আলো-সুখ
আমার সুখ- বসন্ত মল্লিকার ন্যায়,
কোমল-নির্মল-পরিমলময়!
কোমল-নির্মল-পরিমলময়!
অনেকের সুখ, বিকেলের স্থলপদ্মের মতো-
নির্ব্বাস, মুদিতোন্মুখ।
নির্ব্বাস, মুদিতোন্মুখ।
আমার সুখ তা নয়,
আমার সুখ- রবিকর-ফুল্ল জলনলিনীর ন্যায়
সুবিকাশিত, সুবাসিত, রসে পরিপূর্ণ!
উজ্জ্বল পূর্ণ দলরাজি হতে রোদ প্রতিফলিত হয়
তার মুখে যে হাসি ধরে না!
আমার সুখ- রবিকর-ফুল্ল জলনলিনীর ন্যায়
সুবিকাশিত, সুবাসিত, রসে পরিপূর্ণ!
উজ্জ্বল পূর্ণ দলরাজি হতে রোদ প্রতিফলিত হয়
তার মুখে যে হাসি ধরে না!
মাঝে মাঝে সবার কানে কানে
বলতে ইচ্ছে করে- ওগো,
তোমরা কি কখনো সুখের আলো দেখেছ?
যদি না দেখে থাক, তবে
একটিবার এসে তোমরা দেখে যাও-
মনের আলো কেমন রঙের হয়!
বলতে ইচ্ছে করে- ওগো,
তোমরা কি কখনো সুখের আলো দেখেছ?
যদি না দেখে থাক, তবে
একটিবার এসে তোমরা দেখে যাও-
মনের আলো কেমন রঙের হয়!
কারা যেন বলে- "অনেক সুন্দরী
পথ আলো করে চলে
অনেক নারী ঘর আলো করে রাখে।"
কিন্তু আমি বলি- সেই আলো তো প্রদীপের মতো
তেল চাই, নইলে জ্বলে না
আবার স্পর্শ করলে নাকি মরণ হয়!
পথ আলো করে চলে
অনেক নারী ঘর আলো করে রাখে।"
কিন্তু আমি বলি- সেই আলো তো প্রদীপের মতো
তেল চাই, নইলে জ্বলে না
আবার স্পর্শ করলে নাকি মরণ হয়!
আমার সুখের আলো তেমন নয়,
আমার সুখ- পূর্ব-আকাশের সূর্যরশ্মির ন্যায়
দীপ্ত, প্রভাময়- যার উপরে পড়ে
সেই ফুটন্ত পদ্মের মতো বিকশিত হয়ে উঠে!
আমার সুখ- পূর্ব-আকাশের সূর্যরশ্মির ন্যায়
দীপ্ত, প্রভাময়- যার উপরে পড়ে
সেই ফুটন্ত পদ্মের মতো বিকশিত হয়ে উঠে!
যেমন সরোবরে রাজহংস বাস করে
তেমনই আমার মধ্যে তার বাস।
তেমনই আমার মধ্যে তার বাস।
যদি আমি শিল্পি হতাম
যদি আমি ছবি এঁকে দেখাতে পারতাম
তবে সেই সুখ, সেই আলো দেখাতাম!
যদি আমি ছবি এঁকে দেখাতে পারতাম
তবে সেই সুখ, সেই আলো দেখাতাম!
যদি সেই রঙ ছিটাতে পারতাম
যদি সেই ধীর কাটাক্ষ তার বর্ণনা করতে পারতাম
তবে দেখাতাম-
সন্ধ্যার বাতাসে কম্পিত নীলপদ্মতুল্য
তার মধুর কটাক্ষ!
যদি সেই ধীর কাটাক্ষ তার বর্ণনা করতে পারতাম
তবে দেখাতাম-
সন্ধ্যার বাতাসে কম্পিত নীলপদ্মতুল্য
তার মধুর কটাক্ষ!
যে সমুদ্রতলের কৌস্তুভরত্ন
যে সাগরতলের অমূল্য সম্পদ
তার রুপ ও গুণ কেমন করে বর্ণানা করি-
তোমরা একটিবার বলে দাও আমায়- - -
যে সাগরতলের অমূল্য সম্পদ
তার রুপ ও গুণ কেমন করে বর্ণানা করি-
তোমরা একটিবার বলে দাও আমায়- - -