স্কিজোফ্রেনিক সত্তা
----------------------------------------
ওদের ফোঁটা ফোঁটা ঘাম, রক্ত বিন্দু হয়ে ঝরেছে৷ সেই বিন্দু বিন্দু রক্তের
দামে, কোথাও ফলেছে সোনালি ধান,কোথাও উঠেছে ইমারত৷ ধূমায়িত ভবিষ্যত ওদের
ছুড়ে দেয় অস্তাকুঁড়ে৷ দিন-রাতের শানানো অভিযোগগুলো টুকরো টুকরো করে
কাটতে থাকে৷ স্বপ্ন দেখতে নেই ওদের, তবু সেই নিষিদ্ধ ফল খেতে মরিয়া। জীবন
সাপ-লুডোর খেলায় চাল দেয় ৷ দোসর যাদের দুর্ভাগ্য, তারা শুধু সাপের মুখেই
পড়ে৷ মই কেড়ে নিয়ে মুষ্টিমেয়র উল্লাস৷ কখনও অজান্তেই ঘোগের বাসা হয় লোভের
ঘরে৷ লালসা ডালপালা ছড়ায় ৷ এ গাছ বাড়তে অন্ধকার প্রয়োজন৷ আরও অন্ধকার৷
আরও ঘন৷ ঘনতর হয়৷ কোন চড়াই নেই৷ শুধু উতরাই আর উতরাই৷ খাদের কিনারে
দাঁড়িয়ে ওদের বাঁচার লড়াই৷ আর লড়াই এক টুকরো রুটির জন্য, এক ফালি কাপড়ের
জন্য বা এক চিলতে আচ্ছাদনের জন্য৷ জমা খরচের ঘরে একটা বড় শূন্য৷ চিরাচরিত
শোষণ নিঙরে নিয়েছে ওদের জীবনীশক্তি৷ ওদের জীবন্ত লাশের পাহাড়ের উপর দিয়ে
হেঁটে যাই৷ আমার সত্তা ভেঙে গুড়িয়ে যায়৷ ভয়ঙ্কর স্বার্থমগ্নতায় ঝিনধরা
বিবেক তবু ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে ভুলে যায়৷ আমার স্কিজোফ্রেনিক
সত্তা একই বৃত্তের মধ্যে ঘুরপাক খায়৷ মরিয়া হয়ে ওঠে ৷ বারেবারে জানতে চায়
আদৌ কি এই অন্ধকার মুছে যাবে কোনদিন ?
--------------০০০--------------

রাজশ্রী ব্যানার্জী,
ধানবাগান, ঘটকপারা,
মনিরামপুর, ব্যারাকপুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন