'মা-গাছ'
পিয়ালী মজুমদার
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
অজস্র ঝুরি
নামিয়ে
গাছটা
মরে
গেল
একদিন।
আমার
সদ্যফোটা পাখিডাক অগ্রাহ্য করে
নিভে
গেল
সন্তাপে।
বাবা!
কেউ
উত্তর
দিল
না।
কেবল
বিলীয়মান গাছের
দেহাংশ
অতীত
হওয়ার
আগেই
ঝুরিগুলো পরস্পরের হাত
ধরে
ঘিরে
ফেলল
বাসা।
একটা
মা-
গাছ
ধীরে
ধীরে
বেড়ে
উঠল
সংসারে। খড়কুটোর দাম
কেউ
দেয়
না
জানি,
তবু
মরিয়া
মা-গাছ অল্প অল্প
করে
জড়ো
করেছে
পাতার
আদি-
অকৃত্রিম ছায়া,
আগুনে
ধুয়েছে
বুক। সে
বুকের
দিকে
তাকালে
বাবার
সিগারেট পোড়া
ছাই
উড়ে
আসে।
আঁচল
টেনে
দিই।
কত
যত্নদাগ কত
ক্ষতমুখ ধরে
রেখেছে
আঁচল।
মা-আঁচল। কান্নার আড়াল।
হাসির
দোসর।
আশ্রয়সুখ।
উড়ে যাওয়ার
আগে
প্রবীণ
আলোর
মায়া
জড়িয়ে
ধরে
পায়ে।শত শত
ঝুরি
নামে
বুকে,
মাথায়।
'মা'
আসলে
কোনোদিনও শেষ
না
হওয়া
একটা
বইয়ের
নাম।
পাতা
ওল্টাই। উল্টেই
যাই।
উড়ে
যাওয়ার
আগে
আরো
একবার
নিচু
হয়ে
আসি
ডানার
ভারে..
' ফিরে আসবি
তো'
' ডুবে যেতে যেতে
ভেসে
ওঠা
নৌকার
মতো
ডুকরে
ওঠা
আমার
মায়ের
কপালে
এঁকে
দিই
প্রণামের মন্ত্র...
---------------------------------------০০০০০০----------------------------
পিয়ালী
মজুমদার
১৯
নং,
বান্ধবনগর, বেলঘরিয়া
কলকাতা-৭০০০৫৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন