মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক
সৌরভ দুজন সহকর্মী নিয়ে একটা ছোটখাটো বিস্কুট ফ্যাক্টরী খুলেছিল। ধীরে
ধীরে সেই ছোট্ট ফ্যাক্টরী বড়ো আকার ধারণ করে। সৌরভের ফ্যাক্টরীতে আপাতত
এখন প্রচুর কর্মচারী কাজ করে। সৌরভ ফ্যাক্টরীর মালিক হলেও আর পাঁচটা
মালিকের তুলনায় অনেক আলাদা। সে তার কর্মচারীদের শ্রমিক বলে তুচ্ছ করে না
বরং তাদের জন্য সে গর্ব বোধ করে। কারণ তার কর্মচারীদের জন্যই তার ছোট্ট
ফ্যাক্টরী আজ একটা বড়ো কোম্পানীতে পরিণত হয়েছে। তাই সৌরভ প্রতি বছর
মেদিবসটা তার শ্রমিকবন্ধু এবং তার পরিবারদের সঙ্গে কাটায়। ওইদিন সে তার
শ্রমিকবন্ধুদের জন্য একটা উৎসবের আয়োজন করে - যেখানে নাচ-গান আর ভালো
কাজের জন্য পুরস্কার বিতরণী এবং সব শেষে বিরাট খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন থাকে।
শ্রমিকরাও সৌরভকে খুব ভালোবাসে আর তারাও এমন একজনকে মালিক হিসাবে পেয়ে
খুব খুশি।
-----------------------------------------------------------
***শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক এমনই তো হওয়া উচিত তাতে কারো সম্মান কমে না বরং
বাড়ে আর কাজেরও বিপুল উন্নতি ঘটে। একবার ভাবুন তো যদি শ্রমিকরা না থাকত
তবে কি কোনো ছোট-বড় কারখানা চলত? চলত না, কি করে চলবে যদি ওরা কারখানার
মালপত্রগুলো তৈরির জন্য নিজেদের শরীর-জীবনের পরোয়া না করে ঘাম ঝরাতো!
তাই, চলুন না সবাই মিলে ওদের জন্য মেদিবসটা সৌরভের মত করি ভাবি। কারণ,
শ্রমিকরাই আমাদের দেশের উন্নতির মেরুদন্ড।***
============000============

কলমে-রিংকু বিশ্বাস
ভীমপুর, নদীয়া-৭৪১১৬৭
Hm, thik bolecho
উত্তরমুছুন