কালবোশেখি ভালো থেকো
স্মার্টবয় হয় খসে পড়ে ঝড় তার অকারণ বিদ্রূপে
বিষাদিত আজ হাজারদুয়ার স্তব্ধ হয়েছে রিপে ।
রাতজাগা চোখ পাহারা দেয় নিজের বউ বাচ্চাকে
নির্মাণে তবু ভুলে যায় সেই সিঁদুরকৌটো থাকে ।
ফিনকি দিয়ে রক্তই বেরোয় ভিজে যায় আসবাব
গিল্টি করা আওয়াজ ফ্যাকাসে কে দেবে জবাব !!
অন্ধকারে অভ্যাসে কার কাবাবি উনুন সাজায়
পেটে কিল কাটাসৈনিক কাড়ানাকাড়া বাজায় ।
অশ্লীল সেই শুয়ে থাকা দেখো ফুটপাত মহলায়
লালা নিঃসৃত দুচোখ তাদের ক্লান্ত শরীর জ্বলায় ।
লোভনীয় টোপ যদি কাটো,ফিতে হয়ে যায় বড়ো
ঘোলাটে দুপুর নির্বাসনে চাতকেরা হবে জড়ো ।
ঘুম ফসলের তৃপ্ত চাবুক হাওয়া দেয় রাজপথে
রেওয়াজ দোলে নাগরদোলায় ক্লাস হবে ভিনমতে ।
উচ্ছেদ হওয়া মানুষ যারা সংস্কৃতি এবং বিত্তে
তারাই কেবল ভারতবাসী বাকিরা থাকেন চিত্তে ।
শাড়ি খুলে রাখো পরো চটপট ব্রাউন রঙের রাগটা
সিটকিয়ে থাকো কবি প্রিয়া চোখ তুলে দেখো নাকটা ।
ঘুরপথে আজ তোমাকেই দেখি ভালো ভালো বলে শব্দ
বাইটের পর বাইট পেয়েছ তাইতো তীর্থ যাত্রা জব্দ ।
ক্ষয়ে ক্ষয়ে ক্ষীণ শব্দ এখনো লুপ্তপ্রায়ের মিছিলে
জলজ জীবন খুঁজে দেখো তেমনি আছো যা ছিলে ।
---------০০০--------
প্রত্যক্ষ করেছি
তোমাকে বুঝিনি আমি এটাই স্বীকারোক্তি
রবিঠাকুর লাগে তোমাকে বোঝাতে;
ঈদের ক্ষীরে তোমার গন্ধ অথচ তুমি নেই
জন্মদিনের পায়েস রাঁধতে পারো
মুখে তুলতে নেই
ঢাকা মুখের আড়াল চোখে আড়ষ্টতা
পায়ে মলের শব্দ তোলা বাড়ন
অথচ রান্নায় চুরির আলোড়ন ।
নিরামিষ খেয়েও তো শরীরে মাংসই বাড়ে
দেহে বল দেয়,বোধে হাতছানি ।
একা পড়ে রইল তেল,কালি, ভুসোতে
সাতাশ ব্যঞ্জন রাঁধতে বসা নির্বাক রমণী!!
(১লা মে সমস্ত শ্রমজীবী মায়েদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত)
------------০০০০-------------
@শান্তা কর রায়, হুগলি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন