Featured Post
ভ্রমণকাহিনি: অনির্বাণ ঘোষ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
বল্লাল সেনের দুর্গ -- মায়াপুর
জুনের মাঝামাঝি,গরমের তীব্র দাবদাহ সামান্য কমায় দুটো দিন ছুটি নিয়ে সপ্তাহের শুরুতেই বেড়িয়ে পরলাম মায়াপুরের অলিগলি ঘুরে দেখতে। না এ প্রথম বার নয়,তবুও রথের ঠিক আগেই কেমন আয়োজন চলে সেখানে সেটাই দেখার ইচ্ছে। সকাল সকাল বেড়িয়ে সোদপুর থেকে ৬. ৩৩ এর কৃষ্ণনগর লোকাল ধরে চললাম গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।যথারীতি ট্রেনের বাদাম,চিড়েভাজা চলতেই থাকল।দু'ঘন্টার পথ বলে কথা। চূর্ণী নদী পেরিয়ে কালিনারায়নপুর স্টেশন আসতেই মনটা বেশ চনমনে হয়ে উঠল।এত স্নিগ্ধ সবুজে ঘেরা স্টেশন খুব কমই আছে শিয়ালদা মেন লাইনে। ঠিক ৮.২০ তে এসে নামলাম কৃষ্ণনগর।টোটো, অটো সবকিছুই মেলে স্টেশনের বাইরে। অটো ভাড়া মাথাপিছু ২০ টাকা,রিসার্ভ করলে ১৫০ টাকা।টোটো ভাড়া রিসার্ভে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা অবধি দর কষাকষি হয়।স্টেশন থেকে মায়াপুর ঘাট যেতে সময় লাগে ২৫ মিনিট। ২ টাকা নৌকা ভাড়া দিয়ে হুগলী পার হলেই এসে পরলাম" হূলোর ঘাট " এ।হূলোর ঘাটের সামনেই ইস্কনের বাস দাঁড়িয়ে থাকে মন্দির প্রাঙ্গন অবধি পৌঁছে দেওয়ার জন্য।তবে মন্দিরের কাছের কোলাহল থেকে একটু দূরে দুটো দিন কাটানোর জন্য গ্রামের বুকে একেবারে হুগলী নদীর তীরে নতুন একটি হোটেল online booking করে রেখেছিলা,নাম "জগন্নাথ গেস্ট হাউস"। নীচে এর সম্পূর্ণ যোগাযোগের নম্বর ও website দিয়েছি। রুম নম্বর ২৩, হোটেলের বারান্দায় বসে হুগলীর ঠান্ডা হাওয়া,সবুজের চোখ জুড়ানো সমারোহ,পাখির সুমিষ্ট কলতান এক অন্য মাত্রা যোগ করল আমার এই দুদিনের ছুটির বেড়ানো তে।
হুগলী - জলঙ্গীর সংযোগস্থলে এই মায়াপুর ধাম।১৪৮৬ সালে শ্রীচেতন্য মহাপ্রভু এই স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।নয়টি দ্বীপের সমাহার এই নবদ্বীপ,ঠিক পদ্মের পাঁপড়ির মত সাজানো যার কেন্দ্রবিন্দু এই মায়াপুর।শহর এবং গ্রামের এক অপূর্ব মেলবন্ধন এই মায়াপুরে।প্রথম দিকে বাংলার রাজধানী ছিল এই নবদ্বীপ। চৈতন্য মহাপ্রভুর স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভক্তিবাদী সন্ন্যাসী বিনোদ ঠাকুর মায়াপুর ধাম প্রতিষ্ঠা করেন। সাত লক্ষ স্কোঃ ফুট জমির ওপর গড়ে ওঠে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান ইস্কন মন্দির।ধর্মগুরু শ্রীলা প্রভুপাদ প্রতিষ্ঠা করেন এই ৩৪০ ফুট সুউচ্চ মন্দির ১৯৬৬ সালে। ISKCON (international society for Krishna consciousness) এর মন্দিরগুলি এখন গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে।সারা মায়াপুর জুড়ে ১৮৫ টি ছোট বড় মন্দির দিয়ে সাজানো।প্রতি বছর গৌড় পুর্ণিমা তিথি তে (চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মদিন)অসংখ্য ভক্ত সমাগম হয় এখানে।সাত দিন ধরে নয়টি দ্বীপ পরিক্রমা করেন ভক্তেরা এই তিথিতে। রথযাত্রায় টানা এক সপ্তাহ ব্যাপী মেলায় আয়োজন হয় এখানে।বিদেশী ভক্তের সমাগমও নেহাত কম নয় এখানে।
হোটেলে একটু বিশ্রাম নিয়ে স্নান সেরে নিলাম।পাশেই রয়েছে "জয়গুরু হোটেল", খাওয়ার জন্য বেশ নাম আছে এখানে এই হোটেলের। কাঠের আগুনে রান্না হচ্ছে গরম গরম ভাত, ডাল,পুঁইশাকের সব্জী,আলুভাজা,রুই-কাতলা,চুনোমাছের ঝাল,মুরগী-খাঁসী ইত্যাদি।নিরামিষ প্লেট ৬০ টাকা,কাতলা থালি ৮০ টাকা,মুরগী থালি ৭০ টাকা,খাঁসীর মাংসের থালি ১১০ টাকা।খাওয়া সেরে হোটেলে ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলাম।একটু রোদ টা কমলেই বিকেলের দিকে একটা টোটো ভাড়া করে ঘুড়ে দেখতে বেরোলাম এদিক সেদিক।
দর্শনীয় স্থান -- (১)শ্রীলা প্রভুপাদের পুষ্প সমাধি মন্দির
(২)চন্দ্রদয়া মন্দির(ISKCON দ্বারা নির্মিত মায়াপুরে প্রথম মন্দির এটা)
(৩)চৈতন্য মঠ (মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য দেবের জন্মস্থান),তবে এ নিয়ে বিতর্কও রয়েছে।অনেকেরই মতে নবদ্বীপে নিমতলায় তাঁর জন্ম।
(৪)যোগ পীঠ
(৫)গোস্বামী মহারাজ মন্দির/দশাবতার মন্দির
(৬) চাঁদ কাজির সমাধি
(৭)গোপীনাথ গৌড়িয় মঠ(১৯৮৭ সালে স্থাপিত লাইব্রেরী)
(৮) বল্লাল ঢিপি ( সেন যুগে রাজা বল্লান সেন এই অঞ্চলের বামুনপুকুর নামক এলাকায় তার দূর্গ গড়ে তোলেন।১৯৮২ ও ১৯৮৮ সালে দুই দফায় খনন কার্য্য চালিয়ে এই ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।অনেক প্রাচীন মূর্তী পাওয়া যায় এখানে,যেগুলো কলকাতার মিউসিয়ামে রাখা রয়েছে।বামুনপুকুর বাজারের কাছেই এই ঐতিহাসিক নিদর্শন খুবই তাৎপর্য্যপূর্ণ।)
(৯) শিব ডোবা ( ৫০০ বছর পূর্বে কৈলাশ অধিপতি শ্রী শঙ্কর মায়াপুর আসেন চৈতন্য মহাপ্রভুর দর্শনে।তবে তার দেখা না পেয়ে তিনি বিমর্ষ হয়ে পড়েন ও তার অশ্রুজলে একটি ডোবা তৈরী হয়ে যায়, যা শিবডোবা নামে পরিচিত)
(১০)চৈতন্য মহাপ্রভুর ভাঙা খোল
(১১)মায়াপুর থেকে নবদ্বীপ ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ে নবদ্বীপ যাওয়ার জন্য,৭ টাকা জনপ্রতি ভাড়া।চমৎকার নদীবক্ষে ভ্রমণের এক সুন্দর সুযোগ পাওয়া যায়।হুগলীর বুকে লঞ্চ যখন চলে,নবদ্বীপের বেশ কয়েকটি দ্বীপ চোখের সামনে ভেসে ওঠে। নবদ্বীপের ঘাটে পৌঁছে একটা টোটো নিয়ে ওখানকার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান দেখে নেওয়া যায় (রাধারাণী মন্দির, গুপ্ত বৃন্দাবন,গোবিন্দধাম,নিমাই জন্মস্থান,৬০ ফুট মহাপ্রভু,পোঁড়া মা তলা, সোনার গৌড়াঙ্গ,সমাজবাড়ি)
সারাদিন মায়াপুরের আনাচে কানাচে অলিগলি ঘুড়ে হোটেলে ফিরে আসলাম।মেঘলা আবহাওয়ায় মনোরম হয়ে উঠেছিল গোটা মায়াপুর নগরী। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল এখানে হিন্দু মুসলিম মানুষের পাশাপাশি সহাবস্থান ও ভাতৃত্ববোধ।একে অপরকে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সকলে।
সবশেষে যে বিষয়টি না বললে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে মায়াপুর ভ্রমণ,নবদ্বীপের লাল ক্ষীর দই।এর কোন জবাব নেই।এক ভিন্ন স্বাদের দই এখানে না খেলে রসনা অতৃপ্তই থেকে যাবে।
থাকার জায়গা --প্রথমেই বলি অসংখ্য মঠ ও তীর্থযাত্রী নিবাস গোটা মায়াপুর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। রথযাত্রা,গৌড় পূর্ণিমা কালে এসব মঠে তিল ধারণের জায়গা থাকেনা। এছাড়াও কয়েকটি হোটেলের নাম লিখে দিলাম
(১) jagannath guest house (8016731087,9614836132)online booking হয়,নীচে তার website দেওয়া আছে।
(২) sri krishna chaitanna guest house, (৩)Vakta niwas (03472 245307),(৫)Gopinath gouriya math।
(৬)সর্বোপরি মায়াপুর ইস্কনের অধীনে শঙ্খ ভবন,গদা ভবন,চক্র ভবন,পদ্ম ভবন,ঈশোদান ভবন -এ থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এবং নিত্য ভোগবিতরণ করা হয় এখানে, যার জন্য আগে থেকে কুপন কাটতে হয়। এখানে থাকা বা ভোগ খাওয়ার জন্য সবরকম কুপন গদা ভবন থেকে কাটতে হয়।থাকার ঘরের জন্য online booking করা হয় যার website নীচে দেওয়া আছে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু website দেওয়া হল -
http://www.mayapur.com(ইস্কনের নিজস্ব website)
http://www.visitmayapur.com( ইস্কনের থাকার ঘর বুকিং এর website)
http://www.jagannathguesthouse.com( খুবই সুন্দর পরিবেশে হুগলী নদীর তীর এই হোটেলটি, ঘরে বসে হুগলীর হাওয়া আর গ্রামবাংলার মনোরম দৃশ্য মন ভরিয়ে দেয়)
=========================================
=========================================
- অনির্বাণ ঘোষ
A-1/8 SODEPUR GOVT HOUSING ESTATE
P.O - SODEPUR , P.S - KHARDAH
DIST - NORTH 24 PARGANAS
KOLKATA - 700110
Ph no - 9123392089, whatsapp - 8013220695
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে