পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

রম্যরচনা ।। ভগবান নিপাত যাক ।। প্রদীপ দে

ছবি
  ভগবান নিপাত যাক প্রদীপ দে এই যে ভগবান,  তুমি যা বলবে আমি ঠিক তার উল্টোটাই করবো। আমি কানে একেবারেই কম শুনি, একটু চিল্লিয়ে বললে ভাল হয়! --  কি? পাপ দেবে ? --  তা দাও দেওয়ার জন্যই তো তুমি! সকাল বিকাল কতো কি-ই তো চাইছি -  শুনতে পাও না?  তুমিও কি কালা? --  চাইলেই পাবে না ! --  ঢং ! তাহলে কি কাজে আসো তুমি ? --  বিশ্বের সৃষ্টি স্থিতি আর বিনাশ! --  বড় বড় ডায়ালগ আর জ্ঞানের ভাষনে তো বাজার গরম করে দিচ্ছো। কার কতোটা কাজে লাগলো ভেবে দেখেছো ? -- কি বললে, এসব বড় বড় জাগতিক ব্যাপার? --  নিকুচি করেছে জাগতিক ফাগতিক! যার যতটুকু চাহিদা দিয়ে দাও -তোমার অসুবিধার কি আছে? তুমি তো আর মানুষ নয়? ইচ্ছা করলেই তুমি তোমার বিশাল সাম্রাজ্য আর অর্থকোষ কে কাজে লাগাও - আমরা যে ভিখারি হয়ে পড়ছি ক্রমশই। তোমার গায়ের চামড়া কি শুকিয়ে নির্দয় হয়ে গেছে। বাব্বাঃ এত আস্তে কথা বলো - যে মিউমিউ করে, নিজেকে খুবই জ্ঞানী আর মুক্তি দাতাহি  হিসাবে মনে হয়। এত অহংকার ভাল নয়। পতনের কারন। দেখছো না সকলেই তোমাকে আর কেউ পাত্তা দেয় না। --  যে যার ভাগ্যে খায়? সেতো অটোমেটিক মেশিনও করে দেয় আর তুমি তাহলে কি করো? আচ্ছা তুমি কি সত্যিই আছো না পুরোটাই

কিশোর অপরাধ : সমৃদ্ধিশালী জাতি গঠনে প্রধান অন্তরায় ।। মেশকাতুন নাহার

ছবি
কিশোর অপরাধ : সমৃদ্ধিশালী জাতি গঠনে  প্রধান অন্তরায়  মেশকাতুন নাহার  শিল্পবিপ্লবের ফলশ্রুতিতে যেসব নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয় তারমধ্যে কিশোর অপরাধ অন্যতম। শিল্প বিপ্লবের ফলে দ্রুত শিল্পায়ন ও নগরায়নের বিকাশ ঘটেছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নির্ভর সমাজব্যবস্থা ভেঙে যান্ত্রিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটে। জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রয়োগ ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব সংগঠিত হয়। কারখানা শিল্পের ব্যপক বিস্তৃতি লাভ করে। এর ফলে নারী পুরুষ উভয়েরই কারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটে। আর সেক্ষেত্রে পরিবারের নির্ভরশীল শিশুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে শিশু কিশোররা অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। সাধারণত ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের দ্বারা সংগঠিত সমাজবিরোধী আচরণকেই কিশোর অপরাধ বলা হয়। শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু কিশোরদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধই হলো কিশোর অপরাধ। অপরাধ বিজ্ঞানী বার্ট বলেছেন "কোনো কিশোর কে তখনই অপরাধী মনে করতে হবে যখন তাঁর অসামাজিক কাজ বা অপরাধের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে"।কিশোর কিশোরীরা সাধারণত আবেগের বশবর্তী হয়ে কিংবা পরিবেশ পরিস্থি

গল্প ।। ঠগ ।। স্তুতি সরকার

ছবি
   ঠগ স্তুতি সরকার              মিষ্টভাষী ধীর স্থির সুনীল বাবু যেখানে যান খুব জমিয়ে দেন আসর। আশেপাশে অনেক তোসামোদকারী স্তাবক জুটে যায়, এতো ওনার জনপ্রিয়তা। মাত্র কিছুদিন হলো এসেছেন এ পাড়ায় ভাড়াটে হিসাবে, বাবুদের বাড়ীর একতলার এঁদো একটাএক বেডরুমের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে। অবশ্য একখানা বেডরুমের ঘর বলতে একখানাই শুধু ঘর নয়। ফাউ হিসাবে আছে দু'দিকে দুটো বারান্দা, একটা ছোট বসবার ঘর, রান্নাঘরের সঙ্গে লাগোয়া একচিলতে ডাইনিং রুম, বাথরুম পাইখানা সমেত কম্প্যাক্ট একটা ফ্ল্যাট। তবে বড়ো স্যাঁতস্যাঁতে ফ্ল্যাটটা। কী যেনো একটা ব্যবসা করেন তিনি। এহেন সুলীল বাবুর  পিছনেও আইবুড়ো মেয়েদের বাবা মা রা ফেউ লেগে গেলেন।কারণ তিনি আইবুড়ো। প্রত্যেক আইবুড়ো মেয়ের বাবা মা চাইছেন নিজের মেয়েটিকেগচাতে। আর কি আশ্চর্য, পাড়াতে এতো আইবুড়ো মেয়েও আছে! যাদের নিজেদের মেয়ে নেই, তাদেরও তুতো বোন, বোনঝি, ভাইঝির উত্পাত লেগেই রইলো। সুনীল বাবুর ডিমান্ড তো বেড়েই চলেছে পাত্র হিসেবে। বয়স অবশ্য একটু বেশীই হয়তো। সময়ে বিয়ে হলে চার ছেলের বাপ হয়ে যেতেন। এখনকার দিনে অবশ্য একাধিক সন্তান হয় না। তবুও। এর তার- প্রত্যেকেরই বাড়

ছড়া ।। রেলের গাড়ি ।। শীলা সোম

ছবি
রেলের গাড়ি শীলা সোম কু ঝিক্‌ ঝিক্‌ রেল গাড়ি, দেয় ছুট দূরের পানে, হাওয়ার বেগে যাচ্ছে জোরে, থামছে শুধু ইস্টিশানে। গাছ পালা সব মত্ত হয়ে, চলছে ছুটে, তারই সাথে, মাঠ ভরা ধান, পুকুর, নদী, সব যেন এক খেলায় মাতে। নামছে কেউ, উঠছে কেউ, রয়েছে কেউ ঠায় দাঁড়িয়ে, গান গেয়ে কেউ ভিক্ষা করে, হারমোনিয়াম গলায় নিয়ে। হকাররা সব চেঁচায় সুরে, কত রকম যে তাদের ঢং, ছাই মেখে তীর-ধনুক হাতে, সাজে আবার কেমন সঙ। ঝাঁট দিয়ে সব করছে জড়ো, ট্রেনের ভিতর নোংরা যত, খুঁটে খুঁটেই খাচ্ছে খাবার, উচ্ছিষ্ট যা মনের মত। পালিশ বলে যাচ্ছে ডেকে, বেচছে জিনিস রকমারি, কাঁদছে জোরে, ছেলে যে কার, বসার জন্য হুড়োহুড়ি। ভাব জমিয়ে নিয়েছে কেউ, যেন কত কালের চেনা, তাস খেলছে আপন মনে, নিত্যযাত্রী তারা ক'জনা। তাদের নিয়ে ছুটছে গাড়ি, আলসেমি নেই কক্ষনো,  সময় ধরে কাজ করে সে, নিয়ম মেনে চলছে জেনো।

ছড়া ।। এসেছে শীতের বেলা ।। বদ্রীনাথ পাল

ছবি
  এসেছে শীতের বেলা বদ্রীনাথ পাল বসিয়ে গাঁদার মেলা- এসেছে শীতের বেলা। হলুদে দিচ্ছে শোভা- সর্ষেও মনোলোভা। খসে যায় শুকনো পাতা- ভরা মাঠ শূন্য খাঁ খাঁ। নলেনের সুবাস ভাসে- উত্তুরে ওই বাতাসে। মা'র হাতে তৈরী পিঠে- সে যে ভাই বড্ড মিঠে। সারাদিন মাতামাতি- মেলা আর চড়ুইভাতি। কুয়াশার চাদর মুড়ি- ডেকে যায় শীতের বুড়ি। "ঢাকা খোল্ সকাল হলো" তা কি হয়, তোমরা বলো ?   -------------------------------    বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোস্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া।

ছড়া ।। ফুটবলের রাজপুত্র ।। আনন্দ বক্সী 

ছবি
ফুটবলের রাজপুত্র  আনন্দ বক্সী  ফুটবল ছিল ধ্যান-জ্ঞান ফুটবল ছিল প্রাণ  ফুটবলের সঙ্গে ছিল তাঁর যে নাড়ীর টান। তাঁর খেলাতে সৃষ্টি হতো তীব্র আকর্ষণ  ফুটবল-শৈলীতে তাঁর ভরতো সবার মন। তাঁর খেলাতে সারা বিশ্ব হয়েছিল একসূত্র  মারাদোনা নামটা যে তাঁর ফুটবল-রাজপুত্র।  আর্জেন্টিনাবাসী তিনি ফুটবল-জাদুকর ফুটবল-দক্ষতায় তিনি বিশ্ব করেন ঘর। ছুতোর মিস্ত্রি পিতা তাঁর দরিদ্র পরিবার। আট ভাইবোন নিয়ে ছিল কষ্টের সংসার।  অনটনের সঙ্গে সদা করতে হতো লড়াই  স্কুলে ভর্তি হলেও তাঁকে ছাড়তে হলো পড়াই। ফুটবলকেই তিনি শেষে ধরলেন যে আঁকড়ে  বদলে গেল জীবন তাঁর নিলো এমন বাঁক রে। পড়ে গেলেন এমন চোখে দেখতে হলো না ফিরে জুহুরীর চোখ চিনে নিলো যে এক আসল হীরে। ক্লাব কিম্বা দেশের হয়ে মাতিয়ে দিলেন খেলে  তাঁর খেলাতে মুগ্ধ হলো প্লাতিনি থেকে পেলে। বার্সালোনা-নাপোলিতে খেলেন তিনি চুটিয়ে ক্লাব-তাঁবু সাজিয়ে দিলেন ট্রফির ফুল ফুটিয়ে। ছিয়াশির বিশ্বকাপের তিনি একক নায়ক প্রতিযোগিতা-সেরার ট্রফি তারই পরিচায়ক। চার-পাঁচজন মিলে তাঁকে ধরলো যতই ঘিরে তবুও তিনি দিলেন পাস সেই রক্ষণ চিরে। তাঁর খেলাতে সৃষ্টি হলো চরম উত্তেজনা দর্ষকরা তুললো রব মারাদ

কবিতা ।। আত্মদণ্ডে নিমগ্ন বালিকা ।। রুদ্র সুশান্ত

ছবি
  আত্মদণ্ডে নিমগ্ন বালিকা রুদ্র সুশান্ত যে অঙ্গে যৌবন উথলায় বালিকার মার্কিন থলির কাছে-  নিজদ্রোহী বালিকাদের আদৌ সে খবর আছে ! মনের মৈথুনে ঘর পার হতে দিন চলে যায় যার  ষোড়শীর স্তনে থমকে গেছে জীবন, নিশ্চল প্রেমিকার। মনে মনে চলে স্বদলদ্রোহিতা, দেহ শয়নে সঙ্গমে বর্ধিষ্ণু ঊর্ধ্বগামী মিলনের দোলনা, চিৎকার করে কামে। চোখে মুখে লেশ নেই, মনে নির্বোধ রতি- প্রকৃতি জাগে, না না করে ইতি। নিশির নিদ্রা ভাঙ্গে, আলিঙ্গনের সুখ মনে জাগে খুব-  পাঁচ থেকে সাত - এই দণ্ডে ক্লান্ত হয় বিষুব।  মন জাগে দেহ জাগে - খুলে দাঁড়ায় দুয়ার চাষার আহবানে নিতান্ত আসে যদি জোয়ার। ============ রুদ্র সুশান্ত বালুঘাট, ঢাকা।

কবিতা ।। জেতার আসক্তি ।। দেবযানী পাল

ছবি
  জেতার আসক্তি দেবযানী পাল সব সরে যাও ভুঁইফোড় সস্তা দুঃখ যাকিছু পথের কাঁটা উপড়ে ফেলে সামনে তাকাই ফিকে রঙে লাগছে নতুন ছোঁয়া ধীরে ধীরে এবার রাঙা পা ফেলি আগামীর পিছু পিছু। দেখো, ওই কাঠবেড়ালি ঘুরছে কেমন গাছে গাছে ওরাই ধন্য পৃথিবীর প্রকৃতিতে, মগ্ন আপনিতে খেলে বেড়ায় সরল মনে,জটিলতা শূন্য হয়ে সহজ কত ওদের জীবন, দুঃখের না আড়াল আছে। জানা নেই আগামীর সুখ কোন্ বেড়াজালে শুয়ে অতীত থেকে লম্বা পথে অনেকটা সময়ের চিরকুট শুকনো ক্ষেতে শস্য ভরে আছে সোনালী রঙ নিয়ে এমনটা তো হতেই পারে, ভরা স্বপ্নের ধান রুয়ে । নীড়ভাঙা ক্লান্ত পাখি চেয়ে থাকে আকাশের কোণে প্রশ্ন আছে,তবু ভাষা যেন পায় না স্থবির মুখখানি নির্বাক ইতিহাস গড়ে দিগন্ত জুড়ে নির্লিপ্ততা উচ্ছল পৃথিবীর গলায় সেই নতুনের ডাক শোনে। হারতে চাইনা একটুও, তীব্র আসক্তি জেতায় খুঁড়ে চলেছি বালিয়াড়ি দিনরাত নির্লজ্জতায় এত চেষ্টা দমিয়ে রাখা মুঠো জোনাকী আশায় চাহিদার সম্মানটুকু সঞ্চিত ভরে আছে যেথায়। নতুনের আগামীতে ভরে যাবে শেষ ইচ্ছের কথা সুস্থ জীবনের দিকে চাইবো দূর নিহারিকা পথে স্বপ্ন মেদুর উজ্জ্বল সুদূর আনন্দের বার্তা দেবে ইতিহাস বাঁচুক সারমর্মে - সুস্

কবিতা ।। অন্বেষণে ।। অঙ্কিতা মজুমদার

ছবি
  অন্বেষণে  অঙ্কিতা মজুমদার একটা জীবনমুখী গল্পগাথা, সেই গল্পের পাতা খুলে পড়েছিল এক ঝাপসা রাত্রির কাঁচে। ছেলেটি, ছুটতে.... ছুটতে.... কলকাতা,বরানগর,হাওড়ার - ওলিতে - গলিতে, প্রত্যহ নিয়ন্ত্রণ পায় চোখ থামা অশ্রুর। হাত ভর্তি জ্ঞানের সার্টিফিকেট আর ঝোলা ভর্তি বই, সব ছড়ানো ওর মণিকোঠায়.... দুশ্চিন্তা,সংসার,দায়িত্ব। দুঃখের কালরাত্রি তাকে ডেকে আনে সম্মুখে; বেসামাল পদচিহ্ন,ক্লান্তি জড়ানো দেহ করে তোলে এক নিরেট পাথরের স্তূপ। নির্বিকার প্রতিবাদ দীর্ঘশ্ব‌াসে সাড়া ফেলে, অগ্নুৎপাতে বেরিয়ে আসে জ্ঞানের দেহাবশেষ। জ্বলতে থাকে দাউ দাউ আগুনে; তখনও খুঁজে ফেরে.... একটা কাজের ঠিকানা।।   =================  অঙ্কিতা মজুমদার গ্রাম +পোস্ট - চকদিঘী পিন -৭১৩৪০৪

ছড়া ।।  বই পড়ো জীবন গড়ো ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

ছবি
 বই পড়ো জীবন গড়ো রঞ্জন কুমার মণ্ডল করো কেন হই চই সবে মিলে পড়ো বই । জীবন কে দেয় গড়ে বড়ো হও বই পড়ে। বই পড়ো খুশি মনে ভালো বই জেনে শুনে। সাথী হলে ভালো বই বড়ো হ'বার পাবে মই। বই পড়ো ফল পাবে জ্ঞান চক্ষু খুলে যাবে। বই চোখে আনে আলো ঘুচে যায় যত কালো। জ্ঞানী গুণী জন যারা বই পড়ে লেখে তারা। ধ্যান হলে বই পড়া হবে শুরু জীবন গড়া। বই পড়ো পাবে দিশা পূর্ণ হবে মনো আশা। বই ছাড়া গতি নাই সদা বই পড়ো তাই। ============== রঞ্জন কুমার মণ্ডল সারাঙ্গাবাদ,মহেশতলা ওয়ার্ড নং-৩৫(মহেশতলা) জেলা -দক্ষিন ২৪ পরগণা।

কবিতা ।। সময়কে ভালোবাসি ।। পূজা সিংহ রায়

ছবি
  সময়কে ভালোবাসি   পূজা সিংহ রায় হয়তো আমার মধ্যে অনেক খামতি, এই কমতি দিয়েই সন্তুষ্টির নীড় গড়ে পূর্ণতার মহোৎসব করি। অন্ধকারে আর ভয় পাই না, জোনাকিরা যে একলা ছাড়ে না। বস্তুগত অধিকত্বের চাওয়া পাওয়া গুলো কে পুঁটলিতে পুরে হারিয়ে দিয়েছি। অন্ধকার ঘরে খুঁজতে থাকা অজানা প্রশ্নোত্তরের উপর আলোকপাত করে, সময় কত অজানা সমীকরণের সমাধান পথ জানিয়ে দেয়। সময়ই প্রতি রাতে শান্তির অ্যারোমায় ঘুম পাড়িয়ে দেয়, সময়কেই ভালোবেসেছি, নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী সবার। কানে কানে আশ্বাস ও মন্ত্রণা দিয়ে যায় শান্ত থেকে সময়ের স্রোতে ভেসে চলার। খেয়া কোন তীরে নোঙর বাঁধবে, তা নাকি সময় জানে। রক্ষাকর্তা হয়ে দায়িত্ব নিয়েছে, ডুবতে দেবে না কোনো এলোপাতাড়ি বানে। বেশ তো তবে সে পথেই ভাসুক তরী, গন্তব্যস্থলে যাত্রাপথের বৈচিত্র্যময় দৃশ্য গুলো উপভোগ করি। তুমি এই খেয়া নীড়ে আসলে তোমারও হয়তো ভালো লাগতো, নীরবতা তুমিও তো বেশ পছন্দ করো। আর আতিথেয়তা, যত্ন আত্তি.. তুমি তো আমার বর্ণমালার সবটা জানো।  =============== পূজা সিংহ রায় বোলপুর, বীরভূম 

কবিতা ।। স্বার্থ ।। অশোক দাশ

ছবি
স্বার্থ অশোক দাশ স্বার্থের পৃথিবীতে বহুরূপী বদলায় রং ঔদ্ধত্য অহং প্রকট, বৃহতের আস্ফালন ক্ষুদ্র পদানত। স্বার্থের স্বপ্নে বিভেদ বিস্ফোরণ বিভেদ ভাঙ্গে ঐক্য  লোভের যুপকাষ্ঠে অকাল বলিদান, ভালোবাসা ঘৃণ্য  পণ্য মান- সম্মান। ভোগের স্বার্থে মেকি ভালোবাসা ভালোবাসায় শকুনের লোলুপদৃষ্টি                      নেই অমৃত সুধা বৃষ্টি। যৌবন মুঠোফোনের নেশায় মত্ত বাঁচার এখন একমাত্র স্বত্ত্ব। ভাবনায় আনো নতুন কৃষ্টি যাক রসাতলে অমূল্য সৃষ্টি। স্বার্থের দাসত্বে বন্দী ফেরারি মন সরল অংক জটিল জ্যামিতিক প্যাঁচে আবদ্ধ। ভাঙো  দেশ ভাঙো প্রদেশ দ্বন্দ্ব সংঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হোক মানুষের সহজাত  প্রবৃত্তি স্নেহ -প্রেম -মায়া -মমতা। সুনাম -অর্থ -যশ -ভোগ- ত্যাগ  সবেতেই লুকিয়ে আছে স্বার্থ। নিঃস্বার্থ শুধু আভিধানিক শব্দ অলঙ্কার।   ==============    অশোক দাশ ভোজান, রসপুর ,হাওড়া।।

কবিতা ।। বিষণ্ণ সন্ধ্যায় ।। প্রবোধ কুমার মৃধা

ছবি
  বিষণ্ণ সন্ধ্যায়  প্রবোধ কুমার মৃধা ছায়া-ঘন পল্লী 'পরে  সন্ধ্যা নামিছে ধীরে -             দিকে দিকে বেজে ওঠে শাঁখ । রাত-চরা পশু পাখি হেথা-হোথা দেয় উঁকি-             ঝোপে-ঝাড়ে জোনাকির ঝাঁক । পশ্চিম দিগন্তু -ভালে সহসা উঠিল জ্বলে-               সাঁঝের -প্রদীপ সন্ধ্যাতারা । ত্বরিতে চরণ ফেলে গৃহপানে ফিরে চলে -               দূরের পথিক ছিল যারা । গোঠে ফিরে এল ধেনু উড়ায়ে পথের রেণু-               কুলায়ে ফিরিল পক্ষীকুল । ফিরিল না মা যে আর বুকে বাজে হাহাকার-               বারে বারে হয়ে যায় ভুল ।   ================= প্রবোধ কুমার মৃধা, গাববেড়িয়া, পোঃ ঢোষা‌, জয়নগর‌, দঃ ২৪ পরগণা  

কবিতা ।। মিথ্যে শহর ও অকৃত্রিম হাসি ।। রাজাদিত্য

ছবি
  মিথ্যে শহর ও অকৃত্রিম হাসি রাজাদিত্য   হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলার মতোই, হারিয়ে গেছে অম্লান হাসি ,  মেঘ জমেছে বুকের ভিতর অন্তর হয়েছে ক্ষয়িষ্ণু ,  তবু দিনের শেষে চাই একটু বাতাস, বাঙালির আড্ডা আর, ঠোঁটের কোণে বক্রতা ।  নেশা লাগুক অকৃত্রিম ছোঁয়ায় ,  গালের গোটায় ফুঁটুক ভালোবাসা ।  মিথ্যেমাখা রক্ত খেকো শহর, লুকিয়ে দেখুক মুক্ত হাসির, প্রাণখোলা স্নিগ্ধতা ...

কবিতা ।। সর্বহারার স্বার্থ চুরি ।। হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

ছবি
সর্বহারার স্বার্থ চুরি     হারান চন্দ্র মিস্ত্রী                ভানুমতীর খেলা চলছে জগৎ জুড়ে।   একই লোক একই পথে যায়-আসে অনন্তর  যন্ত্রের মতো।   নেই তার অগ্র-পশ্চাতগতি।   তাদের সমগতিতে চলতেই হবে   এক শ্রেণীর মানুষের অভিলাষ পূরণের জন্যে।   তাদের সুখের দায়ভার নিরন্ন মনুষের হাতে।  এদের বিশ্রামের সুযোগ থাকতে নেই-  থাকে নাও।   এরা সর্বহারা বলে পরিচিত জগতে।   স্বার্থ চুরি করে ওরা অর্থের পাহাড় গড়ে, ওরা সম্মান পায় পীরের মতন।   দেশটা তাদের হাতে পড়ে সংকটাপন্ন।  লোভ আর স্বার্থের টানে   তলানিতে এসে ঠেকেছে বিপন্ন মানবতা।   হানাহানি আর টানাটানি করে   ছিনিয়ে নিয়েছে সর্বহারার স্বার্থ।   আম খেয়ে আঁটিও চুষে ছেড়ে দেয় এরা- পীপিলীকাও অভুক্ত থাকে।     সর্বহারার সুখ চুরি করে স্বার্থচোরের উদরপূর্তি হয়। __________     হারান চন্দ্র মিস্ত্রী গ্রাম ও পো- আমতলা, থানা-ক্যানিং, জেলা-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ, পিন নং-743337

কবিতা ।। গাঁয়ের উপকণ্ঠে ।। গোপা সোম

ছবি
  গাঁয়ের উপকণ্ঠে গোপা সোম যাচ্ছে দেখা দূরে ওই, ছোট্ট এক খানি গাঁ,  স্বল্প পরিসরে জমি, নিয়ে কয়েক বিঘা। গাঁয়ের উপকণ্ঠে আছে বিশাল পুষ্করিণী, গাঁয়ের যত মানুষ, সবে, তার কাছে ঋণী। ঘাট গুলি বাঁধানো , সুন্দর তার সোপান, শান্ত জলে মুগ্ধ, পাই গভীর এক টান। স্বচ্ছ, পরিষ্কার জল তার, করে টলটল, তরঙ্গায়িত জলস্তর, বাতাস পরিমল।   সেই পুষ্করিণীতে হয় হরেক মাছের চাষ, এছাড়া, কিছু জলজ প্রাণীর আছে এতে বাস।  সাঁতার কাটে কাতলা, মৃগেল, জলে তরতাজা শোল আছে, রুই মাছ আছে, মাছেদেরই রাজা। ছিপ নিয়ে মাছ ধরে কেউ, সারা দিনমান ধরে, টোপ বানায় মাছের তরে, অনেক যতন করে। মাঝে মধ্যেই জেলেরা, পুকুরে ফেলে জাল,  টাটকা তাজা মাছগুলি, হয় যে নাকাল। গাঁয়ের মানুষ, সুলভে পায় পুষ্টির উপাদান, বাড়তি মাছ গুলি সকল বাজারে হয় চালান। স্নান করা, বাসন মাজা, নিষেধ আছে সেথা, গ্রামবাসীরা পালন করে সাধ্যমত যথা।  মাঝে মাঝে মাছরাঙা পাখি দেয় জলে ডুব, মাছ মুখে নিয়ে উঠে আসে, আনন্দিত খুব। বক ধার্মিক, আশায় থাকে, মাছের প্রতীক্ষায়, মাছের দেখা মিললে পরে, ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। পুষ্করিণী ঐ গাঁয়ের মানুষের অনেক আশা-ভরসা, শান্ত, সুনিবিড় ছায়াতলে সে, মনোরম, সুন্দর খাসা।

ছড়া ।। মানবতার গান ।। খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
  মানবতার গান খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ঋতুচক্রের আবর্তনে  শীত এসেছে ভাই, গরীব দুখীর কষ্ট ভীষণ  গরম পোশাক নাই । রবির কিরণ গায়ে মেখে  কাটে সারাদিন, সন্ধ্যা বেলায় কাঁপা শুধুই  কুটোর কাছে ঋণ । খড়কুটোতে আগুন জ্বালায়  শরীরে নেয় তাপ, গরীব ঘরে জন্ম নেওয়া  তাদের কোথায় পাপ? খিদের জ্বালা সাথী তাদের দোসর হলো শীত, এই ছবিটা গাঁ শহরে  নড়ায় না কি ভিত? পারবে যাঁরা এসো না ভাই  করো বস্ত্রদান, সবাই মিলে একসুরে গাই  মানবতার গান ।   ============ খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া ,পশ্চিমবঙ্গ ,ভারত 

ছড়া ।। শীতের ছুটিতে ।। দীপক পাল

ছবি
    শীতের ছুটিতে        দীপক পাল   সন্ধ্যে থেকেই বাবু সোনা মন দিয়েছে পড়ার   পণ করেছে আজ রাতেই হোমটাস্কটা শেষ করার।   কাল শনিবার পরশু রবি দুদিনেই স্কুল ছুটি,   সোনামনির আসার কথা কালকে মোটামুটি।   পিসেমশাই বলেছিলেন কাল দেখাবেন সার্কাস   শীতের দুপুর জমবে ভারী সিংহ হলে প্রকাশ।   সোনামনির পাশে বসে ক্লাউন দেখতে মজা   হাসতে হাসতে সবার মন যে হবেরে তরতাজা।   সোনারা যেই অবাক হবে ট্রাপিজের খেল দেখতে   কেক মিষ্টি দেবেন রে মা ওই সোনাদের হস্তে   সবার শেষে ভয় লাগে ভাই বাঘ সিংহের খেলায়   বাবা বলেন ভয় নেই রে ফিরবে ওরা খাঁচায়।   চায়ে চুমুক দিয়ে বাবা হাঁকেন ' বাবু সোনামনি '   চিড়িয়াখানায় যাবোরে কাল শোন তবে এক্ষুনি।   আনন্দেতে নেচে ওঠে বাবু  সোনা মণি,   তাইনা দেখে হেসে ওঠেন মা আর পিশিমনি।   এক শিম্পাঞ্জি ডিগবাজি খায় আর একজনা গাছে   কখনো সে সিগার ধরায় চেয়ে কারও কাছে।   ঘুরে দেখে জেব্রা জিরাফ সাদা বাঘের খাঁচায়,   বোঁটকা গন্ধে টেকা যে দায় তারাতারি পালায়।   হাতি গন্ডার জলহস্তী আরও কত কি যে,   দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পায় যে তাদের ক্ষিদে।   কাগজ পেতে সবাই মিলে টিফিন করে নিয়ে,   কুমি

কবিতা ।। আমার একজন লোক চাই ।। সাইফুল ইসলাম

ছবি
  আমার একজন লোক চাই সাইফুল ইসলাম  আমার একজন লোক চাই এমন মানুষ কোথায় পাই? যে আমারে কথায় কথায় হাসি ভুলিয়ে কেবল কাঁদায়। চোখের জলে নদী হয়ে কুলুকুলু যাবে বয়ে। লাগায় আগুন মনের বনে ধিকিধিকি জ্বলে ক্ষণে।  রক্ত-মাংসের শরীরখানা ছিন্নভিন্ন সবার জানা। যে জন আমায় অহোরাত্র  জ্বালায় পোড়ায় স্বর্ণগাত্র। গ্রাম-শহরে খুঁজি তারে মাঠে-ঘাটে ঝোপে ঝাড়ে। বলো না তারে কোথায় পাই আমার একটি কবিতা চাই। দূঃখ ব্যথা থাকলে পাশে কবিতা আসে অনায়াসে। ----------------------------     সাইফুল ইসলাম  গ্রাম-বর্দ্ধনপাড়া ডাকঘর-পঞ্চহর  জেলা-বীরভূম  পিন-৭৩১২২১ 

ছড়া ।। রঞ্জনদা ।। দিলীপ কুমার মধু

ছবি
  রঞ্জনদা দিলীপ কুমার মধু আমার পাড়ার রঞ্জনদা সুখরঞ্জন নাম বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ তার সকল কাম, নারকেল গাছের মাথায় উঠে ডাব থেকে জল খায়  ফুটো  ফাটা হয়না তবু ডাব , ডাবের জায়গা রয়, ভরা বর্ষায় হেঁটে বেড়ায় জল লাগে না গায়ে ছাতা মাথায় নেইকো তবু জল লাগেনা পায়ে, আজগুবি সব গল্প শোনায় মানতে পারা দায় যে শুনবে সে বলবে হায়, রামরাম হায় ! হঠাৎ হঠাৎ বুদ্ধি এসে মাথায় হাজির হয় বললে বলে- হয়তো ভাই মাথার C.P.Uতে রয়, এমন বানিয়ে এমন গুছিয়ে কল্প গল্প বলবে রঞ্জনদা জিও জিও এটা, অনন্তকাল চলবে।   ------   দিলীপ কুমার মধু, মেমারি, পূর্ব বর্ধমান। 

কবিতা ।। নাড়ুগোপাল ।। সবুজ জানা

ছবি
  নাড়ুগোপাল সবুজ জানা নাড়ুগোপাল! হেয়ালিটা কানাকানি তা বিলক্ষণ আমি জানি। আমার জীবনীটা পড়। ডিজিটাল প্রতিবাদ ও তোতাকাহিনি। আমার ফেয়ারীটেল মুভমেন্ট পাড়ার মোড়ের চায়ের ঠেকে নেহাত না'হয় হাঁটতে রাজি নিরাপদ দূরত্ব রেখে  শেয়ালের সুরে স্লোগান তুলি ভীড় ঘ‍্যাঁষে হুক্কাহুয়া  চললে গুলি তোমার রক্ত আনুক স্বাধীনতা পূণ্যতোয়া... যদি এই নাড়ু শেয়ানের কথাই অনুসরণীয় ধরো  অযথা এই বলিদান কিংবা রাজপথ থেকে জেলভরো  তার চেয়ে এঁদোগলির অন্ধকারে গাঢাকতে বেশ রাজি ভাবতে পার তোমরা হাড়হাভাতে, বজ্জাত কিংবা পাজি! আবার কোনো সার্ভেকার, সুযোগ বুঝে উঁকি দেবো সেলুলারের ফলক ঘেঁটে-'ঘ' নিজের নামটা লিখিয়ে নেবো।                                                                              ============== সবুজ জানা পাঁশকুড়া পূর্বমেদিনীপুর

কবিতা ।। দহন ।। পশুপতি দত্ত 

ছবি
      দহন   পশুপতি দত্ত  স্মৃতির অতলে ডুব দিয়ে দেখি কত যে রঙিন স্বপ্ন, সজীব যেন সবই আজ তাতে মন হতে চাই মগ্ন। কত ছিল সুখ, ছিল কত আশা ছিল না তার কোন পরিভাষা, উচ্ছ্বাসে প্রাণ ভাসিত জোয়ারে সৃষ্টিতে ছিল নব আশা। দিবারাতি সে তো আসিত স্বপনে সব হেরে আজ পুড়ছি দহনে, তার বিরহে বুক ফেটে যায় সে তো আজ কারও মননে।   ===================    Pasupati Dutta Vill - Bonbiddi (Asansol) P.O - Basudevpur -Jemari P.S - Salanpur,  Dist - Paschim Bardhaman,  PIN - 713335.

কবিতা ।। ইচ্ছের মৃত্যু ।। মেশকাতুন নাহার

ছবি
  ইচ্ছের মৃত্যু  মেশকাতুন নাহার প্রতিদিন কত ইচ্ছেরা নীল প্রজাপতির মতো পাখা মেলে উড়ে বেড়ায়, ফুলে ফুলে গাছে গাছে,পুলকিত হয়ে আবেশ ছড়ায়।  প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই কলি টা কখনো ঝরে যায়!  ইচ্ছে গুলোর মৃত্যু হয় প্রতিনিয়ত নানান প্রতিকূলতায়  পিষ্ট আহত প্রজাপতি মন কখনো তাঁর ডানা হারায়! স্বাধীন ভাবে উড়ে চলার  ইচ্ছে গুলো দূর অজানায় অদৃশ্যে গিয়ে মিলায়। কখনো ইচ্ছে করে গিরির পথ বেয়ে হারিয়ে যাই ঐ সুদূর নীলিমায়,  মনের অন্তরীক্ষে সপ্তরঙের পাখা মেলে  ইচ্ছেগুলো দোলে হাওয়ায়,  আকস্মিক দুর্বিষহ ঝটিকা বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হয়ে ইচ্ছে ডানাগুলো খোয়ায়, অভিলাষ গুলো বিবর্ণতায় জরাগ্রস্ত হয় মর্মান্তিক যন্ত্রণায়। হৃদয় উদ্যানে স্বপ্নের বীজ রোপণ করেছি বারেবারে,  অঙ্কুরিত হওয়ার আগেই দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে অজ্ঞাতসারে। সহস্রবার রঙ তুলির আঁচড়ে এঁকেছি ছবি ভাবনার ক্যানভাসে,  সম্মুখে উন্মেষিত হয়নি কখনো অন্তর্ধান হয়েছে দীর্ঘশ্বাসে। পূর্ণিমা রজনীতে কত যে বিনিদ্র কাটিয়েছি শূন্যতা নিয়ে,  স্পৃহা সমূহ ভস্মীভূত হয়েছে যাতনা ভরা প্রদাহের অনল জ্বালিয়ে,  প্রাণচঞ্চল মনকে শান্ত করেছি ইচ্ছেগুলো কে নির্বাসনে পাঠিয়ে, সুপ্ত আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু হয়েছে নেত্রজল

কবিতা ।। অনুভবে পাই ।। মীরা রায়

ছবি
  অনুভবে পাই মীরা রায় সব কিছু দেখে বুঝা যায় না অনুভবে পাওয়া যায় যেমন শীত গ্রীষ্ম বর্ষা দেখা যায় না অনুভবে ও বুঝায়। দুঃখ ক্ষোভ কষ্ট নিজের অনুভূতি একান্ত ই নিজের কাউকে বলার দরকার পড়ে না নেই কোনো খোঁজের। ভালোবাসা সে ও তো অনুভূতি সুখ ও তাই সবকিছু ই অনুভব, অনুভূতি ওতেই সব পাই। শোক তাপ, রোগ, ব্যথা  সবই অনুভূতির ব্যাপার শান্তি অশান্তি তাও নিজের মধ্যে থাকে সবার।   ========= মীরা রায় আঁকড়ি, শ্রীরামপুর, পুরশুড়া, হুগলি।

কবিতা ।। ভালোবাসি বলে দিও ।। বলরাম বিশ্বাস

ছবি
  ভালোবাসি বলে দিও বলরাম বিশ্বাস তুমি ক‍্যামন আইছো জানিনাই তবু এচিঠি তুমার আগমণী বার্তার দুত পাশবালিশে মুখলুকাইয়া কাঁদলাম মন ঘামের ঘনত্ব কমিগেচে একন একনজর তাকাইয়া ভুরু দিলে মুড়ে দুপুরে দুঃখ আসে হাতকতক ঘুরে আচ লেগেচে তাই শীত গেচি ভুলে অভ‍্যন্তর কাঁদচে কতক খেয়েচি গোলামাটি গুলে। হাসচে চোখ কাঁদচে মন তুমি আচ সেআগের মতন? এসো সব ভুলে। জট বেধেচে চুলে। চাড়িয়ে দাও হাত।। ভালোবাসা হবে কাচাকাচি শুলে।।। গরীবের ভালোবাসা ফিরিয়ে দেবে জানি তবু পাটালাম এ দুত তুমি থেকে কারো মনে যুত আমি এবার হব অদ্ভুত।।।।

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪