শ্রমিকের সম্মান
দেখো দেখো ওই তাজমহল,
হয়েছে কতো শ্রমিকের ধকল।
দেখো ওই চীনের প্রাচীর,
মিশেছিল কতো শ্রমিকের ভীড়।
আর ওই সাত দরোজাওয়ালা থিবস,
কতো শ্রমের এই জিনিস
মিশে আছে কতো ইটপাথর,
মিশেছে তাতে কতো ঘামের লবন।
পার হয়ে গেছে কতো বছর,
শেষ হয়েছে কতো শ্রমিকের জীবন।
কিন্তু নাম খ্যাতি মালিকের,
আর শ্রম যায় শ্রমিকের।
পেয়েছে কি তারা প্রাপ্য সম্মান!
ইতিহাসের পাতায় সেই প্রমান।
তবুও বহু বছর কাটিয়ে
স্মৃতিসৌধগুলো দাঁড়িয়ে।
প্রত্যেক দেওয়ালের কনায় কনায়
ফুটে উঠুক তাদের কথা।
যারা এখনও বঞ্চিত,
মালিক শ্রেণীর কাছে লাঞ্ছিত।
সেই প্রত্যেক কনাবিন্দু জানায়
তাদের রক্ত ঝড়া ব্যাথা।
তারাও তো রক্ত মাংসের প্রাণ!
প্রত্যেক কনায় দেবে তার প্রমাণ।।
-----০০০-----
রক্ত চোষা
মৌমাছির মৌচাকে
রানী থাকে সুখে,
পুরুষ মাছি ভোগে থাকে
শ্রমিক থাকে দুঃখে।
রানীর ওই মৌচাক
শ্রমিকের হাতে গড়া,
ওরা শ্রমিক! ওদের জন্য থাক
রোদ বৃষ্টি খড়া।
বাস্তবে তো এটাই হয়,
যেখানে মুনাফা লোভীদের ভয়,
মুনাফা লাভের আশায়
তারা শ্রমিকের রক্ত শুষে খায়।।
তারা তো থাকে উপর তলায়,
সেখান থেকেই ছড়ি ঘোরায়,
যেখানে শ্রমিকরা জর্জরিত
মালিকেরা সেখানে আলোকিত।
এইভাবে যতো দিন যায়,
ফুলে ওঠে তারা মুনাফায়,
শ্রমিকের শ্রমে যতো রক্ত ঝরে
মালিকের লোভ ততো বাড়ে।।
----------------------------------------------------------------

আমিরুল ইসলাম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন