বর্ষাবিলাপ
শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়
বাদলা বাতাসে ভাসে জল আনমনা
সোঁদা ঘ্রাণে মিশে থাকে বেপাড়ার ধূলো;
প্রশ্বাসে মিশে যায় কত বিষকণা
অকারণে ফুঁসে ওঠে চাপা ভুলগুলো।
এলোমেলো শব্দরা রূপ পেতে চায়
কত বাষ্প ঘণীভূত দহনে দহনে
ছেড়ে আসা ভোলা পথ দু-হাত বাড়ায়
কত ফোঁটা ঝরে পড়ে ক্ষরণে ক্ষরণে।
দাগ কেটে ভুলে গেছ ব্যস্ত মানুষ –
পলি পড়ে ক্ষত ভরে সময়ের দায়ে;
ভাদ্র আকাশে তবু উড়িয়ে ফানুস
কার প্রতি অভিযোগ আকাশের গায়ে?
বান এলে দেখ উঁচু অলিন্দ থেকে,
মানুষ না খড়কুটো কী বা এসে যায়?
ঝোড়ো বৃষ্টির ছাট মাখো চেখে চেখে
বানভাসি হাহাকার শোনার কী দায়?
নিরন্ন পেটে দেখি নিথর শিশুরা,
খালি দেহে শীত করে লজ্জা নীরব –
স্মৃতি-উত্তাপে আর জাগবে না তারা
জল নেমে যত খুশি আসুক পরব।
যার ঔরসে এত কবিতা প্রসব
অপত্য আমারই, তার কোন দায়?
আঁতুড়েই গলা টেপো ঈর্ষা-মানব!
জঞ্জালে শবভোজী নখর শানায়।
তুমি কবি? প্রেমিকের ভন্ডতম রূপ!
বৃষ্টিতে আদিমতা তোমাকে মানায়
কেটে ফেলে রেখে দেব পুরুষালি স্তূপ,
প্রতিটি
ঋতুতে যারা আমায় কাঁদায়...
-----০০-----
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন