বাঁচাও বৃক্ষ
বনানী উজাড়, পাহাড় উধাও
চারদিকে বন্যপ্রাণী করছে হাহাকার,
যুগ-যুগ ধরে নির্বিচারে চলছে
বনানীর উপর চরম অত্যাচার।
যেখানে যাই সেখানে শুনতে পাই
প্রকৃতির করুন মৌন চিৎকার,
অরণ্য আজ মরুভূমিতে পরিণত
বৃক্ষ খাদকরা করছে অনাচার।
যুগের পর যুগ করছে বৃক্ষ নিধন
কাঁদে বৃক্ষপ্রেমীদের মন,
আজকের পৃথিবীটা ভারসাম্যহীন
কালে-কালে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ।
খুঁজে পাইনা চিরচেনা সেই বনানী
চারদিকে শুধু বৃক্ষের ক্রন্দন,
রাতবিরাতে বনদস্যুদের হোলিখেলা
বাঁচাও বৃক্ষ, বাঁচাও প্রাণের স্পন্দন।
*****************************
ক্ষমা করো
ক্ষমা চাইযে প্রিয়তমা ক্ষমা চাইযে আমি
বকুল ফুলের মালার চেয়ে হিরের নেকলেস দামী।
স্বপ্নঘোরে ছিলাম আমি শুধু বেসেছি ভালো
বুঝিনিতো এতদিন লাগে কিছু জমকালো।
হৃদয় আসন পেতে দিয়েছি দিইনি স্বর্ণকমল খাট
কুসুম কোমল হাতটি ধরে নিয়েছিলাম সস্তা নদীর ঘাট।
তুমি তখন ছিলে আনমনা কারন বুঝিনি কোনমতে
এখন বুঝেছি আগ্রহ তোমার মিয়ামী সমুদ্র সৈকতে।
তন্নতন্ন করে খুজে উৎসব পার্বনে দিয়েছিলাম শাড়ি
বড় মূর্খ ছিলাম,পছন্দ ছিল তোমার মার্বেলপাথর বাড়ি।
গ্রীষ্মতাপদাহে সকরুণ বলেছিলাম, বাইরে স্নিগ্ধ সমীরণ
তুমি বলেছিলে, এসি কিনতে পারনা , কেন ডাক অকারন।
আজ পত্রপুষ্পশুণ্য চৈত্রের অবেলা, ভাবছি বসে একেলা
সংসারক্ষেত্র নয় জলকেলি খেলা
হৃদয় ছাড়া কিছুই দিতে পারিনি প্রিয়তমা
করো ক্ষমা করো ক্ষমা
সত্যি বুঝেছি আমি
বকুল ফুলমাল্য নয়, হিরের নেকলেস দামী।
*******************************
ক্ষণিকের অতিথি
হে অচিন!
কি দেব তোমায়!
আমার আছে অজস্র স্মৃতি
বাজতে পার স্মৃতির নুপূর হয়ে
কল্পনার বিচিত্র বর্ণিল অবনীতে
হতে পার কোনো এক বর্ণরাজ।
হয়তো দেখতে পার পাশে বসে
জলধির হৃদয়ে শশীর মাতাল নৃত্য
শুনতে পার নিস্তব্ধ রজনীতে শূন্য ছাদে-
পবনের না বলা কথা।
চলতে পার এক শ্রাবণ সিক্ত পথের সঙ্গী হয়ে
অথবা শুভ্র কাশবনের পথ ধরে
কোনো এক শরৎ বিকেলে।
হয়তো ঝরতে পার এক যামিনীতে
আমার কপাল বেয়ে শ্রাবণ হয়ে
উড়তে পার শাড়ির আঁচল ধরে-
একটি লাল প্রজাপতি হয়ে কৃষ্ণচূড়ারর বনে।
দুলতে পার খোলা কুন্তলে কোনো এক সন্ধ্যা রাতে
আসতে পার এক জ্যোৎস্না রাতির ঘুম হয়ে দুই নয়ন ছুঁতে।
তুমি হলে হতে পার
কোনো মুহূর্তের নিঃশ্বাস অথবা একটি দীর্ঘশ্বাস
কিন্তু সে তো নয় কোনো ক্ষণের তরে ক্ষনিকের অতিথি।
******************************
মতিলাল দাস
হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর
✆ - 9126178279