"""শ্রমিকের দুঃ সময়"""
দুঃসময় এসেছে নেমে শ্রমিকের জীবনে,
মিল,কারখানা বন্ধ,টাকার অভাবে---
শ্রমিকের ঘরেতে চাল,ডাল, আনাজ-পাতি সব আসা বন্ধ।
ঘরেতে ছোট ছোট শিশু কাঁদে ক্ষুধার জ্বালায় ,
বাবা-মা ,দুঃসময়ের যাতা কলে বদ্ধ।
কেউ তো আসে না আর দুঃ সময়ের সঙ্গী হতে,
সবাই যে থাকে দূরে দূরে।
রাত থেকে দিন,দিন থেকে রাত যায় যে শেষ হয়ে,
তবুও যেনো দুঃ সময় পিছু ছাড়ে না ওদের।
বাচ্চাদের দিকে চেয়ে চেয়ে কান্নায় যায় যে বুক ফেটে,
এ কেমন বিধাতার খেল ,দুঃ সময় দিচ্ছ ঢেলে ওদের জীবনে।
বিধাতা এ কেমন তোমার পরিহাস তুমি নিচ্ছো, শিশুগুলোর ক্ষুধার পরীক্ষা আজ।
চারিদিকে যখনই দেখা যায় দুঃ সময়ের অন্ধকার,
ঠিক সেই সময়ে যেনো কেউ ,জালায় মনের ঘরে আলোর বাতি আজ।
মনের ঘরের এককোনে যেন কেউ বলে এসে,
আজিই প্রভাতে সুসময়ের সুখ আসে যে ভেসে।
গেছে দুঃ সময়ের অন্ধকার কেটে,
চারিদিকে নতুন প্রভাতের আলো;
সব মলিনতা দূরে ফেলে দিয়ে----
গা ভাসিয়েছে আজ সুসময়ের আলোড়নে।
দুঃ সময়ের সব কিছু পিছে ফেলে,
আজ নিই সুসময় বরণ করে।
কি হবে দুঃ সময়ের কথা আর ভেবে,
দুঃ সময়ের কথা ভেবে ,কেনো রাখবো সুসময়কে দূরে ঠেলে;
বিধাতা যে দিয়েছে দুঃ সময় কাটিয়ে সুসময় ফিরিয়ে।
তাই দুঃ সময় যাই আজ ভুলে।।
------------০০০------------
ক্ষুদ্র অভিশাপ:-
উত্তরমুছুনসৌমেন্দু চ্যাটার্জী
ভাষার অভাবে ছন্দের হাতেখড়ি
জীবন অভাবে
স্বপ্ন জোচ্চুরি।
বিকশিত মন
হয়েছে আকুল
জীবনের বাঁকা পথে
অন্ধকারে আলো সাতরাস্তা
পরপুরুষের সাথে।।