একটি_ সাধারণ_মেয়ের_ গল্প
জয়শ্রী_দাস
আজ এক অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ের গল্প বলতে চাই। পরিস্থিতির চাপে কি করে সাধারণ মেয়েটি অসাধারণ হয়ে উঠল তার ঘটনাই তুলে ধরতে চাই সবার সামনে। মেয়েটির নাম ঝর্ণা। সে ছিল ঝর্ণার মতোই উচ্ছল প্রকৃতির। ভাইবোনদের মধ্যে সব থেকে ছোট ছিল বলে আদুরেও ছিল প্রচুর। একটা ছোট্ট ভুলের জন্য ঝর্ণাকে দিতে হয়েছে অনেক বড় মাশুল।
ছেলেবেলায় পুতুল খেলার সখ থাকে সব মেয়েদেরই। ঝর্ণাও তার ব্যতিক্রম ছিল না। সেও আর পাঁচটা মেয়ের মতো পুতুল খেলত। আর পড়াশোনাতেও ছিল ঝর্ণার ভীষণ নাম। প্রায় প্রতি বছরই ক্লাসে ফার্স্ট হতো ঝর্ণা। প্রতিটি স্যার ম্যাডাম ওকে খুব ভালোবাসতো। এই ছোট্ট মেয়েটির চোখে ছিল নানান স্বপ্ন। আর সেই রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে ও ভালোবেসেছিল একজনকে। কাঁচা বয়সে বোঝেনি বাস্তবের কঠিন রূপকে। তাই তখন ওর দুচোখ জুড়ে ছিল মিথ্যে স্বপ্নের কাজল। সত্যি কথা বলতে এই বয়সে মানুষের কতটাই বা পরিণত বুদ্ধি থাকে?
তাই অপরিণত বয়সে মেয়েটি করে ফেলে মস্ত একটা ভুল। ক্লাস নাইন থেকেই ক্লাসের একটি ছেলের সাথে ওর ভালোবাসার সম্পর্ক হয় পরিবারের সবার অলক্ষ্যে। নাইন থেকে যে ছেলেটিকে ভালোবেসেছে তাকে কি করে ভুলে যাবে?
এই
যুক্তি সর্বক্ষণ কাজ করত ঝর্ণার মাথায়। তাই তো বাস্তবে সমকক্ষের দাড়ি পাল্লার বিচার না করেই সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে যদি করতেই হয় তাহলে ভালোবাসার মানুষকেই বিয়ে করবে। কলেজে পড়ার সময় ঝর্ণার ভালোবাসার কথা বাড়ির সকলে জেনে যায়। হয়তো তাদেরও কিছু ভুল ছিল,
ঠাণ্ডা মাথায় না বুঝিয়ে ঝর্ণার ওপর শর্ত আরোপ করে বড়রা। হয়তো তারা তাদের জীবন অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছিলেন তেলে আর জলে কখনো মিশ খায়না। তাই শক্ত হাতে হাল ধরা উচিত। শর্ত দেওয়া হয়েছিল এমন,
"হয় ছেলেটিকে ভুলে যাও নতুবা ওকেই বিয়ে করো তাড়াতাড়ি। যত্রতত্র এই ভাবে লাগামছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়ানো যাবে না। এই সম্পর্ক আমরা কোনোদিনই মন থেকে মেনে নিতে পারব না। ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে তার দায় তোমাদের। তখন কাউকেই পাশে পাবে না।"
ঝর্ণার দোষ আর গুণ যাই বলুন না কেন ও ছিল অসম্ভব জেদী। হয়তো ওরও উচিত ছিল আরেকটু সহনশীল হওয়ার। বাড়ির সবাইকে আরেকটু বোঝানোর। তাদের সব মুখের কথাই যে মনের কথা নয় তা অনুভব করার দরকার ছিল ঝর্ণার। সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল নিজের মনকে প্রশ্ন করার সে কি চায়। কিন্তু ঝর্ণা তা না করে জেদের বশবর্তী হয়ে একদিন কলেজ যাওয়ার নাম করে সমস্ত সার্টিফিকেট সমেত বাড়ি ছেড়ে চলে যায় তার ভালোবাসার মানুষের সাথে। সকলের অমতে ঝর্ণা বিয়ে করে ওই ছেলেটিকে। আর এই জেদের জন্যই পরিবারের সাথে ঝর্ণার বিচ্ছেদ শুরু হয়। ভালোবাসার নেশায় মত্ত হয়ে অন্ধবিশ্বাসের ডানায় ভর করে উড়তে চেয়েছিল সে জীবনাকাশে। তখনও ঝর্ণা জানত না ভবিষ্যৎ তার জন্য কি অপেক্ষা করছে। যে বিয়ের জন্য একদিন জন্ম ভিটে ছেড়ে আসতে হয়েছিল,
ছিন্ন করে আসতে হয়েছিল রক্তের সম্পর্ক গুলোকে,
সেই বিয়েই ঝর্ণার জীবনে অভিশাপ বয়ে নিয়ে আসে। দু-এক ঘন্টা সময় কাটানো মানুষটি চব্বিশ ঘণ্টায় পরিণত হয় একেবারে নতুন।
বিয়ের এক-দুমা'স এর পর থেকেই ক্রমশ প্রকাশ পায় ছেলেটির অন্যরূপ।
যেহেতু কলেজে পড়তে পড়তে ঝর্ণা বিয়েটা করেছিল তাই ওর একটাই স্বপ্ন ছিল পড়াশোনাটাও চালিয়ে যাবে আর সুযোগ আসলে চাকরিও করবে। তাতে প্রথম প্রথম ঝর্ণার স্বামী সায় দিলেও পরে মেনে নিতে পারেনা। তাই তো কলেজ থেকে ঝর্ণার বাড়ি ফিরতে একটু দেরি হলেই ওকে শুনতে হতো নানা বাঁকা মন্তব্য। এমনকি সন্দেহ পর্যন্ত করতে শুরু করেছিল ঝর্ণার স্বামী। ঝর্ণাদের বিয়ের সময় এক বন্ধু ছিল ওদের বিয়ের সাক্ষী। তার সাথে ঝর্ণারও খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল। কথাও হতো মাঝে মধ্যে। এমনকি দু
- একদিন কম্পিউটার সেন্টার থেকে ফেরার সময় রাস্তায় দেখা হয়ে যাওয়ায় সে ঝর্ণাকে বাইকে করে বাড়ি পৌঁছেও দিয়ে যায়। এরপর শুরু হয় অশান্তির চরম পর্যায়। কারণে অকারণে অপমান করা সন্দেহ করা যেন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সারাদিন কটূক্তি করা সন্দেহ করা মানুষটিই যখন রাতের বেলা হলেই স্বামীর অধিকার দেখিয়ে যৌন ক্ষুধা মেটানোর জন্য ঝর্ণার কাছে আসত তখন কিছুতেই মেনে নিতে পারত না ঝর্ণা। যে মানুষটা ওর মনকে আঘাত করে বারবার কি করে তার সাথে শারীরিক মিলনে নিজেকে মেলে ধরবে?
চরম অপমানে ঘৃণায় নিজের উপর রাগে দিনের পর দিন চোখের জলে সে বালিশ ভেজায়। নিজের কৃতকর্মের জন্য দায়ী যে সে নিজেই। তাই ইচ্ছে হলেও কোন মুখে এসব কথা গিয়ে বাপের বাড়িতে বলবে। সে জায়গাও যে ঝর্ণা নিজে হাতে নষ্ট করেছে। নিজের উপর চরম রাগ হয় ঝর্ণার। মাধ্যমিকে স্টার পাওয়া মেয়ে কি করে জীবনের অঙ্কে এত বড় ভুল করে ফেলল তা নিজেই বুঝতে পারে না। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী হওয়ার দরুন কলেজের সব স্যার ম্যাডাম ওকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। ঝর্ণার উদাসীনতা চোখ এড়ায় না ওর প্রিয় দুই বান্ধবীর আর বটানী ম্যাডামের। পড়ার ব্যাচে একদিন ম্যাডাম আলাদা করে কাছে ডাকে ঝর্ণাকে। জিজ্ঞেস করে ওর বিবাহিত জীবনের কথা। জানতে চায় ও কোনো সমস্যায় আছে কিনা। ঝর্ণা না থাকতে পেরে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলে। ঝর্ণার সমস্ত কথা শুনে ম্যাডাম বলেন,
"তোমার কিছু শেষ হয়ে যায়নি ঝর্ণা। জীবনে এখনও অনেক পথ চলা বাকি। তোমাকে আগে ডিসিশন নিতে হবে তুমি দিনের পর দিন এই নরক যন্ত্রণা ভোগ করবে নাকি এই মিথ্যে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে প্রাণ ভরে শ্বাস নেবে। একটা ছোট্ট ভুলের মাশুল সারা জীবন ধরে গুনে যাওয়ার কোনো মানে হয়না ঝর্ণা!
আমি তোমার সমস্ত কথা শুনে এটা বুঝলাম তুমি চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছ। তোমার সামনে ফাইনাল পরীক্ষা,
ওই
পরিবেশে কি করে নিজেকে তৈরি করবে?
হয় বাড়ি গিয়ে কদিন ওখান থেকে পরীক্ষাটা দাও,
নাহলে আমার কাছে থাকো।"
ঝর্ণা কোনো কিছু না ভেবেই বলে ওঠে,
"ম্যাম ফাইনাল পরীক্ষার পর আমার একটা থাকার ব্যবস্থা আর চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন?"
ঝর্ণাকে সন্তান স্নেহে কাছে টেনে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে ম্যাডাম বলেন,
"চিন্তা কোরোনা আমি আছি তোমার দুই বান্ধবী আছে ঠিক থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আর তোমার যা মেধা ফাইনালের রেজাল্ট বের হলে নিশ্চয়ই কোথাও একটা চাকরির ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ততদিন না হয় আমরাই তোমার দায়িত্ব নেব।"
ঝর্ণার দুই বান্ধবী ঝর্ণাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে,
"কেন সহ্য করছিস ওই পশুটার অত্যাচার?
আমাদের আগে বলিসনি কেন?"
এক
বান্ধবী বলে ওঠে
-"মা সব সময় তোর কথা বলে। মা কি তোকে আমার থেকে কম ভালোবাসে?
কদিন কি আমাদের বাড়ি থাকতে পারিস না।"
দুই বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে ঝর্ণা হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকে।
ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েকদিন
আগেই ঘটে সেই চরম ঘটনাটা। ঝর্ণার স্বামী কিছু বন্ধু বান্ধবদের সাথে দীঘা ঘুরতে গিয়ে ধরা পড়ে কিছু ঘৃণ্যতম কাজে। সেই কথা ঝর্ণার কানে উঠতেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য ঝর্ণার চরিত্রের উপর কালি লেপনের চেষ্টা করে। দুজনের কথা কাটাকাটি হতে হতে ঝর্ণার হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে ওর স্বামী বলে,
"তুমি বেরিয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে।"
ব্যাস ওই একটা কথাই যথেষ্ট ছিল ঝর্ণার জীবনের চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য। ও কোনোদিকে না তাকিয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে সোজা চলে যায় ম্যাডামের বাড়ি। নিজের জীবনের এই করুণ পরিণতির জন্য যেহেতু নিজেই দায়ী তাই আর বাপের বাড়ি যাইনি সাহায্যের জন্য লজ্জায়। এই খবর শোনামাত্র সেই ছেলে বন্ধুটি ছুটে যায় ঝর্ণার বান্ধবীর বাড়ি। সেখান থেকে ম্যাডামের বাড়ির ঠিকানা নিয়ে যোগাযোগ করে ম্যাডামের সাথে আর ঝর্ণার সাথে। যেহেতু ঝর্ণার স্বামী ওকে নিয়েই বদনাম দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তাই একটা জেদ চেপে গেছিল ছেলেটির মনে। সে মনে প্রাণে চেয়েছিল ঝর্ণা সব বন্ধন ছিন্ন করে শক্ত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াক। প্রতিবাদ করুক রুখে দাঁড়িয়ে। তাই তো বন্ধু হয়ে বন্ধুর বিপদে সাহায্য করার জন্য বাড়িয়ে দিয়েছিল ছেলেটির শক্ত হাত। পরিচিত সূত্র থেকে খোঁজ খবর নিয়ে ঝর্ণার জন্য একটা মেস দেখে দেয় ছেলে বন্ধুটি।
যে মানুষটাকে বিশ্বাস করে ভরসা করে ভালোবেসে এতবড় ক্ষতি হল ঝর্ণার জীবনে,
সেই মানুষটি ঝর্ণাকে ছাড়া দিব্যি দিন যাপন করতে শুরু করে। এমনকি এটারও প্রস্তাব দেয় যে,
যাতে ওদের মিউচুয়াল ডিভোর্স হয়ে যায়। একসাথে যেকালে সংসার হবেই না,
যাতে ব্যক্তিগত জীবনে দুজন নতুন করে আবার সংসার শুরু করতে পারে। কথা গুলো শুনে যতটা না অবাক হয়েছিল ঝর্ণা তার থেকে বেশি ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছিল ওর নিজের উপর। কি করে সে এত বড় ভুলটা করল?
সবথেকে মজার বিষয় হল মিউচুয়াল ডিভোর্স হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই ঝর্ণার স্বামী পুনরায় বিয়ে করেছিল।
প্রতিটি মেয়েই চায় তার লড়াইয়ের পাশে একজন পুরুষের শক্ত হাত থাকুক। দৃঢ় সমর্থন থাকুক তার জীবনের প্রতিটি প্রদক্ষেপে। নিজের অজান্তেই সেই বন্ধুটি কখন যেন ঝর্ণার ভরসাস্থল হয়ে দাঁড়ায়। অপরদিকে ঝর্ণার প্রতি মায়ার একটা বাঁধনে আটকে পড়ে ছেলেটি। পুনরায় বাড়ির সাথে ধীরে ধীরে ঝর্ণার যোগাযোগ শুরু হয়। সমস্ত মান অভিমান মিটে আস্তে আস্তে পরিবারের সাথে মিলন হয়। তবে ঝর্ণা মাঝে মধ্যে বাড়ি ঘুরতে গেলেও সে মেসেই থাকত। হয়তো নিজের বোঝা নিজেই বইতে চেয়েছিল ও। সমাজ তো আছে সমালোচনা করার জন্য। সেদিকে না তাকিয়ে মেয়েটি ছেলেটির সাহায্য নিয়ে একটার পর একটা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে থাকে। অনেক লড়াই পরিশ্রমের পর অর্জন করে একটা চাকরি। তাই মাথা উঁচু করে বাঁচতে স্বপ্ন দেখে ঝর্ণা। তবে এসব কিছুই সম্ভব হত না যদি না ওই শক্ত হাতটি ঝর্ণার পাশে থাকতো। ছেলেটি নিজের অজান্তেই কখন যেন ঝর্ণাকে ভালোবেসে ফেলল। সে সরাসরি ঝর্ণাকে জানালো যে সে ঝর্ণার সারাজীবনের দায়িত্ব নিতে চায়। কিন্তু সব চাওয়াই তো মসৃণ হয় না। আসে অনেক বাধা। দেখা দিল নানা প্রতিবন্ধকতা। এই সমাজ একটা ছেলের দ্বিতীয় বার বিবাহ যতটা সহজ ভাবে মেনে নিতে পারে,
একটা মেয়ের ক্ষেত্রে তা পারে না। তখনই লেপে দেওয়া হয় মেয়েটির চরিত্রের উপর কালিমা। ছেলেটি ঝর্ণার বাড়ি বাড়িতে গিয়ে জানায় সে সবকিছু জেনেও ঝর্ণাকে ওর স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বিবাহ করতে চায়। এমন একটা সুপাত্র হাতে পেয়েও ঝর্ণার বাবা মা নিশ্চিন্ত হতে পারে না। তাদের মনে শংসয় দানা বাঁধে। যদি এ বিয়ে কখনো না মেনে নেয় ছেলেটির বাড়ি থেকে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ছেলেটি বলে,
"একবার যেকালে ঝর্ণার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেব বলে ওর পাশে থাকব বলে হাত বাড়িয়েছি তা কেউ কখনো দূরে সরাতে পারবে না। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। আমার মা বাবাকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমার। তারা জানে ঝর্ণা মেয়েটা কেমন। শুধুমাত্র ও বিবাহিতা বলে আমার অযোগ্য হতে পারেনা কখনো।
এমন করেই জীবনানলে পুড়তে পুড়তে ঝর্ণা চিনে নেয় ওর জীবনের বহু মূল্যবান রত্নটিকে। ঝর্ণার মনের অর্ধেক আকাশ জুড়ে জায়গা করে নিল ছেলেটির ভালোবাসা। আর ছেলেটি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল,
শুধু ৮ই মার্চ কেন?
প্রতিটিদিন প্রতিটি মুহূর্ত সে ঝর্ণার সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করবে।
---------------------------- ০০০০০০০০০০০০০০০০------------------------------
জয়শ্রী_দাস, মুড়াগাছা, ঘোলা, উঃ ২৪ পরগনা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন