পায়ের তলায় স্নেহশীল মাটি আর অন্নবস্ত্রের সহজাত অধিকার এটাই আমার স্বাধীনতা আমার স্বদেশ আমার পৃথিবী আমার ফুসফুসে গল্প করবে পৃথিবীর যত অক্সিজেন মূল্যবোধ ও মানবতা জড়িয়ে ধরবে মানুষের গলা আমি চিনে নেব মাটিকে আর মানুষকে যত কান্না সব মুছে দেবো ভালোবাসার রুমালে আমি গাছের মতো শুষে নেব সূর্যকে আপন সত্তায় শিকড়ে শিকড়ে হেঁটে যাবো চেতনার বাড়ি যে অন্ধকার খেয়ে নিচ্ছে আমার স্বদেশ আমার পৃথিবী আমি আমার স্বাধীনতায় তাকে ফাঁসি-কাঠে ঝোলাবই । __________________ ভুবনেশ্বর মন্ডল সাঁইথিয়া লেবু বাগান পোস্ট সাঁইথিয়া জেলা বীরভূম পিন নাম্বার ৭৩১২৩৪  

কবিতা ।। স্বাধীনতা - কতদূর ? ।। সায়নী ব্যানার্জী

ছবি
স্বাধীনতা - কতদূর ? সায়নী ব্যানার্জী বছর ঘুরে ১৫ অগাস্ট । স্বাধীনতা দিবস । প্রভাতফেরি , পতাকা উত্তোলন ,গান,নাচ - এই সবটাই একটা নিয়ম মেনে পালন করেন ছোট থেকে বড় সকলে l স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ কি ? কতজন সেটা বোঝে ?-এই নিয়ে এক বিরাট প্রশ্ন রয়েই যায় l স্বাধীনতা অনেক বড় অনেক গভীর একটি বিষয় l নিজের অধীনে নিজেকে সঠিক পরিচালনা - এর ভাব,গভীরতা নিয়ে কথা বলার মতো লোক আজ আর নেই l ভিন্ন দেশ,ভিন্ন জাতির অধীনতা থেকে বেড়িয়ে নিরন্তর হয়ে চলা স্বেচ্ছাচারিতা কখনওই স্বাধীনতা নয় আমার মতে।অন্য দেশ,জাতির দাসত্ব থেকে বেড়িয়ে নিজের দেশ মাথা তুলে দাঁড়ানোর যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ প্রাণ দিয়েছিলেন, আজ সেই দেশে জাত-ভেদ , অশিক্ষা,সম্মান হানি, বলাৎকার, নিত্যদিনের ঘটনা l এমন স্বাধীনতা কেউ কি চায় ? কেউ চেয়েছিলো ? পুরোনো ভাবনা,কুসংস্কার,কন্যাভ্রূণ হত্যা,পণ, - এই শিকলে জর্জরিত আমাদের দেশ l আজ এতো বছর পরেও। এতো শিক্ষার উন্নতি ঘটা সত্বেও । সময়ের সাথে সাথে উন্নতির পথে এগোনোর বদলে চিন্তাধারার ক্রমহ্রাসমান অবনতি এক লজ্জা ব্যতীত আর কিছু না l স্বাধীনতার জন্মদিন পালন হোক l দেশমাতৃকার নাম উজ

কবিতা ।। স্বাধীন দেশের নাগরিক ।। সুনন্দ মন্ডল

ছবি
স্বাধীন দেশের নাগরিক               সুনন্দ মন্ডল ১ আমরা স্বাধীন তাই তো রুটি ভাগ করে খাই। আমরা স্বাধীন কেড়ে খায় কেউ কেউ। আমরা স্বাধীন স্বাধীন দেশের নাগরিক। ভালো আছি, ভালো থাকি এটুকুই বলি! নেই আশা, আকাঙ্ক্ষার স্ফুরণ নেই বেঁচে থাকার রসদ। শুধুই কপটতা, কর্কট রোগের মতো জীবনটা জড়িয়ে আষ্টেপৃষ্টে। মানুষ নিশ্বাস ফেলছে ঠিকই কিন্তু তাতেও বিশ্বাস নেই। অবাস্তব কল্পনার স্বর্গ রচনা করে শুধু দিন গুজরানো। আমরা স্বাধীন স্বাধীন দেশের নাগরিক শুধু! নেই মুক্ত কণ্ঠে অভিযোগ জানাবার ভাষা। নেই কেউ অভিযোগ শোনার মতো ভরসা।  ২ আমরা স্বাধীন,  স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা স্বাধীন উন্নত আর নির্ভীক। আমরা আজ, আমরা হয়েছি তোমাদের দানে। তোমরা যারা রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছ ভারতেরে প্রাণে। বলি হয়ে গেছ কত তাজা নেই আজ এ শহরে। শুধু পড়ে আছ স্মৃতি হয়ে সবাকার হৃদয়ের ভারে। জীর্ণ জীবনের ব্যথা ভুলেছি, ভুলেছি শত কষ্ট। তোমাদের ত্যাগে শিখেছি আমরা  হয় নি পথ ভ্রষ্ট। কিন্তু আজ এই ছিয়াত্তরের  মধ্যরাতের আঁখি। জ্বলছে কোন অনুতাপে পোড়া মুখটা ঢাকি। জীবন ভাসছে কোন জোয়ারে নেই কো সুরের ঠিকানা। সবই যেন বেসুর লাগে চলার পথে দোটানা। বুকের খাঁজে অভি

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী

ছবি
স্বাধীন তা  সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আবার স্বাধীন তা দিবস .......সাত দশক পেরিয়ে এসেছি এগিয়ে চলেছি ক্রমশ শতাব্দীর দিকে। স্বাধীন তার বার্তা দেওয়া হয় ফি বছর নাগরিক মঞ্চ থেকে। আট ঘণ্টার লড়াই করে যে মজদুর সে কি আজও  স্বাধীন তা পেয়েছে ? মাটিতে জন্ম যে কৃষকের - যে কৃষাণ কৃষাণীরা মাটির গন্ধে উদয়াস্ত মেহনত করে জীবন কাটায় ওরা কি  স্বাধীন তা পেয়েছে ? যে শিশুরা শৈশব বিকিয়ে আজ স্কুলছুট যে শিশুরা পেটের তাগিদে কলে কারখানায় দোকানে রেস্টুরেন্টে কাজ করে দিন কাটায় ওরা কি  স্বাধীন তা পেয়েছে ! গৃহহীন - অনাথ - ভিক্ষু জীবি যারা  স্বাধীন তা তাদের কি দিতে পেরেছে ! প্রজন্মের পর প্রজন্ম লাখো লাখো শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের জন্য এ  স্বাধীন তা লিখেছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যত। রাজা মন্ত্রী শ্রান্তি ওরাই আজ দেশসেবক - মঞ্চ নায়ক - জনগণের কাঁধে জোয়াল ভেঙে লুঠে চলেছে দেশের সম্পদ। শান্তিপ্রিয় মানুষ আজও পায়নি তার ন্যায্য বিচার। ধর্ষণ - খুন - রাহাজানি এখন নিত্যকার- জলভাত। জনগণের কণ্ঠ চেপে ধরেছে আজ শিকারি বাজ পাখির দল। তস্করদের দেশ বন্দনায় আজকাল মঞ্চে মঞ্চে তিরঙ্গা ওড়ে। এখনও মধ্য রাত্রির দুঃ স্বপ্নে জেগে উঠি আমর

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪