Featured Post
গ্রন্থ আলোচনা : অরবিন্দ পুরকাইত
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
দক্ষ এক প্রাবন্ধিকের আত্মপ্রকাশ
এক
ব্যতিক্রমী গদ্য ও কবিতার হাত চন্দন মিত্রের। ব্যতিক্রমী মানে ব্যতিক্রমীই। এখন
সব্বাই প্রায় আমরা গদ্য ও কবিতা লিখি; উভয় শাখায় যথেষ্ট যোগ্যতার সঙ্গে লিখতে না
পারলেও। তো চন্দন মিত্রের হাতে, এমনকি খুব পরিচিত কোনও সামাজিক বা রাজনৈতিক
প্রসঙ্গও যখন কবিতা হিসাবে উঠে আসে তখন আগাগোড়া তা কবিতা হয়েই আসে। তাঁর গদ্যের
সঙ্গে পরিচিত হই আমরা মূলত প্রবন্ধ ও গল্পের মাধ্যমে। দীর্ঘদিন লেখাজোখার সঙ্গে
যুক্ত থাকলেও, মাত্র ইদানীং প্রায় একইসঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কবিতা ও প্রবন্ধের
একটি করে বই। মুখ-বইয়ে বাংলার ফুলফল, গাছপালা, মৎস্য, মাটির বাড়ি, মেলা বা অলোকসামান্য,
জেলা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা প্রভৃতি বিষয়ে সচিত্র বিবরণ সহ তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি
আমাদের অনেকেরই জানা। লোকগানের প্রতিও তাঁর দীর্ঘ আকর্ষণ। আকর্ষণ লোকগানের মাধ্যমে
মনের মাঝে মনের মানুষ খুঁজে-বেড়ানো সহজ সাধকদের প্রতিও। সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর
প্রবন্ধের বইটির গুরুত্ব সাধ্য অনুযায়ী বুঝতে চাইব আমরা এখানে।
চন্দন
মিত্রের প্রবন্ধের প্রধান দিক হল সুনির্বাচিত বিষয়ের প্রতি গভীর মনোযোগ ও পরিশ্রমী
যত্নশীলতা। কিংবা 'ট্রিটমেন্ট'। নিজস্ব
বোধ এবং অধীত বিদ্যার আলোকে লিখিত তাঁর প্রবন্ধগুলি পড়লে মনে হয় বড় প্রয়োজন ছিল যেন সেগুলির। তার সঙ্গে যুক্ত হয় তাঁর দৃষ্টিকোণ,
বেশির ভাগ সময়ই যা মুক্তমন ও মানবিকতার আন্তরিক স্বাক্ষরবাহী। এক টানটান ঋজু গদ্যে বিষয়ের অঙ্গীভূত করে নেন তিনি পাঠককে। সবচেয়ে যেটা
বলতে ইচ্ছা করে, সে গদ্য হল লক্ষ্যভেদী। খুচরো ছোটোখাটো যে-কোনো ধরনের রচনাকে
প্রবন্ধ বলে চালিয়ে দেওয়ার একটা চল আছে। প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রায়ই একই অর্থে ব্যবহৃত
হলেও, প্রবন্ধ যখন বলা হবে তখন তা প্রবন্ধের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির বেশির ভাগ পূরণ
করল কি না তা দেখা দরকার। অসম্পূর্ণ ছোটোখাটো রচনাকে – যাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে
মোটামুটি একটা সামগ্রিকতা ফুটে ওঠে না, তাকে নিবন্ধ তবু বলা যায় কিন্তু প্রবন্ধ
বলা সঙ্গত নয় বলেই বিশ্বাস বর্তমান আলোচকের। শ্রী মিত্রের প্রবন্ধে বিষয় অনুযায়ী সচরাচর
চমৎকার একটি সূচনা থাকে, থাকে লক্ষ্যভেদী একটি উপসংহার, আর নানা কোণ দিয়ে বিষয়কে
দেখতে দেখতে মাঝের ক্রমবিস্তার ও গুটিয়ে-আনার পথটি থাকে বিচার-বিশ্লেষণে পূর্ণ।
সেখানে প্রাসঙ্গিক কোনো কিছুকে এড়িয়ে গিয়ে দায় সারার পক্ষপাতী নন তিনি। তথ্য
সহযোগে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আলোকিত করে যান সকল দিক খতিয়ে দেখতে দেখতে। প্রতিটি প্রবন্ধের শেষে পাঠক তাই পেয়ে যান সেই বিষয়ে যেন একটি পূর্ণ চিত্র।
এইখানেই পাঠকের তৃপ্তি। বেঁধে-দেওয়া শব্দগণ্ডি বা এলোমেলো আলোচনার প্রবণতা সহজে
যেখানে পৌঁছাতে অপারগ।
পুস্তকধৃত
দশটি প্রবন্ধের মধ্যে প্রথম দুটি - 'বাহান্নর ভাষা আন্দোলন : পটভূমি ও বিস্তার' এবং 'বরাক উপত্যকার ভাষা আন্দোলন : প্রেক্ষাপট ও প্রতিক্রিয়া' - হল ওপার বাংলা ও এপারে আসামের বরাক
উপত্যকার প্রধান দুই ভাষা আন্দোলনকে নিয়ে, যাদের সূত্রে বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে
দুটি তারিখ স্মরণীয় হয়ে রয়েছে – একুশে ফেব্রুয়ারি ও উনিশে মে। অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণে
প্রেক্ষাপট ও পরিণতি সহ ফুটে উঠেছে দুই ভাষা আন্দোলনের সামগ্রিক চিত্র। অনবদ্য
দুটি লেখা! পড়তে পড়তে বুকের কাছে কখনও কখনও কী যেন একটা দলা পাকিয়ে ওঠে, চোখের কোণ
করে ওঠে চিকিচিক! উপরি হিসাবে যুক্ত হয়ে প্রথম লেখাটিকে আরও মূল্যবান করে তুলেছে
একুশের প্রথম কবিতা মাহবুব আলম চৌধুরির 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি'
(ওরা চল্লিশজন কিংবা আরও বেশি/...), আবদুল গাফফার চৌধুরির অমর 'একুশের গান' (আমার
ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/...) এবং আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের সিদ্ধান্ত
ও ঘোষণার দলিল দুটি।
সহজিয়া
জীবন ও জগৎ-দর্শন হিসাবে এসেছ 'জেন : রিপুতাড়িত
মানবের নিকট সুসমাচার' ও 'লালনের গান : আমাদের লালিত
সংস্কারের গালে সপাট থাপ্পড়' শীর্ষক প্রবন্ধ দুটি। রহস্যমণ্ডিত জেনদর্শন, জেন
সাধুদের প্রসঙ্গ, হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো 'সাতোরি'-লাভ সহ অসাধারণ আকর্ষণীয় কয়েকটি
জেন গল্প – আদতে গল্পের আদলে যা ধর্ম-দর্শন বা আরও কিছু - অনূদিত হয়ে প্রবন্ধটিকে অনন্য
এক মর্যাদায় উন্নীত করেছে। পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছেন প্রাবন্ধিক : 'প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মগুলি ঈশ্বর-আল্লা-গড বা অন্যান্য দেবদেবী ও
স্বর্গ-নরকের অস্তিত্বে আস্থাশীল। তাদের যাবতীয় কার্যকলাপের মুখ্য উদ্দেশ্য
মৃত্যুর পরে নরক নামের ভয়ংকর স্থানকে এড়িয়ে স্বর্গ নামের স্ফূর্তিদায়ক
সুরম্যস্থানের মৌরসিপাট্টা হাতানো। কিন্তু জেনবাদীদের কাছে এসব হাস্যকর। তাঁরা
এইসব অতিপবিত্র ও স্পর্শকাতর ধারণাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে এই নশ্বর জগতের
নির্যাস-সন্ধানে ব্রতী।' লিখেছেন : 'জেন জগতে কিছুই
অনুকরণযোগ্য নয়। জেন অনেকটা প্রণয়ের মতো। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে রয়েছে তবে
অনুভূতি ভিন্ন ভিন্ন। জেন আসলে তীব্রভাবে জীবন-সম্পৃক্ত একটা দর্শন। জেনবাদীরা
এতটাই জীবনবাদী যে জীবনকে সামগ্রিকভাবে অবলোকনের জন্য স্বেচ্ছা দূরত্ব গড়ে নেন।...
আসলে জেন সম্পর্কে যত বলা হয় ততই জটিলতা বাড়ে। এ এক এমন জগৎ যেখানে কোনো বাছবিচার
নেই আবার নিয়মেরও শেষ নেই।' বোঝা যায়, এমনি এমনি এটি পুস্তকের নাম-প্রবন্ধ হয়নি।
তা ছাড়া, এই প্রবন্ধে মোটামুটি একটি পূর্ণাঙ্গ ছবি তুলে ধরা ছাড়াও অন্যান্য
প্রবন্ধেও রয়ে গেছে এর ঘ্রাণ। যেমন, মণীন্দ্র গুপ্তকে নিয়ে লেখাটিতে। নিজ জীবনের
উপলব্ধি থেকে এক অনন্য মানবধর্মে পৌঁছে-যাওয়া, মনের মাঝে মনের মানুষ-অন্বেষক
সহজিয়া সাধক লালনের দর্শন যুগে যুগে মানুষকে পথ দেখাবে। ইহবাদী লোকধর্ম বলাহাড়ি,
লোকায়তিক চার্বাক ইত্যাদি ছুঁয়ে লালনে প্রবেশ করে, ভিন্ন ভিন্ন জাতি, ধর্ম বা দেশে
আচার-আচরণের ভিন্নতানির্দেশক লালনগীতিকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরে – যাতে বিশদ হয় যে
অনড় অটল কোনো দৈব বিধান নেই দুনিয়াজুড়ে – শেষে প্রাবন্ধিকের আসা এই সিদ্ধান্তের
সঙ্গে সহমত পোষণ না করে আমাদের উপায় থাকে না : 'আসলে
মৌলবাদ জানে তাকে টিকে থাকতে আবং বিকশিত হতে গেলে গ্রামে-গঞ্জে শিকড় চারিয়ে
মানবতাবাদকে আগলে রাখা ললনপন্থাকে সমূলে বিনাশ করতে হবে। কারণ লালনপন্থার যুক্তি ও
জীবনচর্যার কাছে মৌলবাদ অসহায়। এমন লড়াই শহুরে ভদ্র-শিক্ষিতজনেরাও দিতে পারেননি।
কারণ তাঁদের হারানোর অনেক কিছু আছে বিত্ত, সম্ভ্রম, আভিজাত্য, কৌলীন্য, সামাজিক
প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য বিবিধ আর্থিক ও পারমার্থিক সম্পদ। তাই তেমন বেকায়দায় পড়লে
অথবা স্বার্থ বিঘ্নিত হলে তাঁরা যাবতীয় প্রগতিশীল আদর্শকে লাথি মেরে খাঁটি হিন্দু
বা মুসলমান হয়ে উঠতে বিন্দুমাত্র সময় নেন না। এই ভণ্ডামির ছোঁয়াচ থেকে লালনপন্ধীরা
মুক্ত। আসলে ললনপন্থীদের নিজস্ব আদর্শ 'মানবধর্ম' ছাড়া হারাবার কিছুই নেই। আর সেটা
হারিয়ে গেলে তাঁদের অস্তিত্বটাই মিথ্যে হয়ে যায়। তাঁরা হিন্দুও নন, মুসলমানও নন;
তাঁরা দুই প্রতাপশালী প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের মাঝখানে একটি অকৈতব সাঁকো।'
সাহিত্যতত্ত্বের
দিক দিয়ে জাদু-বাস্তবতা বিশ্লেষিত হয়েছে 'ম্যাজিক রিয়ালিজম বা জাদু-বাস্তবতা : স্বরূপ সন্ধান' প্রবন্ধে। বিশেষ
সৃষ্টি হিসাবে 'উলঙ্গ রাজার গল্প' ও 'রবীন্দ্রনাথের গোরা ও ভগিনী
নিবেদিতা' প্রবন্ধ দুটিতে উঠে এসেছে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'উলঙ্গ রাজা' কবিতার প্রেক্ষিতে
আদত 'উলঙ্গ রাজা'র উৎসসন্ধান এবং রবীন্দ্রনাথের 'গোরা' মিলনান্তক হওয়ার পিছনে
আইরিশ কন্যা ভগিনী নিবেদিতার ভূমিকা। নীরেন্দ্রনাথের কবিতাটিকে প্রেক্ষিতে রেখে
তিনি পৌঁছে গেছেন মূল উৎস ভিলেনার রাজপুত্র জুয়ান ম্যানুয়েল (১২৮২ – ১৩৪৮) এবং তার
থেকে কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে রূপান্তরিত হান্স ক্রিশ্চিয়ান আন্ডারসনে (১৮০৫ –
১৮৭৫)। বাড়তি প্রাপ্তি ম্যানুয়েলের মূল গল্পটির লেখককৃত চমৎকার বাংলা রূপান্তর। জন্মসূত্রে
জাতিতে আইরিশ ও ধর্মে খ্রিস্টান গোরার সঙ্গে একই জাতি ও ধর্মের নিবেদিতার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথকৃত
বিয়োগান্তক 'গোরা'কে পরে মিলনান্তক করার প্রেক্ষাপট বর্ণিত অন্য প্রবন্ধটিতে।
আর আছে
নতুন বউঠান কাদম্বরী দেবীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ককে শরীরী আশ্লেষে নামিয়ে-আনা
এক প্রাজ্ঞ অধ্যাপক-লেখকের রচিত উদ্দেশ্যমূলক উপন্যাসের ('ছদ্ম গবেষণাধর্মী') বিরুদ্ধে
বলিষ্ঠ এক প্রতিবাদ 'কাদম্বরীর সুইসাইড নোট : নিছক
নামমাহাত্ম্যের বেসাতি' শীর্ষক লেখায়। কাদম্বরী দেবীর আত্মহত্যার পুরো পটভূমি ও
পরিণতি তুলে ধরে দেখিয়েছেন তিনি, 'চাতুর্যের সঙ্গে নির্মিত' প্রচ্ছদ ও
ব্লার্বসম্বলিত 'অন্তঃসারশূন্য, মলাটসর্বস্ব' একটি বই 'নামমাহাত্ম্যকে সম্বল করে'
কীভাবে 'দিনের পর দিন সংস্করণ-বৈতরণী পার হয়ে চলেছে'। প্রবন্ধশেষে তাঁর অবধারিত
প্রশ্ন, 'এই যে রবীন্দ্রনাথ, কাদম্বরীদেবীকে নিয়ে একটি মনগড়া কাহিনি ফাঁদলেন তিনি
– তার সত্যাসত্য বিচারের ক্ষমতা যাদের নেই তাদের কাছে রবীন্দ্রনাথ বা কাদম্বরীর
কোন রূপ ধরা পড়বে? এর দায়ভার কার? শিল্পীর স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে কোনো অর্বাচীন
যশলিপ্সু লেখক যদি ভবিষ্যতে এই সম্পর্ককে আরও কদর্যভাবে পরিবেশন করেন? যদি সেই
কাহিনি নিয়ে সিনেমা হয়?'
শেষে সাহিত্যিক
হিসাবে আলোচনার বৃত্তে উঠে এসেছেন সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ ও মণীন্দ্র গুপ্ত
'সিরাজনামা : প্রাজ্ঞ এক মুসাফিরের আখ্যান' ও
'মণীন্দ্র গুপ্ত (১৯২৬ – ২০১৮) : মহানগরে এক গ্রামবৃদ্ধ'
প্রবন্ধ দুটিতে। একাধারে দুই সাহিত্যিকের উৎসপট,
ব্যক্তিমানস ও সাহিত্যমানস চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে অনতিদীর্ঘ প্রবন্ধ দুটিতে।
ছাপা ও
বাঁধাই চমৎকার! বানান নির্ভুল। প্রচ্ছদ সুন্দর!
*
* * *
* * *
পুস্তক : "জেন : রিপুতাড়িত মানবের নিকট সুসমাচার ও
অন্যান্য প্রবন্ধ"
লেখক : চন্দন মিত্র
প্রকাশক : কলিকাতা লেটারপ্রেস
প্রকাশকাল
: জানুয়ারি ২০১৯
মূল্য : দুশো টাকা
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে