Featured Post

সান্ত্বনা চ্যাটার্জী ।। রম্য রচনা




কবিতা চর্চা




রবিবার সকালে বাজার করে ফিরছি আমাদের আবাসনের পরিচালক সমিতির সদস্য রবিশংকর বাবুর সাথে দেখা ।

মশাই আমাদের আবাসন থেকে এবার পুজোয় পত্রিকা বার করার কথা ভাবছি ।

তা ভালো তো ।

সে বললে তো হবেনা আপনার লেখা চাই।

এই মরেছে আমি লিখতে পারিনা যে ।

যা পারেন তাই লিখুন এখানে কে আর রবীন্দ্রনাথ ।

সকালে কাজের মেয়ে এক কাপ চা দিয়ে গেছে । খবরের কাগজ পড়া হয়ে গেছে । এখন মনের খাতায় লেখার খসরা চলছে।

র্গোল ফুটবল কুমরোপটাশ
আর কি নামে ডাকি

আর এক কাপ চা দাও তো ।

এখন চা হবে না রান্না হচ্ছে ।

গুষ্টির পিণ্ডি হচ্ছে ! (অবশ্যই স্বগতোক্তি)

আমি আবার পদ্য লেখার চেষ্টা শুরু করি;
মনের খাতা থেকে মুখে এসে গেছে;

র্গোল ফুটবল কুমরোপটাশ
আর কি নামে ডাকি
আর  কি  নামে  ডাকি
কোথায় গেল সেই প্যাঁচাটা
আমায় দিয়ে ফাঁ....

বলি আর কত নীচে নামবে ।গিন্নীর কণ্ঠ কানে এল ।

মানে !আমি হতবাক্ ।

মানে বুঝতে পারছনা ? আর কত ঢং করবে
বয়সের তো গাছ পাথর নেই । ছিঃ তোমার সংগে আর থাকা যায় না । এক কাপ চা দিতে দেরী তার জন্য এ ভাবে অপমান করবে ?

কি জ্বালা রে বাবা ; কখন আবার তোমাকে অপমান করলাম ।

ন্যাকা সেজোনা বলছি - কুমর পটাস ডাকি , বলছিলে এক্ষুনি ;দিন কে রাত করে ছাড়বে!
আমাকে পছন্দ নয় তো দেখো না কোনো কলকাতা সুন্দরী পাও কি না।

আরে বাবা আমি কবিতা লিখছি !

আমাকে বোকা বুঝিও না ।তুমি আর কবিতা!

কাক  কোকিলের মত
কুহু ডাকতে চায়
কর্কশ ডাক শুনে
পিলে চমকায় !

পাশের ফ্ল্যাট এর বারান্দা থেকে বিভুতি ডাক দিল-  ও দাদা ও বৌদি ঝগড়া করছেন কেন ।

আরে নানা আমরা কবিতার প্রতিযোগিতা করছি ।

তাই না কি! আমাদের পত্রিকায় সে সব চাই কিন্তু । আপনাদের যুগল পদে্যর শীষর্ক কি ?

কত্তা বনাম গিন্নী ।

চালিয়ে যান দাদা বেশ লাগছে ।

দুর বাবা নিজের বাড়িতে বসে কবিতা লেখা যাবেনা ! কিন্তু অবাক কান্ড গিন্নী তো মুখেমুখে দিব্যি কবিতার ভাষায় গাল দিয়ে দিল ।

ফুটবল বা কুমরোপটাশ কোন নামে যে ডাকি
কোথায় গেল সেই প্যাঁচাটা
আমায় দিয়ে ফাঁকি !

আনন্দে লাফিয়ে উঠলাম , বাঃ দারুন ছন্দমিলে পদ্য ।

আহ কী জ্বালাতন থামতে চায়না
ডেকেই চলে কাক;
থামো এবার নয়তো ভাংব
তোমার চক চকে ঐ টাক ।

আমি তো কবিতা লিখছি কিন্তু তুমি বকে চলেছ কেন বলো তো । যাও না রান্না কর ।

না যাব না; তুমি দুটো লাইন লিখলে আমি চারটে লিখব । শুনে রাখ তুমি যা কিছুই করতে গারো সেটা আমি আরো চারগুন ভালো করতে পারি ।

বটে !

নিশ্চয় কিছু বলিনা বলে আমাকে অবলা ভেবনা ।

তুমি আর অবলা ! যে বলে সে আহাম্মক ।  এতো বছর ঘর করছি হাড়ে হাড় টের পাচ্ছি ।
যাক সে কথা;
আমি মনে করছি এক জোরা পালোয়ানি গোঁফ আর চাপ দাড়ি রাখব ।

চোখ দিয়ে যদি ভষ্ম করা যেতো তাহলে আমি এতোক্ষনে পুড়ে ছাই ।

সেদিনের মতো কবিতা চর্চার ইতি  ।।

==========================

সান্ত্বনা চ্যাটার্জী
এ১৬৬ লেক গার্ডেন্স
কলকাতা ৭০০০৪৫
৯৮৩০৩২২৬০১










জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী