Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

ছোটগল্প: নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত

কাটমানি

***************

এতদিন বেশ গর্বিতই ছিল সন্টু ঘরামি।তাদের আকুলনগর কামাত এলাকায় পাকাবাড়ি  বলতে ছিল অজয়-সুজয়-বিজয় মহাজনদের গোটা কয়েক বাড়ি।বছর দেড়েক আগে এ এলাকায় আরও পাঁচ-পাঁচটি পাকা বাড়ি তৈরি হয়।তার একটি সন্টু ঘরামির।এ জন্য এতদিন সে কৃতজ্ঞ ছিল গোকুল দাসের কাছে।মাত্র দশহাজার টাকার বিনিময়ে সে-ই পাইয়ে দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা।সে অনেক টাকা! সেই টাকায় গোকুল দাসের লোকেরাই পাকা ঘর,পাকা পায়খানাসহ স্নানঘর বানিয়ে দিয়েছিল। 
ঘনবস্তি ক্রমশ পাতলা হতে হতে যেখানে  একসময় ছড়িয়ে ছিটিয়েপড়া ছেঁড়া পুতির মালার মতো যত্রতত্র অসংলগ্ন, সেখানেই সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা  সন্টু ঘরামির পাকা বাড়ি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
পাকা বাড়ির বাসিন্দা হলেও মিয়োনো খইয়ের মতো নিরীহ জীবনযাত্রা সন্টুদের।সেখানে হঠাৎ একটা আলোড়ন তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। কোন একটি দলীয় সভায় তিনি বলে বসলেন, দলের যাঁরা কাটমানি নিয়েছেন তাঁরা যেন তা ফেরত দেন।চারদিকে হৈ-হৈ পড়ে গেল।অবৈধভাবে অর্থ যাঁরা গ্রহণ করেছেন  তাদের বাড়িতে,দপ্তরে,কার্যালয়ে প্রতারিত মানুষের ভিড়।
     কাটমানি কথাটা কানে এলেও প্রথমে মগজে ঢোকেনি সন্টুর।পরে যখন বুঝলো গোকুল দাসকে তার দেয়া দশহাজার টাকাকেই বলে কাটমানি তখন তার বুকটা টনটন করে উঠলো।রাস্তার লাগোয়া বাড়ির ভিটের অংশটা,যেখানে মিন্টু বৈশ্য গ্রিল ফ্যাক্টরি খুলেছে, তা বিক্রি করেই তাকে কাটমানির সেই টাকাটা জোগাড় করতে হয়েছিল।
     এক সম্পদ পেয়ে আর এক সম্পদ হারানোর শোক ভুলে গিয়েছিল সন্টু। আজ হারাধনের মুখে গোকুল দাসের হারামির কথা শুনে তার মাথার চুল চিংড়ির দাড়ার মতো খাড়া হয়ে উঠলো।
: সোমবার আমরা সবাই যাব গোকুল দাসের বাড়ি,হারাধন বললো,কাটমানির টাকা ফেরত চাইবো।
: ফেরত দেবেে?
: কেন দেবে না?স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই তো ফেরত দিতে বলেছেন।তোদের এ পাড়ায় আর যেন কে ঘরের টাকা পেয়েছে?
: দুলালি।দুলালি নাগবংশী।
: ওর বাড়ি গিয়েছিলাম।কিন্তু ও তো কোনো টাকাপয়সা দেবার কথা স্বীকারই করলো না।
: তাহলে  এমনিতেই ওকে ঘরের টাকা পাইয়ে দিয়েছে গোকুল দাস!
: কেন যে স্বীকার করলো না কে জানে! চলি রে।কাল ঠিক সময়ে চলে আসবি কিন্তু। 
     হারাধন চলে যেতেই সকালে খাওয়া পান্তাভাতের টক ঢেকুর ওঠার মতোই কাটমানি কথাটা তার মাথায় তোলপাড় করতে লাগলো।সে ছুটলো দুলালির বাড়ি।
     এই ভরদুপুরে সন্টুকে দেখে দুলালি তো অবাক।সে মুড়ি ভাজা থামিয়ে বারান্দায় পিড়ি পেতে দিতে দিতে শুধোলো : দাদাবাবু তুই!এই দুপুরে খাঁ-খাঁ রোদে!
     তার দিকে নিবিষ্ট চোখে তাকালো সন্টু। বালবিধবা দুলালির দেহশ্রী এখনও ভারতবর্ষের রিলিফ ম্যাপের মতো নানা অঞ্চলের সুঠাম ব্যঞ্জনায় বিভক্ত।ওর দেহের সৌরভে এখনও লোবান জাতীয় কোনোকিছুর সুবাস মেশানো যেন।
: আরে, কতা কইচিস্ না কেনে?এ দাদাবাবু, খালি ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছিস কেনে?
: খবরটা শুনেছিস?যেন সম্বিত ফিরে পেয়ে কথা বললো সন্টু।
: কোন খবর?
:  ঘরের জন্য গোকুল যে টাকা নিয়েছে সেটা নাকি কাটমানি।এখন তাকে সেটা ফেরত দিতে হবে।
: ফেরত দেবে! অবাক হয় দুলালি।
: হ্যাঁ, সোমবার আমরা সবাই যাবো সে টাকা ফেরত চাইতে। তুইও যাবি।
: কিন্তু আমি তো কোনো টাকা দিইনি। 
: তাহলে কী দিয়েছিস?সোনাদানা?
: না,না।তেমন কিছুই দিইনি আমি।
: এমনি এমনি তোকে ঘরের টাকা পাইয়ে দিয়েছে গোকুল দাস!বিশ্বাস করতে বলিস একথা?
     সন্টুর বারংবার এ ধরণের প্রশ্নের অভিঘাতে একসময় ভেঙে পড়লো দুলালি। 
: মাইরি বলছি দাদাবাবু, গোকুলকে আমি টাকাপয়সা সোনাদানা কিছু দিইনি।সেসব দেবার মতো অবস্থা আমার ছিলো না।
:তাহলে?
: তার বদলে আমাকে যা দিতে হয়েছে  তার কথা নাই বা শুনলে দাদাবাবু। সে যে মেয়েদের পরম 
ধন।তা ফিরিয়ে দেবার ক্ষমতাও কারো নেই।
     বলতে বলতে উদ্গত অশ্রু  দমন করতে মুখে আঁচল চাপা দিয়ে ঘরে ঢুকে গেলো দুলালি।সন্টু কী বুঝলো কে জানে।সে মাথা নীচু করে দুলালিরবাড়ি  থেকে বেরিয়ে এলো।

********************************************

















Nripendranath Mahanta
Vill.& Post-HEMTABAD
Dist. Uttar Dinajpur  PIN-733130
Mobile No. 8918861003

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক