নারীর ক্ষমতায়ন
অমিত পাল
জগতে নারীরা মাতৃরূপে পরিগণিত, দেবী স্বরূপ৷
নারীরা দশদিকে কর্মরতা যেন দশভূজার
প্রতীরূপ৷ নারীরা গৃহে কল্যাণময়ী রূপে 'গৃহলক্ষ্মী'৷
সভ্যতার অভাবনীয় সাফল্যের পিছনে রয়েছে
নারী ও পুরুষের সমান অধিকার৷
সমাজ উন্নয়নে নারীকে বাদ দিয়ে
পুরুষের একক অংশগ্রণ করা যায় না কল্পনা৷
কবি নজরুলের ভাষায়:
"বিশ্বে যা কিছু মহান সৃৃষ্টি চিরকল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর৷"
তবু কেন নারীরা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে
অবহেলিত ও শোষিত?
পুরুষ শাসিত সমাজে কেন নারীরা
সামাজিক কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি,
নিপীড়ন ও বৈষম্যের বেড়াজালে দিয়ে আসছে
নিজেদের অধিকার বিসর্জন৷
নারীরা কেন হচ্ছে তাদের প্রতিভার বিকাশ ও
আত্মপ্রকাশের সুযোগ হতে বঞ্চিত?
কেন তাদের স্ব-নির্ভরশীলতাকে কেড়ে নিয়ে
করা হচ্ছে পরনির্ভর?
কেন, কেন?
সমাজ কল্যাণে বড় দরকার নারীর ক্ষমতায়ন,
যেটি ব্যাপক অর্থে নারীর স্বকীয়তা, নিজস্বতা
সর্বোপরি স্বয়ং সম্পূর্ণতার বিকাশ৷
নারী-পুরুষের মধ্যকার অসমতা ও বৈষম্য
দূর করা হোক,
করা হোক নারীদের পুরুষের সমকক্ষ,
তবেই ঘটবে নারীর ক্ষমতায়ন৷
নারীদেরকে করতে হবে
শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত৷
করতে হবে সমাজ কল্যাণে তাদের দক্ষতার
প্রকাশ, তারা যাতে পারে সমাজের হালটি ধরতে,
তবেই ঘটবে নারীর ক্ষমতায়ন৷
আজ যুগ পাল্টেছে, ঘটেছে নারীর ক্ষমতায়ন৷
আজ নারীরা থাকছে না
একটি ঘরের কোণে বন্দী৷
আজ সমাজের নারীরা হচ্ছে
দলে দলে শিক্ষিত ও স্বনির্ভরশীল৷
আজ তারা হয়েছে পুরুষের সমতুল্য,
কিংবা তার চেয়েও বেশী, ফলে ধ্বংস হচ্ছে
পুরুষ শাসিত সমাজের আঙিনা৷
অবশ্য এটার'ই প্রয়োজন ছিল
সমাজ রক্ষার তাগিদে৷
হয়ত একদিন গড়ে উঠবে
নতুন করে নারী শাসিত সমাজ,
আর একটাই কণ্ঠধ্বনি উঠবে
সমাজের প্রতিটি ঘরে ঘরে:
নারীরা বিজয়ী, নারীরা বিজয়ী৷
কবি নজরুলের ভাষায়:
"কোনো কালে একা হয়নিকো
জয়ী পুরুষের তরবারি
প্রেরণা দিয়েছে সাহস দিয়েছে
বিজয় লক্ষ্মী নারী৷"
***************
অমিত পাল
শঙ্করপুর, মঙ্গলকোট, পূর্ব বর্ধমান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন