পোস্টগুলি

Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

কবিতা: উদয় সাহা

ছবি
২০১৯ বনাম বিক্ষিপ্ত বর্ণমালা  ক কথায় আর কাজ হয়না।কথার কথাই সার 'মার... মার ' বলে ধেয়ে আসে চিৎকার। ট কোন টাকা আকাশী, কোন টাকা কমলা হাতে নিয়ে দেখেছি টাকা নাকি কালোও হয় কথাই শুধু শুনেছি  র রাস্তার কলে স্নান করি। স্নানের জলে আয়রন ফেল করেও পাশ করে যাই কিসের শালা বায়রন !  ফ কাটমানি, অবরোধ ---আড়চোখে ফূর্তি এই দলে ঠাঁই পেল আজকাল মূর্তি। প পয়সা দিলে অর্ধাঙ্গী রুখে দাঁড়ালে মর্দাঙ্গি!  চ রোগটা এখন বেশ ক্রিটিক্যাল। চিকিৎসা নয় সোজা সমাধান হাতের মুঠোয় ---হাতের কাছেই ওঝা। শ শহর সাজে, দেশ সাজে, যখন সাজে ফুটপাথ একই বৃন্তে দুটি কুসুম সবার জন্য ডিম ভাত। ব বৃদ্ধ দুজন প্রাণ হারায় দায়ী কোন ব্রোকারস্ বিশ্বকাপে হার মেনেছি। আমরা এখন চোকার্স। ম একটা মানুষ অনেক মুখ গেরুয়া, লাল, সবুজ সুখ... স সমস্যার মাত্রা অনেক, হয়না সহজ নিরসন লৌহ প্রতাপ ঠুনকো রঙ ; অস্ত্র এখন অনশন। জ জলের তোড়ে সব ভেসে যায় জলের এমন ক্যালি স্বপ্ন ছিল বাড়ি হবে, গাড়ি হবে, ঘুরব রোজভ্যালি আ কত কবি!

নিবন্ধ: শেফালী সর

   কেমন আছেন আমার দেশের মানুষ        আমি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের একজন সাধারণ নাগরিক ও পশ্চিম বঙ্গের অধিবাসী। দীর্ঘ পরাধীনতার নাগপাশ থেকে ভারত মুক্ত ১৯৪৭সালের ১৫ই আগষ্ট। একদিকে সাম্প্রদায়িকতা অন্যদিকে ক্ষমতা লিপ্সা অখন্ড ভারতবর্ষের স্বাধীনতার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালো।আর তাই অখন্ড ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পরে পেলাম খন্ডিত ভারতবর্ষের স্বাধীনতা। শুরুতেই সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের শিকার হলাম,যার যন্ত্রণা আজ ও বহন করতে হচ্ছে ভারতীয় নাগরিকদের।     স্বাধীন ভারতবর্ষের রাষ্ট্র পরি চালনায় দিকনির্দেশনার জন্য যে লিখিত সংবিধান গৃহীত হলো, সেই সংবিধানে শিক্ষার মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভূক্তি হল না। শিক্ষা ক্ষেত্রে তাই টালমাটাল অবস্থা। এই বিষয়ে নানান সমীক্ষা নানান পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়েছে। তবুও সঠিক নিশানা পায়নি দেশের মানুষ। এতো গেল শিক্ষার কথা।        হঠাৎ এক সময়ে দেখা গেল দেশের কিছু মানুষ দলবদ্ধ হিংসায় উন্মত্ত হয়ে উঠছে। পঞ্চায়েতি শাসন ব্যবস্থা ও তার থেকে উৎপন্ন নূতন গণ নেতৃত্ব ই আমাদের এই রাজ্যে দলবদ্ধ হিংসার প্রকাশ ঘটাচ্ছে। গ্রাম ও আধা শহরাঞ্চলে প্রায়ই দৃশ্যমান। গণপিটুনি, তাৎ

মুক্তগদ্যঃ সত্যম ভট্টাচার্য

             সব স্বাধীনতা এক হয় না                              আগষ্ট মাস।সারাদিন প্রচন্ড রোদের পর বিকেল থেকেই আকাশের মুখ গোমড়া হয়ে এসেছিলো। আর এখন অঝোরে ঝরছে।কদিন ধরে এমনটাই হয়ে চলেছে।মাঝে তো কদিন আবার দিনরাত একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চললো। আমাদের নীচু শহরের অনেক জায়গায় জল উঠে এলো। তার মধ্যে দিয়েই চললো আমাদের দৈনন্দিনের অফিসে যাতায়াত।ছুটি বাঁচাতেই হবে যে কোনভাবে।আর যাদের হাতের অন্ন খেয়ে আমাদের দিন কাটে,তারাও কিন্তু এলেন ,প্রায় নিয়মিতই। মাঝে হয়তো একদিন নীচু এলাকায় নদীর জল উঠে আসাতে আসতে পারেননি,কিন্তু প্রতিদিনই প্রায় এসেছেন।মাঝে মাঝে মনে হয় কি সেই জিনিস যা কোনরূপ লিখিত চুক্তিভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত না হয়েও এই তথাকথিত অশিক্ষিত মানুষগুলিকে নিয়ে আসে প্রতিদিন নিজের নিজের কর্মস্থলে।উত্তর কি শুধু একটাই-অভাব?না তার সাথে কোথাও মিশে আছে একটু হলেও দায়িত্ববোধ।না কি এরা ডরায় সেই অমোঘ মুখঝামটাকে বা কাজ চলে যাবার ভয়কে। একদিন ইচ্ছে হলেও বিশ্রাম নিতে পারে না এরা,পারে না কোন নির্দিষ্ট দিনে নিজের পরিবারকে সময় দিতে। আর এখানেই উঠে আসে প্রশ্ন-তাহলে কোথায় এদের স্বাধীনতা-কোথায়ই বা স্বাধীনতা

নিবন্ধ : অনিরুদ্ধ সুব্রত

গুজব এবং গণপ্রহার  বন্ধ করার দায়বদ্ধতা সকলের  ----------------------------------------------------------------------- পাড়ায় পাড়ায় বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের 'কিডনি কেটে নিয়ে যাচ্ছে' অথবা হিন্দিভাষী অপরিচিত যুবক 'জঙ্গি' অথবা বস্তা কাঁধে ময়লা পোশাক লোক 'ছেলেধরা'। না এর একটিও সত্যি নয়, নিছক সন্দেহ। অতএব শুধুমাত্র ঐ সন্দেহটুকু কখনও মুখে মুখে, কখনও সোস্যালমিডিয়া মারফত ছড়িয়ে দাও । এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গতিশীল বিষয় হলো গুজব । মুহূর্তে সহস্র হাজারে পৌঁছে যেতে যেতে সুতীব্র একটা সক্রিয়তা কিড়মিড় করে ধেয়ে আসে ঘটনার উৎসে। তার পর যা ঘটে তাকে তাণ্ডবলীলা বললেও কম বলা হবে।           ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি এই রাজ্যেও ডাইন-ডাইনি প্রসঙ্গ এখনও খেয়াল করলে শোনা যায় । কিছুটা অস্বাভাবিক-দর্শন সঙ্গতিহীন দরিদ্র মলিন পোশাক বা মানসিক ভারসাম্যের বিন্দুমাত্র অসংলগ্নতা থাকলেই উপযুক্ত ভূমি রচিত । বহুকাল থেকে প্রাকৃতিক, সামাজিক এমনকি ব্যক্তিগত পারিবারিক যে কোনও উদ্ভূত সমস্যার জন্য এই জাতীয় নিরীহের উপর 'অলক্ষ্যণ' মূলক তকমা সেটে অত্যাচার হয়ে আসছে।

কবিতা: পবিত্র কুমার ভক্তা

       লড়াই আদিম অন্ধকারে গায়ের চামড়া অবান্তর রিপু মাথা চাড়া দেয়, অস্ত্বিত্বের ফ্যাগোসাইটোসিস গ্যাংলিয়ন সমাজে, মর্সিয়া রচি সংবৎসর। স্নায়ুশৈথিল্য শিরদাঁড়া অভয়ারন্য খোঁজে অন্ধকার পথে শাড়ি উড়ে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে বিদ্রোহী যুবক নেশা করে লাশকাটাঘরে ঘাড় গুঁজে। গাছের গায়ে শ্যাওলা জমেছে, মিথ্যা মনেতে আরও একবার জেগে ওঠা দরকার বন্দেমাতরম ধ্বনিতে...   ............................. .................. প্রেরকঃ পবিত্র কুমার ভক্তা গ্রাম- পাটনা ,  পোঃ - অজয়া ,  থানাঃ- খেজুরী , জেলাঃ- পূর্ব মেদিনীপুর ,  পিন- ৭২১৪৩০ সম্পাদিত পত্রিকাঃ    "অক্ষর বিতান ' , " কমিউনিকেশন ' ' খেজুরীর মুখ ' [ সহ সম্পাদক] মোঃ ৯৭৩৪৪২৫৭০২ [whatsapp] 

কবিতা: সুমিত মোদক

ছবি
আকাশ কুসুম সম্প্রীতির সুর [ ধর্মের জাঁতায় শিশুর সৎকার , কবর খুঁড়লেন মা নিজেই । -- আন্দন বাজার পত্রিকা , ২৯ মে ২০০৬  ] এখানে আমি বেশ আছি      ভাল আছি  সুখে আছি     শান্তিতে আছি ... জানি না,  এখন আমি কোথায় আছি  !  হিন্দুর স্বর্গে ! নাকি মুসলমানের বেহেস্তে !  এখানে হাজার হাজার সূর্য  হাজার হাজার নক্ষত্র     ধূমকেতু  এক মহাজাগতিক সংসার ... এখানে কোনো ধর্ম নেই     জাত নেই  নেই বর্ণ       বিদ্বেষ ... # ওখানে তুই কেমন আছিস , ভাই  ! আমাদের পূর্বপুরুষের হিন্দু ভারতবর্ষে !  আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে সম্প্রীতির দেশে  ! কেমন আছে আমার হিন্দু বাবা  মুসলমান মা ! কেমন আছে তোদের সমাজ      সভ্যতা  পরিবর্তনের গান ...  # সেই গানে ভেসে ছিল আমাদের বাবা-মা ; ভালবেসে বিয়ে করে ছিল ভিন্ন ধর্মের দুটি মানুষ ; মেনে নিতে পারেনি দুটি পরিবার  # দুটি সমাজ  ওদের পরিজন ! ওদের সংসারে ওরা সুখী ; যে যার ধর্মচারণে ব্রতী     তৃপ্ত     আলোর উৎস সন্ধানে ; সে সময় আমি জন্ম নিলাম ; বছর ঘুরতে না ঘুরতে আন্ত্রীকে কেড়ে নিলো  আমার প্রাণশক্তি ; আমি তখন এক মৃত শিশু

মুক্তভাবনা: আবদুস সালাম

 ট্র‍্যাজিক   নায়ক : সুভাষচন্দ্র বসু       দ্বিখণ্ডিত হয়ে স্বাধীন হলো ভারত । ফিরে এলেন না আমাদের যৌবনের প্রতীক নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।বিমান দুর্ঘটনায়  মৃত্যু কাহিনী দেশময় চাউর হলেও আজও তা আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য।বিমান দুর্ঘটনার কাহিনী তে এতো বেশী ছিদ্র যে অলীক কথকথার জল সহজেই‌ সেখানে ঢুকে  পড়ছে।      এত বড়ো মাপের একজন  নেতার মৃত্যু কাহিনীর তথ্য প্রমাণ  এতো বেশি অকিঞ্চিৎকর যে পরস্পর বিরোধী স্বাক্ষ‍্য এবং গোপনীয়তার চেষ্টা নানা রকম সন্দেহের উদ্রেক করে । জাপানের রনকেজী মন্দিরে অবস্থিত ছাই কাহিনী ও আমাদের মনে বিশ্বাসের তত্ত্ব উপস্থিত করতে পারে না।    বিশ্ববরেণ্য সর্বভারতীয় নেতার প্রতি আমাদের আবেগ, আমাদের আবেগের  উচ্ছলতা স্বাভাবিক ভাবেই উথলে ওঠে।তিনি ছিলেন  একাধারে কবি গুরুর স্নেহ ধন‍্য,চিত্তরঞ্জন দাশের পুত্র তুল‍্য এবং স্বামী বিবেকানন্দের উত্তরসূরী।উচ্ছল তারুণ্যের মূর্ত প্রতীক সুভাষচন্দ্র  বাঙালি জাতিকে সাহস ও তারুণ্যের দীক্ষা দিয়েছেন।ভীরু বাক‍্যবাগীশ বাঙালি জাতি একজন উচ্চ শিক্ষিত, প্রখর বুদ্ধি সম্পন্ন,অশ্বারোহী অস্ত্রধারী নেতা পেয়ে ধন‍্য হয়েছিল।         দেশভাগের পর বাঙা

কবিতা: নাসির ওয়াদেন

ছবি
             কথা শুধু শব্দ নয়                              ১ দেশভক্তিকে একবার প্রশ্ন করেছিলাম কোন উত্তর আসেনি উত্তর আসার কথাও নয় কেননা উত্তর দেওয়ার লোকই তো দেশে নেই যারা দেশরক্ষার নামে আছে তারা পাহারাদারমাত্র আড়ালে আবডালে লুঠের রাজত্ব চলছে মিথ্যে দোষ দিয়ে লাভ কী ভাস্কর পণ্ডিতদের মিথ্যের গাড়ি চড়ে বেশি দূর যাওয়া যায় না ফিনিক্স পাখির ডানার ভেতর জনরোষ জমা আছে                         ২ হতাশা আর গ্লানি নিয়ে সূর্য ঢলে পড়লে প্রত্যাশার আকাশে চাঁদ  দেখা যায় চাঁদকে ভালবাসার ক্ষেত্রভৃমি নির্মাণে নাসা পারেনি ইসরো করে দেখাচ্ছে কেরোসিন,পেট্রোলের দাম বাড়লে ফড়েদের লাভ যারা লাভ খেতে খেতে রাঘব বোয়াল হয়েছে শীতল চোখে অপেক্ষা করছে তাদের শ্রীঘর                          ৩ অসহিষ্ণুতা আর হিংসাত্মক কার্যকলাপ যখনই বাড়ে লোভের গতিবেগ হারে তখনই অসহায় মানুষের চোখে জল আসে মৃত্যু জীবনকে পরিণতির দিকে নিয়ে যায় যতটা সত্যি বেশি সত্যি জাগরণের, চেতনার অপরাধীদের বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ানো আর অপশাসন রোধে ব্যর্থ রাজন নপুংসক, সমার্থক                    ------        লেখক পরিচিতি    

কবিতা ।। সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

     সেই সংবাদ চারপাশে এবং ঘরের মধ্যে সময় পুড়ছে, বৃত্তের মধ্যে পুড়ছে মানুষ।  চেতনার গভীর থেকে উঠে আসছে ঘৃণাময় ধোঁয়া, ধোঁয়া ছুঁয়েছে বৃত্ত-বদ্ধ বিন্দুর হৃদয়,  তবু বিস্ফোরণে কাঁপেনি ঘন বসবাস। নির্লিপ্ত চোখের পাতা ছিঁড়ে নেমে এসেছে অভিমানী জল, শুধু বধ্যভূমির স্মৃতি কেরোসিন কুপির মতো টিম্ টিম্ জ্বলে সারারাত। এই তো সময়। সমস্ত কাঠিন্যের মধ্যে নির্মিত মানুষ, পারঙ্গম নারীকে এক সূত্রে বেঁধে নেবার। এখন সম্মোহনে পোড়ার থেকে ফিরে যেতে হবে মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি, কারণ নিবিড় শোষনের জ্যামিতিক আচার বদলে গেছে অভিনব কায়দায়। এই তো সময়।  সেই সংবাদ পৌঁছে দিতে হবে, সমূহ পাথর থেকে শরীরে শরীরে...         *=*= *=* SUDIPTA BANDYOPADHYAY. 7P/1, RAM ROAD, SARSUNA, KOLKATA-700061. PH-9432222463. """""""""""""""""""""""""""

অণুগল্পঃ সোমনাথ বেনিয়া

খোলা খাঁচা "আজ ফিরতে রাত হবে। অনেকগুলো পতাকা সেলাই করতে হবে। কালকে স্বাধীনতা দিবস। এক্সট্রা ইনকাম হবে। মালিকের কাছে কিছু না-হয় চেয়ে নেবো। মেয়েটার দুধ কিনতে হবে" - এই সব ভেবে দর্জি অনিল তাড়াতাড়ি হাত চালাতে লাগলো। অবশেষে কাজ শেষ করে ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ‍্যে বাড়ি ফিরছে অনিল। হঠাৎ হ‌ইহ‌ই ...গেল-গেল ...ধর-ধর শব্দে ভিড় জমে গেল। রক্তে ভেসে যাচ্ছে অনিলের শরীর। কিছু লোক অনিলকে চাপা দেওয়া লরিটার পিছনে দৌড়ে গেল বটে, কিন্তু ধরতে না পেরে ফিরে আসছে। অনিলের গোঙানি বাড়ছে, বাড়ছে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের সংখ‍্যা।        এমন সময় দুম-দুম, ফট-ফট শব্দে আকাশ কেঁপে উঠছে। বৃষ্টি ধরে এসেছে। আলোকিত আকাশ ঘোষণা করল স্বাধীনতা দিবসের উদ্‌যাপনের ভূমিকা। তাহলে রাত বারোটা বেজে গেল। ততক্ষণে অনিলের দেহে শেষ নীরবতা বিরাজ করছে। বোঝা গেল অনিল এখন স্বাধীন। সে অন্নক্লিষ্ট, দুর্দশাগ্রস্থ, অবক্ষয়ের সমাজ-দেশ ছেড়ে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে সবকিছু ভালোর দেশের দিকে র‌ওনা দিয়েছে ... ==================================   সোমনাথ বেনিয়া ঠিকানা - ১৪৮, সারদা পল্লি বাই লেন ডাক + থানা - নিমতা জেলা - উত্তর ২৪ - পরগনা কলক

কবিতাঃ উত্তমকুমার পুরকাইত

একটা বুলেট ধেয়ে এলো    একটা বুলেট ধেয়ে এলো আমার টেবিলে  তারপর তোমার ক্ষত-বিক্ষত মুখ!  অরুনেশদা, মনে আছে সাতচল্লিশের কথা,  মনে আছে সাতাত্তর, কিংবা দু'হাজার সাত?  সিঙ্গুরের জমি থেকে হটে যাচ্ছে টাটাদের রথ।  তবু এই সতেরোয় কেন আসে ভাঙড়?  হাঙরের ছদ্মবেশে;  আর মোরো না অরুনেশদা  সব ঝান্ডা ঠান্ডা হয়ে পড়ে আছে লাশঘরে  ওঠো,  একা একা হাঁটো  এখনও ধু-ধু করছে গুয়েভারার মুখ  এখনও ধু-ধু করছে গান্ধীজির বুক। *************&****************   উত্তমকুমার পুরকাইত শঙ্করপুর, পোস্ট- প্রাণবল্লভপুর, ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ ২৪ পরগণা-৭৪৩৩৯৫ মোবাইল/হোয়াটসঅ্যাপ-৯৫৯৩১৩২৭৬৫

কবিতাঃ প্রণব কুমার চক্রবর্তী

        স্বাধীনতার চাওয়া পাওয়া                                          তোমাকে দিয়েছি অশ্রুমাখা নদী              শুকিয়ে যাওয়া ছিহ্ন স্বপ্ন -হার ,              আমার কাছে আর তো কিছুই নেই              চাইলে তোমায় কি দেবো বলো আর ?              স্বাধীনতার স্বপ্ন-অাঁকা ছবি              দেশপ্রেমের অমূল্য উপহার ,              মুখোসধারী নেতাদের ভারে              অাজ সেসব করছে হাহাকার !              চেয়েছিনু রৌদ্রমাখা দিন              জ্যোছনা মাখা নীল আকাশী রাত              পেলাম না তো সেসব কিছুই আমি              এ জন্মটা হলোই বরবাদ  !              তবু আমি হাল ছাড়িনি মোটে              আশায় আশায় রয়েছি রাত দিন              তুমি এসে ভরাবে মোর বুক              সেদিন আমি নাচবো ধিন্ ধিন্ । ============================= ঠিকানা : প্রণব কুমার চক্রবর্তী , স্বামী শিবানন্দ রোড , চৌধুরীপাড়া , বারাসাত , কোলকাতা - ৭০০১২৪  মোবাইল নম্বর : ৮৭৭৭৬৮৫৯৯২ এবং ৯৪৩৩০২৮৬৮৫  ৷

অমিয়কুমার সেনগুপ্ত ।।। কবিতা

ছবি
এরই নাম রাষ্ট্র মহারণ্যে সিংহ মৃত । পাতি এক নপুংসক বাঘ অরণ্য ছারখার করে দাপিয়ে বেড়ায় । সে-ই তো নিজেকে ভাবে রাজা! তার যারা সন্তান-সন্ততি অন্য সব পশুদের নিপীড়ন করে । ফলে, অন্য সব পশু প্রাণভয়ে জনপদে নেমেই এসেছে । জনপদ এই রাষ্ট্র নয় । অরণ্যই রাষ্ট্রের বিস্তার । সেখানে মানুষ নেই, খোলসের মতন খানিক  বিষাক্ত লবণ পড়ে আছে । মানুষ তা ছুঁতে গিয়ে জীবন হারায়  মৃত ওই সিংহের কবরে কতিপয় পশ্যাধম নাচানাচি করে । সময় হারিয়ে যায় জিঘাংসার চাপে। মুখে কারও কথা নেই । সবাই নির্বাক । এরই নাম রাষ্ট্র,  এই কবরের অতল গহ্বরে জীবিত মানুষ সব চাপা থাকে, কেউই তার জেহাদ করে না। =============================== অমিয়কুমার সেনগুপ্ত,  হুচুকপাড়া বাই লেন, পুরুলিয়া 723101. M: 9434009741.

মুক্ত ভাবনাঃ ইতিকা বিশ্বাস

"আমার দেশের সম্পর্কে আমার কথা" ..................................................................... আমি আমার দেশ ভারতবর্ষকে খুব ভালোবাসি। ভালোবাসি প্রত্যেকটি মানুষকে। তবে খুব কষ্ট হয় যখন দেখি আমার ভারতবর্ষের মানুষ অসহায় এবং শত দুঃখ কষ্ট ভোগ করে চলেছে দিনের পর দিন। খুব আঘাত করে আমার হৃদয়কে আমি মেনে নিতে পারিনা এই অবস্থাকে। আমি প্রত্যেকের জন্য সবসময়ই প্রার্থনা করি হে ঠাকুর সবাই যেন খুব ভালো থাকে হাসি খুশি থাকে। নতুন সূর্যোদয়ের মতো যেন নির্মল হোক দেশ। সন্ত্রাসের কালো ছায়া বিলুপ্ত হয়ে যাক চিরতরে। মানুষ স্বাধীন ভাবে বাঁচার সুযোগ যেন পায় এটা কামনা করি। ভালোবাসি ভিষন ভাবে আমার দেশকে। যখন ফুটপাতে শিশুরা ক্ষুধার জ্বালায় যন্ত্রণা অনুভব করে এবং অন্যের কাছে খাবারের দাবি করে দুহাত বাড়িয়ে অসফল হয়, তখন সেই করুন দৃষ্টি আমাকে ভিষন ভাবে উদ্বেগ করে তোলে। তখন মনে হয় ফুটপাতে পড়ে থাকা সকলকে নিজের কাছে আশ্রয় দিই অন্ন তুলে দিই তিনবেলা, কিন্তু কি ভাবে আমারতো তেমন অবস্থা নয়। এই ভেবে আবার দু-পা পিছে আসতে হয়। কি করবো সাধ আছে তবে সাধ্য নেই।      ক্ষুদ্র শিশুর কান্না অনেক রাত ভ

সজল কুমার টিকাদারের কবিতা

হবি শপ থেকে  হবি শপ থেকে পাখিরা ডানা ঝাপটায় আকাশ ভেঙে ধরে আনার প্রথম প্রথম ক'দিন। মুখ ভারকরে অনশন করে তারপর বাঁচার জন্য দানা খায়। ওদের মধ্যে কেউ কেউ ঠিক  ওদের মত নয়। তারা সারা বছর শিক কাটার চেষ্টা করে আর আগস্টে হাতে হাতে  ত্রিরঞ্জিত পতাকা দেখলে  ক্ষেপে ওঠে! চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে প্রশ্ন করে--  'বলো, আমাদের স্বাধীনতা কেন কাড়লে?' --------------------------------------------------------------- সজল কুমার টিকাদার আরামবাগ,হুগলি পিন-৭১২৬০১ ফোন-৯৭৩২৮১৫৩৯৯.

সবিতা বিশ্বাসের কবিতা

স্বাধীনতার গান বিলের ধারে কলমী লতা ফুল ফুটিয়ে হাসে সাঁতার কেটে জল পিঁপিঁরা ভেলার মতো ভাসে বাতাস ছোটে মাতন ওঠে জলের কলতান সবাই ওরা আজ শোনালো স্বাধীনতার গান পথের পাশে লাজুক হেসে লজ্জাবতী লতা ফিসফিসিয়ে গুনগুনিয়ে কইছে কত কথা ফুটলো কলি জুটলো অলি খুশির ঐক্যতান গলা মিলিয়ে গাইলো ওরা স্বাধীনতার গান দৃপ্ত পায়ে ক্ষিপ্ত বেগে জয়ের অভিযান ওই চলেছে মাতঙ্গিনী আঁকড়ে অভিমান প্রাণ দেবোতো মান দেবোনা যতই আঘাত হান বুলেট বুকে গাইলো মেয়ে স্বাধীনতার গান মাঝির মুখে চাষীর বুকে ভালবাসার ঢেউ দেশ মায়েরে রাখবো ভালো দেবোনা ব‍্যথা কেউ ব্রিটিশদের দূর হঠাতে লক্ষ বলিদান উঁচিয়ে মাথা গাইলো সবাই স্বাধীনতার গান।                   ---------------   সবিতা বিশ্বাস প্রযত্নে-- লঙ্কেশ্বর বিশ্বাস গ্রাম ও পোস্ট -- মাজদিয়া ( বিশ্বাস পাড়া) (শুভক্ষণ লজের পাশে) জেলা--- নদীয়া। পিন-- ৭৪১৫০৭ ফোন--- ৮৯০০৭৩৯৭৮৮ ধন্যবাদ।

কবিতা ।। মানবেশ মিদ্দার

ছবি
ভাগ করবোই মানবেশ মিদ্দার ভাগ ছিলো না! ভাগ ছিলো না! ভাগ ছিলো না! ভাগ ছিলো না,   'এক পৃথিবী সবুজ মোড়া মাটি।' ভাগ ছিলো না,   'কোথাও ধূসর পাহাড় ছবি আঁকা।' ভাগ ছিলো না,  'কোথাও সুনীল আকাশ ডোবা সাগর।' ভাগ ছিলো না,   'বন, ঝর্ণা, নদী আঁকা বাঁকা।' ভাগ ছিলো না,   'কোন্ পশুটা ভাগ করেছে বন?' ভাগ ছিলো না,   'কোন্ তিমিটা ভাগ করেছে সাগর?' ভাগ ছিলো না,   'কোন্ তারাটা ভাগ করেছে আকাশ?' ভাগ ছিলো না,   'গরম দিনে দখিন হাওয়ার আদর।' ভাগ ছিলো না,   'গাছ-গাছালি এক বনানীর ঘরে।' ভাগ ছিলো না,   'কোটি তারা এক আকাশের তলে।' ভাগ ছিলো না,   'আষাঢ় মেঘে বৃষ্টি বাদল ঝরে।' ভাগ ছিলো না,   'মানব শিশু এক পৃথিবীর কোলে।' ভাগ ছিলো না,   'বেশ তো ছিলো এক পৃথিবী প্রাণ।' ভাগ ছিলো না,   'একটা মানুষ দুটো মানুষ হলো।' ভাগ ছিলো না,   'এক পৃথিবীর একটা হৃদয় জুড়ে,' ভাগ ছিলো না,   'উঠলো পাঁচিল রক্ত বয়ে গেলো।' হাজার শিশু মানুষ হলো হৃদয় উঠলো ফুলে, এক পৃথিবী ফসল খে

কবিতাঃ সুজাতা মিশ্র (সুজান মিঠি)

  বন্দে মাতরম ছুটতে ছুটতে দোকানে এলো বুলি, হাঁপাতে হাঁপাতে  বললো, "উ লালুদাদা, এক কিলো সাদিনতা দাও দিকিন মুর বুন ভাইগুলান খাচ্ছেক, আমু চাইলম,তো বলে 'যা, কিনে লিয়ে আয়।' দাও তো মুকে, খাই বেসটি করে।" লালু দেখলো, অনেকদিন পর সুযোগখান পেয়েছে সে, বলে, "উটা তো দুকানে পাওয়া যায় লা কিনা, চল মুর  সাথে, লিয়ে আসবি। আর গুরমা গরম খাবি।" স্বাধীনতার স্বাদ পেতে বুলি লালুর পিছন পিছন গিয়ে  ঠেকলো গ্রামের শেষ প্রান্তের ভাঙা মন্দিরে, লালুর শক্ত দুটো হাত বুলিকে টু ফ্যা করতে দিল না।  রক্ত আর কান্না কাদার সঙ্গে মিশে বয়ে যেতে লাগলো  সারা শরীর জুড়ে তার। লালু স্বাধীনতা খায়িয়ে চলে গেল। সন্ধেবেলায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল বাপমায়ে, আর  তারপর উদুম মার। নিস্তেজ শরীরটা উল্টে পড়লো  খড়ের বিছানায়। দিনদশেক বাদে যখন বুলি ঘর থেকে বেরোয়, পথে লালুর সাথে দেখা, "এ বুলি, বল কেনে, সাদিনতা কেমন খেতে? আর খাবি লাকি?" একদিন দুদিন তিনদিন রোজ রোজ প্রতিদিন তাকে সাদিনতা খাওয়ার প্রস্তাব দেয় লালু। আর তারপর কেটে গেল এক বছর। ফিরে এলো আবার সেই দিন। স্বাধীনত

অষ্টপদ মালিক ।। কবিতা

জন্মদিনের উপহার জন্মদিনে তোমাকে কি দেবো ভেবে ভেবে বড়ো অস্থির হয়ে পড়েছি । একখানা বই দেবো ? নিজের মনে ভাঙাগড়া খেলা চলে বই তোমার কি কাজে লাগবে ! তুমি তো নিরক্ষর । তোমার পাংশু মুখের দিকে তাকিয়ে আমিও কম কষ্ট পাইনা ! কোথায় তোমার গা-ঢাকা বস্ত্র কোথায় তোমার ক্ষুধা নিবারণের অন্ন। আজও খোলা আকাশের বারান্দা তোমার ঘর । আর অপেক্ষার পালা গুনবো না আজ পনেরো ই আগষ্ট ,তোমার জন্মদিন তোমার দুঃখের সাগর ভালোবাসার মাটি দিয়ে ভরিয়ে দেবো নতজানু হয়ে শপথ নিলাম । ======================            অষ্টপদ মালিক    পাঁচারুল, হাওড়া- ৭১১২২৫     মোবাইল: 6295321758

স্বরূপা রায়ের কবিতা

ছবি
স্বাধীনতা যে দেশে আজও হাজার হাজার পেট অভুক্ত থেকে যায়, যে দেশে আজও বেশিরভাগ মানুষ পথে রাত কাটাতে বাধ্য হয়, যে দেশে আজও কন্যাশিশুর জন্মের আগে ভ্রূণহত্যা হয়, যে দেশে আজও বাবা-মা ছোট ছেলেকে অভাবে কাজে পাঠায়,  যে দেশে আজও পুরুষকে অর্থ জোগানের মেশিন ভাবা হয়, যে দেশে আজও গায়ের কালো রঙ দিয়ে মানুষের বিচার হয়, যে দেশে আজও ধর্ষণের পর ধর্ষককে না, ধর্ষিতাকে দোষী মানা হয়, যে দেশে আজও পণ নামক অপরাধের জন্য বধূহত্যা হয়, যে দেশে আজও একজন নারী সম্পূর্ণ রূপে নিরাপদ নয়, যে দেশে আজও সন্তান বাবা-মা বৃদ্ধ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়, যে দেশে আজও অন্নদাতা কৃষককে আত্মহত্যা করতে হয়, যে দেশে আজও প্রাপ্য চাকরির জন্য অনশনে বসতে হয়, যে দেশে আজও রাজনৈতিক লড়াইয়ে ভাইয়েভাইয়ে খুন হয়, যে দেশে মনুষ্যত্বের ঊর্ধ্বে ধর্ম এবং জাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেই দেশে ৭৩ বছরের স্বাধীনতা পালন করা কী মানায়? ================================== নামঃ স্বরূপা রায় ঠিকানাঃ উত্তর ভারতনগর, ১০, বটুকেশ্বর দত্ত সরণি, পো- রবীন্দ্র সরণি, জেলা- দার্জিলিং, শিলিগুড়ি-৭৩৪০০৬ ফোন নংঃ ৮৬৩৭৫২৮৯২৫ হোয়াটস্যাপ নম

'পাখী'র কবিতা

স্বাধীন ভারতের মেয়ে ভালো থাকিস ও মেয়ে তুই দুঃখ কেন করিস পৃথিবীর সমস্ত সুখ তোর হাতেই ধরিস। লাগবে না তোর চোখে কাজল, ঠোঁটে লিপস্টিক, মুখে কোনো প্রসাধন মাথায় গুজে নিস কিছু লাল জবা বেনারসির হবে না প্রয়োজন। রাস্তার পাশে ইটের উপর শুয়ে, পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে যে মানুষটি তার দিকে চেয়ে দেখ মশার সাথেও তার হয়েছে মিতালী, কারো সাথে নেই কোনো সংঘাত। বিড়াল ছানা দুটির সাথে করে নে তুই সুখ ভাগ জোছনাকে গায়ে মেখে সোহাগী হ আঁধার আঁধারেই পড়ে থাক। মালা বদল করিস সেই ছেলেটির সাথে যাকে পছন্দ করেছে বাবা মা জেনে রাখিস গুরুজনের আশীর্বাদের কোনো বিকল্প হয় না। জুঁই-চামেলীর হাসি ছড়িয়ে শশুর শাশুড়িকে ভালো রাখিস, ভালো থাকিস ===========================           পাখী             11-8-19

কবিতাঃ সম্পা পাল

জন্মভূমি পৃথিবীর সব দেশ সুন্দর পৃথিবীর সব মানুষ ভালো শত্রু বলে কাউকেই মনে হয় না পৃথিবীর সব নদীতেই নামতে ইচ্ছে  হয় সব পাহাড় থেকেই সমতল ভালো লাগে তবে দিনের শেষে আমার দেশেটাই শুধু ঘরে ফিরতে বলে। আর মরণ চিন্তা এলে শুধু গঙ্গাকেই মনে পড়ে....... এটাই কি জন্মভূমি ? =================== সম্পা পাল, শিলিগুড়ি

কবিতা: তরুনার্ক লাহা

ছবি
        স্বাধীনতা  অত্যাচারে অত্যাচারে জর্জরিত  সবার দেহ রইল না কেউ চুপ করে আর করল সবাই যে বিদ্রোহ । ফাঁসির দড়ি পরল গলায় শহিদ হলো আরো কত গুলিতে বুক ঝাঁঝরা হলো মরল মানুষ শত শত। গান্ধী এলো,এলো সুভাষ  এলো বিনয় দিনেশ বাদল এলো সূর্য কল্পনারা বাজল স্বাধীনতার মাদল। রক্ত লেখায় লেখা হলো স্বাধীনতার এই ইতিহাস  স্বাধীন হলাম,কেউ তো আবার খেলল কত বিভেদের তাস। স্বাধীনতার মন্থনে হায় উঠল অমৃত উঠল যে বিষ পেলাম আমরা স্বাধীনতা  তবু ব্যাথা পাই অহর্নিশ। এখন মনে প্রশ্ন জাগে সত্যি কি ভাই আমরা স্বাধীন দেশের মধ্যে নেই কি গরিব  সবার মুঠোর মধ্যে সুদিন? দুঃখ মনে থাকবে না আর আমরা স্বাধীন মুক্ত এবার স্বাধীন সবাই যদি থাকে অন্ন বস্ত্র শিক্ষা সবার।                *** তরুনার্ক লাহা বেলিয়াতোড় বাঁকুড়া

সুমন নস্করের ছড়া

ছবি
         মহান ভারত আমরা সবাই ভারত বাসি এ দেশ মোদের গর্ব, জন্মভূমি এ দেশটাকে করব না কেউ খর্ব৷ পরস্পরে বাসব ভাল দেখব সবার হাসি, সব ব্যবধান ঘুঁচিয়ে বলো আমরা ভারত বাসি৷                        ৷৷২৷৷ আমরা সবাই ভারত বাসি এ দেশ মোদের মা, জন্মভূমি মায়ের রূপের নেইকো তুলনা৷ মাথায় যে তার তুষার রাশি ঘোমটাখানি টানা, পা ধোয়াতে ঢেউয়ের রাশির একটুও নেই মানা৷                        ৷৷৩৷৷ আমরা সবাই ভারত বাসি এক দেহ মন প্রাণে, সবাই সবার বাসব ভাল এক মিলনের গানে৷ ভারত আমার মহান ভারত আসুক মহা যোগ, সংহতি আর বিশ্ব দ্বারে সবার সেরা হোক৷ ============================== সুমন নস্কর ৷৷ বনসুন্দরিয়া ৷৷ দক্ষিণ২৪ পরগনা

কবিতাঃ সুপ্রীতি বর্মন

ছবি
হৃতগৌরব স্বাধীনতা যবে দুটো ভাতের জন্য যৌবন খোয়াতে, গলদঘর্ম পরিশ্রম মজদুর ইঁট বোঝাই,  রাস্তা ঘাটে ধূলায় পরিত্যক্ত উচ্ছিষ্ট সখ স্বাদ আহ্লাদ  পরের বাড়ি দাসত্ব ঝি খেটে,  পচে গলে যা হোক দেনা পাওনা জীবন নিতে হবে না আর, বলবি আমরা স্বাধীন।। অর্থনৈতিক চাপের বোঝা মরনসংকোচনের মতন  আপাদমস্তক টাকার গদির তলায় দমচাপা দীর্ঘশ্বাস কালঘাম ছোটে বিষাক্ত দুধ কলায় পোষা কালসাপ  পাশবালিশের কোলে ঘাপটি ঘুমে  ছুঁতে চায় স্বপ্ন,  ঐ বিশাল আকাশকে হাতের মুঠোয় পেতে অভীষ্ট লক্ষ্যের উপর রাখবে হাত নির্দ্বিদ্ধায় সেদিন বলবি আমরা স্বাধীন।। যবে মনুষ্যত্বের দর কড়ির দর থেকে হবে বেশি  লাখ গুনে মনন চিন্তন সব মাপকাঠি যাবে ডিঙিয়ে কড়ির দরে বাছবিচার তাকে রেখে কিংবা উচিত ও নৈব নৈব চ এর বাটখারায়, বসাবে না প্রতিজনকে  সেদিন বন্ধ হবে কেনাবেচা।  বিক্রীত হবে না আজন্মলালিত মূল্যবোধ অপমানে মাথা হেঁট দেওয়ালে পিঠ ঠিকে কানাকড়ির বহ্নিশিখার অটুট আস্ফালনে মধ্যবিত্ত টানাপোড়েন জীবন পকেটে দশ টাকা,  চোখের সমুদ্রে বানভাসি উচ্ছাস লাখ টাকা স্বপ্ন কুঁকড়ে গুটিয়ে সংক্ষিপ্ত ইতিকথা। অক্ষম স্ব

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪